অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস| পঞ্চম অধ্যায়|২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ
প্রিয় বন্ধুরা
অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস| পঞ্চম অধ্যায়|২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ আজকে আলোচনা করব|তোমরা West Bengal Class 8 History পেয়ে যাবে|অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|West Bengal Class 3rd Eight| অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|Class 8 History Question and Answer|Class 8 History 5th chapter Suggestion WBBSE|Class 8 History 5th chapter Notes WBBSE|ইতহাস প্রশ্নোত্তর|ইতিহাস মক টেস্ট| itihas proshno o uttor|History Mock Test|
এছাড়াও তোমরা পাবে অষ্টম শ্রেণী পঞ্চম অধ্যায় জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ, Very Short Question, Short Questions, Descri -ptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের VIII History Examination এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই ২ নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস (জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ) ৩ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।
অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস| পঞ্চম অধ্যায়|২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ
1. সভা সমিতির যুগ কাকে বলে ?
উ:- ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসনে
নতুন ভূমি বন্দোবস্ত, নতুন শিল্পবাণিজ্য ও পাশ্চাত্য শিক্ষা ভারতীয় সমাজে পুঁজিবাদী
উচ্চবিত্ত শ্রেণি তাোলে। তারা শ্রেণিস্বার্থ রক্ষার জন্য বিভিন্ন সভাসমিতি প্রতিষ্ঠায়
উদ্যোগী হয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সূচনা এবং ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেস
প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সভাসমিতির যুগ শেষ হয়। এ যুগের উল্লেখযাোগ্য সমিতিগুলি ছিল
ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান অ্যাসাোসিয়েশন, পুনা নার্বজনিক সভা, বাোম্বাই নেটিভ অ্যাসাোসিয়েশন,
মাদ্রাজ মহাজন ভা, কলকাতায় ইন্ডিয়ান লিগ ও ইন্ডিয়ান অ্যাসাোসিয়েশন। তারপর প্রতিষ্ঠিত
হয় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। ভারতের প্রত্যেকটি প্রেসিডেন্সি শহর ও অন্যান্য শহরে এই
সময়ে (১৮৫৭-১৮৮৫ খ্রি.) বহু রাজনৈতিক
2. সভাসমিতির যুগে কয়েকটি সভাসমিতির পরিচয় দাও ?
উ:- ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ভারতের প্রত্যেকটি প্রেসিডেন্সি
ও বড়াো শহরে বিভিন্ন ধরনের সভাসমিতি গড়ে ওঠে। সভাসমিতির পরিচয়
i. কলকাতা প্রেসিডেন্সি: কলকাতায় ব্রিটিশ -ইন্ডিয়ান অ্যাসো -সিয়েশন (১৮৫১ খ্রি.), ইন্ডিয়ান লিগ (১৮৭৫ খ্রি.),ইন্ডিয়ান অ্যাসাোসিয়েশন বা ভারতসভা (১৮৭৬ খ্রি.) প্রতিষ্ঠিত হয়।
ii. মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি: এখানে মাদ্রাজ নেটিভ অ্যাসোসিয়েশন
iii. বাোম্বাই প্রেসিডেন্সি : বাোম্বাইতে বাোম্বাই অ্যাসাোসিয়েশন (১৮৫২
খ্রি.), বাোম্বাই প্রেসিডেন্সি অ্যাসাোসিয়েশন (১৮৮৫ খ্রি.), পুনা সার্বজনিক সভা (১৮৭০
খ্রি.), প্রার্থনা সমাজ (১৮৬৭ খ্রি.), জাতীয় কংগ্রেস (১৮৮৫ খ্রি.) প্রতিষ্ঠিত হয়।
উপরাোক্ত বিভিন্ন সংগঠনগুলিই ছিল সভাসমিতির যুগের অন্যতম উল্লেখযাোগ্য প্রতিষ্ঠান।
3. বাংলাদেশের প্রথম রাজনৈতিক সমিতি কোনটি ছিল ? কারা এই সমিতি প্রতিষ্ঠা
করেন?
উ:- বাংলাদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার, নতুন ভূমিব্যবস্থা ও পুঁজিবাদী
অর্থনীতি সমাজজীবনে এক আলাোড়ন সৃষ্টি করে।
4. বর্জভাষা প্রকাশিকা সভা’ নামকরণ কেন করা হয় ?
উ:- বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা ছিল বাংলাদেশের প্রথম রাজনৈতিক সভা। দ্বারকানাথ
ঠাকুর, প্রসন্নকুমার ঠাকুর এবং কালীনাথ রায়চৌধুরী এই সভা প্রতিষ্ঠা করেন ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে।
i. বঙগভাষা প্রকাশিকা সভা' নামকরণ: এই সভার প্রতিষ্ঠাতা -গণের সব সদস্যই
বাংলাভাষী জমিদার ছিলেন। তারা নিজ শ্রেণির দাবি এবং জাতীয়তাবাদী ভাবধারা বাংলা ভাষার
মাধ্যমে প্রচার করতে চেয়েছিলেন। এই সমস্ত কারণের জন্য এই সভার নামকরণ বঙ্গভাষা প্রকাশিকা
সভা করা হয়।
5. জমিদার সভা ও ভারতসভার বৈসাদৃশ্য আলাোচনা করা ?
উ:- উনিশ শতকে ভারতে জাতীয়
কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার (১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ) পূর্বে যে সকল সংগঠন গড়ে উঠেছিল
6. ভরসভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল ?
উ:- উনিশ শতকে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক
সভাগুলির মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
i. উদ্দেশ্য : সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই সভার
বিভিন্ন উদ্দেশ্য ছিল।
7. ইলবার্ট বিল কি ?
উ:- ভারতের উদারপন্থী বড়াোলাট
লর্ড রিপন-এর নির্দেশে আইনসচিব স্যার কোর্টনি পেরিগ্রিন ইলবার্ট ইউরাোপীয় ও ভারতীয়
বিচারকদের বিচারব্যবস্থায় সমতা দানের উদ্দেশ্যে এই বিল বা খসড়া তৈরি করেন (১৮৮৩ খ্রি.)
i. ইলবার্ট বিল : একজন ভারতীয় সেশন জজ একজন ইউরাোপীয় সেশন জজ-এর সমমর্যাদার
অধিকারী হলেও সমক্ষমতাসম্পন্ন ছিলেন । একজন ভারতীয় জজ একজন ইউরাোপীয় অপরাধীর বিচার
করতে পারতেন না। ইলবার্ট বিল ভারতীয় সেশন জজদের সেই অধিকার প্রদান করে।
ii. পরিণতি : এই বিল-এর বিরুদ্ধে ইউরাোপীয়রা ‘ডিফেন্স অ্যাসাোসিয়েশন’গঠন
করে তুমুল আন্দোলন করে। শেষে ইউরাোপীয়দের স্বার্থরক্ষার জন্য জুরিব্যবস্থা যুক্ত করে
বিলটি পাস হওয়ায় বিলটির প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়।
10. ইলবার্ট বিল-বিরাোধী আন্দোলনে
ভারতসভার ভূমিকা কী ছিল ?
উ:- ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে বডাোলাট লর্ড রিপনের আইনসচিব ইলবার্ট বিচারব্যবস্থায়
ইউরাোপীয়দের বিচারসংক্রান্ত বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহার করে একটি বিল বা আইনের খসড়া
রচনা করেন। এটি ইলবার্ট বিল নামে পরিচিত। এই বিলের বিরুদ্ধে ইউরাোপীয়রা আন্দোলন করেছিল।
ইলবার্ট বিলের পক্ষে ভারতসভার
i. আন্দোলন : এই বিলের সমর্থনে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে
ভারতসভা প্রতি-আন্দোলন গড়ে তাোলে। বিলের পক্ষে মিটিং, মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ii. গুরুত্ব : ইউরাোপীয়দের প্রতিবাদের চাপে ব্রিটিশ সরকার এই বিল সংশাোধন
করলেও ভারতসভার আন্দোলনের জেরে ভারতীয় বিচারকরা শর্তসাপেক্ষে ইউরাোপীয়দের বিচার করার
অধিকার পায়। এতে ভারতীয় শিক্ষিত সমাজ অপমানিত বাোধ করে এবং একইসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের
প্রয়াোজনও উপলব্ধি করে।
আরও পড়ুন......
- মুঘল সাম্রজ্যের পতনের কারনগুলি আলোচনা কর
- বক্সার যুদ্ধের কারনগুলি আলোচনা কর
- পলাশির যুদ্ধের কারনগুলি আলোচনা কর
11. ভারতীয় জাতীয়তাবাদের উন্মেষে ভারতসভার ভূমিকা কী ছিল ?
উ:- ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬
জুলাই আনন্দমাোহন বসু, শিবনাথ শাস্ত্রী ও সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কলকাতার
অ্যালবার্ট হলে ইন্ডিয়ান অ্যাসাোসিয়েশন’ বা
‘ভারতসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ০% সর্বভারতীয়
i. সম্মেলন: ভারতসভা’-র
উদ্যোগে ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবার কলকাতায় একটি সর্বভারতীয় সম্মেলন আয়াোজিত হয়।
12. জাতীয় সম্মেলন বা ন্যাশনাল কনফারেন্স বলতে কী বাোঝায় ?
উ:- জাতীয় সম্মেলন ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দের
ডিসেম্বর মাসে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সারা ভারতের বিভিন্ন অঙুলের
প্রতিনিধিদের নিয়ে কলকাতায় একটি সম্মেলন আহূত হয়। এই সম্মেলনকে জাতীয় সম্মেলন বা
ন্যাশনাল কনফারেন্স বলা হয়।
i. সভাপতি : এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেছিলেন রামতনু লাহিড়ি।
ii. দাবি : এই সম্মেলনে ভারতের সাংবিধানিক ও শাসনতান্ত্রিক বিভিন্ন
দাবি নিয়ে আলাোচনা হয়েছিল ও সেগুলিকে পেশ করা হয়েছিল। জাতীয় সম্মেলনকে ভারতীয়
জাতীয় কংগ্রেসের গত বলা হয়।
13. জাতীয় সম্মেলনের গুরুত্ব লেখ ?
উ:- ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে
সর্বভারতীয় যেসব সংগঠন ও সভা গড়ে ওঠে, তার
মধ্যে অন্যতম ছিল জাতীয়
i. প্রতিষ্ঠাতা : সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আনন্দমাোহন বসুর
উদ্যোগে ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উদ্দেশ্য. জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে
ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিনিধিদের একটি সভায় মিলিত করা এবং সংঘবদ্ধ আন্দোলনের প্রস্তুতি
নেওয়াই ছিল এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য।
ii.কর্মসূচি: স্বায়ত্তশাসন প্রতিনিধিত্বমূলক আইনসভা শিক্ষা -প্রসার,
বিচারব্যবস্থার পৃথক্করণ, জাতীয় ধনভাণ্ডার গঠন ইত্যাদি ছিল।
14. টীকা লেখাো : নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণআইন।
উ:- ঊনবিংশ শতকে নাটকের মাধ্যমে
ভারতীয়দের জাতীয়তা -বাোধকে জাগিয়ে তাোলার প্রয়াস দেখা যায়। ব্রিটিশদের অত্যাচার
বিষয়ক বিভিন্ন নাটক, থিয়েটার ইত্যাদির মাধ্যমে জনমানসে তীব্র ব্রিটিশ বিরাোধিতা জন্ম
নেয়।
i. নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন: এমতাবস্থায় ব্রিটিশদের সুরক্ষা
নিশ্চিত করতে বড়াোলাট লর্ড নর্থব্রুক ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন
প্রণয়ন করেন।
ii. উদ্দেশ্য :এই আইনের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল জাতীয়তাবাদী ভাবধারার
নাটকগুলির প্রচার বন্ধ করা
iii. ভারতীয়দের প্রতিক্রিয়া : নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন’-এর
বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে চরম অসন্তোষ ও তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান
বিশেষত ভারতসভা’ এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।
15. লর্ড লিটন-এর দমনমূলক আইনগুলির পরিচয় দাও।
উ:- লর্ড লিটন প্রশাসনিক দিক
থেকে রক্ষণশীল ও স্বৈরাচারী প্রকৃতির ছিলেন। তিনি কয়েকটি দমনমূলক আইন পাস করেন।
i. দেশীয় মুদ্রণ আইন : লর্ড লিটন রুশ প্রভাব প্রতিরাোধের জন্য আফগানিস্তানে
সামরিক হস্তক্ষেপ করেন এবং সাম্রাজ্যবাদী কার্যকলাপে লিপ্ত হন। দেশীয় সংবাদপত্রগুলি
এজন্য তার সমালাোচনা করে। সেজন্য তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় মুদ্রণ আইন পাস করেন।
এতে বলা হয়, সরকারের সমালাোচনা করল মুদ্রণযন্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হবে।
ii. অস্ত্র আইন : তিনি ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে অস্ত্র আইন পাস করেন। এই আইনে
বলা হয়, ভারতীয়দের অস্ত্র রাখার ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি লাগবে। প্রতিক্রিয়াশীল
লর্ড লিটন এইভাবে দমনমূলক আইনের সাহায্যে ভারতীয়দের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
16. দেশীয় মুদ্রণ আইন’ বলতে কী
বাোঝায়?
উ:- ভারতের আইন বা দেশীয় ভাষা
সংবাদপত্র আইন জারি করেন। লে দেশীয় ভাষা মুদ্রণ আইন: এই আইনে বলা হয় যে, দেশীয় ভাষায়
প্রকাশিত সংবাদপত্রে ব্রিটিশ সরকারের বিরাোধী কোনাো লেখা প্রকাশ করা যাবে না। যদি দেশীয়
ভাষায় প্রকাশিত কোনাো সংবাদপত্রে ব্রিটিশ সরকার-বিরাোধী বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার করা
হয় তবে ওই সংবাদপত্রের ছাপাখানা বাজেয়াপ্ত হবে। এই আইন ছিল প্রতিক্রিয়াশীল। এর ফলে
মত প্রকাশের স্বাধীনতা লাোপ পায়। ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে লর্ড রিপন এই আইন প্রত্যাহার করেন।
17 অস্ত্র আইন কী ?
উ:- ভারতের ভাইসরয় লর্ড লিটন
১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে অস্ত্র আঁইন জারি করেন। এর ফলে অস্ত্র রাখার ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণ
চালু হয়।
i. অস্ত্র আইন : অস্ত্র আইনে বলা হয় যে, কোনাো ভারতীয় আত্মরক্ষার
জন্যও অস্ত্র রাখতে পারবে না। অন্যদিকে ইউরাোপীয়রা তাদের প্রয়াোজনে অস্ত্র রাখতে
পারবে। অর্থাৎ অস্ত্র আইন ইউরাোপীয়দের ক্ষেত্রে প্রযাোজ্য হবে না।
18. জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পিছনে হিউমের ভূমিকা কী ছিল?
উ:- উইলিয়ম ওয়েডারবার্নের
লেখা হিউমের জীবনী এবং জাতীয়কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার ইতিহাস থেকে কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে
হিউমের ভূমিকার কথা জানা যায়।
i. হিউম-এর ভূমিকা : অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রসচিব।
প্রায় ৩০.০০০ সরকারি নথি দেখে তিনি ব্রিটিশদের বিপক্ষে ভারতীয়দের চরম ক্ষোভের পরিচয়
পান। এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নিয়মতান্ত্রিক পথে পরিচালিত করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে রক্ষা
করার জন্য তিনি শিক্ষিত ভারতবাসীদের নিয়ে একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে উদ্যোগী
হন। এভাবে জাতীয় হগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠায় হিউমের ভূমিকাকে
অনেকে ষড়যন্ত্র তত্ত আবার অনেকে নিরাপত্তা কপাটিকা তত্ত্ব নামে অভিহিত করেছেন।
19. হিউম-ডাফরিন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বলতে কী বাোঝায় ?
উ:- ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস
প্রতিষ্ঠা সম্বন্ধে বিভিন্ন মত প্রচলিত মাছে। এর অন্যতম হল ‘হিউম-ডাফরিন ষড়যন্ত্র
তত্ত্ব। র ষড়যন্ত্র তত্ত্ব : হিউম ছিলেন একজন ইংরেজ সিভিল সার্ভেন্ট, পুরাো নাম অ্যালান
অক্টোভিয়ান হিউম। ডাফরিন ছিলেন ভারতের ভাইসরয়। হিউম-ডাফরিন ষড়যন্ত্র বলতে বাোঝায়
যে, হিউম ও ডাফরিনের ষড়যন্ত্রেই না কি জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়েছে। হউমের জীবনীকার
ওয়েডারবানের জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার এই তত্ত্ব হিউম-ডাফরিন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নামে
পরিচিত। জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হিউমের বিশেষ ভূমিকা ছিল। কিন্তু ডাফরিন
কংগ্রেসকে ‘আণুবীক্ষণিক সংখ্যাল্প’ বলে
ব্যাখ্যা করেন। তাই ষড়যন্ত্র তত্ত্বটি কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন।
20. নরমপন্থী কাদের বলা হয় ?
উ:- নৱমপন্থী ভারতীয় জাতীয়
কংগ্রেসের প্রথমদিকের যারা ব্রিটিশ শাসনের প্রতি অনুগত থেকে আবেদন-নিবেদনের আন্দোলনে
বিশ্বাস করতেন তাদের নরমপন্থী বলা হয়।
i. নেতৃত্ব : কংগ্রেসের নরমপন্থী নেতাদের মধ্যে উল্লেখযাোগ্য উমেশচন্দ্র
বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, দাদাভাই নৌরজি প্রমুখ।
21. আবেদন-নিবেদন নীতি’ বলতে কী বাোঝা ?
উ:- আবেদন-নিবেদন নীতি হল সরকারের
কাছ থেকে দাবি আদায়ের একটি সাংবিধানিক পথ। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর নরমপন্থীরা
ব্রিটিশ সরকারের কাছে এই পদ্ধতিতে দাবিদাওয়া উত্থাপন করত।
ii. আবেদন-নিবেদন নীতি : জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম যুগের (১৮৮৫-১৯০৫ খ্রি.)
নেতৃবৃন্দ নিয়মতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। তারা গণ আন্দোলনে বা বিপ্লবে বিশ্বাসী
ছিলেন না। জনগণের দাবি তুলে ধরার জন্য তারা সরকারের কাছে বিনীতভাবে আবেদন জানাতেন।
তাদের চিন্তাধারা ইংল্যান্ডের উদারনীতিবাদ দ্বারা প্রভাবিত ছিল। আবেদন-নিবেদন নীতি
ছিল অত্যন্ত দুর্বল পদ্ধতি, যার সাফল্য নির্ভর করত সরকারের ইচ্ছার উপর। কেউ কেউ একে
রাজনৈতিক ভিক্ষাবৃত্তি’ বলে অভিহিত করেন
আরও পড়ুন......
- অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়
- উপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া সহযোগিতা ও বিদ্রোহ
১ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর- অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ ১ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর
- অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন ১ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর
22. আদিপর্বের কংগ্রেসি নেতারা সরাসরি ব্রিটিশদের বিরাোধিতা করতে পারেননি
কেন?
উ:- ১৮৮৫ থেকে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ
পর্যন্ত সময়কালে জাতীয় কংগ্রেসের রাজনৈতিক পন্থা সরাসরি ব্রিটিশ সরকারের বিরাোধিতার
লক্ষ্যে চলেনি। প্রথম অধিবেশনেই উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাোষণা করেন যে, কংগ্রেস
কোনাো ব্রিটিশবিরাোধী ষড়যন্ত্রের ম নয়। মূলত তারা ব্রিটিশ শাসনের প্রতি সমর্থন জানান।
কারণ—
i. উচ্চবর্গীয়দের উপস্থিতি : কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দের মধ্যে অধিকাংশই
ছিল ইংরেজি শিক্ষিত উচ্চবর্গীয়। তারা ভারতে ব্রিটিশ শাসনকে ‘বিধির বিধান বলে মনে করতেন।
ii. রাজনৈতিক চিন্তার অভাব : প্রতিষ্ঠা এবং তার পরবর্তী সময়ে জাতীয়
কংগ্রেস কেবলমাত্র একটি সর্বভারতীয় সংগঠন ছিল, প্রকৃত অর্থে রাজনৈতিক দল বলতে যা বাোঝায়,
তা ছিল না। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ সরকারের দোষ-ত্রুটিগুলি দেখিয়ে দেওয়া,
বিরাোধিতা করা নয়।
iii. জনসমর্থনের অভাব : আদিপর্বে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতি সেই অর্থে
জনসমর্থনের অভাব ছিল। তাই তারা ব্রিটিশদের বিরাোধিতা করতে পারেননি।
23. নরমপন্থীদের দাবিগুলির প্রতি ব্রিটিশ সরকারের প্রতিক্রিয়া কী ছিল ?
উ:- জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার
পর থেকে নরমপন্থীরা ব্রিটিশ সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি জানায়। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার
এই দাবিগুলিকে কোনাো গুরুত্ব দেয়নি।
i. দাবিসমূহ : কংগ্রেস ইন্ডিয়া কাউন্সিলের বিলুপ্তি, ভারতীয় প্রতিনিধিত্ব,
ভারতে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা গ্রহণ ও বয়সসীমা ২২ বছর করা, বিচার ও শাসনবিভাগের পৃথকরণ,
শিল্প সংরক্ষণ ও শুল্কনীতির পরিবর্তন, শিক্ষাপ্রসার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ইত্যাদির
দাবি জানান নরমপন্থীরা।
ii. সরকারি প্রতিক্রিয়া : কংগ্রেস দলকে বড়াোলাট ডাফরিন আণুবীক্ষণিক
সংখ্যাল্প’ বলে মন্তব্য করেন। সরকারি কর্মচারীদের কংগ্রেস অধিবেশনে যাোগদান ২০,০০০
টাকা জামিনসাপেক্ষ করা হয়।
24. কংগ্রেসের নরমপন্থী নেতৃবৃন্দের কার্যাবলি সমালাোচিত হয়েছিল কেন ?
উ:- জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত
হওয়ার প্রথম ২০ বছরে (১৮৮৫-১৯০৫ খ্রি.) যেসব নেতৃবৃন্দ দল পরিচালনা করেন, তাঁরা নরমপন্থী
নামে পরিচিত।
i. সমালাোচনা : নরমপন্থীদের কার্যাবলি নানাভাবে সমালাোচিত হয়েছিল ২০বছরেজমিদারশ্রেণিকংগ্রেসকে
আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করত। ফলে কৃষকদের স্বার্থ সম্পর্কিত প্রকৃত কোনাো কর্মসূচি
কংগ্রেস নেয়নি। অপরদিকে, ব্যবসায়ী ও মহাজনদের স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে কংগ্রেস তার
দাবিগুলি থেকে শ্রমিকশ্রেণির অভাব-অভিযাোগকে দূরে রেখেছিল। নরমপন্থী রাজনীতিতে জনগণের
অংশগ্রহণ প্রায় ছিল না।
আরও পড়ুন......
25. ভারতীয় জাতীয় রাজনীতিতে নরমপন্থীদের অবদান কী ছিল ?
উ:- নরমপন্থীরা ব্রিটিশ সরকারের কাছে দাবিদাওয়া আদায়ে ব্যর্থ ভারতীয়
রাজনীতিতে নরমপন্থীদের অবদান অস্বীকার করা যায় ।
i অবদান : নরমপন্থীরা ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছিলেন। উচ্চশিক্ষিত নরমপন্থীরা যুক্তিনির্ভর সাংবিধানিক রাজনীতির দ্বারা ভারতীয় সমাজে রাজনৈতিক আধুনিকতার জন্ম দিয়েছিলেন। সীমিত অর্থে হলেও তাদের কার্যকলাপ ভারতীয়দের মনে প্রভাব বিস্তার করেছিল। নরমপন্থী নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অ্যাক্ট পাস করে। এর দ্বারা ভারতীয় প্রতিনিধিদের জনস্বার্থ বিষয়ে প্রশ্ন করা এবং বাজেট আলাোচনায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়।
26. অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ বলতে কী বাোঝায় ?
উ:- ভারতে ইংরেজ শাসন ও শাোষণের
পরিণতিতে ভারতবাসীর দারিদ্র্যের কথা কিছু নেতা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেন।
i. অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ : ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে যে
জাতীয়তাবাদী নেতাগণ ভারতের অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্য ব্রিটিশ সরকারকে দায়ী করে সমালাোচনা
করেছিলেন, তাদের এই বক্তব্য অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ’ নামে
পরিচিত।
27. তুমি কি মনে করাো জাতীয় কংগ্রেস ছিল উচ্চবর্গের মানুষের সংগঠন?
উ:- ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে বাোম্বাই
শহরে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্বাধীনতালাভ পর্যন্ত
জাতীয় কংগ্রেস ছিল ব্রিটিশবিরাোধী আন্দোলনের ভরকেন্দ্র। জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম পর্বের
সংগঠকরা ছিলেন ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত উচ্চ মধ্যবিত্তশ্রেণির মানুষ। ভারতীয় সমাজের
সকল শ্রেণির মানুষ কংগ্রেসের আওতায় ছিল না। এ ছাড়া আঞ্চলিক, লিঙ্গগত ও শ্রেণিগত প্রতিনিধিত্ব
সমান ছিল না। সেই সময়ে কংগ্রেসের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দই পেশায় ছিলেন আইনজীবী। সাধারণত
সমাজের নিম্নবর্গের মানুষজন ও তাদের অভাব-অভিযাোগকে প্রাধান্য দেননি কংগ্রেসী নেতৃবৃন্দ।
সর্বভারতীয়ত্বের দাবি জানালেও বাোম্বাই, মাদ্রাজ ও বাংলা প্রেসিডেন্সির শিক্ষিত পেশাজীবী,
ব্যবসায়ী ও জমিদাররাই ছিল কংগ্রেসের প্রধান অংশ। সম্প্রদায়গত দিক থেকেও কংগ্রেস নেতৃত্বের
মধ্যে উচ্চবর্গীয় হিন্দুরাই ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। অর্থাৎ বলা যায় যে, সূচনাপর্বে ভারতীয়
জাতীয় কংগ্রেস উচ্চবর্গীয় শিক্ষিত শ্রেণির দ্বারা পরিচালিত ছিল।
28. ডাফরিন কংগ্রেসকে কেন ‘আণুবীক্ষণিক সংখ্যাল্প বলেন ?
উ:- ভারতের বডাোলাট লর্ড ডাফরিনের
শাসনকালে অবসরপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রসচিব অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউমের উদ্যোগে জাতীয় কংগ্রেস
প্রতিষ্ঠিত হয় (১৮৮৫ খ্রি.)। প্রতিষ্ঠার পর ডাফরিন কংগ্রেস প্রতিনিধিদের সম্মান জানিয়েছিলেন।
কিন্তু অল্পকালের পর তিনি কংগ্রেসকে ‘আণুবীক্ষণিক সংখ্যাল্প’ বলে
ব্যঙ্গ করেন।
i. প্রতিনিধিত্ব : জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে (১৮৮৫ খ্রি. বাোম্বাই)
৭২ জন, দ্বিতীয় অধিবেশনে (১৮৮৬ খ্রি. কলকাতা) ৪৫০ জন, তৃতীয় অধিবেশনে (১৮৮৭ খ্রি.
মাদ্রাজ) ৬০৭ জন প্রতিনিধি ছিলেন। ভারতের জনসংখ্যার তুলনায় এই প্রতিনিধিত্ব সংখ্যাল্প
ছিল।
ii. দাবি : জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে সরকারের কাছে
বিভিন্ন দাবি জানায়। ফলে ব্রিটিশ সরকার বিরক্ত হয়। এই কারণে বড়াোলাট ডাফরিন কংগ্রেসকে
‘আণুবীক্ষণিক সংখ্যাল্প’ বলে ব্যঙ্গ করেন।
আরও পড়ুন......
File Details
File Name/Book Name
অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস| পঞ্চম অধ্যায়|২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|
File Format
PDF
File Language
Bengali
File Size
126 KB
File Location
GOOGLE DRIVE
Download Link
Join Telegram... Members
File Details |
|
File Name/Book Name | অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস| পঞ্চম অধ্যায়|২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| |
File Format | PDF |
File Language | Bengali |
File Size | 126 KB |
File Location | GOOGLE DRIVE |
Download Link |
অষ্টম শ্ৰেনিৱ ইতিহাস ষষ্ট অধ্যায়
উত্তরমুছুন