মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় || ৮ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর || বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন

0

মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়|৮ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর|বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন

 

মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় ৮ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

প্রিয় দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা,

আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো, মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়|৮ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর|বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন|Madhyamik 6th Chapter History|তোমরা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন ৮ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|Class 10 History 6th Chapter 8 Marks Question Answers|মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|Madhyamik History 6th Chapter Suggestion|ইতিহাস ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তরপেয়ে যাবে|এগুলি তোমাদের ফাইনাল পরিক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন হবে| তো বন্ধুরা তোমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় ৮ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর|বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন এই প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া আছে|তো বন্ধুরা আমাদের আসা এই প্রশ্নগুলি তোমাদের ফাইনাল পরিক্ষায় খুবই কাজে আসবে।


মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়|৮ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর|বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন 

অসহযোগ আন্দোলন পর্বে বাংলা ও উত্তরপ্রদেশের কৃষক আন্দোলনের পরিচয় দাও।

ভুমিকাঃ- 1920-1922 খ্রিস্টাব্দে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কেবলমাত্র শহরের মধ্যবিত্ত ও বুদ্ধিজীবীরা নয়; শ্রমিক, কৃষক, মজুর, নারী-পুরুষ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে এই আন্দোলন যথার্থ গণআন্দোলনের রূপ পরিগ্রহ করে। এই আন্দোলনের পরিধি গ্রামাঞ্চলেও ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। যার মূল ভিত্তি ছিল কৃষক ও উপজাতি সম্প্রদায়। এই আন্দোলনের দ্বিমুখী চরিত্র লক্ষ্য করা যায়। কোথাও কোথাও জাতীয় কংগ্রেস এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল আবার অন্যত্র আন্দোলন গুলি ছিল স্বয়ংক্রিয়। ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে যেমন বাংলা, বিহার, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ প্রভুতি স্থানে গ্রামীণ কৃষক আন্দোলনের প্রসার ঘটেছিল।

বাংলাঃ- অসহযোগ আন্দোলনের সময় বাংলার কৃষকরা অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ জনিতকরভার ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং জমিদারের শোষণ বাংলায় কৃষকদের সর্বনাশের শেষ সীমায় পৌঁছে দেয়। 1921 খ্রিস্টাব্দে বীরেন্দ্রনাথ শাসমল এর নেতৃত্বে মেদিনীপুরের কাঁথি ও তমলুক মহকুমা ইউনিয়নবোর্ড বিরোধী আন্দোলন শুরু হলে ধনী দরিদ্র নারী পুরুষ নির্বিশেষে এই মহাকুমায় আপামর জনসাধারণ এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। আন্দোলনের চাপে সরকার নতি স্বীকারে বাধ্য হয়। এছাড়াও পাবনা,বাগুড়া বীরভূম-এ জমি জরিপ করে খাজনা নির্ধারনের কাজে স্থানীয়রা কৃষকেরা বাধা দেয় এবং কুমিল্লা, রাশাহী, রংপুর, দিনাজপুরের কৃষকরা অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেয়।


উত্তরপ্রদেশঃ- উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়, ফৈজাবাদ ও রায়বেরেলিতে বাবা রামচন্দ্রের নেতৃত্বে কিষান আন্দোলন এবং ‘ খাজনা বন্ধ’ আন্দোলন শুরু হয়। উত্তরপ্রদেশের কিষানদের বেদখলি, বেগারি প্রথা ও বেআইনি বাড়তি খাজনার বিরুদ্ধে অসন্তোষ ছিল। এ বিষয়ে কুৰ্মী সম্প্রদায়ের কিষানরাই ছিল বেশি নির্যাতিত। বাবা রামচন্দ্র তাই ‘কুমী কিষান সভা’ গড়ে তোলেন। পুলিশ বাবা রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করলে, অহিংসভাবে থানা ঘেরাও করা হয় এবং বাবা রামচন্দ্র মুক্তি পান। উত্তরপ্রদেশ কিষান সভা নরমপন্থী নীতি গ্রহণ করলে নেহরু ও রামচন্দ্র সংঘবদ্ধভাবে ‘অযোধ্যা কিষান সভা’ (1920) তৈরি করেন।কিন্তু অচিরেই এ আন্দোলন হিংসাত্মক হয়ে উঠলে কংগ্রেসের নেতৃত্ববৃন্দ এ আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ান। এর ফলে সরকার নিষ্ঠুর দমননীতি অবলম্বন করে আন্দোলন ভেঙ্গে দেয়। যাইহোক 1921 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ অযোধ্যা খাজনা আইন পাস করে সরকার কৃষকদের কিছুটা সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করে। 


উপরোক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায় যে বিক্ষিপ্ত হলেও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের কৃষক সম্প্রদায় এই আন্দোলনে যোগদান করে। এক্ষেত্রে যতটা ব্রিটিশবিরোধী তার চেয়েও বেশি স্থানীয় জমিদার বিরোধী মনোভাব কৃষকদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়।



অসহযোগ আন্দোলনের সময় কৃষক আন্দোলন গুলি পরিচয় দাও

ভুমিকাঃ- 1920-1922 খ্রিস্টাব্দে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কেবলমাত্র শহরের মধ্যবিত্ত ও বুদ্ধিজীবীরা নয়; শ্রমিক, কৃষক, মজুর, নারী-পুরুষ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে এই আন্দোলন যথার্থ গণআন্দোলনের রূপ পরিগ্রহ করে। এই আন্দোলনের পরিধি গ্রামাঞ্চলেও ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। যার মূল ভিত্তি ছিল কৃষক ও উপজাতি সম্প্রদায়। এই আন্দোলনের দ্বিমুখী চরিত্র লক্ষ্য করা যায়। কোথাও কোথাও জাতীয় কংগ্রেস এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল আবার অন্যত্র আন্দোলন গুলি ছিল স্বয়ংক্রিয়। ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে যেমন বাংলা, বিহার, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ প্রভুতি স্থানে গ্রামীণ কৃষক আন্দোলনের প্রসার ঘটেছিল।

 বাংলাঃ- অসহযোগ আন্দোলনের সময় বাংলার কৃষকরা অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ জনিত করভার ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং জমিদারের শোষণ বাংলায় কৃষকদের সর্বনাশের শেষ সীমায় পৌঁছে দেয়। 1921 খ্রিস্টাব্দে বীরেন্দ্রনাথ শাসমল এর নেতৃত্বে মেদিনীপুরের কাঁথি ও তমলুক মহকুমা ইউনিয়নবোর্ড বিরোধী আন্দোলন শুরু হলে ধনী-দরিদ্র, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই মহাকুমায় আপামর জনসাধারণ এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। আন্দোলনের চাপে সরকার নতি স্বীকারে বাধ্য হয়। এছাড়াও পাবনা,বাগুড়া বীরভূম-এ জমি জরিপ করে খাজনা নির্ধারনের কাজে স্থানীয়রা কৃষকেরা বাধা দেয় এবং কুমিল্লা, রাশাহী, রংপুর, দিনাজপুরের কৃষকরা অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেয়।

গুজরাট : গান্ধিজির আঞ্চলিক আন্দোলনে সত্যাগ্রহ আদর্শের পরীক্ষানিরীক্ষার ক্ষেত্র ছিল গুজরাটের খেদা জেলা। সত্যাগ্রহ আদর্শ তিনি পুনরায় বারদোলিতে প্রয়োগ করেন। বারদোলিতে 1926-27 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ রাজস্বের পরিমান অত্যাধিক পরিমাণে বৃদ্ধি করা হয়েছিল।এছাড়াও ছিল উজালি পরাজ কর্তৃক কালি পরাজ দের উপর অত্যাচার এখানকার পাতিদার এবং কালিপরাজ শ্রেণির কৃষকরা মিলিত হয় এবং তারা কংগ্রেস নেতা সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল কে সেখানে আসার জন্য অনুরোধ জানান এবং আন্দোলন শুরু করে সরকারকে কোনরকম কর না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সরকার আন্দোলনরত চাষীদের গরু-বাছুর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এবং নানারকম নির্যাতন করলেও আন্দোলন থামেনি এবং শেষ পর্যন্ত 1929 খ্রিস্টাব্দে 16 জুলাই সরকার খাজনা বৃদ্ধি স্থগিত রাখার ঘোষণা করে।

উত্তরপ্রদেশ:-  উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়, ফৈজাবাদ ও রায়বেরেলিতে বাবা রামচন্দ্রের নেতৃত্বে কিষান আন্দোলন এবং ‘ খাজনা বন্ধ’ আন্দোলন শুরু হয়। উত্তরপ্রদেশের কিষানদের বেদখলি, বেগারি প্রথা ও বেআইনি বাড়তি খাজনার বিরুদ্ধে অসন্তোষ ছিল। এ বিষয়ে কুৰ্মী সম্প্রদায়ের কিষানরাই ছিল বেশি নির্যাতিত। বাবা রামচন্দ্র তাই ‘কুমী কিষান সভা’ গড়ে তোলেন। পুলিশ বাবা রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করলে, অহিংসভাবে থানা ঘেরাও করা হয় এবং বাবা রামচন্দ্র মুক্তি পান। উত্তরপ্রদেশ কিষান সভা নরমপন্থী নীতি গ্রহণ করলে নেহরু ও রামচন্দ্র সংঘবদ্ধভাবে ‘অযোধ্যা কিষান সভা’ (1920) তৈরি করেন।কিন্তু অচিরেই এ আন্দোলন হিংসাত্মক হয়ে উঠলে কংগ্রেসের নেতৃত্ববৃন্দ এ আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ান। এর ফলে সরকার নিষ্ঠুর দমননীতি অবলম্বন করে আন্দোলন ভেঙ্গে দেয়। যাইহোক 1921 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ অযোধ্যা খাজনা আইন পাস করে সরকার কৃষকদের কিছুটা সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করে।

1921 খ্রিস্টাব্দের শেষ এবং 1922-এর সূচনায় সামন্ততান্ত্রিক অনাচারের বিরুদ্ধে যুক্তপ্রদেশের হরদৈ, বারাবাঁকি, সীতাপুর, বারাইচ প্রভৃতি অঞ্চলে এক কৃষক বিদ্রোহ ঘটে। এই বিদ্রোহ ‘একা’ বা ‘একতা’ বিদ্রোহ বা আন্দোলন নামে খ্যাত। আন্দোলন চলাকালে যেকোনো অবস্থায় কৃষকরা ঐক্যবদ্ধ থাকার শপথ নেন—তাই এই আন্দোলনের নাম ‘একা’ বা ‘একতা’ আন্দোলন। আন্দোলনের সূচনা-পর্বে কংগ্রেসি নেতৃবৃন্দ এর সঙ্গে যুক্ত থাকলেও মাদারী পাশী নামে অনুন্নত সম্প্রদায়ের এক নেতাই ছিলেন এই আন্দোলনের মূল শক্তি। তার আহ্বানে অনুন্নত সম্প্রদায়ের কৃষকরা দলে দলে এই আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে। মন্ত্রপাঠ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কষকরা শপথ নিত যে, নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত খাজনা ছাড়া তারা বেশি কিছু দেবে না, জমি থেকে উচ্ছেদ করলেও তারা জমি ছাড়বে। না রসিদ ছাড়া খাজনা দেবে না, খাজনা দেবে নগদ টাকায়—শস্যের মাধ্যমে নয়, জমিদারের জমিতে বেগার খাটবে না, ইত্যাদি ক্রমে এই আন্দোলন কংগ্রেস নেতাদের হাত থেকে বেরিয়ে যায় এবং তা হিংসাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। জমিদার ও তালুকদারদের ঘর-বাড়ি ও খামার আক্রান্ত হয় এবং কুমায়ুন অঞ্চলের হাজার হাজার মাইল সংরক্ষিত অরণ্যে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আসরফ সিদ্দিকির মতে, যুক্তপ্রদেশে সামাজিক দস্যুতা’ (Social bandity) শুরু হয়। প্রচণ্ড নিষ্ঠুরতার মাধ্যমে এই আন্দোলন দমন করা হয়। মাদারী পাশীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিহার : বিহারের দ্বারভাঙা, মজফফরপুর, ভাগলপুর, পূর্ণিয়া প্রভৃতি অঞলে প্রবল কৃষক আন্দোলন গড়ে ওঠে। চড়া ভূমিরাজস্ব, অতিরিক্ত কর এবং মূল্যবৃদ্ধির জন্য কৃষকেরা অসন্তুষ্ট ছিল। এই পরিস্থিতিতে বিশুবরণ প্রসাদ কৃষকদের সংগঠিত করেন। তিনি স্বামী বিদ্যানন্দ নামগ্রহণ করেন। তার আন্দোলনের চাপে জমিদাররা নত হয়।

রাজস্থান : অসহযোগ আন্দোলনের সময় রাজস্থানের কৃষকরাও বিদ্রোহে যোগদান করে। বিজয় সিং পথিক এবং মানিকলাল ভার্মা রাজস্থানে সত্যাগ্রহ আন্দোলনের সূচনা করেন। মোতিলাল তেজওয়াত উদয়পুরের ভিল উপজাতিদের সংগঠিত করেন। জয়নারায়ণ ব্যাস মাড়ওয়ার অঞলে খাজনা বন্ধের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।

দক্ষিণ ভারত : অসহযোগ আন্দোলনের সময়কালে দক্ষিণ ভারতের কৃষকরাও বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন। এই আন্দোলনের সময় কেরালার মালাবার অঞলের মোপলা বিদ্রোহ (1921খ্রীঃ) এক ব্যাপক কৃষক বিদ্রোহরূপে দেখা দেয়। এই বিদ্রোহটি ছিল জমিদারদের অন্যায় শোষণের প্রতিবাদস্বরূপ। তবে এই বিদ্রোহটি হিংসার রূপ ধারণ করলে অসহযোগ আন্দোলনের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত এই বিদ্রোহটি ব্যর্থ হয়। অন্ধ্রপ্রদেশে আল্লুরি সীতারাম রাজু নেতৃত্বে আদিবাসী (রম্পা উপজতি)কৃষকরা মহাজনি শোষণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ(1922-24 খ্রীঃ)করেছিলেন। প্রাথমিক পর্বে এই আন্দোলন গণবিদ্রোহের আকার নিয়েছিল তবে রাজুর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে এই বিদ্রোহও গতিহারায়।

                  উপরোক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায় যে বিক্ষিপ্ত হলেও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের কৃষক সম্প্রদায় এই আন্দোলনে যোগদান করে। এক্ষেত্রে যতটা ব্রিটিশবিরোধী তার চেয়েও বেশি স্থানীয় জমিদার বিরোধী মনোভাব কৃষকদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়।

 

 


আইন অমান্য আন্দোলনে কৃষক শ্রেণীর ভূমিকা আলোচনা কর।

ভূমিকাঃ- অসহযোগ আন্দোলনের সময় ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষক বিদ্রোহমাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। গান্ধিজিসহ কংগ্রেসের প্রথম সারির সকল নেতারা এই কৃষক বিদ্রোহগুলিকে অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করতে তৎপর হয়ে ওঠেন। ওই সময় যেসব অঞ্চলে আন্দোলনগুলি সংঘটিত হয়েছিল, সেগুলি হল—

এলাহাবাদের প্রতাপগড়ঃ- 1920 খ্রিস্টাব্দে এলাহাবাদের প্রতাপগড় গ্রামের কৃষকরা তাদের শোচনীয় অবস্থা ভারতের জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে ধরেন। তারপর কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে ওই অঞ্চলে ব্যাপক কৃষক আন্দোলন গড়ে ওঠে।

অন্ধ্রপ্রদেশঃ- 1921-22 খ্রিস্টাব্দে অসহযোগ আন্দোলনের সময় অন্ত্র, মালাবার ও বাংলায় কৃষক বিদ্রোহ গণমুখী হয়ে ওঠে। ওই সময় অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষকদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও একত্রে সরকারের খাজনা প্রদান বন্ধ করেন।  এর ফলে সরকারি প্রশাসন প্রায় অচল হয়ে পড়ে।

মালাবারের কৃষক বিদ্রোহঃ- অসহযোগ আন্দোলনের সময়ে মালাবারের মোপলা কৃষকরা জমিদারদের শোষণ ও প্রবর্তিত প্রজাস্বত্ব আইন বাস্তবে প্রচলিত না হওয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। 1920  খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের জেলা অধিবেশন থেকেই মোপলাদের কৃষক প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। সরকার কঠোর হাতে এই আন্দোলন দমন, করে। এতে প্রচুর কৃষক প্রাণ হারায় ও তাদের জমি-জায়গা বাজেয়াপ্ত হয়। যুক্তপ্রদেশের কৃষক আন্দোলন ও যুক্তপ্রদেশের কৃষকদের মধ্যে বিদ্রোহের অনুপ্রেরণা আসে হোমরুল, খিলাফৎ ও অসহযোগ আন্দোলন থেকে। 1921 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ কৃষক বিদ্রোহের সঙ্গে অসহযোগ আন্দোলনের চরিত্রগত তফাত দেখা যায়নি। সরকারি দমনপীড়নের কারণে আন্দোলন ব্যর্থ হয়। মাদ্রাজ ও পাঞ্জাবের আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের অবসানের পরও মাদ্রাজ ও পাঞ্জাবের শ্রমিক-কৃষক আন্দোলন প্রবল আকার ধারণ করে। 1928  খ্রিস্টাব্দে ‘সর্বভারতীয় কিযান সভা’ প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এই কৃষক সভা কৃষক আন্দোলনে তেমন সক্রিয় ভূমিকা নেয়নি।

উপসংহারঃ- পরিশেষে বলা যায় যে, অসহযোগ আন্দোলনের সময় কৃষকশ্রেণি যেভাবে আন্দোলনের পথে অগ্রসর হয়েছিল তা তাৎপর্যপূর্ণ। এ ছাড়া অন্যান্য কৃষক আন্দোলনের মতো বারদৌলি সত্যাগ্রহও ছিল গুরুত্বপূর্ণ কৃষক আন্দোলন।


বিংশ শতকের ভারতে বামপন্থী আন্দোলনের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য লেখ।

ভুমিকাঃ- ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে জাতীয় দল, আঞ্চলিক দল, উপজাতি গোষ্ঠী, ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং বহু ব্যক্তি বিশেষের অবদান ছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদ ভারতের বিভিন্ন শ্রেণির উপর চাপ সৃষ্টি করে। এর প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় বিক্ষোভ ও বিদ্রোহ। ঔপনিবেশিক সরকার তাদের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য শোষক ও অনুগত শ্রেণি সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু বিভিন্ন উপাদানের প্রভাবে ভারতে জাতীয়তাবাদ গড়ে ওঠে, উপনিবেশবাদবিরোধী সংগ্রাম শুরু হয়। দেরিতে হলেও বামপন্থীরা এই আন্দোলন সমর্থন করে এবং এতে অংশগ্রহন করে।

কমিউনিস্ট পার্টি: রাশিয়ার তাসখন্দে কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এর বিভিন্ন সদস্য গোপনে ভারতে আসেন। তারপর তারা কোলকাতা,বোম্বাই,মাদ্রাজ লাহোর বিভিন্ন কমিউনিস্ট গোষ্ঠী গড়ে তোলেন। এই গোষ্ঠীগুলি কানপুরে এক সম্মেলনে মিলিত হয়ে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা করে ১৯২৫ খ্রীষ্টাব্দে। এই সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন সিঙ্গারাভেলু চেটিয়ার, অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি ছিলেন হসরৎ মোহানি এবং সাধারণ সম্পাদক হন সচ্চিদানন্দ বিষ্ণূঘাটে।

১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে রাশিয়ায় মার্কসবাদী বলশেভিক বিপ্লব সম্পন্ন হলে ভারতেও এর প্রভাব পড়ে। বিশ শতকে ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রাধান্য সত্ত্বেও বামপন্থী ভাবধারী, রাজনীতি ও আন্দোলনের যথেষ্ট প্রসার ঘটে। এদেশে বামপন্থী রাজনীতি ও আন্দোলনের চরিত্র কংগ্রেসি রাজনীতি ও আন্দোলন থেকে অনেক ক্ষেত্রেই পৃথক ছিল।

বামপন্থী আন্দোলনের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য

প্রতিকুলতা- ভারতে বামপন্থী রাজনীতি ও আন্দোলনের প্রসারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিকূলতা ছিল। একদিকে কমিউনিস্ট ভাবধারার প্রতিরোধে সরকার যথেষ্ট সক্রিয় ছিল। অন্যদিকে সমাজের উচ্চস্তরে কংগ্রেসের প্রাধান্য থাকায় সেখানে বামপন্থী ভাবধারা যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করতে ব্যর্থ হয়। এজন্য মানবেন্দ্রনাথ রায় ভারতের বাইরে, রাশিয়ার তাসখন্দে ভারতে কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা (১৭ অক্টোবর, ১৯২০) করেন। মুজাফফর আহমেদও বাংলায় গোপনে কমিউনিস্ট ভাবধারার প্রচার চালান।

দমননীতি- সরকার কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করে, বিভিন্ন কমিউনিস্ট নেতাকে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা, লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা প্রভৃতিতে ফাসিয়ে বামপন্থী ভাবধারা ধ্বংস করার চেষ্টা চালায়।

কংগ্রেসের অভ্যন্তরে বামপন্থা: কমিউনিস্ট পার্টি ছাড়া বিভিন্ন কংগ্রেস নেতার নেতৃত্বে কংগ্রেসের অভ্যন্তরেও বামপন্থী ভাবধারার প্রসার ঘটে।তাদের লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা লাভের পর ভারতে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা৷ জয়প্রকাশ নারায়ণ, অচ্যুত পট্টবর্ধন, ইউসুফ মেহের আলি, অশোক মেহতা, মিনু মাসানী প্রমুখ কংগ্রেস নেতা ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল গঠন করেন।জয়প্রকাশ নারায়ণ ছিলেন এই দলের সম্পাদক।

লক্ষ্য: ভারতের বামপন্থী রাজনীতি ও আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল কৃষক ও শ্রমিকদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি ঘটানো৷ তবে ঔপনিবেশিক শাসনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনই ছিল বামপন্থীদের প্রধান উদ্দেশ্য। রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের পরবর্তী পদক্ষেপ ছিল অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার প্রয়াস। মাদ্রাজের কমিউনিস্ট নেতা সিঙ্গারাভেল্লু চেট্টিয়ার ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে গয়া কংগ্রেসে ঘোষণা করেন যে, “আমি একজন কমিউনিস্ট। আমরা এখনই ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা চাই, পরে সমাজতন্ত্র৷”

গণভিত্তি: ভারতে কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন বামপন্থী দলগুলি দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিকশ্রেণির মধ্যে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়। দেশের কৃষক ও শ্রমিকশ্রেণিকে জাতীয় আন্দোলনগুলিতে শামিল করার ক্ষেত্রে বামপন্থী দলগুলির সর্বাধিক ভূমিকা ছিল। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনগুলি ছাড়াও বামপন্থীদের উদ্যোগে কৃষক শ্রমিকরা বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নিয়ে বামপন্থী রাজনীতির গণভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে।

উপসংহারঃ কমিউনিস্ট পার্টি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সরকারকে সহযোগিতা প্রদানের নীতি গ্রহণ করে, কংগ্রেসের ভারতছাড়ো আন্দোলনের বিরাধিতা করে এবং দেশভাগের ক্ষেত্রে ভারতের জাতীয় স্বার্থের বি্রোধী নীতি গ্রহণ করে। তবুও একথা মানতেই হয় বহু বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও কমিউনিস্টরা শ্রেণিসংগ্রামের চরিত্র বজায় রাখে, তারা তাদের নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়নি, কমিনটার্নের নির্দেশ ও বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কোন কোন কার্যক্রম সমালোচিত হয় ঠিকই কিন্তু তাদের কার্যকলাপ যে জাতীয়তাবাদী ছিল একথা স্বীকার করতেই হয়।


ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় বাংলায় কৃষক আন্দোলনের বর্ণনা দাও।

ভূমিকাঃ- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় বাংলা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনের কেন্দ্রভূমিতে পরিণত হয়েছিল। আন্দোলনের প্রসারঃ- গোটা বাংলা জুড়ে ভারত ছাড়ো আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছিল। মেদিনীপুর, বীরভূম, দিনাজপুর, ফরিদপুরে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল। বীরভূম ও দিনাজপুরের সাঁওতাল উপজাতি ও মুসলিম কৃষিজীবীরা এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। মেদিনীপুরের তমলুকও কাঁথি মহকুমা এবং দিনাজপুরের বালুরঘাটে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল।

কৃষক আন্দোলনের চরিত্রঃ- (১) চরিত্রগত দিক থেকে এই আন্দোলনে বাংলার আদিবাসী সম্প্রদায়, রাজবংশী ও নমঃশূ দ্ররা অংশ নিয়েছিল।

(২) এই আন্দোলনে কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে যোগদান না করার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই অংশগ্রহণ করেছিল।

(৩) পূর্ববঙ্গের মুসলিম কৃষকদের অনেকেই এই আন্দোলনে অংশ নেয়নি।

(৪) এই আন্দোলনে বহুক্ষেত্রে উচ্চবর্ণের মানুষেরা কৃষকদের প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল।

আন্দোলনের তীব্রতা হ্রাসঃ- ব্রিটিশ সরকারের তীব্র দমননীতির ফলে এই আন্দোলন, ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে আসে।

উপসংহারঃ- মেদিনীপুরে জাতীয় সরকার গঠিত হলে তাতে বহু কৃষক অংশ নিয়েছিল। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রসার বাংলায় কৃষক আন্দোলনের গতি পরিবর্তন করে দিয়েছিল।

 ভারতে অসহযোগ আন্দোলনের সময় শ্রমিক আন্দোলনের বিবরণ দাও।

ভূমিকাঃ- গান্ধিজির নেতৃত্বে এদেশে অহিংস অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে শ্রমিকেরাও তাতে প্রবল উৎসাহের সঙ্গে অংশ নেয়। এই সময় বিভিন্ন কলকারখানা, রেল ও ডাক ব্যবস্থায় বহু সংখ্যায় ধর্মঘট ঘটেছিল।

শ্রমিক আন্দোলনঃ- অসহযোগ আন্দোলনের সময় শ্রমিক আন্দোলন বড়ো আকার নিয়েছিল।1921 খ্রিস্টাব্দে 396টি শ্রমিক ধর্মঘটে 6 লক্ষ শ্রমিক অংশ নেয়। 1920 খ্রিস্টাব্দে শুধু বাংলার পাটকলে 18479 জন শ্রমিক 137 ধর্মঘটে অংশ নেয়।

শ্রমিক ধর্মঘট:- এ সময় মার্টিন, জেকব ও বার্ন কোম্পানিগুলিতে ধর্মঘট শুরু হয়েছিল। অসমের চা বাগানে এবং পূর্ববঙ্গের সর্বত্র স্টিমার ধর্মঘট হয়েছিল।

ইংল্যান্ডের যুবরাজের আগমন:- 1921 খ্রিস্টাব্দের 17 নভেম্বর প্রিন্স অফ ওয়েলস ভারতে এলে বোম্বাইয়ে ব্যাপক শ্রমিক ধর্মঘট শুরু হয়। বোম্বাইয়ের পুলিশের গুলিতে 563 জন নিহত ও প্রায় 400 জন আহত হয়।  নেতৃত্ব:- স্বামী দর্শনানন্দ ও স্বামী বিশ্বানন্দ রানিগঞ্জ ও ঝরিয়ার কয়লাখনির শ্রমিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। পূর্ববঙ্গের স্টিমার ধর্মঘটে যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত নেতৃত্ব দেন।

উপসংহারঃ- অসহযোগ আন্দোলনের সময় শ্রমিকরা ভারতে তীব্রভাবে অংশ নিয়েছিল। এর পূর্বে এত শ্রমিক ধর্মঘট আর দেখা যায়নি।

আইন অমান্য আন্দোলনের সময় ভারতের শ্রমিক আন্দোলন সম্পর্কে লেখ।

ভূমিকাঃ- গান্ধিজির সর্বভারতীয় সব কটি আন্দোলনে শ্রমিকদের অংশগ্রহণ একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। আইন অমান্য আন্দোলনে (1930-1934 খ্রিস্টাব্দ) বহু শ্রমিকেরা অংশগ্রহণ করেছিল।

শ্রমিক আন্দোলনের কারণ:-

i)1929 খ্রিস্টাব্দে মহামন্দার সময় জিনিসপত্রের দাম বাড়লে শ্রমিকেরা অসহায় হয়ে পড়ে।

ii)এই সময় মজুরি কমে গেলে অবস্থা আরও শোচনীয় হয়।

iii)বেকারত্ব ও অর্থাভাবে জর্জরিত শ্রমিকেরা বামপন্থার প্রভাবে উদ্দীপিত হয়ে ওঠে।

iv)গান্ধির আদর্শ তাদেরকে আন্দোলনমুখী করে।

শ্রমিক আন্দোলনঃ- বাংলা, মহারাষ্ট্র, গুজরাট প্রভৃতি অংশে শ্রমিকেরা এই সময় অংশ নেয়। এই সময়, শ্রমিকেরা রেলস্টেশন, আদালত, সরকারি দফতর প্রভৃতি স্থানের ওপরে চড়াও হয়।

ধমর্ঘটঃ- এই সময় বোম্বাই, নাগপুর, করাচি বন্দর, আসামের ডিগবয় প্রভৃতি অঞলের শ্রমিকরা ধর্ম ঘটে অংশ - নেই।

আইন অমান্যঃ- বোম্বাইয়ের রেল শ্রমিকেরা রেল অবরোধ করে গুজরাটের ডান্ডিতে লবণ আইন ভঙ্গ করে আইন অমান্যে অংশ নেয়।

কমিউনিস্ট পার্টিঃ- বি. টি. রণদিভে, সোমনাথ লাহিড়ি প্রমুখ এই সময় শ্রমিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। কমিউনিস্টদের

- প্রভাবে এই সময় শ্রমিক আন্দোলন বৃহৎ আকার ধারণ করে।

উপসংহারঃ- ব্রিটিশ সরকারের তীব্র দমন নীতির প্রভাবে এবং আন্দোলন মাঝখানে কিছুদিনের জন্য প্রত্যাহৃত হলে শ্রমিক আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে। তবে বহু সংখ্যক শ্রমিকদের আইন অমান্য করা আন্দোলনকে অন্য মাত্রা এনে দেয়।




  • বন্ধুরা ২০২২ সালের অধ্যায় ভিত্তিক ইতিহাস সাজেশন এর জন্য  Click Here

File Details

 

File Name/Book Name

মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় ৮ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

176 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File



Join Telegram... Members

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top