মাধ্যমিক সপ্তম অধ্যায় || ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর || বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন
প্রিয় মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা,
আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো মাধ্যমিক সপ্তম অধ্যায়||২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর||বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন|Madhyamik History Question and Answer|10th History Examination – দশম শ্রেনীর সপ্তম অধ্যায় বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন ১ ও ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে|History chapter 7 question answer|দশম শ্রেনীর ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর|দশম শ্রেণী সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর|এছাড়াও তোমরা মাধ্যমিক সপ্তম অধ্যায় ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|Class 10 history question answer|Class 10 history 1 mark question answer|মাধ্যমিক সপ্তম অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|Ten History Examination - মাধ্যমিক সপ্তম অধ্যায় ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|মাধ্যমিক সপ্তম অধ্যায় ৮ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে এগুলি তোমাদের ফাইনাল পরিক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন হবে।
তো বন্ধুরা বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন সপ্তম অধ্যায় থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer|তোমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা আছে। আমাদের আশা এই প্রশ্নগুলি তোমাদের পরিক্ষায় খুবই কাজে আসবে।
মাধ্যমিক সপ্তম অধ্যায় || ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর || বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন
1.‘মিলন মন্দির’ কেন স্থাপন করা হয় ?
উঃ- ‘বঙ্গভঙ্গ’ কার্যকর হওয়ার দিন বিকেলে আনন্দমোহন বসু অসুস্থ অবস্থায় হিন্দু-মুসলিম ঐক্য গঠনে উদ্যোগী হন। এই দুই ধর্মের মধ্যে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে তিনি কলকাতার আপার সার্কুলার রোডে ফেডারেশন হল বা ‘মিলন মন্দির’ স্থাপন করেন।
2.সরলা দেবী চৌধুরানী স্বদেশি আন্দোলন উপলক্ষ্যে কোন্ দুটি উৎসব প্রচলন করেন?
উঃ- সরলা দেবী চৌধুরানী স্বদেশি আন্দোলন উপলক্ষ্যে ‘প্রতাপাদিত্য উৎসব’ ও ‘বীরাষ্টমী ব্রত’-র প্রচলন করেন।
3.‘প্রতাপাদিত্য উৎসব’ ও ‘বীরাষ্টমী ব্রত’-র উদ্দেশ্য কী ছিল?
উঃ- ‘প্রতাপাদিত্য উৎসব’ ও ‘বীরাষ্টমী ব্রত’-র উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি যুবকদের মধ্যে শৌর্যবীর্য, দেশপ্রেম ও সাহসিকতার আদর্শ প্রচার করা।
4.বাংলার বাইরে অসহযোগ আন্দোলনের দুজন নেত্রীর নাম লেখো?
উঃ- বাংলার বাইরে অসহযোগ আন্দোলনের দুজন নেত্রী হলেন—সরোজিনী নাইডু (হায়দরাবাদ) এবং কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় (কর্ণাটক)।
5.বারদৌলি সত্যাগ্রহের সঙ্গে যুক্ত দুজন পারসি মহিলার নাম লেখো।
উঃ- বারদৌলি সত্যাগ্রহের সঙ্গে যুক্ত দুজন পারসি মহিলার নাম হল—ভক্তিবেন দেশাই, মনিবেন প্যাটেল।
6.আইন অমান্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুজন মহিলার নাম লেখো।
উঃ- আইন অমান্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুজন মহিলার নাম হল সরোজিনী নাইডু ও কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়।
7.আইন অমান্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুজন দলিত মহিলার নাম লেখো।
উঃ- আইন অমান্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুজন দলিত মহিলার নাম হল-ধুলিবেন সোলাংকি ও সোনাল সোলাংকি।
8.সাঁওতাল পরগনায় কীভাবে আইন অমান্য করা হয়?
উঃ- সাঁওতাল পরগনায় ‘অরণ্য আইন অমান্য করা হয়।‘গোঁণ্ড’ জাতীয় আদিবাসী মেয়েরা দলে দলে ঘাস ও কাঠ কেটে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।
9.বিংশ শতাব্দীতে মহিলা সম্পাদিত দুটি পত্রিকার নাম লেখো।
উঃ- বিংশ শতাব্দীতে মহিলা সম্পাদিত দুটি পত্রিকার নাম হল-জয়শ্রী ও মন্দিরা।
10.‘রাখীবন্ধন’ উৎসব কে, কেন আয়োজন করেন?
উঃ- বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে হিন্দু-মুসলিম ঐক্যবদ্ধতার ডাক দেন। সেই কারণে তিনি ‘রাখীবন্ধন’ উৎসব উদ্যাপনের আয়োজন করেন।
11.‘অরন্ধন’ দিবস কী?
উঃ- বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করার দিনটিকে (১৬ অক্টোবর, ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ) বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক এবং প্রাবন্ধিরামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী অরন্ধন’ দিবস হিসেবে পালন করার আবেদন জানান তার আবেদনে সাড়া দিয়ে ভারতীয় নারীরা ঘরে ঘরে সেদিন রন্ধনকার্য বন্ধ রেখে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়
12.ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যুক্ত দুজন নেত্রীর নাম লেখো।
উঃ- ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যুক্ত দুজন নেত্রীর নাম হল—অরুণা আসফ আলি ও সুচেতা কৃপালনি
13.ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুজন দলিত, নারীর নাম লেখো।
উঃ- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুর্জন দলিত নারীর নাম হল-শান্তাবাই ভালেরাও এবং তারাবাই কাম্বলে।
14.ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুজন মুসলিম নেত্রীর নাম লেখো।
উঃ- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুজন মুসলিম নেত্রীর নাম হল-রাজিয়া খাতুন ও হালিমা খাতুন।
15.দুটি বাংলা উপন্যাসের নাম লেখো যেখানে সশস্ত্র বিপ্লবী নারীদের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে?
উঃ- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘আনন্দমঠ' এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবী' উপন্যাস দুটিতে সশস্ত্র বিপ্লবী নারীদের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
16.বাংলা উপন্যাসের কিছু নারী চরিত্রের নাম করো যারা সশস্ত্র বিপ্লবী নারীদের প্রভাবিত করেছিল?
উঃ- ‘আনন্দমঠ’-এর শান্তি, ‘দেবী চৌধুরাণী’র প্রফুল্ল কিংবা ‘পথের দাবী'-র ভারতী ও সুমিত্রা চরিত্রগুলি সশস্ত্র বিপ্লবী নারীদের প্রভাবিত করেছিল।
আরও পড়ুন......
- ঔপনিবেশিক ভারতে বাংলায় বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশ সম্পর্কে কী জান ?
- বাংলায় কারিগরি শিক্ষা প্রসারে তারকনাথ পালিতের ভূমিকা আলোচনা কর
17.কে, কবে, দীপালি সংঘ’ প্রতিষ্ঠা করেন?
উঃ- লীলা নাগ (রায়), ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে দীপালি সংঘ’ প্রতিষ্ঠা করেন
18.চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের দুজন নেত্রীর নাম লেখো।
উঃ- চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের দুজন নেত্রীর নাম হল প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ও কল্পনা দত্ত।
19.দুজন সশস্ত্র বিপ্লবী নারীর নাম লেখো।
উঃ- দুজন সশস্ত্র বিপ্লবী নারীরনাম হলশান্তি ঘোষ, সুনীতি চৌধুরী।
20.বঙ্গভঙ্গের সমকালীনদুটি বিপ্লবী সমিতির নাম লেখো।
উঃ- বঙ্গভঙ্গের সমকালীন দুটি বিপ্লবী সমিতির নাম হল-‘অনুশীলন সমিতি’ ও ‘যুগান্তর’ দল
21.জাতীয় কংগ্রেস কবে, কোন অধিবেশনে অসহযোগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় ?
উঃ- জাতীয় কংগ্রেস ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার বিশেষ অধিবেশনে অসহযোগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
22.অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কলকাতার দুটি কলেজের নাম লেখো।
উঃ- অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কলকাতার দুটি কলেজের নাম হল—বঙ্গবাসী কলেজ ও রিপন কলেজ।
23.কোন দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেয়নি?
উঃ- হিন্দু স্কুল ও হেয়ার স্কুল অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেয়নি।
24.কলকাতার কোন্ কোন্ সংবাদপত্র আইন অমান্য আন্দোলনের সমকালীন ছাত্র আন্দোলনকে উজ্জীবিত করে?
উঃ- কলকাতার ‘অ্যাডভান্স’, ‘শ্রমিক’, ‘ইন্ডিয়া টুমরো’ প্রভৃতি সংবাদপত্র আইন অমান্য আন্দোলনের সমকালীন ছাত্র আন্দোলনকে উজ্জীবিত করে।
25.কবে, কাদের মধ্যে দিল্লি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?
উঃ- ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ৫ মার্চ, গান্ধিজি ও লর্ড আরউইনের মধ্যে দিল্লি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ।
26.অনুশীলন সমিতির অন্যতম প্রধান দুজন তরুণ বিপ্লবীর নাম লেখো।
উঃ- অনুশীলন সমিতির অন্যতম প্রধান দুজন তরুণ বিপ্লবী ছিলেন ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকি প্রকাশ্যে বন্দেমাতরম
27.সুশীল সেন কেন স্মরণীয়?
উঃ- মাত্র ১৫ বছরের ছাত্র সুশীল সেন প্রকাশ্যে বন্দে মন্ত্র উচ্চারণ করেন। ওই মন্ত্র উচ্চারণের জন্য মেদিনী ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড সুশীলকে বেত্রাঘাতে জর্জরিত করেন।
28.কোন সময় এবং কেন বাংলার বিপ্লবী আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত ছিল? উত্তর
উঃ- ১৯১৫ থেকে ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে বাংলার বিপ্লবী আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত ছিল।
29.‘বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স’ দলের তিনজন প্রধান সদস্যের নাম লেখো।
উঃ- বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স’ দলের তিনজন প্রধান সদস্যের নাম হল—বিনয়কৃষ্ণ বসু, বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্ত।
30.‘বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স’কারা?
উঃ- ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ে ওঠে। ওই বাহিনীর মধ্য থেকেই সদস্য সংগ্রহ করে তৈরি হয় হেমচন্দ্র ঘোষের ‘বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স বা বি. ভি. দল।
31.ছাত্র বিরোধী দুটি সরকারি নির্দেশনামার নাম লেখো।
উঃ- ছাত্র বিরোধী দুটি সরকারি নির্দেশনামার নাম হল কার্লাইল সার্কুলার ও লিয়ন্স সার্কুলার
32.সার্কুলার বিরোধী সমিতি কে, কবে স্থাপন করেন?
উঃ- সার্কুলার বিরোধী সমিতি শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে স্থাপন করেন।
33.‘অ্যান্টি-সার্কুলার সোসাইটি' কে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উঃ- কলকাতা রিপন কলেজের (বর্তমান সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) ছাত্র শচীন্দ্রনাথ বসু ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে ‘অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি' গঠন করে প্রধানত কার্লাইল সার্কুলারের কারণে শাস্তিপ্রাপ্ত বাসরকারি স্কুলকলেজ থেকে বিতাড়িত ছাত্রদের শিক্ষালাভের ব্যবস্থা করা, বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন করার জন্যই ‘অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
34.১৯৪২-এর আগস্ট আন্দোলনের দুটি ধ্বনি কী ছিল?
উঃ- ১৯৪২-এর আগস্ট আন্দোলনের দুটি ধ্বনি ছিল ইংরেজ ভারত ছাড়ো এবং ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’ (Do or Die)।
35.দলিত’ কাদের বলে ?
উঃ- আভিধানিক অর্থে ‘দলিত' বলতে বোঝায় ‘মর্দিত’ বা মাড়িয়ে যাওয়া হয়েছে এমন অর্থাৎ, দমিত এবং নিপীড়িত যারা, তারাই দলিত।
36.১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে দলিতদের নাম পরিবর্তন হয়েছিল কেন?
উঃ- বিংশ শতাব্দীর তিরিশের দশকে ‘দলিত’-রা নিজেদের নামের পরিবর্তন চেয়েছিলেন। তাই ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইনে তাদের তপশিলি জাতি’ ও ‘তপশিলি উপজাতি’ আখ্যা দেওয়া হয়।
37.‘পঞ্চম জাতি’ কাদের বলা হত?
উঃ- চতুর্বণের নিয়ম অনুসারে, চারটি বর্ণের সবচেয়ে নীচে থাকা অস্পৃশ্যদের বলা হত ‘পম জাতি’, অতিশূদ্র বা চণ্ডাল।
38.বাংলার বাইরে দলিত’ আন্দোলনের নেতৃত্ব কারা দেন?
উঃ- বাংলার বাইরে ‘দলিত’ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। জ্যোতিবা ফুলে, শ্রীনারায়ণ গুরু, বীরসালিঙ্গম পানতুলু প্রমুখ। এঁরা যথাক্রমে মহারাষ্ট্র, কেরল ও অন্ধ্রপ্রদেশে নেতৃত্ব দেন।
39.‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা’ কে, কবে ঘোষণা করেন?
উঃ- ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র্যামসে ম্যাকডোনাল্ড, ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা ঘোষণা করেন।
40.নমঃশূদ্র নামটি কবে, কীভাবে সরকারি স্বীকৃতি পায় ?
উঃ- ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের আদমশুমারিতে নমঃশূদ্র নামটি সরকারি স্বীকৃতি পায়।
41.‘দলিত’ আন্দোলনের পরবর্তী পর্বের দুজন নেতার নাম লেখো।
উঃ- ‘দলিত’ আন্দোলনের পরবর্তী পর্বের নেতা দুজনের নাম হল—যোগেশ মণ্ডল ও প্রমথরঞ্জন ঠাকুর।
42.‘ভারতী’ পত্রিকার সম্পাদিকা কে? তিনি কোন বিখ্যাত সাহিত্যিকের কন্যা ?
উঃ- ‘ভারতী’পত্রিকার সম্পাদিকা হলেন সরলা দেবী চৌধুরানী (ঘোষাল)। তিনি বিখ্যাত সাহিত্যিক স্বর্ণকুমারী ঘোষালের কন্যা।
43.‘সুপ্রভাত’ ও ‘বেণু’ পত্রিকা দুটির সম্পাদিকা কারা ?
উঃ- ‘সুপ্রভাত’ পত্রিকার সম্পাদিকা-কুমুদিনী মিত্র ও বেণু পত্রিকার সম্পাদিকা মীরা দাশগুপ্ত।
44.‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ ও নারী সত্যাগ্রহ সমিতি’-র প্রতিষ্ঠাতা কারা ছিলেন?
উঃ- লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর প্রতিষ্ঠাতা সরলা দেবী চৌধুরানী ও নারী সত্যাগ্রহ সমিতি’ -র প্রতিষ্ঠাতা বাসন্তী দেবী।
45.‘দীপালি সংঘ’ কবে, কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়?
উঃ- ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় ‘দীপালি সংঘ’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
46.বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী চারজন নারীর নাম লেখো।
উঃ- বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী চারজন নারী হলেন—মুরশিদাবাদের গিরিজাসুন্দরী, ফরিদপুরের সৌদামিনী দেবী, ঢাকার ব্রাত্মময়ী সেন, খুলনার লাবণ্যপ্রভা দত্ত।
47.‘ভোগিনী সেনা’ কাদের বলা হত?
উঃ- তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার পর এখানকার মহিলা স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে ‘ভোগিনী সেনা’ গঠন করেন। এর থেকে বোঝা যায়, জাতীয় সরকারে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।
48.‘দীপালি সংঘ-এর কার্যকলাপ সংক্ষেপে লেখো৷
উঃ- ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে লীলা নাগ ঢাকায় ‘দীপালি সংঘ’ তৈরি করেন। এখানে লাঠিখেলা, শরীরচর্চা, অস্ত্রচালনা শিক্ষা, শিল্প প্রদর্শনী, নারীশিক্ষার বিস্তার প্রভৃতি বিষয়ে চর্চা করা হত।
49.প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার-এর দুটি বিপ্লবী কর্মকাণ্ড উল্লেখ করো।
উঃ-
(১) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে মাস্টারদা সূর্য সেনের অন্যতম সহযোগিনী ছিলেন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন।
(২) চট্টগ্রামের পাহাড়তলির ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণে তিনি দুঃসাহসিকতার পরিচয় দেন।
(৩)পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
50.বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের ক-টি ধাপ ছিল ?
উঃ- বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের তিনটি ধাপ হলস্বদেশি, বয়কট, জাতীয় শিক্ষা।
51.আইন অমান্য আন্দোলনের ডান্ডি অভিযান কী?
উঃ- ব্রিটিশ সরকারের লবণ আইন ভঙ্গের উদ্দেশ্যে মহাত্মা গান্ধি ৭৮ জন অনুগামীকে নিয়ে সমুদ্র তীরবর্তী ডান্ডির দিকে। যাত্রা করেন। ২৪১ দিনের এই যাত্রা ডান্ডি অভিযান নামে পরিচিত।
52.বয়কট আন্দোলনের সময় দুটি দমনমূলক সার্কুলারের নাম লেখো।
উঃ- বয়কট আন্দোলনের সময় দুটি দমনমূলক সার্কুলার হল কার্লাইল সার্কুলার, লিয়ন্স সার্কুলার।
53.কল্পনা দত্তের দুটি বিপ্লবী কর্মকাণ্ড লেখো।
উঃ-
(১) চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে কল্পনা দত্ত সূর্য সেনের অন্যতম সহযোগিনী ছিলেন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন।
(2) কল্পনা দত্তের ওপর পাহাড়তলির ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণের দায়িত্ব পড়লেও আক্রমণের এক সপ্তাহ আগে তিনি। পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।
54.সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে চারটি বিপ্লবী গুপ্ত সমিতির নাম লেখো।
উঃ- সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে যুক্ত চারটি বিপ্লবী গুপ্ত সমিতি হল- কলকাতার অনুশীলন সমিতি’, ঢাকার মুক্তি সংঘ’, ফরিদপুরের ‘ব্ৰতী সমিতি’ ও ময়মনসিংহের সুহৃদ সমিতি।
55.বিপ্লবী আন্দোলনের সময়ের চারটি উল্লেখযোগ্য মামলার নাম উল্লেখ করো।
উঃ- বিপ্লবী আন্দোলনে সময়ের চারটি উল্লেখযোগ্য মামলা হল--আলিপুর বোমা মামলা (১৯০০ খ্রিস্টাব্দ), কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ), ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলা (১৯১০ | খ্রিস্টাব্দ), লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ)।
56.টীকা লেখো ও অলিন্দ যুদ্ধ।
উঃ- ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৮ ডিসেম্বর বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্ত রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান করে প্রথমে কারা বিভাগের অধিকর্তা সিম্পসনকে গুলি করে হত্যা করেন। পুলিশ চলে এলে বিপ্লবীদের সঙ্গে পূর্বদিকের বারান্দায় গুলির লড়াই চলে। এই ঘটনা অলিন্দ যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই ঘটনার পর বাদল আত্মহত্যা করেন, বিনয় হাসপাতালে মারা যান ও দীনেশের ফাঁসি হয়।
57.টীকা লেখো ও জালালাবাদের মুক্তিযুদ্ধ।
উঃ- ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১৮ এপ্রিল মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের অস্ত্রাগার লুণ্ঠিত হওয়ার পর বিপ্লবীরা নিকটবর্তী। জালালাবাদ পাহাড়ে আশ্রয় নেয় এখানে পুলিশের সঙ্গে বিপ্লবীদের যে গুলির লড়াই হয় তা জালালাবাদের মুক্তিযুদ্ধ নামে পরিচিত। এই অসম লড়াইয়ে ১২ জন বিপ্লবীর মৃত্যু হয়।
58.টীকা লেখো ও রশিদ আলি দিবস।
উঃ- আজাদ হিন্দ ফৌজের উল্লেখযোগ্য ক্যাপটেন ছিলেন রশিদ আলি। ওই ফৌজের সেনাদের (১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দ) রশিদ আলির ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষিত হলে ক্রুদ্ধ জনসাধারণ ১২ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় রশিদ আলি দিবস’ পালন করে। এই সময় ছাত্র ধর্মঘট, শিল্পাঞ্চলগুলিতে ধর্মঘট, মিটিং-মিছিল চলতে থাকে।
59.ভাইকম সত্যাগ্রহ কী?
উঃ- কেরলে শ্রী নারায়ণ গুরুর নেতৃত্বে সত্যাগ্রহ পদ্ধতিতে দলিতদের মন্দিরে প্রবেশাধিকার নিয়ে যে আন্দোলন হয় তা ভাইকম সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত এই আন্দোলন সফলতা লাভ করে।
60.হরিজন আন্দোলন কী ?
উঃ- গান্ধিজি দলিতদের হরিজন নামকরণ করেন। হরিজনদের সামাজিক অধিকারের জন্য ও অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলন হরিজন আন্দোলন নামে পরিচিত।
61.‘পুনা চুক্তি কবে, কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়?
উঃ- ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে বর্ণহিন্দুদের পক্ষে গান্ধিজি ও অনুন্নত শ্রেণির পক্ষে ড. বি. আর. আম্বেদকর-এর মধ্যে পুনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
62.মতুয়া সম্প্রদায়ের দুজন নেতার নাম লেখো।
উঃ- মতুয়া সম্প্রদায়ের দুজন নেতার নাম হল হরিচাদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুর।
63.স্বদেশি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুজন মহিলার নাম লেখো।
উঃ- স্বদেশি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুজন মহিলার নাম হল সরলা দেবী চৌধুরানী ও গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী।
64.অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুজন মহিলার নাম লেখো।
উঃ- অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুজন মহিলার নাম হল চিত্তরঞ্জন দাশ-এর স্ত্রী বাসন্তী দেবী এবং বোন উর্মিলা।
- বন্ধুরা ২০২২ সালের অধ্যায় ভিত্তিক ইতিহাস সাজেশন এর জন্য Click Here
File Details |
|
File Name/Book Name | মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর |
File Format | PDF |
File Language | Bengali |
File Size | 175 KB |
File Location | GOOGLE DRIVE |
Download Link | Click Here to Download PDF File |
Very very useful post......So good 👍👍👍👍👍😘😘😘😘
উত্তরমুছুনএই গুলো খুব আমাদের সাহায্য করেছে
উত্তরমুছুন