বিংশ শতকের ভারতে বামপন্থী আন্দোলনের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য লেখ।// The nature and characteristics of Communist party in India

2

বিংশ শতকের ভারতে বামপন্থী আন্দোলনের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য লেখ।

বিংশ শতকের ভারতে বামপন্থী আন্দোলনের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য




প্রিয় বন্ধুরা 

আজকে আলোচনা করব বিংশ শতকের ভারতে বামপন্থী আন্দোলনের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য লেখ।|দশম শ্রেনী ইতিহাস|ষষ্ঠ অধ্যায়|বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন|4 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|8 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|তোমরা West Bengal Class 10 History পেয়ে যাবে|দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর|Class 10 History 6th chapter Suggestion WBBSE|মাধ্যমিক ইতহাস প্রশ্নোত্তর|West Bengal Class Ten|Class X History Question and Answer|itihas proshno uttor|Class 10 History 6th chapter Notes WBBSE|


এছাড়াও তোমরা পাবে দশম শ্রেণী ষষ্ঠ অধ্যায় বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই 4 নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন 


বিংশ শতকের ভারতে বামপন্থী আন্দোলনের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য লেখ।


ভুমিকাঃ- ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে জাতীয় দল, আঞ্চলিক দল, উপজাতি গোষ্ঠী, ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং বহু ব্যক্তি বিশেষের অবদান ছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদ ভারতের বিভিন্ন শ্রেণির উপর চাপ সৃষ্টি করে। এর প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় বিক্ষোভ ও বিদ্রোহ। ঔপনিবেশিক সরকার তাদের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য শোষক ও অনুগত শ্রেণি সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু বিভিন্ন উপাদানের প্রভাবে ভারতে জাতীয়তাবাদ গড়ে ওঠে, উপনিবেশবাদবিরোধী সংগ্রাম শুরু হয়। দেরিতে হলেও বামপন্থীরা এই আন্দোলন সমর্থন করে এবং এতে অংশগ্রহন করে।


কমিউনিস্ট পার্টি: রাশিয়ার তাসখন্দে কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এর বিভিন্ন সদস্য গোপনে ভারতে আসেন। তারপর তারা কোলকাতা,বোম্বাই,মাদ্রাজ লাহোর বিভিন্ন কমিউনিস্ট গোষ্ঠী গড়ে তোলেন। এই গোষ্ঠীগুলি কানপুরে এক সম্মেলনে মিলিত হয়ে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা করে ১৯২৫ খ্রীষ্টাব্দে। এই সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন সিঙ্গারাভেলু চেটিয়ার, অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি ছিলেন হসরৎ মোহানি এবং সাধারণ সম্পাদক হন সচ্চিদানন্দ বিষ্ণূঘাটে।

              ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে রাশিয়ায় মার্কসবাদী বলশেভিক বিপ্লব সম্পন্ন হলে ভারতেও এর প্রভাব পড়ে। বিশ শতকে ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রাধান্য সত্ত্বেও বামপন্থী ভাবধারী, রাজনীতি ও আন্দোলনের যথেষ্ট প্রসার ঘটে। এদেশে বামপন্থী রাজনীতি ও আন্দোলনের চরিত্র কংগ্রেসি রাজনীতি ও আন্দোলন থেকে অনেক ক্ষেত্রেই পৃথক ছিল।


আরও পড়ুন......


বামপন্থী আন্দোলনের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য

প্রতিকুলতা- ভারতে বামপন্থী রাজনীতি ও আন্দোলনের প্রসারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিকূলতা ছিল। একদিকে কমিউনিস্ট ভাবধারার প্রতিরোধে সরকার যথেষ্ট সক্রিয় ছিল। অন্যদিকে সমাজের উচ্চস্তরে কংগ্রেসের প্রাধান্য থাকায় সেখানে বামপন্থী ভাবধারা যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করতে ব্যর্থ হয়। এজন্য মানবেন্দ্রনাথ রায় ভারতের বাইরে, রাশিয়ার তাসখন্দে ভারতে কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা (১৭ অক্টোবর, ১৯২০) করেন। মুজাফফর আহমেদও বাংলায় গোপনে কমিউনিস্ট ভাবধারার প্রচার চালান।


দমননীতি- সরকার কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করে, বিভিন্ন কমিউনিস্ট নেতাকে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা, লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা প্রভৃতিতে ফাসিয়ে বামপন্থী ভাবধারা ধ্বংস করার চেষ্টা চালায়।


কংগ্রেসের অভ্যন্তরে বামপন্থা: কমিউনিস্ট পার্টি ছাড়া বিভিন্ন কংগ্রেস নেতার নেতৃত্বে কংগ্রেসের অভ্যন্তরেও বামপন্থী ভাবধারার প্রসার ঘটে।তাদের লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা লাভের পর ভারতে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা৷ জয়প্রকাশ নারায়ণ, অচ্যুত পট্টবর্ধন, ইউসুফ মেহের আলি, অশোক মেহতা, মিনু মাসানী প্রমুখ কংগ্রেস নেতা ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল গঠন করেন।জয়প্রকাশ নারায়ণ ছিলেন এই দলের সম্পাদক।


 লক্ষ্য: ভারতের বামপন্থী রাজনীতি ও আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল কৃষক ও শ্রমিকদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি ঘটানো৷ তবে ঔপনিবেশিক শাসনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনই ছিল বামপন্থীদের প্রধান উদ্দেশ্য। রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের পরবর্তী পদক্ষেপ ছিল অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার প্রয়াস। মাদ্রাজের কমিউনিস্ট নেতা সিঙ্গারাভেল্লু চেট্টিয়ার ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে গয়া কংগ্রেসে ঘোষণা করেন যে, “আমি একজন কমিউনিস্ট। আমরা এখনই ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা চাই, পরে সমাজতন্ত্র৷”


আরও পড়ুন......


গণভিত্তি: ভারতে কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন বামপন্থী দলগুলি দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিকশ্রেণির মধ্যে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়। দেশের কৃষক ও শ্রমিকশ্রেণিকে জাতীয় আন্দোলনগুলিতে শামিল করার ক্ষেত্রে বামপন্থী দলগুলির সর্বাধিক ভূমিকা ছিল। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনগুলি ছাড়াও বামপন্থীদের উদ্যোগে কৃষক শ্রমিকরা বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নিয়ে বামপন্থী রাজনীতির গণভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে।


উপসংহারঃ কমিউনিস্ট পার্টি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সরকারকে সহযোগিতা প্রদানের নীতি গ্রহণ করে, কংগ্রেসের ভারতছাড়ো আন্দোলনের বিরাধিতা করে এবং দেশভাগের ক্ষেত্রে ভারতের জাতীয় স্বার্থের বি্রোধী নীতি গ্রহণ করে।তবুও একথা মানতেই হয় বহু বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও কমিউনিস্টরা শ্রেণিসংগ্রামের চরিত্র বজায় রাখে, তারা তাদের নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়নি, কমিনটার্নের নির্দেশ ও বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কোন কোন কার্যক্রম সমালোচিত হয় ঠিকই কিন্তু তাদের কার্যকলাপ যে জাতীয়তাবাদী ছিল একথা স্বীকার করতেই হয়।


আরও পড়ুন......



File Details

 

File Name/Book Name

ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা কেন গুরুত্বপূর্ণ

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

78 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File


Join Telegram... Members


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
To Top