অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস| দ্বিতীয় অধ্যায়|২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাy

dream
0

অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস|দ্বিতীয় অধ্যায়|২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা

অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় ২ ও ৩ উত্তর

প্রিয় বন্ধুরা 

অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস| দ্বিতীয় অধ্যায়|২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা আজকে আলোচনা করব |তোমরা West Bengal Class 8 History পেয়ে যাবে|অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|West Bengal Class 2nd Eight| অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|Class 8 History Question and Answer|Class 8 History 2nd chapter Suggestion WBBSE|Class 8 History 8th chapter Notes WBBSE|ইতহাস প্রশ্নোত্তর|ইতিহাস মক টেস্ট|itihas proshno o uttor|History Mock Test|


এছাড়াও তোমরা পাবে অষ্টম শ্রেণী দ্বিতীয় অধ্যায় ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ, Very Short Question, Short Questions, Descriptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিম -বঙ্গের VIII History Examination এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই ২ নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস (দ্বিতীয় অধ্যায় ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা) ৩ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।


অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস| দ্বিতীয় অধ্যায়|২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা

1.  ব্রিটিশ প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থা কাকে বলে? ভারতে ব্রিটিশ প্রেসিবে ব্যবস্থা কীভাবে গড়ে উঠেছিল?

উ:- ব্রিটিশইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থে ভারতীয় উপমহাদেশে কতকগুলি ঘাঁটি তৈরি করেছিল। ঘাঁটিগুলির মধ্যে প্রধান ছিল মাদ্রাজ, বাোম্বাই ও কলকাতা। এই ঘাঁটিগুলিকে কেন্দ্র করেই তিনটি প্রেসিডেন্সি তৈরি হয়েছিল। প্রেসিডেন্সিগুলি থেকেই ব্রিটিশ কোম্পানির বাণিজ্যিক কার্যকলাপ চলত। ব্রিটিশ কোম্পানির প্রেসিডেন্সিকেন্দ্রিক কার্যকলাপকে প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থা বলা হয়।


2. মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কীভাবে গড়ে উঠেছিল? মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি।

উ:- ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মাদ্রাজে একটি বাণিজ্যিক ঘাঁটি তৈরি করেছিল। ব্রিটিশ কোম্পানি নিজেদের নিরাপত্তার জন্য মাদ্রাজপটনম গ্রামে সেন্ট জর্জ দুর্গ বানায়। পরবর্তীকালে মাদ্রাজ ও সেন্ট জর্জ দুর্গকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় সেন্ট জর্জ দুর্গ প্রেসিডেন্সি বা খ্যাতিলাভ করে।


3. বোম্বাই প্রেসিডেন্সি কিভাবে গড়ে ওঠে?

উ:- পশ্চিম ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রধান ঘাঁটি ছিল সুরাটে। পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে সুরাট ঘাঁটির অবনতি ঘটে এবং বাোম্বাই ঘাঁটির উত্থান শুরু হয়। প্রথমদিকে বাোম্বাই ঘাঁটি পশ্চিম প্রেসিডেন্সি নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীকালে আরব সাগরের তীরবর্তী এই বাোম্বাই বন্দর-শহর ব্রিটিশ কোম্পানির কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং বাোম্বাই প্রেসিডেন্সি


5. কোন্ কোন্ অঞল নিয়ে বাোম্বাই প্রেসিডেন্সি গড়ে উঠেছিল?বিস্তৃত হয়।

উ:- বাোম্বাই প্রেসিডেন্সি ছিল পশ্চিম ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। বাোম্বাই প্রেসিডেন্সির উত্থান হয়েছিল। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সুরাট ঘাঁটিকে কেন্দ্র করে। ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ বাোম্বাইকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ কোম্পানির কার্যকলাপ


আরও পড়ুন......


6. বাংলা প্রেসিডেন্সি কীভাবে গড়ে উঠেছিল?

উ:- বাংলা বা বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি গড়ে উঠেছিল কলকাতাকে কেন্দ্র করে। ব্রিটিশ কোম্পানি ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশির জয়লাভ, ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ, ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে নিজামতের অধিকার লাভ করে বাংলার উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। ফলে কলকাতাকে কেন্দ্র করে বাংলা ভারতে কোম্পানির প্রধান ঘাঁটিতে পরিণত হয়


7. বাংলা প্রেসিডেন্সি কোন কোন অঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠেছিল?

উ:- কলকাতাকে কেন্দ্র করে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি গড়ে উঠেছিল। প্রথমে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত এলাকা ছিল বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, আসাম ও ত্রিপুরা। পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল পঞ্জাব, উত্তর ভারত, মধ্য ভারত ও গঙ্গা-ব্ৰত্মপুত্র অববাহিকা অঞ্চল।


8. ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তিনটি প্রেসিডেন্সি কী কী?

উ:- ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তিনটি প্রেসিডেন্সি হল মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি, বাোম্বাই প্রেসিডেন্সি  বাংলা প্রেসিডেন্সি।

i. মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি : ব্রিটিশ কোম্পানি মাদ্রাজে সেন্ট জর্জ দুর্গ বানিয়েছিল। তাই মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি সেন্ট জর্জ দুর্গ প্রেসিডেন্সি নামেও পরিচিত।

ii. বাোম্বাই প্রেসিডেন্সি : বাোম্বাই পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত বলে বাোম্বাই প্রেসিডেন্সি গাোড়ার দিকে পশ্চিম প্রেসিডেন্সি নামে পরিচিত ছিল। বাংলা প্রেসিডেন্সি : বাংলা প্রেসিডেন্সির প্রধান কেন্দ্র ছিল কলকাতা। কোম্পানি কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ম নামে দুর্গ বানিয়েছিল। তাই বাংলা প্রেসিডেন্সি ফোর্ট উইলিয়ম প্রেসিডেন্সি নামেও পরিচিত


9. রেগুলেটিং অ্যাক্ট অনুসারে ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কী পরিবর্তন ঘটে?

উ:- ব্রিটিশ সরকার ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে রেগুলেটিং অ্যাক্ট পাস করে ভারতের ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কার্যকলাপের উপর হস্তক্ষেপ করেছিল। এর ফলে

i. গভর্নর জেনারেল নামক একটি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়। বাংলার গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংস প্রথম গভর্নর জেনারেল হন।

ii. মাদ্রাজ ও বাোম্বাই প্রেসিডেন্সির গভর্নরগণ বাংলার গভর্নর জেনারেলের অধীনস্থ হন। ও কলকাতা ভারতে ব্রিটিশ শাসনের রাজধানী হয়।


আরও পড়ুন......

10. পিটের ভারত শাসন আইনে কী বলা হয়? 

উ:-  ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত পিটের ভারত শাসন আইন অনুযায়ী ‘বাোর্ড অফ কন্ট্রোল তৈরি করা হয়। এই বাোর্ডের উপর কোম্পানির সামরিক ও অসামরিক শাসন ও রাজস্বব্যবস্থা পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। ভারতে কোম্পানির সমস্ত প্রশাসনিক কর্তাদের উপর গভর্নর জেনারেলের আধিপত্যও এই আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়


11. বাোর্ড অফ কন্ট্রোল কেন প্রতিষ্ঠিত হয়?

উ:- ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দের পিট-এর ভারত শাসন আইন অনুসারে ‘বাোর্ড অফ কন্ট্রোল গঠিত হয়।

i. প্রশাসনিক : কোম্পানির ভারতীয় প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করা।

ii. গঠনতন্ত্র : কোম্পানির গঠনতন্ত্রের বিন্যাস (২৪ সদস্যের ডাইরেক্টর সভা, ৬ সদস্যের বাোর্ড অফ কন্ট্রোল,


12. পিটের ভারত শাসন আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্য কী ছিল ?

উ:- রেগুলেটিং অ্যাক্ট-এ বেশ কিছু ত্রুটি ধরা পড়লে তার সমাধানের জন্য ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছাোটো পিট-এর আমলে একটি নতুন আইনের প্রস্তাব পাস হয়। এটিই ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দের পিটের ভারত আইন নামে পরিচিত। ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি থেকে আইনটি বলবৎ হয়েছিল।


13. পিটের ভারত আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্য : পিটের ভারত আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্য হল

উ:- ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দের ‘রেগুলেটিং অ্যাক্ট-এর ত্রুটিগুলি দূর করা এবং ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধিকার যতটা সম্ভব অক্ষুন্ন রেখে তার কাজকর্মের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। পিটের ভারত আইনের দ্বারা ব্রিটিশ সরকার ও ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে সমন্বয় সাধিত হয়েছিল। এই আইনে যে প্রশাসনিক কাঠামাো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অক্ষুন্ন ছিল। ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি


14.. প্রবর্তিত নতুন বিচারব্যবস্থা কীরকম ছিল ?

উ:- ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংস নতুন বিচারব্যবস্থা চালু করেছিলেন। এই আইন অনুসারে1 প্রতি জেলাতে একটি করে দেওয়ানি ও একটি করে ফৌজদারি আদালত তৈরি করা হয়। কলকাতায় সদর দেওয়ানি আদালত ও মুর্শিদাবাদে সদর নিজামত আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। দেওয়ানি আদালতগুলিতে প্রধান ছিলেন ইউরাোপীয়। তবে এখানে আইনের ব্যাখ্যা করতেন ব্রাত্মণ পণ্ডিত ও মুসলিম মৌলবিরা। ফৌজদারি আদালতে ও কাজি ও মুফতি আইনের ব্যাখ্যা করতেন।


15. ১৭৭৩ থেকে ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে দেওয়ানি বিচারব্যবস্থায় যে পরিবর্তন ঘটে তার মূল উদ্যোক্তা কারা?

উ:- ১৭৭৩ থেকে ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে দেওয়ানি বিচারব্যবস্থার পরিবর্তনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন ওয়ারেন হেস্টিংস ও সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি স্যার এলিজা ইম্পে। জে ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে বিচারব্যবস্থার সংস্কার

i. বিচারবিভাগের সব আদেশ লিখে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।


আরও পড়ুন......


16 ভারতীয় আইন অনুসারে ইউরাোপীয় বিচারকদের বিচার করার সুবিধার জন্য ওয়ারেন হেস্টিংস কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন? 

অথবা,

ওয়ারেন হেস্টিংস বিচারব্যবস্থায় সমতা আনার জন্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন? ওয়ারেন হেস্টিংস বিচারব্যবস্থায় সমতা আনার জন্য সচেষ্ট জন্য তিনি

i. অভিন্ন আইন : প্রচলিত আইনের অভিন্ন ব্যাখ্যা এবং সকল ব্যক্তির জন্য একই আইন প্রযাোজ্য হয়।

ii. আইনের ইংরেজি অনুবাদ : তিনি ১১ জন হিন্দু পণ্ডিতকে দিয়ে হিন্দু আইনের সংকলন করেন এবং তার ইংরেজি অনুবাদ করেন। একইভাবে মুসলমান আইনেরও সংকলন করা হয়।


17. আইনের ইংরেজি অনুবাদ দিয়ে ইউরাোপীয় বিচারকগণ ভারতীয় সহকারী ছাড়াই বিচার করতে পারতেন। কলকাতায় সুপ্রিমকোর্ট প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে আলোচনা করে ?

উ:- ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দের রেগুলেটিং আইন অনুযায়ী ১৭ খ্রিস্টাব্দে প্রথম সুপ্রিমকোর্ট তৈরি হয় কলকাতায়। সুপ্রিমকোর্টে নিয়াোজিত একজন প্রধান বিচারপতি ও তিনজন বিচারপতি কেবলমাত্র ভারতে থাকা ব্রিটিশ নাগরিকদেরই বিচার করবে বলে স্থির করা হয়। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে কোম্পানির বিরাোধ দেখা দিয়েছিল।


18. ঔপনিবেশিক আমলে সুপ্রিমকোর্টের গঠন ও কাজ কী ছিল?

উ:- ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দের রেগুলেটিং অ্যাক্ট অনুযায়ী কলকাতায় একটি সুপ্রিমকোর্ট স্থাপিত হয়।

i. সেল গঠন : রেগুলেটিং অ্যাক্ট অনুসারে একজন প্রধান বিচারপতি ও তিনজন অধস্তন বিচারপতিকে নিয়ে কলকাতা সুপ্রিমকোর্ট তৈরি হয়েছিল। স্যার এলিজা ইম্পে সুপ্রিমকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন। বিচারপতিদের উপযুক্ত বেতনের ব্যবস্থা করা হয়।

ii. কার্যাবলি : স্থির করা হয়েছিল যে, কেবল ভারতে থাকা ব্রিটিশ নাগরিকদেরই বিচার করবে এই কোর্ট। কিন্তু ক্রমেই কোম্পানির আদালতগুলির সঙ্গে সুপ্রিমকোর্টের বিরাোধ বাঁধলে ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে আইন করে সুপ্রিমকোর্টের এক্তিয়ার ও ক্ষমতা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। বলা হয়, রাজস্ব সংক্রান্ত কোনাো মামলা সুপ্রিমকোর্টের এক্তিয়ারে পড়বে না। তা ছাড়া কোম্পানির গভর্নর এবং গভর্নরের কাউন্সিলের কাজকর্মে ।


19. ইউরাোপীয় বিচারকরা ভারতীয় সহকারীদের উপর নির্ভরশীল ছিল না কেন? অথবা, ঔপনিবেশিক বিচারব্যবস্থা কীভাবে কেন্দ্রীভূত ও শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে উঠেছিল?

উ:- ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে নতুন বিচারব্যবস্থা চালু করে। নতুন বিচারব্যবস্থার ফলে প্রতিটি জেলাতে একটি দেওয়ানি ও একটি ফৌজদারি আদালত তৈরি করা হয়। ঔপনিবেশিক শাসনকালে বিচারব্যবস্থা কেন্দ্রীভূত ও শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে ।

i. বিচারব্যবস্থায় সমতা আনার জন্য দরকার ছিল প্রচলিত আইনগুলির অভিন্ন ব্যাখ্যা। সেই উদ্দেশ্যে ওয়ারেন হেস্টিংসের উদ্যোগে ১১ জন পণ্ডিত হিন্দু আইনগুলির যে সারসংকলন তৈরি করেন, তার ইংরেজি অনুবাদ করা হয়। এর ফলে দেশীয় আইনের ব্যাখ্যার জন্য ইউরাোপীয় বিচারকদের ভারতীয় সহকারীদের উপর বিশেষ নির্ভর করতে হত না। মুসলিম আইনগুলিরও একটি সংকলন বানানাো হয়েছিল। এইভাবে


20. কোম্পানি পরিচালিত আইনব্যবস্থাকে সুসংহত করার ক্ষেত্রে লর্ড কর্নওয়ালিস কী ভূমিকা নিয়েছিলেন?

উ:- পর্ষদ পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্ন উত্তর বাংলার গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিস প্রচলিত আইনগুলিকে সুসংহত করে কোড বা বিধিবদ্ধ আইন চালু করেছিলেন। তিনি আইনব্যবস্থাকে সংহত করার জন্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন সেগুলি হল

i. তিনি দেওয়ানি সংক্রান্ত বিচার ও রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব পৃথক করেছিলেন।

ii. নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদনের অধিকার দিয়েছিলেন।


21. কর্নওয়ালিস কোড বলতে কী বাোঝায় ?

উ:- লর্ড কর্নওয়ালিস ছিলেন বাংলার গভর্নর জেনারেল। তিনি ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে স্বচ্ছ প্রশাসন গড়ে তাোলার জন্য প্রচলিত আইনগুলিকে সুসংহত করে যে কোড বা বিধিবদ্ধ আইন চালু করেন তাকেই কর্নওয়ালিস কোড বলা হয়। এর ফলে দেওয়ানি সংক্রান্ত বিচার ও রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব সংক্রান্ত বিষয়কে আলাদা করা হয়েছিল।


22. ওয়ারেন হেস্টিংস ও লর্ড কর্নওয়ালিসের আমলে বিচারব্যবস্থার পার্থক্য লেখাো।

উ:- বাংলাদেশে নতুন শাসনকাঠামাো গড়ে তাোলার ক্ষেত্রে ওয়ারেন হেস্টিংস ও লর্ড কর্নওয়ালিস বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রেও তাদের সংস্কারগুলি ছিল লক্ষ করার মতাো।


23. লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক কেন প্রশাসনে ভারতীয়দের নিয়াোগ করেন?  

উ:- লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক উদারবাদী শাসক ছিলেন। তিনি ভের হিতবাদী দর্শন দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন।

i. উদারবাদ : বেন্টিঙ্ক উদারবাদী ছিলেন। বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে তিনি ভারতীয়দের উচ্চ সরকারি পদে (ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট)


24. ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে পুলিশি ব্যবস্থার সংস্কারের কারণ কী ছিল ?

উ:- মুঘল আমলের পুলিশি ব্যবস্থা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে সংস্কার করা হয়েছিল। সংস্কারের কারণ ছিল

i. আইনশৃঙ্খলার উন্নতি করা : ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে আইনশৃঙ্খলার যে অবনতি ঘটেছিল তার মাোকাবিলা করা। 

ii. আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা : ব্রিটিশ কোম্পানি ভারতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য পুলিশি ব্যবস্থার সংস্কার করেছিল।


25. কোম্পানির শাসনে সেনাবাহিনী কেমন ছিল? অথবা, কোম্পানির সেনাবাহিনী বলতে কী বাোঝাো? পর্ষদ পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্ন

উ:- ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা ও রক্ষার জন্য যে সেনাবাহিনী গঠন করেছিল, তাকে ‘কোম্পানির সেনাবাহিনী বলা হয়।

i. ব্রিটিশ কোম্পানি প্রথম থেকেই স্থায়ী সেনাবাহিনী গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিল। কোম্পানি মুঘল আমলের প্রথা অনুসরণ করে নিজেদের সেনাবাহিনী বা সিপাহি বাহিনী তৈরি করেছিল। এই সিপাহি বাহিনীতে ইংরেজ অন্যান্য ইউরাোপীয়দের ছাড়াও ভারতীয়দের নেওয়া হত। উত্তর ভারতে কৃষকদের সেনাবাহিনীতে নিয়াোগ করা হত। ঔপনিবেশিক শাসনের শুরুতে জাতপাতের ধারণাকে বিরাোধিত


26. ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থায় সামরিক জাতি বলতে কাদের বাোঝানাো হত?

উ:- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের পর সিপাহি বাহিনীকে ঢেলে সাজানাো হয়েছিল। তখন থেকেই পঞ্জাবের জাঠ অধিবাসীদের সেনাবাহিনীতে নিয়াোগ করা হয়। পাশাপাশি পাঠান, উত্তর ভারতে রাজপুত ও নেপালি গুর্খাদের সংখ্যাও সেনাবাহিনীতে বাড়তে থাকে। ঔপনিবেশিক শাসকদের মতে, এইসব সেনারা যুদ্ধে অনেক বেশি দক্ষ ছিল। এদেরকে সামরিক জাতি বলে প্রচার করা হত। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ সময়কালে ঔপনিবেশিক সেনার চার ভাগের প্রায় তিনভাগই ছিল

i. সামরিক জাতি : ঔপনিবেশিক সরকারের ধারণা ছিল, যেসব ভারতীয়রা ভাত খায় তারা শারীরিক দিক থেকে রুটি খাওয়া ভারতীয়দের থেকে দুর্বল। ফলে সেনাবাহিনীতে নিয়াোগের ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসের তারতম্যের বিচার করা হত।


27. লর্ড ওয়েলেসলি ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ প্রতিষ্ঠা । করেছিলেন কেন?

উ:- লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

i. ওয়েলেসলির উদ্দেশ্য : তার উদ্দেশ্য ছিল ভারতে চাকরি করতে আসা ইউরাোপীয়দের ভালাো করে প্রশিক্ষণ দেওয়া। এর জন্য তিনি তাদের ভারতীয় ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা দিতে চেয়েছিলেন। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে তাদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হত।


আরও পড়ুন......



File Details

 

File Name/Book Name

অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস| দ্বিতীয় অধ্যায়|২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

124 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File



Join Telegram... Members




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top