Class 10 Bengali Model Activity Task February 2022 Part-2
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
দশম শ্রেণি বাংলা (প্রথম ভাষা)
পূর্ণমান :২০
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে : ১x৩=৩
১.১ ‘সুখী একজনে’ কবিতার ভাষান্তর করেছেন
(ক) শঙ্খ ঘােষ
(খ) মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
(গ) নবারুণ ভট্টাচার্য।
(ঘ) তাৰ্যকুসুম দত্তগুপ্ত
১.২ কবি পাবলাে নেরুদার জন্মস্থান
(ক) চিলি
(খ) পেরু।
(গ) ফ্রান্স
(ঘ) ইতালি
১.৩ ‘সে জানত না’ – উদ্ধৃতাংশে ‘সে’ বলতে বােঝানাে
হয়েছে গির্জার এক
(ক) সন্ন্যাসিনীকে
(খ) একটি শিশুকে
(গ) একজন সাধারণ নারীকে
(ঘ) ঈশ্বরকে
২. কম-বেশি ২০টি শব্দে উত্তর লেখাে :
১x৩=৩
২.১ ‘আমি তাকে ছেড়ে দিলাম’ – কথক কাকে ছেড়ে দিলেন?
উঃ- পারবো নেরুদা
‘অসুখী একজন’ কবিতায় কথক তার অপেক্ষায় অপেক্ষারত
মেয়েটিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা এখানে বলেছেন।
২.২ বছরগুলাে নেমে এল তার মাথার ওপর।
– বছরগুলাে কীভাবে নেমে এসেছিল ?
উঃ- অসুখী
একজন কবিতায় কথক যখন তার প্রিয়তমাকে ছেড়ে চলে আসেন তখন তার মাথার উপর বছরগুলো একের
পর এক পাথরের মত নেমে এলো।
২.৩ ‘তারপর যুদ্ধ এল’ – যুদ্ধ কীভাবে এসেছিল?
উঃ- কবি
পাবলো নেরুদার রচিত ‘অসুখী একজন কবিতায় রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতো যুদ্ধ এসেছিল।
প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দে উত্তর লেখাে : ৩x৩=৯
৩.১ ‘সেই মেয়েটির মৃত্যু হলাে না। – মেয়েটির মৃত্যু না হওয়ার
তাৎপর্য কী?
উঃ- এখানে
অসুখী একজন কবিতায় কথকের জন্য অপেক্ষারত মেয়েটির কথা বলা হয়েছে।
মেয়েটির মৃত্যু না হওয়া তাৎপর্যঃ- বিপ্লবের আদর্শে উদবুধ
মানুষের মধ্যে পা রেখে সংসার, প্রিয়জন সবকিছুকেই পিছনে ফেলে যায়। কিন্তু কঠোর বাস্তবকে
মেনে নিতে পারে না তার প্রিয়তমা মেয়েটি, প্রিয় মানুষটির জন্য তার অপেক্ষায চলতেই
থাকে। যুদ্ধে অজস্র ধ্বংস এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও মেয়েটির মৃত্যু ঘটে না। চিরজীবী
ভালোবাসার প্রতীক রূপেই মেয়েটি বেঁচে থাকে।
৩.২ ‘সমস্ত সমতলে ধরে গেল আগুন’ – তার ফলে কী ঘটল ?
উঃ- কবি
পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় আগ্নেয় পাহাড়ের মত যুদ্ধ আসার ফলে সমতলের
আগুন ধরে গেল। যুদ্ধের আগুন ধ্বংস ডেকে আনল। তার তীব্রতায় ভেঙে পড়ল মন্দির। টুকরো
টুকরো হয়ে গেল শান্ত হলুদ দেবতাদের পাথরের মূর্তি। পুড়ে গেল স্বপ্নের ঘর বাড়ি, সাধের
বাগান, গোলাপি গাছ । চিমনি আর প্রাচীন জলতরঙ্গ।
বলা যায় সবকিছু চুরমার হয়ে গেল, জ্বলে গেল আগুনে। যেখানে শহর ছিল সেখানে পড়ে রইল
কাঠ কয়লা,দোমড়ানো লোহা আর ভাঙ্গা পাথরের মূর্তির মাথা
৩.৩ ‘যেখানে ছিল শহর’ – সেখানে কী কী ছড়িয়ে রইল?
উঃ- কবি
পাবলো নেরুদার অসুখী একজন কবিতার শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। শান্ত-স্নিগ্ধ পরিবেশে
যুদ্ধ অস্থিরতা আর ধ্বংসকে বহন করে আনে। ঠিক তেমনি এক যুদ্ধে একটা শহর পুড়ে ছারখার
হয়ে গেল। চারিদিকে শুধু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রইল কাঠ-কয়লা, দোমড়ানো লোহা আর মৃত পাথরের
মূর্তি বীভৎ মাথা। এভাবেই যুদ্ধের তাণ্ডবের আস্ত একটা শহর ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছিল।
৪. কম-বেশি ১৫০ শব্দে নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
‘অসুখী একজন’ কবিতার নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে।
উঃ-
নামকরণের সার্থকতাঃ- নামকরণ এর মধ্য দিয়ে কোন সাহিত্যের ভাববস্তু বা মর্মার্থের পরিচয় পাওয়া যায়। কবিতাও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। এখানে পাঠ্য কবিতাটির অসুখী একজন নামকরণ তার অন্তর্নিহিত ব্যঞ্জনাকেই প্রকাশ করেছে। অসুখী একজন কবিতার কথক তার প্রিয়জনকে দরজায় অপেক্ষায় রেখে চলে যায় দূরে। প্রিয় মানুষটি ফিরে আসার প্রতীক্ষায় প্রহর গুনতে গুনতে দিনের-পর-দিন মাসের-পর-মাস এবং একসময় বছরের পর বছর অতিক্রান্ত হয়।
বিপ্লবী যে পথে তার স্বভূমি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন সেই পথে জন্মায় ঘাস।কবির স্মৃতি
চিরকালের জন্য বিবর্ণ হয়ে যায়। তারপর আসে ভয়ানক যুদ্ধ ধ্বংস হয়ে যায় সবকিছু। শুধু
মৃত্যু হয় না অপেক্ষারত মেয়েটির। এত বিপর্যয়ের পরও সে কবির প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে
থাকে। যুদ্ধ সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে কিন্তু স্বজন ও স্বদেশের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের
ফাটল ধরাতে পারে না। যুদ্ধের আগুনে ঘরবাড়ি পুড়ে, ছাই হয়ে যায় প্রাসাদ, উদ্যান সবকিছু।
কিন্তু ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জেগে থাকে ভালোবাসা। দীর্ঘ অপেক্ষা তার হৃদয় কে বেদনায়
ভারী করে রেখেছে বলে মেয়েটির অসুখী। আর এইজন্যই
কবিতার শিরোনাম ‘অসুখী একজন’ সার্থকতা লাভ করেছে।
