মাধ্যামিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় || ৪ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর || বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন

0

মাধ্যামিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায়||৪ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর||বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন




মাধ্যামিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় ৪ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর


প্রিয় মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা,

আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো মাধ্যমিক সপ্তম অধ্যায়||৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|| বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন|বাংলার নমঃশূদ্র আন্দোলন সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা পেয়ে যাবে|Madhyamik History Question and Answer|10th History Examination – দশম শ্রেনীর সপ্তম অধ্যায় বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন ১ ও ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে|History chapter 7 question answer|নমঃশূদ্র আন্দোলনের উপর একটি টীকা পাবে|দশম শ্রেনীর  ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর|দশম শ্রেণী সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর|এছাড়াও তোমরা মাধ্যমিক সপ্তম অধ্যায় ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|এই ওয়েবসাইটে দলিত বিষয় নিয়ে গান্ধীজি-আম্বেদকর এর বিতর্ক আলোচনা আলোচনা পাবে|মাধ্যমিক সপ্তম অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|Ten History Examination - মাধ্যমিক সপ্তম অধ্যায় ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|মাধ্যমিক সপ্তম অধ্যায় ৮ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে এগুলি তোমাদের ফাইনাল পরিক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন হবে। 


তো বন্ধুরা বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন সপ্তম অধ্যায় থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর MCQ Very Short Short Descriptive Question and Answer|তোমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা আছে। আমাদের আশা এই প্রশ্নগুলি তোমাদের পরিক্ষায় খুবই কাজে আসবে।


মাধ্যামিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায়||৪ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর||বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন


1. বাংলার নমঃশূদ্র আন্দোলন সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো

অথবা

নমঃশূদ্র আন্দোলনের উপর একটি টীকা লেখ।

ভূমিকাঃ- উনিশ শতকে বাংলায় সর্বাধিক পিছিয়ে পড়া নিম্নবর্গের হিন্দু তথা ‘নমঃশূদ্র’ বা চণ্ডালরা নিজেদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার। আদায়ের জন্য আন্দোলন গড়ে তোলে। পূর্ববাংলার খুলনা, ফরিদপুর,বরিশাল, যশোহর প্রভৃতি অঞ্চলে এই আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে।


নেতৃত্বঃ- নমঃশূদ্রদের ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে ও রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সচেতন করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজন ব্যাক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন।

এঁদের মধ্যে শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর, শ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর, রাজেন্দ্রনাথ - মণ্ডল, মুকুন্দবিহারী মল্লিক, বিরাটচন্দ্র মণ্ডল, যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল,  প্রমথরঞ্জন ঠাকুর প্রমুখের ভূমিকা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

শ্রীহরিচাঁদ ঠাকুরঃ- শ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর মতুয়া নামে একটি সংগঠন গড়েনমঃশূদ্রদের মধ্যে আত্মশক্তি ও আত্মমর্যাদাবোধের বিকাশে প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন।তাঁর পুত্র শ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুরের সময় নমঃশূদ্রদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটে। তিনি 1907 খ্রিস্টাব্দে বাংলা ও আসাম সরকারের। কাছে নমঃশূদ্রদের চাকরিতে নিয়োগের দাবি পেশ করেন। নমঃশূদ্র ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’, ‘নিখিলবঙ্গ নমঃশূদ্র সম্মেলন’-এর (1881 খ্রিঃ) মাধ্যমে নমঃশূদ্রদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া ইত্যাদির কথা তুলে ধরেন।তাঁর দাবির ভিত্তিতে ব্রিটিশ সরকার 1911 খ্রিস্টাব্দে আদমশুমারি – রিপোর্টে চণ্ডল’ নাম পরিবর্তন করে এই সম্প্রদায়কে নমঃশূদ্র’ নামে - অভিহিত করে।

বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্তে সমর্থনঃ- 1905 খ্রিস্টাব্দে রাজেন্দ্রনাথ মণ্ডলের নেতৃত্বে নমঃশূদ্ররা ভাইসরয় লর্ড কার্জনের বঙ্গভঙ্গকেই ও সমর্থন জানায়। তাদের মনে হয়েছিল দুই বঙ্গ আলাদা হলে উচ্চবর্ণের হিন্দুদের শোষণ, অত্যাচার, বঞ্চনা থেকে পূর্ববঙ্গের নমঃশূদ্ররা ই নিষ্কৃতি পাবে।

সামাজিক মর্যাদা আদায়ঃ- সামাজিক মর্যাদা আদায় ও আর্থিক শোষণ থেকে মুক্তির জন্য নমঃশূদ্ররা জমিদার, ইংরেজ সরকার ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে 1909, 1911, 1925, 1938 খ্রিস্টাব্দে আন্দোলন গড়ে তোলে।

রানৈতিক প্রতিনিধিদের দাবিঃ- দলিত শ্রেণির রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের দাবির ভিত্তিতে 1909 খ্রিস্টাব্দে মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার আইনের দ্বারা বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভায় একজন নমঃশু দ্র প্রতিনিধি পাঠানোর সুযোগ লাভ করে।


2. দলিত বিষয় নিয়ে গান্ধীজি-আম্বেদকর এর বিতর্ক আলোচনা কর।

ভূমিকা:- দলিত বিষয় নিয়ে গান্ধীজি-আম্বেদকর এর বিতর্ক আলোচনা করার পূর্বে দলিত কারা তা জানা প্রয়োজন। ভারতীয় সমাজে অতি প্রাচীনকাল থেকেই বর্ণভেদ প্রথা ও জাতিভেদ প্রথা প্রচলিত ছিল। এই প্রথায় সর্বনিম্ন স্থানে যাদের স্থান ছিল তারা ছিল শূদ্র। চতুর্বর্ণ যুক্ত হিন্দু সমাজের বাইরে বা সর্বনিম্ন স্তরে অবস্থানকারী শুদ্রদের নিচেও একটি স্তর আছে যাদের অবর্ণ বা অতিশুদ্র বলা হচ্ছে।সমাজে এরা ছিল অস্পৃশ্য। এরা সমাজের বিভিন্ন নিম্নমানের কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল। ঔপনিবেশিক ভারতে সমাজের এই সুযোগ সুবিধা হীন অবহেলিত মানুষেরাই পরিচিত হয় ‘দলিত’ নামে। দলিত কথাটি 1930 এর দশকে প্রথম ব্যবহৃত হয় অনেকেই আবার বর্তমান প্রশাসনিক পরিভাষায় তপশিলি জাতিতপশিলি উপজাতি ও ভুক্ত সকলকেই দলিত' বলে আখ্যায়িত করতে চান।

গান্ধী আম্বেদকর বিতর্ক এর পটভূমি:- ভারতের এই তথাকথিত দলিত বা অনুন্নত শ্রেণির মানুষদের বিরুদ্ধে অনাচার, বিভিন্ন মানবিক অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা বা অস্পৃশ্যতা দেশের সব মানুষ মেনে নিতে পারেনি। এর বিরুদ্ধে বারংবার প্রতিবাদ উঠেছে এবং ১৮৮০ থেকে ১৮৯০-এর মধ্যে বেশ কিছু সমাজ সংস্কারক গোষ্ঠী অস্পৃশ্যতা মোকাবিলায়। কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে এগিয়ে এসেছে। দলিত মতাদর্শ ও অধিকার নিয়ে ভারতীয় আন্দোলনের প্রাণপুরুষ গান্ধীজী এবং দলিত আন্দোলনের সর্বশ্রেষ্ঠ সংগ্রামী নেতা ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ড. বি. আর. আম্বেদকরের দৃষ্টিভঙ্গীর মধ্যে কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।

গান্ধী আম্বেদকর এর মতাদর্শগত পার্থক্য:- ড. আম্বেদকর নিজে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ এবং নানাভাবে অনাচারের শিকার। তিনি দলিত সম্প্রদায়কে পূর্ণ অধিকার ও মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, হিন্দুসমাজে প্রচলিত বর্ণাশ্রম প্রথাই দলিত সমাজের ওপর সকল অনাচার ও অস্পৃশ্যতার কারণ। এই ব্যবস্থাই সমাজকে দুর্বল করে, পঙ্গু করে এবং মৃত্যু মুখেঠেলে দেয়। অপরপক্ষে, গান্ধীজী ছিলেন বর্ণাশ্রম ব্যবস্থার সমর্থক এবং প্রবল অস্পৃশ্যতা বিরোধী। তার কাছে দলিতরা ছিল ‘হরিজন’ বা ‘ঈশ্বরের সন্তান’। তিনিও দলিত সম্প্রদায়কে পূর্ণ অধিকারে প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট ছিলেন। তার উদ্যোগেই জাতীয় কংগ্রেস প্রথম দলিত সমস্যা নিরসনে উদ্যোগী হয়। তিনি চাইতেন বর্ণাশ্রম ব্যবস্থাকে অক্ষুন্ন রেখে অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ ও দলিত সম্প্রদায়ের কল্যাণ। ১৯৩১ সালের ১৪ আগস্ট, গান্ধী-আম্বেদকর সাক্ষাৎকালকালে ড. আম্বেদকর তাকে বলেন- “আমার বিশ্বাস, অস্পৃশ্যতা বর্ণাশ্রম ধর্মে অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। যতদিন বর্ণাশ্রম থাকবে ততদিন হিন্দুধর্মে অস্পৃশ্যতা থাকবে। আপনি বর্ণাশ্রম চান অথচ অস্পৃশ্য চান না এটা একটা অবাস্তব কথা।

    

গান্ধী আম্বেদকর বিতর্ক অবসান:- অনুন্নত সম্প্রদায়কে জাতীয় আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে বিট্রিশ প্রধানমন্ত্রী র‍্যামসে ম্যাকডোনাল্ড ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা '-র নীতি ঘোষণা করেন (আগস্ট, ১৯৩২ খ্রিঃ)। এর দ্বারা অনুন্নত সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক নির্বাচকমণ্ডলী গঠনের প্রস্তাব করা হয়। এই প্রস্তাব কার্যকরী হলে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি হত এবং অনুন্নত সম্প্রদায় বর্ণহিন্দুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। গান্ধীজী এই নীতির তীব্র বিরোধিতা করেন এবং এর প্রতিবাদে ২০শে সেপ্টেম্বর থেকে অনশন শুরু করেন। এ সময় তফশিলি নেতা ড. আম্বেদকর তার সঙ্গে আলোচনা করেন এবং ২৪শে সেপ্টেম্বর পুণা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এর দ্বারা হিন্দুদের ক্ষেত্রে যৌথ নির্বাচনের নীতি স্বীকৃতি হয় এবং সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারার মাধ্যমে প্রাপ্ত আসনের দ্বিগুণ আসন তফশিলি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত করা হয়। এইভাবে গান্ধী-আম্বেদকর বিতর্কের' অবসান ঘটে।


আরও পড়ুন......

  • বন্ধুরা ২০২২ সালের অধ্যায় ভিত্তিক ইতিহাস সাজেশন এর জন্য  Click Here

File Details

 

File Name/Book Name

 মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় ৮ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

79 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File



Join Telegram... Members

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top