অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস | প্রথম অধ্যায় | ২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর | আঞ্চলিক শক্তির উত্থান

dream
0

অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস|প্রথম অধ্যায়|২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|আঞ্চলিক শক্তির উত্থান

অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ২ ও ৩ নম্বরের উত্তর


প্রিয় বন্ধুরা 

অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস| প্রথম অধ্যায়|২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| আঞ্চলিক শক্তির উত্থান আজকে আলোচনা করব| তোমরা West Bengal Class 8 History পেয়ে যাবে|অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|West Bengal Class 1st Eight| অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|Class 8 History Question and Answer|Class 8 History 1st chapter Sugge -stion WBBSE|Class 8 History 8th chapter Notes WBBSE |ইতহাস প্রশ্নোত্তর| ইতিহাস মক টেস্ট| itihas proshno o uttor|History Mock Test|


এছাড়াও তোমরা পাবে অষ্টম শ্রেনীর প্রথম অধ্যায় আঞ্চলিক শক্তির উত্থান থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ, Very Short Question, Short Questions, Descriptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের VIII History Examination এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই ২ নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস (প্রথম অধ্যায় আঞ্চলিক শক্তির উত্থান) ৩ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।


অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস|প্রথম অধ্যায়|২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|আঞ্চলিক শক্তির উত্থান

1. মুঘলদের সামরিক দুর্বলতার পরিচয় দাও।

উ:-  মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের ক্ষেত্রে সামরিক দুর্বলতা অন্যতম প্রধান কারণ ছিল।

i. যুদ্ধাস্ত্র: মুঘল সামরিক বাহিনীর মেরুদণ্ড ছিল গাোলন্দাজ বাহিনী। তাদের কামানগুলি ছিল ভারী ও পুরাোনাো ধরনের, ফলে কামানগুলি সহজে বহনযাোগ্য ছিল না। মারাঠা, পারসিক ও আফগানদের বিরুদ্ধে তাই মুঘলরা ব্যর্থ হয়।

ii. প্রশিক্ষণ: মুঘল বাহিনী পুরাোনাো সামন্ততান্ত্রিক ধাঁচের ছিল। আক্রমণের মাোকাবিলা করার মতাো প্রশিক্ষণ তাদের ছিল না । এই দুর্বলতার কারণে মুঘল বাহিনীর গতিশীলতা ও আক্রমণের তীক্ষ্ণতা কমে যায়।


2. মুঘল সাম্রাজ্যের পতনে জায়গিরদারি ও মনসবদারি সংকট কতটা দায়ী ছিল ?

উ:- মুঘল শাসনব্যবস্থার অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ছিল জায়গিরদারি ও মনসবদারি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় সংকট দেখা দিলে মুঘল শাসনকাঠামাো ও সাম্রাজ্যে অবক্ষয় দেখা দেয়।

i. সংখ্যা : জায়গিরদার ও মনসবদারদের সংখ্যা অনুপাতে জায়গিরের সংখ্যা কম ছিল। ফলে জায়গির পাওয়ার জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হত। জায়গির লাভের জন্য দরবারে বিভিন্ন গাোষ্ঠী তৈরি হয়। তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ বড়াো হয়ে ওঠে। সাম্রাজ্যের স্বার্থ উপেক্ষিত হয়।

ii. জমা ও হাসিল : জায়গিরের ধার্য রাজস্ব ছিল জমা এবং প্রকৃত আদায় ছিল হাসিল। এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য হত। এজন্য জায়গিরের অন্তর্গত কৃষকের উপর অতিরিক্ত আর্থিক চাপ পড়ত। এই সংকট মুঘল সাম্রাজ্যের আর্থিক কাঠামাোকে বিপর্যস্ত করে সাম্রাজ্যের পতনে বড়াো ভূমিকা পালন করে।


3. মুঘল সাম্রাজ্যে কেন কৃষক বিদ্রোহ ঘটে?

উ:- কৃষকদের মুঘল সাম্রাজ্যের আয়ের প্রধান উৎস ছিল ভূমিরাজস্ব। থেকে জোর করে রাজস্ব আদায় করা হত।

i. কৃষক বিদ্রোহের কারণ: চড়া রাজস্বহার : টোডরমলের আইন-ই-দহশালা এবং কোরানের নির্দেশ অনুযায়ী মুঘল যুগের প্রথমদিকে উৎপাদনের ১ ভাগ রাজস্ব ধার্য ছিল। পরে উৎপাদনের ২ ভাগ রাজস্ব ধার্য হয়।

ii. বাড়তি আদায়: অভিজাতদের বিলাসিতার জন্য তারা কৃষকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় করত। এই অত্যাচার ও শাোষণের প্রতিক্রিয়ায় মুঘল আমলে কৃষক বিদ্রোহ ঘটে।


4. ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর থেকে পলাশির যুদ্ধ পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে মুঘল শাসনকাঠামাো কীভাবে ভেঙে পড়েছিল?

উত্তর:- ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে বাবর মুঘল সাম্রাজ্যের যে ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর থেকে সেই মুঘল সাম্রাজ্য দ্রুত অবনতির দিকে এগিয়ে যায় এবং পরবর্তী ৫০ বছরের মধ্যে মুঘল সম্রাটগণ নামমাত্র শাসকে পরিণত হন।

i. মুঘল দরবারের গাোষ্ঠীদ্বন্দ্ব: মুঘল দরবারের অভিজাতরা তিনটি গাোষ্ঠীতে বিভক্ত ছিল। যথা— ইরানি, তুরানি ও হিন্দুস্থানি ঔরঙ্গজেবের পরবর্তীকালের শাসকদের দুর্বলতার সুযাোগে অভিজাতদের গেষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করলে মুঘল প্রশাসনিক কাঠামাো দুর্বল হয়ে পড়ে।

ii. আঞ্চলিক বিদ্রোহ: বিভিন্ন অঞ্চলের জমিদার ও কৃষকদের বিদ্রোহ মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। মুঘল যুগে জমির উপর জায়গির -দারদের অধিকার স্থায়ী ছিল না। জায়গিরদারদের বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হত। ফলে জায়গিরদাররা কৃষকদের কাছ থেকে অত্যধিক হারে রাজস্ব আদায় করত। এতে কৃষকদের উপর শাোষণ ও অত্যাচার বাড়ত। মুঘল যুগের উল্লেখযাোগ্য কৃষক বিদ্রোহগুলি হল জাঠ, শিখ ও সৎনামী বিদ্রোহ।


5. অষ্টাদশ শতকে আঞ্চলিক শক্তির উত্থানের ফলে রাজনৈতিক দিক থেকে কী পরিবর্তন লক্ষ করা যায়?

উত্তর:- বাংলা,অষ্টাদশ শতকে ভারতে অনেক আঞ্চলিক শক্তির উত্থান । তবে এই আঞ্চলিক শক্তিগুলির মধ্যে উল্লেখযাোগ্য ছিল— হায়দরাবাদ ও অযাোধ্যা।

i. ভারতের বিশাল মুঘল সাম্রাজ্যের শাসন ও স্থায়িত্ব যে শুধুমাত্র ব্যক্তিগতভাবে সম্রাটের দক্ষতা ও যাোগ্যতার উপর নির্ভর করে না আঞ্চলিক শক্তিগুলির উত্থানের মধ্য দিয়ে এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কেন্দ্রীভূত মুঘল প্রশাসনের পরিবর্তে বিকেন্দ্রীভূত আলিক শাসনের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। আঞ্চলিক শক্তিগুলি মুঘল সম্রাটের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখে। তারা মুদ্রা এবং খুতবায় সম্রাটের নাম ব্যবহার করত এবং দিল্লিতে বার্ষিক রাজস্ব পাঠাত।

ii. তাই বলা যায়, মুঘল শাসনব্যবস্থা এই সময়ে দুর্বল হলেও তা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েনি। নামমাত্র হলেও আঞ্চলিক শক্তির মধ্য দিয়েই তা প্রায় ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত টিকে ছিল।


6. কে, কীভাবে ও কবে হায়দরাবাদে আলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?

উ:-  মির কামার উদ-দিন খান সিদ্দিকি হায়দরাবাদে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

i. হায়দরাবাদ ছিল মুঘল সাম্রাজ্যের অধীন একটি প্রদেশ। এখানে মুঘল প্রাদেশিক শাসক মুবারিজ খান শাসন করতেন। ১৭২৩ খ্রিস্টাব্দে মুঘল দরবারের শক্তিশালী অভিজাত মির কামার উদ-দিন খান সিদ্দিকি তাকে পরাজিত করেন। ১৭২৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি দাক্ষিণা -ত্যের সুবাদার হয়ে হায়দরাবাদে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন।

ii. ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দ থেকে নিজাম শাসিত স্বাধীন হায়দরাবাদ রাজ্য আত্মপ্রকাশ করে।


7. কে, কত খ্রিস্টাব্দে ও কীভাবে অযাোধ্যায় আলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?

উ:- সাদাৎ খান অযাোধ্যায় আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।

i. ১৭২২ খ্রিস্টাব্দে অযাোধ্যায় আলিক শাসন প্রতিষ্ঠা হয়: লে মুঘল আমলে অযাোধ্যা ছিল মুঘলদের অধীন একটি সুবা বা প্রদেশ। সাদাৎ খান অযাোধ্যা অঞলের স্থানীয় রাজা ও গাোষ্ঠীনেতাদের বিদ্রোহ দমন করে নিজের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেন। মুঘল সম্রাট মহম্মদ শাহ তাকে বুরহান-উল মুলক উপাধি দেন। তিনি অযাোধ্যার সুবাদার নিযুক্ত হন। ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে তিনি মারা যান। ততদিনে অযাোধ্যা প্রায় স্বাধীন রাজ্য হিসেবে গড়ে ওঠে।


আরও পড়ুন......


8. সুবা বাংলায় কীভাবে মুর্শিদকুলির ক্ষমতা চূড়ান্ত হয়ে পড়েছিল ?

উ:- দেওয়ান মুর্শিদকুলি : সুবা বাংলার রাজস্ব আদায় করার জন্য মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মুর্শিদকুলি খানকে বাংলার দেওয়ান হিসেবে নিয়াোগ করেছিলেন।

i. নাজিম মুর্শিদকুলি: মুঘল সম্রাট ফাররুখশিয়র মুর্শিদকুলি খানকে বাংলার দেওয়ান পদে পাকাপাকি -ভাবে নিয়াোগ করেন। ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে বাংলার নাজিম পদে নিয়াোগ করা হয়। ফলে দেওয়ান ও নাজিম এই দুই পদের যৌথ দায়িত্ব পাওয়ার পর সুবা বাংলায় মুর্শিদকুলির ক্ষমতা চূড়ান্ত হয়ে ওঠে।


9. কার নেতৃত্বে ও কীভাবে আলিক শক্তি হিসেবে বাংলার উত্থান ঘটেছিল?

i. নেতৃত্ব: মুর্শিদকুলি খানের নেতৃত্বে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে উত্থান হয়েছিল।

ii. বাংলা ছিল মুঘল সাম্রাজ্যের একটি সুবা’ বা প্রদেশ। মুঘল সম্রাটের মনাোনীত সুবাদাররা বাংলা শাসন করতেন। ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মুর্শিদকুলি খানকে বাংলার ‘দেওয়ান’ নিযুক্ত করেন।


10. কত খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদকুলি খান মারা যান? তাঁর মৃত্যুর পর কে, কীভাবে বাংলার নবাব হয়েছিলেন?

উ:- ১৭২৭ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদকুলি খান মারা যান।

i. মুর্শিদকুলি খানের মৃত্যুর পর আলিবর্দি খান বাংলার নবাব হন।

ii. অতি ১৭ ২৭ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদকুলি খানের মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বাংলার সিংহাসন দখল করা নিয়ে গাোলযাোগ শুরু হয়। তারপর সিংহাসনে বসেন তার জামাতা সুজা উদ-দিন (১৭২৭-৩৯ খ্রি.) ও তাঁর দৌহিত্র সরফরাজ খান (১৭৩৯-৪০ খ্রি.)। কিন্তু তাদের অকর্মণ্যতার জন্য নবাবি শাসন ভেঙে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে জগৎ শেঠ ও কয়েকজন ক্ষমতাবান জমিদারের মদতে সেনাপতি আলিবর্দি খান বাংলার নবাব হন।


11. মুর্শিদকুলি খানের আমলে  বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ কী ছিল?

উ:- অষ্টাদশ শতকের প্রথম থেকে বাংলায় ইউরাোপীয় বণিকদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন বাংলার নবাব ছিলেন মুর্শিদকুলি খান। তিনি বাংলায় ইউরাোপীয় বণিকদের ব্যাবসাবাণিজ্যে সর্বদা উৎসাহ দিতেন। ফলে তার আমলে বাংলায় বাণিজ্যিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছিল।

i. কারণ: মুর্শিদকুলি খানের আমলে বাংলায় ব্যাবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণগুলি হল নিম্নরূপ সেই সময়ে বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাবসার পক্ষে অনুকূল ছিল। স্থলপথ ও সমুদ্রপথে নানান দ্রব্য সুবা বাংলা থেকে নানান জায়গায় রফতানি করা হত।

ii. নবাব হিসেবে সুদৃঢ়ভাবে শাসন পরিচালনা এবং ইউরাোপীয় বণিকদের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কায়েমই মুর্শিদকুলি খানের অন্যতম প্রধান কৃতিত্ব ছিল।


12.জগৎ শেঠ কারা? অথবা

আঠারাো শতকের মধ্যভাগে জগৎ শেঠরা ছিলেন বাংলার ভাগ্য নিয়ন্ত্রক ব্যাখ্যা করাো।

উ:- তারা বাংলার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন। জগৎ শেঠ পরিবার বাংলার ভাগ্য নিয়ন্ত্রক

i. জগৎ শেঠ: একদা রাজস্থানের ব্যবসায়ী হিরাপদ শাহের পুত্র মানিকচাঁদ তেজারতি কারবারে ধনী হয়ে ওঠেন। তার ভাগ্নে ফতেহাদ এই ব্যাবসায়ে তারও উন্নতি করেন। ফলে মুঘল সম্রাট তাকে ‘জগৎ শেঠ’ উপাধি দেন।

ii. আর্থিক সমৃদ্ধি : জগৎ শেঠ পরিবারের টাকশাল, তেজারতি ও হুণ্ডির ব্যাবসা ছিল। তারা দেশি-বিদেশি বণিক এবং প্রয়াোজনে নবাবকে টাকা ধার দিত।

iii. রাজনৈতিক প্রভাব : আর্থিক সম্পর্কের সূত্রে ধনী ও সমাজের উঁচুতলার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিল। ফলে তারা রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে। সিরাজ-বিরাোধী ষড়যন্ত্রে তাদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ নবাব মির কাশিম শেঠ পরিবারকে ধ্বংস করেন। পরবর্তীকালে ইংরেজ শাসন শুরু হলে তাদের নাম মুছে যায়।


13. বর্গি কারা?

উ:- বর্গি হল মারাঠা দস্যু। বর্গি’ শব্দটি এসেছে মারাঠি শব্দ ছা’ বা বরছি’ থেকে, যার অর্থ হল বল্লম’ (মূলত ভাল্লুক মারার জন্য ব্যবহৃত হত)। মহারাষ্ট্রের হাটকার’ নামক যাোদ্ধা জনজাতি সাত হাত লম্বা কম্বল এবং এই বরছা ব্যবহার করত বলে, এদের বর্গি’ বলা। হত। মারাঠা সাম্রাজ্যের কাছ থেকে তারা যুদ্ধের জন্য ঘাোড়া এবং অস্ত্রশস্ত্র পেত। ১৭৪২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তীকালে বাংলা-উড়িষ্যায় মারাঠা সেনাদের লুঠতরাজের ঘটনা সাধারণভাবে বর্গি আক্রমণ নামে পরিচিত। বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তি বর্গিদের নজরানা দিয়ে সন্তুষ্ট রাখতে চেষ্টা করত। নবাব আলিবর্দি খানের আমলে তারা বারংবার আক্রমণ করেছিল। বাংলার মানুষের উপর তারা ভয়ংকর অত্যাচার করেছিল।


আরও পড়ুন......

14. বাংলায় বর্গি আক্রমণ কেমন ধরনের ছিল?

উ:- ভারতীয় হয়েও শাসন ও শাসকের পার্থক্যের জন্য এক অঞ্চলের মানুষ অন্য অণ্ডলের মানুষদের শত্রু মনে করত। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে বাংলার মানুষদের উপর মারাঠা বর্গিরা নির্মম আক্রমণ চালাত।

i. লুণ্ঠন: বর্গিরা ছিল স্থায়ী মারাঠা সৈনিক। মারাঠা সর্দার তাদের বেতন দিতে পারত না। এজন্য প্রতিবছর বাংলা অভিযান করে লুণ্ঠন চালাত বর্গিরা। টাকা, সাোনা, রুপাো যা পেত জোর করে আদায় করত।

ii. হত্যা: বর্গিরা বাড়িঘর, সমগ্র গ্রাম আগুনে পুড়িয়ে দিত। নারী-পুরুষদের নির্বিচারে হত্যা করত। এই লুণ্ঠন ও হত্যাকাণ্ড থেকে হিন্দুরা রক্ষা পায়নি। হিন্দুদের দেবীর অলংকার লুণ্ঠিত হয়। বিভিন্ন মন্দির ভস্মীভূত হয়। গঙ্গারাম-এর মহারাষ্ট্র পুরাণ তার প্রমাণ দেয়। বাংলার ছড়া ও গানে সেই বীভৎসতা আজও বেঁচে আছে।


15. বাংলাদেশের বর্গি আক্রমণ রাোধ করার জন্য আলিবদি খান কী ব্যবস্থা করেন?

উ:- ১৭৪২-১৭৫১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বারবার বর্গি আক্রমণ বাংলার জনজীবনে ত্রাসের সঞ্চার করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নবাব আলিবর্দি খান বিভিন্ন প্রতিরাধমূলক ব্যবস্থা নেন।

i. সামরিক: বর্গি আক্রমণের মাোকাবিলার জন্য আলিবর্দি খান দ্রুতগামী অশ্বারাোহী বাহিনী গঠন করেন, বর্গিদের সম্ভাব্য আক্রমণের পথে সেনা ও গাোলন্দাজ বাহিনী মাোতায়েন করেন এবং ও নিজে বর্গি প্রতিরাোধে সামনাসামনি যুদ্ধ করেন।

ii. চুক্তি: মারাঠা নেতা রঘুজি ভোসলের সঙ্গে তিনি একটি চুক্তি করেন। স্থির হয়, বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা চৌথ নবাব দেবেন এবং সুবর্ণরেখা নদী পার হয়ে বর্গিরা আর বাংলার সীমানায় প্রবেশ করবে না।

iii. শঠতা: পাঠান সেনাপতি গাোলাম মুস্তাফা খান কৌশলে ভাস্কর পণ্ডিতকে হত্যা করেন। বর্গিদের উপর পাল্টা আক্রমণ করে তিনি তাদের তাড়িয়ে দেন এইভাবে বাংলাদেশ বর্গি আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়।

16. মুর্শিদকুলি খান, সুজা উদ-দিন এবং আলিবর্দি খানের সঙ্গে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সম্পর্কের বিবর্তন উল্লেখ করাো?

উ:- ইউরাোপীয় বণিকরা বাংলার নবাবদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বাণিজ্য করত। নবাব মুর্শিদকুলি খান থেকে নবাব আলিবর্দি খানের সময় পর্যন্ত ইউরাোপীয় বণিকরা নবাবের নিয়ন্ত্রণেই ছিল।

i. মুর্শিদকুলি খান: মুর্শিদকুলি খানের সময় থেকে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সময়ে ইংরেজরা অন্যান্য বণিকদের তুলনায়। বেশি সুযাোগ নেওয়ার জন্য মুঘল সম্রাট ফাররুখশিয়রের ফরমান নিয়ে বিনাশুল্কে ব্যাবসাবাণিজ্য করত। মুর্শিদকুলি খান অন্যান্য বণিকদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে ইংরেজদের বিশেষ অধিকার রদ করেন। দেন সুজা উদ-দিন:১৭২৭ খ্রিস্টাব্দে নবাব মুর্শিদকুলি খানের মৃত্যুর। পর তার জামাতা সুজা উদ-দিন বাংলার মসনদে বসেন। তিনি কঠোর হাতে দস্তকের অপব্যবহার বন্ধের ব্যবস্থা নেন এবং কোম্পানির লবণ আটক করে প্রয়াোজনীয় শুল্ক আদায় করেন।

ii. আলিবর্দি খান: নবাব আলিবর্দি খান অনেক সময়ে অর্থ আদায়ের জন্য ইউরাোপীয় বণিকদের চাপ দিতেন। ইংরেজরাও নবাবের আদেশ মানতে বাধ্য হত। আলিবর্দি কখনাোই বাংলার রাজনীতিতে ইংরেজদের অংশগ্রহণের সুযাোগ দেননি।


17. ফাররুখশিয়র ফরমান’ বলতে কী বাোঝায় ?

উ:- ফাররুখশিয়র ছিলেন মুঘল সম্রাট।তিনি ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে অনেক সুযাোগসুবিধা দিয়ে যে আদেশ বা ফরমান জারি করেছিলেন, তা ফাররুখশিয়র ফরমান’নামে পরিচিত। ল ফাররুখশিয়র ফরমান অনুসারে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বছরে মাত্র তিন হাজার টাকার বিনিময়ে বাংলায় ব্যাবসাবাণিজ্য করার


18. ফাররুখশিয়রের ফরমানের কী কী বৈশিষ্ট্য ছিল?

উ:- ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট ফাররুখশিয়র ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অনুকূলে এক ফরমান জারি করেন।

i. ফরমানের বৈশিষ্ট্য: ফাররুখশিয়রের ফরমানের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল। এই ফরমান অনুযায়ী ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বছরে মাত্র ৩ হাজার টাকার


19. ফাররুখশিয়রের ফরমানের গুরুত্ব কী ছিল?

উ:- ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট ফাররুখশিয়র ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্য যে আদেশ বা ফরমান জারি করেছিলেন সেটি ভারতের খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

i. বাংলায় অবাধে বাণিজ্য করা: ফাররুখশিয়রের ফরমানের জন্য ব্রিটিশ কোম্পানির বাংলায় অবাধে বাণিজ্য করার পথ খুলে গিয়েছিল।

ii. বাংলায় ক্ষমতা দখলের পটভূমি রচনা:- ফাররুখ -শিয়রের ফরমান লাভ করার ফলে বাংলার নবাবদের সঙ্গে ব্রিটিশ কোম্পানির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংঘাত শুরু হয় এবং ইংরেজরা বাংলার ক্ষমতা দখল করে।


20 দস্তক কী? ইংরেজরা কবে, কার কাছ থেকে দস্তক ব্যবহারের অধিকার লাভ করে?

উ:- দস্তক বলতে বাোঝায় বাণিজ্যিক ছাড়পত্র। ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট ফাররুখশিয়র ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ফরমান প্রদান করেছিলেন এই ফরমানে তিনি ইংরেজ কোম্পানিকে বাংলার বাণিজ্যে ‘দস্তক’ ব্যবহারের অধিকার প্রদান করেছিলেন এটি ইংরেজরা ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে দস্তক লাভ করেছিল ল মুঘল সম্রাট ফাররুখশিয়রের কাছ থেকে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দস্তক লাভ করেছিল।


আরও পড়ুন......


21. দস্তক ব্যবহারের ফলে কেন ইংরেজদের সঙ্গে নবাবদের বিরাোধ হয়েছিল ?

উ:- দস্তকের ব্যবহার ও নবাবদের সঙ্গে বিরাোধ মুঘল সম্রাট ফাররুখশিয়র বাংলায় ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্যে দস্তক ব্যবহারের অধিকার দিয়েছিলেন। এই দস্তকের ব্যবহার নিয়ে বাংলার নবাবদের সঙ্গে ইংরেজ কোম্পানির সমস্যা তৈরি হয়েছিল। প্রথমত, ইংরেজ কোম্পানি বাংলার বাণিজ্যে দস্তক ব্যবহারের ফলে নবাবের বাণিজ্যশুল্ক থেকে আয় কমে গিয়েছিল।


22. সিরাজ উদ-দৌলার সঙ্গে ব্রিটিশ কোম্পানির বিরাোধের দুটি কারণ উল্লেখ করাো ?

উ:- কৃষদাস প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত অসন্তোষ ঘসেটি বেগমের প্রিয়পাত্র ঢাকার দেওয়ান রাজবল্লভের বিরুদ্ধে তহবিল তছরূপের অভিযাোগ ছিল। নবাব তাকে মুর্শিদাবাদে এসে সমস্ত হিসাবপত্র দাখিল করার নির্দেশ দেন। রাজবল্লভ তখন তার পুত্র কৃদাসকে প্রয়াোজনীয় কাগজপত্র ও ধনরত্নসহ কলকাতায় ইংরেজদের কাছে পাঠিয়ে দেন। নবাব বারংবার কৃয়দাসকে প্রত্যর্পণ করার নির্দেশ দিলেও ইংরেজরা তাঁর নির্দেশ অমান্য করেছিল।

i. দুর্গনির্মাণ সংক্রান্ত বিরাোধ: কলকাতার ইংরেজ কোম্পানি দাক্ষিণাত্যে ইঙ্গ-ফরাসি যুদ্ধের অজুহাতে দুর্গনির্মাণ শুরু করে। নবাব সিরাজ উদ-দৌলা দুর্গনির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দিলে ফরাসিরা তার নির্দেশ পালন করলেও ইংরেজরা অগ্রাহ্য করে।


23. সিরাজ উদ-দৌলাকে সিংহাসনচ্যুত করার ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রকারী দুজনের নাম লেখাো। এই ষড়যন্ত্র কীভাবে সিরাজের ক্ষমতা হ্রাস করে?

উ:- সিরাজ উদ-দৌলাকে সিংহাসনচ্যুত করার ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রকারী দুজনের নাম হল—  রবার্ট ক্লাইভ ও মির- জাফর। সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ফলে পলাশির যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাপতি মির জাফর বিশ্বাসঘাতকতা করে পুতুলের মতাো দাঁড়িয়ে থাকেন। ফলে সিরাজের সামরিক ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং তিনি পরাজিত হন ।

 

26. অন্ধকূপ হত্যা বলতে কী বাোঝায়? সন্দেহ প্রকাশ করেন।

উ:- অন্ধকূপহত্যা: ইংরেজ কর্মচারী হলওয়েলের বিবরণ থেকে জানা যায় যে, নবাবের ফোর্ট উইলিয়ম দখলের পর নবাব-বাহিনীর হাতে কোম্পানির ১৪৬ জন কর্মচারী বন্দি হয়েছিল। ওই রাত্রে ১৮ ফুট লম্বা ও ১৪ ফুট ১০ ইঞ্চি চওড়া একটি কক্ষে বন্দিদের রাখা হয়েছিল। পরদিন সকালের মধ্যে তাদের ১২৩ জন মারা গিয়েছিল। এই ঘটনা অন্ধকূপ হত্যা’নামে পরিচিত। তবে ঐতিহাসিকগণ এই ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে


27.পলাশির লুণ্ঠন কাকে বলে?

উ:- ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশির যুদ্ধে ব্রিটিশ কোম্পানি জয়লাভ করে। ইংরেজরা সিরাজ উদ-দৌলাকে সরিয়ে মির জাফরকে বাংলার নবাব পদে বসান পলাশির যুদ্ধের পর ব্রিটিশ কোম্পানি বিভিন্নভাবে নবাব মির জাফরের কাছ থেকে প্রচুর অর্থ আদায় করে।রবার্ট ক্লাইভসহ কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মচারীরাও ব্যক্তিগতভাবে প্রচুর অর্থ নেয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার সম্পদ ইংরেজরা আদায় করে। পলাশির যুদ্ধের পর মির জাফরের কাছ থেকে ইংরেজদের অর্থ আত্মসাৎকে ‘পলাশির লুণ্ঠন’ বলা হয়।


28. কেন ইংরেজ কোম্পানি মির জাফরকে সরিয়ে মির কাশিমকে নবাব পদে বহাল করে?

উ:- পলাশির যুদ্ধের পর ইংরেজরা বাংলার সিংহাসনে মির জাফরকে বসায়। কিন্তু মির জাফর শীঘ্রই উপলব্ধি করেন যে, তাকে নামমাত্র নবাব করে ইংরেজরা কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইংরেজদের উদ্ধত আচরণ, নবাবের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন এবং শাসনকার্যে তাদের বাংলার নিয়ত হস্তক্ষেপ প্রভৃতি কারণে মির জাফরের ।

i. বাৎসরিক ২৬ লক্ষ টাকা রাজস্ব প্রদানের অঙ্গীকার করে কি সম্রাট শাহ আলম-এর সমর্থন লাভ করেন।

ii. ইংরেজদের প্রভাব থেকে দূরে থাকার জন্য তিনি মুর্শিদা থেকে মুঙ্গেরে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন এবং সুদৃঢ় দুর্গনি। মার্কার সমরু ও জেন্টিল নামে তিনজন ইউরাোপীয় সেনাপতি সাহায্যে তিনি ইউরাোপীয় সামরিক পদ্ধতিতে নিজ সেনাবালি সংগঠিত করেন।

iii. মুঙ্গেরে এক বিরাট কারখানা স্থাপন করে সেখানে বন্দুক অন্যান্য যুদ্ধেপকরণ নির্মাণের ব্যবস্থা করেন। ধৈর্যচ্যুতি ঘটে এবং তিনি ইংরেজদের সরাতে ওলন্দাজদের সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করেন। কিন্তু বিদরের যুদ্ধে ওলন্দাজরা পরাজিত হলে নবাবের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়।

iv. ঠে নবাব পদ থেকে মির জাফরের অপসারণ : নবাবের পুত্র মির জাফরের জামাতা মির কাশিমকে মসনদে বসানাো হয়।

v. মিরনের অকালমৃত্যু, নবাবের বার্ধক্য ও মানসিক ক্লীবতা, ওলন্দাজদের সঙ্গে মিলিত হয়ে ষড়যন্ত্র এবং সর্বোপরি মুর্শিদাবাদের শূন্য রাজকোশ ইত্যাদি ঘটনা ইংরেজদের বিচলিত করে তুলেছিল। এরপর মির জাফরের থেকে যখন আর অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা রইল না, তখন ভ্যান্সিটার্ট নানান। অজুহাতে তাকে সিংহাসন পরিত্যাগ করতে বাধ্য করেন। ফলে দুই লক্ষ পাউন্ড অর্থের বিনিময়ে বাংলার নবাবি শাসন পুনরায় বিক্রীত হয়। 


29. কোন্ কোন ঘটনার দিয়ে মির কাশিমের স্বাধীনচেতা মনাোভাবের পরিচয় পাওয়া যায় ? অথবা, মির কাশিম কোম্পানির প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার জন্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন? অথবা, মির কাশিমকেনবাব করে কোম্পানির ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়’ –ব্যাখ্যা করো

উ:- মির জাফরকে সরিয়ে ভ্যান্সিটার্ট দুই লক্ষ পাউন্ড অথে বিনিময়ে বাংলার নবাবপদেমির কাশিমকে অধিষ্ঠিত করেন। কিন্তু মি কাশিম ছিলেন দূরদর্শী, রাজনীতিজ্ঞ এবং সুদক্ষ শাসক। ইংরেজদে উৎকোচ দিয়ে সিংহাসনে বসলেও তিনি মির জাফরের মতাো ইংরেজরে হাতের ক্রীড়নক হয়ে থাকতে রাজি ছিলেন না। মিরকাশিমের স্বাধীনচেতা মনাোভাৱ মিরকাশিম নিম্নলিখি উপায়ে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করতে যত্নবান হয়েছিলেন বাৎসরিক ২৬ লক্ষ টাকা রাজস্ব প্রদানের অঙ্গীকার করে তি সম্রাট শাহ আলম-এর সমর্থন লাভ করেন।

i. ইংরেজদের প্রভাব থেকে দূরে থাকার জন্য তিনি মুর্শিদাবা থেকে মুঙ্গেরে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন এবং সুদৃঢ় দুর্গনির্ম করেন।

ii. মার্কার, সমরু ও জেন্টিল নামে তিনজন ইউরাোপীয় সেনাপতি সাহায্যে তিনি ইউরাোপীয় সামরিক পদ্ধতিতে নিজ সেনাবাহি সংগঠিত করেন।

iii. মুঙ্গেরে এক বিরাট কারখানা স্থাপন করে সেখানে বন্দুক অন্যান্য যুদ্ধোপকরণ নির্মাণের ব্যবস্থা করেন।


30. বক্সারের যুদ্ধ কত খ্রিস্টাব্দে ও কাদের মধ্যে হয়?

উ:- বক্সারের যুদ্ধ হয়েছিল ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে। এই যুদ্ধ হয়েছিল বাংলার নবাব মির কাশিম, অযাোধ্যার নবাব সুজা উদ-দৌলা ও মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের মিলিত বাহিনীর সঙ্গে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির।


আরও পড়ুন......



File Details

 

File Name/Book Name

অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস | প্রথম অধ্যায় | ২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর | 

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

155 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File



Join Telegram... Members




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top