Class 10 History February 2022 Model Activity Task
Class 10 History February 2022 Model Activity Task |
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
দশম শ্রেণি
ইতিহাস পূর্ণমান : ২০
১. শূন্যস্থান পূরণ করাে : ১X ৪ = ৪
(ক) কলকাতা মাদ্রাসা গড়ে ওঠে 1780 খ্রিস্টাব্দে।
উঃ- 1780 খ্রিস্টাব্দে
(খ) স্কুল বুক সােসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন ডেভিড হেয়ার ।
উঃ- ডেভিড হেয়ার
(গ) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন স্যার জেমস উইলিয়াম কোলভিল ।
উঃ- স্যার জেমস উইলিয়াম কোলভিল
(গ) স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্বধর্ম সম্মেলনে যােগ দিয়েছিলেন 1893 খ্রিস্টাব্দে খ্রিস্টাব্দে।
উঃ- 1893 খ্রিস্টাব্দে
২. স্তম্ভ মেলাও : ১ X ৪ = ৪
উঃ-
৩. দুই-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও : ২X ২ = ৪
(ক) লালন ফকির স্মরণীয় কেন?
লালন ফকির একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বাঙালী। তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, সমাজ সংস্কারক, মানবতাবাদী, দার্শনিক, অসংখ্য অসাধারণ গানের সুরকার ও গায়ক ছিলেন। লালনকে বাউল গানের অগ্রদূতদের মধ্যে একজন অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তাকে ‘বাউল সম্রাট’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। তিনি ধর্ম, জাত, কূল, বর্ণ, লিঙ্গ ইত্যাদি অনুসারে মানুষের ভেদাভেদে বিশ্বাস করতেন না। প্রকৃতপক্ষে লালন ছিলেন মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ যিনি আজও লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামে পরিচিত।
(খ) পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে বেথুনের ভূমিকা কী?
উনিশ শতকে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে যে সকল উদারমনস্ক ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বিটন (বেথুন সাহেব)। ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে বড়োলাট লর্ড ডালহৌসির আইন মন্ত্রী রূপে ভারতে আসেন। তিনি মাতৃভাষার মাধ্যমে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। আধুনিক উচ্চশিক্ষার প্রসারের জন্য কলকাতায় একটি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এটি বেথুন কলেজ নামে পরিচিত। এছাড়াও ফিমেল জুভেনাইল সোসাইটি প্রতিষ্ঠা, কলকাতা পাবলিক লাইব্রেরী’ স্থাপন প্রভৃতিতে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দের ১২ আগস্ট কলকাতায় এই মহান ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
৪. সাত-আটটি বাক্যে উত্তর দাও : ৪ X ২ = ৮
(ক) ব্রাত্ম সমাজে কেন বিভাজন দেখা দিয়েছিল?
ভূমিকাঃ- উনিশ শতকে বাংলা তথা ভারতের ধর্ম ও সমাজসংস্কার আন্দোলনের পথিকৃৎ ছিল ব্রাহ্রসমাজ। রাজা রামমোহন রায় উপনিষদের একেশ্বরবাদী তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে 1828 খ্রিস্টাব্দে ব্রাত্মসভা প্রতিষ্ঠা করেন। এটি পরবর্তীকালে(1830 খ্রিস্টাব্দে ) ব্রাহ্রসমাজ নামে পরিচিত হয়। প্রাথমিকভাবে ব্রাম্মসমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল—
i)এক ও অদ্বিতীয় ব্রত্মের উপাসনা করা।
ii) খ্রিস্টান মিশনারিদের আক্রমণের হাত থেকে হিন্দুধর্মকে রক্ষা করা।
iii)বাংলায় বৈদান্তিক হিন্দুধর্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
iv)হিন্দুধর্মের নামে যেসব কুসংস্কার ও অন্যায়-অবিচার প্রচলিত আছে তার উচ্ছেদ করা।
রাজা রামমোহনের মৃত্যুর পর ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলন নিস্তেজ হয়ে পড়লে তখন ব্রাহ্ম সমাজের হাল ধরেছিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ব্রাত্ম আন্দোলনে নতুন প্রাণের সাঞ্চার করেন। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সবচেয়ে বড় অবদান হল তিনি ব্রাহ্রসমাজের নিয়মাবলি, ধর্ম, আচারবিধি, ক্রিয়াপদ্ধতি প্রভৃতি প্রণয়ন করেন। তার এই কাজের ফলে ব্রাত্য আন্দোলন একটি সাংগঠনিক রূপ পায়।
যাইহোক 1857 খ্রিস্টাব্দে কেশবচন্দ্র সেন ব্রাহ্রসমাজে যোগদান করলে ব্রাত্ম আন্দোলন আরও গতিশীল হয়ে ওঠে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই কেশবচন্দ্র সেনের সঙ্গে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতপার্থক্যের জন্য ব্রাহ্মসমাজের মধ্যে ভাঙন দেখা দেয়। প্রথমে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে ‘আদি ব্ৰাহ্মসমাজ’(1866 খ্রিস্টাব্দে), কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে ‘ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্বসমাজ (1866 খ্রি:), ‘নববিধান ব্রাহ্রসমাঃ) (1880 খ্রি:) এবং শিবনাথশাস্ত্রী ও আনন্দমোহন বসুর নেতৃত্বে ‘সাধারণ ব্রাহ্রসমাজ’ গড়ে ওঠে।
(খ) বাংলার নবজাগরণ’-এর সীমাবদ্ধতা আলােচনা কর।
ভুমিকাঃ ভুমিকাঃ পাশ্চাত্য সভ্যতার সংস্পর্শে এসে উনিশ শতকের মধ্যবিত্ত বাঙালি সমাজে এক যুক্তিবাদী ও মানবতাবাদী আড়োলনের সুচনা হওয়ার ফলে তৎকালীন ধর্ম,সমাজ,শিক্ষা,সাহিত্য,দর্শন,রাজনীতি-জীবনের সর্বক্ষেত্রেই ব্যাপক পরিবর্ত্ন পরিলক্ষিত হয়, যাকে ঐতিহাসিকরা ‘বঙ্গীয় নবজাগরণ’ বা ‘Bengal Renaissance’ বলে অভিযোগ করেছেন।
বঙ্গীয় নবজাগরণ নিয়ে পন্ডিত মহলে মতপার্থক্যের শেষ নেই। কারো কারো মতে উনবিংশ শতকে বাংলার নবজাগরণ ছিল মূলত শহরকেন্দ্রিক সাধারন মানুষের একটা বড় অংশ নবজাগরণে যোগ দেয়নি। আবার কারো কারো মতে ইউরোপের নবজাগরণ এবং বাংলার নবজাগরণের মধ্যে বিস্তর তফাৎ ছিল।
প্রখ্যাত পন্ডিত অশোক মিত্র বাংলা নবজাগরণ কে 'তথাকথিত' নবজাগরণ বলেছেন। তার মতে এই নবজাগরণের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোন যোগ ছিল না, আবার গবেষক সুপ্রকাশ রায় বলেছেন- বাংলার অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে আন্দোলনের প্রকৃত ছিল ইউরোপের আন্দোলনের থেকে অনেক ভিন্ন ও বিপরীতমুখী।
অধ্যাপক সুমিত সরকার, বাংলার নবজাগরণকে ইংরেজ নকলনবিশি বলে সমালােচনা করেছেন। বিনয় ঘােষের ধারণায় বাংলায় নবজাগরণ একটি অতিকথা মাত্র। তিনি এই নবজাগরণকে ঐতিহাসিক প্রতারণা (Historical hoax) বলে সমালােচনা করেছেন। তিনি বলেন যে, বাংলায় নবজাগরণ হয়নি, যা লেখা হয়েছে এখনও লেখা, তা অতিকথন মাত্র।
অশােক মিত্র বাংলার উনিশ শতকের জাগরণকে 'তথাকথিত নবজাগরণ' (So called Renaissance) বলে উল্লেখ করেছেন।
Class-10 February 2022 All Subject Model Activity Task Answers Links
You May also Like These….. | ||
Class-10 All Subject Answers Links | ||
- | - | |
Click Here to Download Class 10 History PDF |