মাধ্যমিক অষ্টম অধ্যায় || ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর || উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব

0

 মাধ্যমিক অষ্টম অধ্যায়||৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|| উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব




মাধ্যমিক অষ্টম অধ্যায় ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর



প্রিয় মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা,

আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো মাধ্যমিক অষ্টম অধ্যায়||৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|| উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব||Madhyamik History Question and Answer|10th History Examination–দশম শ্রেনীর অষ্টম অধ্যায় উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব ১ ও ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে|History chapter 8 question answer|দশম শ্রেনীর ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর|দশম শ্রেণী অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর| এছাড়াও তোমরা মাধ্যমিক অষ্টম অধ্যায় ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|এই ওয়েবসাইটে|মাধ্যমিক অষ্টম অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|Ten History Examination - মাধ্যমিক অষ্টম অধ্যায় ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|মাধ্যমিক অষ্টম অধ্যায় ৮ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে এগুলি তোমাদের ফাইনাল পরিক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন হবে। 


তো বন্ধুরা উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব অষ্টম অধ্যায় থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর MCQ Very Short Short Descriptive Question and Answer|তোমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব ৮ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা আছে। আমাদের আশা এই প্রশ্নগুলি তোমাদের পরিক্ষায় খুবই কাজে আসবে।


মাধ্যমিক অষ্টম অধ্যায়||৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|| উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব



1. স্মৃতিকথাকে কীভাবে উদ্বাস্তু সমস্যার ইতিহাস রচনার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যায়?

অথবা, 

আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ বিষয়টি সংক্ষেপে আলোচনা করো।

ভূমিকাঃ- 1947 খ্রিস্টাব্দে অবিভক্ত ভারত বিভক্ত হয়ে স্বাধীন ভারত ও স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়। একদল মানুষ দেশভাগে খুশি হলেও এর ফলে অসংখ্য মানুষকে উদ্বাস্তু সমস্যার নিদারুণ যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। সমকালীন মানুষের আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগের যন্ত্রণার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। ফলে যেগুলি আধুনিক ইতিহাসচর্চার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদানরূপে বিবেচিত হয়।

দেশভাগ বিষয়ক অত্নিজীবনী, স্মৃতিকথা ও অন্যান্য গ্রন্থঃ- দেশভাগ বিষয়ক আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও অন্যান্য গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—

a. শ্রী হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত Autobiography উদ্বাস্তু। লেখক পশ্চিমবঙ্গের উদ্বাস্তু Unknown Indian কমিশনার ছিলেন। এটি মূলত তাঁর স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ।

b. দক্ষিণারঞ্জন বসুর লেখা স্মৃতিকথা হল ‘ছেড়ে আসা গ্রাম।

c. নীরদচন্দ্র চৌধুরী রচিত গ্রন্থ Nirad C. Chaudhuri ‘অটোবায়োগ্রাফি অফ অ্যান আননোন ইন্ডিয়ান’ (Autobiography of an Unknown Indian)।

d. জ্যোতির্ময়ী দেবীর লেখা ‘এপার গঙ্গা ওপার গঙ্গা।

e. চৌধুরী খালিজুজামানের লেখা ‘পাথওয়ে টু পাকিস্তান’ (Pathway to Pakistan)

f. ড. ভীমরাও রামজি আম্বেদকরের ‘পাকিস্তান অর দ্য পার্টিশান অফ ইন্ডিয়া’ (Pakistan or the Partition of India)।

g. খুশবন্ত সিং-এর লেখা ‘ট্রেন টু পাকিস্তান’ (Train to Pakistan)।

h. প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তীর লেখা দ্য মার্জিনাল মেন’ (The Marginal Men) ইত্যাদি।


আত্নজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগের বর্ণনাঃ- এই গ্রন্থগুলি থেকে দেশভাগ সংক্রান্ত আনন্দ, দুঃখ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, হত্যা, লুঠতরাজ এবং উদ্বাস্তুদের যন্ত্রণাময় জীবনের কথা জানা যায়।

a. অনেকে আশা করেছিল দেশ স্বাধীন হলে মানুষের আর দুঃখদুর্দশা বলে কিছু থাকবে না। চালের দাম কম হবে, সবাই খেয়ে-পরে আনন্দে বাঁচতে পারবে।

b. দেশ স্বাধীন হল। মানুষ আনন্দে মেতে উঠল।

c. কিন্তু অসংখ্য মানুষের মনে স্বাধীনতার আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। তারা নিজ ভূমে পরবাসী’ হয়ে গেল— উদ্বাস্তু হয়ে নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে অজানা-অচেনা জায়গায় চলে যেতে বাধ্য হল। অদ্ভুত বেদনা ও মানসিক যন্ত্রণার শিকার হল তারা।

d. স্বার্থান্বেষী একদল মানুষ জমিজমা, ঘরবাড়ি, সম্পত্তির লোভে ধর্মের দোহাই দিয়ে খুন, নারীনির্যাতন ও সম্পত্তি লুঠতরাজে মেতে উঠল।

e. এর মধ্যেও উদ্বাস্তুদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, বিভিন্নভাবে মানুষের মানবিকতা ও মূল্যবোধের চিত্র ফুটে উঠেছে।

মূল্যায়নঃ- ভারতীয়দের কাছে দেশভাগ একটি মিশ্র অনুভূতির ঘটনা। যে অবর্ণনীয় দুঃখদুর্দশার যৎসামান্য অংশ লিখিত আকারে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথারূপে আমাদের কাছে প্রকাশিত হয়েছে তা সত্যিই বেদনাদায়ক।


2. উদ্বাস্তু সমস্যা বলতে কি বোঝ? এই সমস্যা সমাধানে নেহেরু লিয়াকাত চুক্তির কি ভূমিকা ছিল?

অথবা 

উদ্বাস্তু সমস্যা বলতে কি বোঝ? দিল্লী চুক্তি বা নেহেরু লিয়াকাত চুক্তিতে কি বলা হয়েছিল?

ভূমিকা:- স্বাধীন ভারতের বিভিন্ন সমস্যাগুলির মধ্যে ‘উদ্বাস্তু সমস্যা ছিল সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য। দেশভাগের ফলে পশ্চিম পাঞ্জাব ও পূর্ববঙ্গ । থেকে লক্ষ লক্ষ সংখ্যালঘু শিখ ও হিন্দু উদ্বাস্তুরূপে ভারতে প্রবেশ করে। তাদের বাসস্থান ও খাদ্যসমস্যার সমাধান ভারত সরকারকে এক কঠিন সমস্যার সম্মুখীন করে। অতঃপর সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে শুরু হয় ব্যাপক দাঙ্গা। অবশ্য ভারত সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয়।


1947 খ্রিস্টাব্দে ভারত ভাগের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান থেকে প্রায় 1 কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে ভারতে আশ্রয় নিলে সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত ভারত নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়।

নেহরু-লিয়াকৎ চুক্তি (দিল্লি চুক্তি):- উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানের জন্য তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকৎ আলি খান-এর মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। 1950 খ্রিস্টাব্দের 8 এপ্রিল জওহরলাল নেহরু ও লিয়াকৎ আলির মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়— যেটি নেহরু-লিয়াকৎ চুক্তি বা ‘দিল্লি চুক্তি’ নামে পরিচিত। এই চুক্তিতে স্থির হয়—সংখ্যালঘুরা যে রাষ্ট্রের আনুগত্য স্বীকার করবে তারা সেই রাষ্ট্রের কাছেই নানা সমস্যার প্রতিকার চাইবে। পূর্ববঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম থেকে যদি কেউ অন্য দেশে শরণার্থী হতে চায় তবে তাকে সাহায্য করতে হবে। ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই উদ্বাস্তু সমস্যার কারণ ও উদ্বাস্তুদের সংখ্যা নির্ধারণের জন্য অনুসন্ধান কমিটি’ ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করবে। পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রীসভায় সংখ্যালঘু প্রতিনিধি রাখতে হবে।

প্রতিক্রিয়াঃ- এই চুক্তি অনেককেই হতাশ করে। এই কারণে নেহরু মন্ত্রীসভা থেকে ড.শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও ড. ক্ষিতিশচন্দ্র নিয়োগী পদত্যাগ করেন তাঁরা মনে করেছিলেন, এই চুক্তি যথেষ্ট কঠোর নয় এবং এর ফলে উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান হবে না।

ফলাফলঃ- নেহরু উদ্বাস্তু সমস্যার গুরুত্ব বুঝে স্বাধীনতার প্রথম 5 বছর উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তাই এই পাঁচ বছরকে ‘পুনর্বাসনের যুগ’ বলা হয়। 1947 থেকে 1971 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান থেকে শরণার্থী আসার ফলে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি, সমাজ ও রাজনীতিতে প্রবল প্রভাব পড়ে। ভারতে তীব্র খাদ্যসংকট সৃষ্টি হয়।


2. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির ক্ষেত্রে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ভূমিকা লখো।

ভূমিকাঃ- স্বাধীনতা লাভের পর দেশীয় রাজ্যগুলিকে কভারতভুক্ত করার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ভূমিকা বিশেষ স্মরণীয়। তিনি অত্যন্ত দৃঢ় ও অনমনীয় পদক্ষেপ যথা—রক্ত ও লৌহনীতি’ (Blood and Iron Policy) গ্রহণ করেন। এই কারণে তাকে ভারতের ‘লৌহ মানব’ বা ‘ভারতের বিসমার্ক’ বলা হয়।

কংগ্রেসের মনোভাবঃ- কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধি প্রমুখ মনে করতেন ভারতের অখণ্ড জাতীয়তাবাদ, সার্বিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি প্রভৃতির জন্য স্বাধীনতার পর দেশীয় রাজ্যগুলির অস্তিত্ব আর স্বীকৃত হবে না।

দেশীয় রাজ্য দপ্তরের দায়িত্বঃ- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের জুলাই। মাসে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে ‘দেশীয় রাজ্য দপ্তর’ (State Department) গঠিত হয়। অতঃপর তিনি সচিব ভি পি মেনন ও ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেনের সহযোগিতায় দেশীয় রাজ্যগুলি অধিগ্রহণে উদ্যোগী হন।

প্যাটেলের পদক্ষেপঃ- দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতভুক্ত করার জন্য তিনি কতগুলি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যেমন—

a. সুযোগ সুবিধা, খেতাব, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধালাভের প্রলোভন দান

b. কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি

c. প্রজাবিদ্রোহ ভীতি

d. সামরিক অভিযানের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তৈরি করেন ‘ভারতভুক্তি সংক্রান্ত দলিল (Instrument of Accession) প্রাথমিক পদক্ষেপ রূপে তিনি জানান প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে যে-সকল দেশীয় রাজ্যের সামঞ্জস্য রয়েছে সেগুলির ভারতভুক্ত হওয়া উচিত। তা না হলে 15 আগস্টের পর প্রজাবিদ্রোহে তাদের অস্তিত্ব অবলুপ্ত হবে। বলা বাহুল্য জুনাগড়, কাশ্মীর ও হায়দরাবাদ সহ বাকি সব দেশীয় রাজ্য ভারতভুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করে।

সামরিক অভিযানঃ- ভারতভুক্তিতে অসম্মত রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে তিনি সামরিক অভিযান প্রেরণ করেন। 1949 খ্রিস্টাব্দে জানুয়ারি মাসে জুনাগড়, 1947 খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে কাশ্মীর এবং 1948 খ্রিস্টাব্দের 18 সেপ্টেম্বর হায়দরাবাদ ভারতভুক্ত হয়।

মূল্যায়নঃ- স্বাধীনতালাভের এক সঙ্কটজনক। পরিস্থিতিতে বল্লভভাই প্যাটেলের দৃঢ় অনমনীয় পদক্ষেপের ফলে দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতভুক্ত হয়। এতে ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতা রক্ষিত হয়।


3. ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের অন্ধ্রপ্রদেশ কে নিয়ে কি সমস্যা হয়েছিল?

ভূমিকাঃ- ভারতবর্ষ একটি বিশাল দেশ। এখানে বহু ভাষাভাষী মানুষ পাশাপাশি বসবাস করে। ব্রিটিশ আমলের রাজ্যসীমানা স্বাধীন ভারতের পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য বদলাতে হয়। এর অন্যতম কারণ ছিল ভাষা ও সংস্কৃতির প্রেক্ষিতে রাজ্যসীমা পরিবর্তনের আন্দোলন।

ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবিতে আন্দোলনঃ- গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় প্রশাসনিক কাজে স্থানীয় ভাষার ব্যবহার করলে সুবিধা হবে—এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই ভারতের বিভিন্ন অংশে ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলন গড়ে ওঠে।

আন্দোলনের পটভূমিঃ- 1948 খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের জয়পুর অধিবেশনে ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের আলোচনার সাপেক্ষে বিচারপতি এস কেদর-এর নেতৃত্বে দরকমিশন গঠিত হয়। এইকমিশন ভাষাভিত্তিক প্রদেশ গঠনের বিরোধিতা করলে সারা ভারত জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।

অন্ধ্র অঞলে আন্দোলনঃ- ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের ক্ষেত্রে প্রথম তামিল ভাষা অধ্যুষিত মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি থেকে তেলুগু ভাষাভাষী অন্দ্র অঞ্চলকে পৃথকীকরণের দাবি ওঠে। এই দাবিকে গুরুত্ব না দিলে গান্ধিবাদী নেতা পাত্তি শ্রীরামালু অনশন শুরু করেন (19 অক্টোবর, 1952 খ্রি.) 58 দিন অনশনের পর তার মৃত্যু হয়। তার পাত্তি শ্রীরামালু মৃত্যুর সাথে সাথে অন্ত্র ভাষামরে নেতৃত্বে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির 11 টি জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার 1952 খ্রিস্টাব্দের 18 ডিসেম্বর অপ্রদেশ রাজ্য গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। তামিলভাষীদের নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তেলুগুভাষীদের নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ গঠিত হয় 1 অক্টোবর, 1953 খ্রিস্টাব্দে।

মূল্যায়নঃ- এইভাবে ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার দাবিতে রাজ্য গঠনের জন্য গণ আন্দোলন শুরু হয়। সরকারের সদিচ্ছায় নতুন রাজ্যের সৃষ্টি হয় এবং পুরোনো রাজ্যের সীমানা পরিবর্তিত হয়।


4. স্বাধীনতার পর দেশীয় রাজ্যগুলি কীভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়?

ভূমিকাঃ- 1947 খ্রিস্টাব্দের 15 আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে এবং পৃথক পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। স্বাধীনতা লাভের সাথে সাথে ভারত কিছু সমস্যারও সম্মুখীন হয়। এই সমস্যা হল দেশীয় রাজ্যগুলির ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত সমস্যা।  দেশীয় রাজ্য সংক্রান্ত সমস্যাঃ- ভারতবর্ষ সম্পূর্ণভাবে ইংরজেদের দ্বারা শাসিত ছিল না। বিভিন্ন দেশীয় রাজ্য চুক্তি-সাপেক্ষে দেশীয় শাসকদের দ্বারা শাসিত ছিল। বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থিত এই রাজ্যগুলির আয়তন ছিল ভারতের 48 শতাংশ এবং জনসংখ্যা প্রায় 9 কোটি। মন্ত্রীমিশনের প্রস্তাবে (1946 খ্রি.) দেশীয় রাজ্যের সমবায় ইউনিয়ন গঠন এবং সেই ইউনিয়নে যোগদান স্বেচ্ছাধীন করা হয়। এর ফলে দেশীয় রাজ্যগুলি স্বাধীন থাকতে মনস্থ করে।

দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিঃ- এই অবস্থায় বড়োলাট লর্ড মাউন্টব্যাটেন-এর সহযোগিতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেল ও স্বরাষ্ট্র সচিব ভি পি মেনন সংযুক্তি দলিল (Instrument of Accession)-এর মাধ্যমে দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করেন। এক্ষেত্রে হুমকি, লোভ ও পুরস্কার এবং যুদ্ধ— এই তিন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। হুমকি, পুরস্কার ও খেতাবের ঘোষণার মাধ্যমে অধিকাংশ রাজ্য ভারতে যোগ দেয়। বাকি থেকে যায় জুনাগড়, হায়দরাবাদ, কাশ্মীর ও কিছু উপনিবেশসমূহ।

নীতিঃ- ভারতের ঐক্য ও সংহতির জন্য এরপর যুদ্ধনীতি অবলম্বন করা হয়।

1.জুনাগড়ের ভারতভুক্তিঃ-1947 খ্রিস্টাব্দের 15 আগস্ট জুনাগড়ের নবাব পাকিস্তানে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন। নেহরু-প্যাটেলের নির্দেশে ভারতীয় সেনাবাহিনী জুনাগড় দখল করে। ফলে 1948 খ্রিস্টাব্দের 20 জানুয়ারি এক গণভোটের মাধ্যমে জুনাগড় ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়।



আরও পড়ুন......



2.হায়দরাবাদের ভারতভুক্তিঃ- নিজাম-শাসিত বিশাল দেশীয় রাজ্য হায়দ্রাবাদ নিজের স্বাধীন অস্তিত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করে। ফলে স্বাধীনতার প্রশ্নে হায়দরাবাদ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। অবস্থানগত বিচারে ভারতের পক্ষে কিন্তু তা মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। ফলে এ হায়দরাবাদ জাতিপুঞ্জে অভিযোগ জানালে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। নিজাম ভারত সরকারের চরমপত্র উপেক্ষা করলে প্যাটেলের নির্দেশে ভারতীয় সেনাবাহিনী জেনারেল জয়ন্তনাথ চৌধুরীর নেতৃত্বে হায়দরাবাদে প্রবেশ করে। তিনদিন যুদ্ধের পর নিজামবাহিনী পরাজিত হয় (18 সেপ্টেম্বর, 1948 খ্রি.)। পরে এক গণভোট দ্বারা হায়দরাবাদ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়।

3.কাশ্মীরের ভারতভুক্তিঃ- ভারতের উত্তরে ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তে অবস্থিত আর-একটি দেশীয় রাজ্য হল কাশ্মীর। কাশ্মীররাজ হরি সিং স্বাধীন থাকতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পাক হানাদাররা কাশ্মীরে প্রবেশ করলে রাজা হরি সিং ভারতের সাহায্য প্রার্থনা করেন। ভারত সেই সময়ে সাহায্য করে এবং তার বিনিময়ে কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়। পাক হানাদারদের অধিকৃত অঞল (কাশ্মীরের প্রায় 1/3 অংশ) নিয়ে পাকিস্তান আজাদ কাশ্মীর’ গঠন করে। শেষপর্যন্ত জাতিপুঞ্জের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয়। কাশ্মীর অঞ্চলে ভারত ও পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণরেখা (LOC) চিহ্নিত করা হয়।

4.উপনিবেশসমূহের অন্তর্ভুক্তিঃ- স্বাধীন ভারতের বেশ কিছু ফরাসি ও পোর্তুগিজ উপনিবেশ অনেক পরে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল।1954  খ্রিস্টাব্দে ফরাসি সরকারের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে চন্দননগর, পণ্ডিচেরি, মাহে, কারিকল প্রভৃতি উপনিবেশ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়। 1961 খ্রিস্টাব্দে সামরিক অভিযানের দ্বারা গোয়া, দমন, দিউ প্রভৃতি পোর্তুগিজ উপনিবেশকে ভারত পুনরায় দখল করে।

5.বল্লভভাই প্যাটেলের ভূমিকাঃ- স্বাধীনতার পর থেকে পরের 2-3 বছরের মধ্যেই অধিকাংশ দেশীয় রাজ্যকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার ক্ষেত্রে লৌহমানবের ভূমিকা নিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। তার অক্লান্ত পরিশ্রম, অনমনীয় মনোভাব, দৃঢ় মানসিকতা এবং তার দপ্তরের সচিব ভি পি মেননের কূটনৈতিক দক্ষতা ভারতের ঐক্য ও সংহতিকে সুনিশ্চিত করেছিল। ড. সুমিত সরকারের মতে, “ভারতের দ্রুত সমন্বয়সাধন নিশ্চিতভাবে সর্দার প্যাটেলের সবচেয়ে বড়ো কৃতিত্ব”।


6.মূল্যায়নঃ- এইভাবে প্রায় সকল দেশীয় রাজ্যকে একসূত্রে গেঁথে ভারতকে যুক্তরাষ্ট্ররূপে গড়ে তোলা সম্ভব হয়।


5. স্বাধীনতার পরে ভাষার ভিত্তিতে ভারত কীভাবে পুনর্গঠিত হয়েছিল?

অথবা, 

স্বাধীন ভারতের কোথায় কোথায় ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবিতে আন্দোলন হয়?

ভূমিকাঃ- ভারতবর্ষ একটি বিশাল দেশ। এখানে বহু ভাষাভাষী মানুষ পাশাপাশি বসবাস করে। ব্রিটিশ আমলের রাজ্যসীমানা স্বাধীন ভারতের পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য বদলাতে হয়। এর অন্যতম কারণ ছিল ভাষা ও সংস্কৃতির প্রেক্ষিতে রাজ্যসীমা পরিবর্তনের আন্দোলন।

ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবিতে আন্দোলননঃ- গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় প্রশাসনিক কাজে স্থানীয় ভাষার ব্যবহার করলে সুবিধা হবে—এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই ভারতের বিভিন্ন অংশে ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলন গড়ে ওঠে।

আন্দোলনের পটভূমিঃ- ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের জয়পুর অধিবেশনে ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের আলোচনার সাপেক্ষেবিচারপতি এস কে দর-এর নেতৃত্বে দরকমিশন’গঠিত হয়। এইকমিশন ভাষাভিত্তিক প্রদেশ গঠনের বিরোধিতা করলে সারা ভারত জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।

অঞলে আন্দোলনঃ- ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের ক্ষেত্রে প্রথম তামিল ভাষা অধ্যুষিত মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি থেকে তেলুগু ভাষাভাষী অন্ত্র অলকে পৃথকীকরণের দাবি ওঠে। এই দাবিকে গুরুত্ব না দিলে গান্ধিবাদী নেতা পাত্তি শ্রীরামালু অনশন শুরু করেন (19 অক্টোবর, 1952 খ্রি.)। 58 দিন অনশনের পর তার মৃত্যু হয়। তার পাত্তি শ্রীরামালু মৃত্যুর সাথে সাথে অন্ত্র ভাষামরে নেতৃত্বে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির 11টি জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার 1952 খ্রিস্টাব্দের 18 ডিসেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। তামিলভাষীদের নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তেলুগুভাষীদের নিয়ে। অন্ধ্রপ্রদেশ গঠিত হয় 1 অক্টোবর, 1953 খ্রিস্টাব্দে।

বোম্বাই প্রেসিডেন্সিঃ- রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের (1953 খ্রি.) সুপারিশের ভিত্তিতে রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাস হয় 1956 খ্রিস্টাব্দে। এরপর বোম্বাই প্রেসিডেন্সির সংযুক্ত মহারাষ্ট্র সমিতি এবং মহা গুজরাট জনতা পরিষদ যথাক্রমেমারাঠিভাষী ও গুজরাটিভাষী রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন করে। গণ আন্দোলন প্রবল হয়ে ওঠে এবং মুখ্যমন্ত্রী মোরারজি দেশাই পদত্যাগ করেন। বহু আলোচনার পর ভারত সরকার 1960 খ্রিস্টাব্দের মে মাসে বোম্বাই মোরারজি দেশাই প্রেসিডেন্সিকে ভাগ করে মহারাষ্ট্র ও গুজরাট রাজ্য সৃষ্টি করে।

কেরালাঃ- মালাবার জেলাকে ত্রিবাঙ্কুর ও কোচিনের সঙ্গে যুক্ত করে কেরালা রাজ্য গঠন করা হয়।

পাঞ্জাবঃ- পাঞ্জাবের শিখরা গুরুমুখীভাষী (পাঞ্জাবি) অঞ্চল নিয়ে পাঞ্জাবের সীমানা নির্ধারণ করতে চেয়েছিল। আকালি দল এই দাবিকে সমর্থন জানায়। জনসংঘ হিন্দিভাষা ও হিন্দুদের সমর্থন করে। শেষে গরমুখী, হিন্দি ও পাহাড়ি ভাষার ভিত্তিতে যথাক্রমে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ গঠিত হয় ও রাজ্যসীমা নির্ধারিত হয় 1966 খ্রিস্টাব্দে।

মূল্যায়নঃ- এইভাবে ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার দাবিতে রাজ্য গঠনের জন্য গণ আন্দোলন শুরু হয়। সরকারের সদিচ্ছায় নতুন রাজ্যের সৃষ্টি হয় এবং পুরোনো রাজ্যের সীমানা পরিবর্তিত হয়।

 

6. স্বাধীনতার পরে ভাষার ভিত্তিতে ভারত কীভাবে পুনর্গঠিত হয়েছিল ?

ভূমিকাঃ- স্বাধীনোত্তর ভারতের বিভিন্ন সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছিল ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠন সমস্যা। রাজ্যগুলির সীমানা উপজাতিভিত্তিক না ভাষাভিত্তিক হবে তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।

বিভিন্ন কমিশন নিয়োগঃ- ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবি জোরদার হলে ভারত সরকার এস কে দরের (1948 খ্রিঃ) নেতৃত্বে, পরে জে ভি পি কমিটি গঠন করেন। এগুলিতে ভাষাভিত্তিক রাজ্যগঠনের বিপক্ষে মত গেলে আন্দোলন জোরদার হয়।

পোত্তি শ্রীরামালুর অনশনে মৃত্যুঃ- মাদ্রাজ প্রদেশে তেলুগু ভাষা অঞ্চলের দাবিতে পোত্তি শ্রীরামালু 58 দিন অনশন করে (1952 খ্রিঃ) মৃত্যুবরণ করলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বাধ্য হয়ে সরকার তেলুগু ভাষাভাষীদের একত্রিত করে পৃথক অন্ধ্রপ্রদেশ (1953 খ্রিঃ) গঠন করেন। এতে অন্যান্য প্রদেশেও ভাষাভিত্তিক রাজ্যগঠনের দাবি আরও জোরদার হয়।

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনঃ- স্বাধীন ভারতের অঙ্গরাজ্যের সীমানা নির্ধারণের জন্য প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ‘রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন’ (1953 খ্রিঃ) গঠন করেন। এই কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে 1956 খ্রিঃ ‘রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাস হয়।

ভাষাভিত্তিক রাজ্যগঠনঃ- 1956 খ্রিস্টাব্দের 1 নভেম্বর ভারত সরকার ভাষার ভিত্তিতে 14 টি রাজ্য ও 6 টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন। করে। এই আইনের ভিত্তিতে-

a. হায়দ্রাবাদ থেকে তেলেঙ্গানাকে বিচ্ছিন্ন করে অপ্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়

b. কন্নড়ভাষী অঞ্চলগুলিকে মহীশূরের সঙ্গে যুক্ত করা হয়

c. মালাবার, ত্রিবাঙ্কুর ও কোচিনকে যুক্ত করে কেরালা গঠন করা হয়

d. সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ ও হায়দ্রাবাদের মারাঠীভাষী অঞলের সমন্বয়ে গঠিত হয় বোম্বাই প্রদেশ

e. বিহারের পুর্ণিয়া জেলার কিছু অংশ ও পুরুলিয়াকে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।

প্রতিক্রিয়াঃ- ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠিত হওয়ার ফলে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এজন্য জোরালো দাবি গড়ে ওঠে। এরই ফলশ্রুতিতে-

a. 1960 খ্রিস্টাব্দে বোম্বাই প্রদেশ ভেঙ্গে গড়ে ওঠে মারাঠী-ভাষী মহারাষ্ট্র ও গুজরাটি-ভাষী গুজরাট।

b. 1966 খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাব প্রদেশ ভেঙ্গে গড়ে ওঠে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা। তাছাড়া আরও বহু ভাষাভিত্তিক রাজ্য গড়ে ওঠে।

উপসংহারঃ- ভাষাভিত্তিক রাজ্যগঠনের পদক্ষেপ বেশকিছু সমস্যা সৃষ্টি করলেও, ভারতের জাতীয় সংহতির পক্ষে ক্ষতিকারক মনে হলেও এর সুদূরপ্রসারী ফলাফল ছিল গুরুত্বপূর্ণ।এটি ছিল এক যুক্তিসংগত পদক্ষেপ।




আরও পড়ুন......

  • বন্ধুরা ২০২২ সালের অধ্যায় ভিত্তিক ইতিহাস সাজেশন এর জন্য  Click Here

File Details

 

File Name/Book Name

 মাধ্যমিক ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

153 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File



Join Telegram... Members

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top