Class 10 Life Science February Model Activity Task 2022 Part-2

dream
0

Class 10  Life Science  February Model Activity Task 2022 Part-2

Class 10  Life Science  February 



মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক

দশম শ্রেণি

জীবনবিজ্ঞান

পূর্ণমান : ২০

১. প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ণ করে লেখাে :                                                                                    ১x৩=৩

১.১ দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্পর্কিত মস্তিষ্কের অংশটি শনাক্ত করাে —

(ক) গুরুমস্তিষ্ক

(খ) লঘুমস্তিষ্ক

(গ) সুষুম্নশীর্ষক

(ঘ) থ্যালামাস

উঃ- (খ) লঘুমস্তিষ্ক



১.২ নীচের যে জোড়টি সঠিক তা নির্বাচন করাে —

(ক) কবজা অস্থিসন্ধি – কঁধ।

(খ) রােটেটর পেশি – ট্রাইসেপস।

(গ) বল ও সকেট অস্থিসন্ধি – হাঁটু

(ঘ) ফ্লেক্সর পেশি — বাইসেপস

উঃ- (ঘ) ফ্লেক্সর পেশি — বাইসেপস



১.৩ মানবদেহে সুষুম্না স্নায়ুর সংখ্যা স্থির করাে –

(ক) ১১ জোড়া

(খ) ২১ জোড়া।

(গ) ৩১ জোড়া

 (ঘ) ৪১ জোড়া

উঃ- (গ) ৩১ জোড়া



২. শূন্যস্থান পূরণ করাে :                                              ১x৪=৪

 ২.১ লঘু মস্তিষ্কের গােলার্ধ দুটি ভারমিজ  দ্বারা যুক্ত থাকে।

উঃ- ভারমিজ



২.২ কর্নিয়া প্রতিসারক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।

উঃ-প্রতিসারক



২.৩ সাইকেল চালানাে অর্জিত বা অভ্যাসগত  প্রতিবর্ত ক্রিয়ার একটি উদাহরণ।

উঃ-অর্জিত বা অভ্যাসগত


২.৪ প্যারামেসিয়াম সিলিয়ার  সাহায্যে গমন করে।

উঃ- সিলিয়ার


৩. দুই-তিন বাক্যে উত্তর দাও : ২x৪=৮

৩.১ মাছের গমনে মায়ােটম পেশির ভূমিকা বিশ্লেষণ করাে।

উঃ- মাছের গমনে মায়ােটম পেশির ভূমিকাঃ মাছের নমনীয় মেরুদণ্ডের দু-পাশে লেজের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত অক্ষ বরাবর অসংখ্য ‘V আকৃতির মায়ােটোম পেশি বিস্তৃত থাকে। এই মায়ােটোম পেশিগুলির তরঙ্গায়িত সংকোচন মাছের দেহের অগ্রপ্রান্ত থেকে পশ্চাদপ্রান্ত পর্যন্ত প্রবাহিত হওয়ার ফলে মেরুদণ্ড দু-পাশে পর্যায়ক্রমে আন্দোলিত হয় এবং মাছ সামনের দিকে এগিয়ে যায়। পেশি যেদিকে সংকুচিত হয় মেরুদণ্ড সেদিকে বেঁকে যায়। ওই সময় বিপরীত দিকের পেশি প্রসারিত থাকে। মায়ােটোম পেশিগুলির পর্যায়ক্রমে সংকোচন ও প্রসারণের জন্য মেরুদণ্ডটিও পর্যায়ক্রমে দু-পাশে আন্দোলিত হতে থাকে, ফলে মাছ সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।

 



৩.২ সাইন্যাপসের কাজ ব্যাখ্যা করাে।

উঃ- সাইন্যাপস-এর কাজ : সাইন্যাপস স্নায়ুস্পন্দনকে এক নিউরােন থেকে অপর এক নিউরােনে প্রবাহিত করে। যখন পূর্ববর্তী নিউরােন থেকে স্নায়ুস্পন্দন ওই নিউরােনের অ্যাক্সনের শেষপ্রান্তে আসে তখন সাইন্যাপটিক ভেসিকলগুলি বিদীর্ণ হয়ে অ্যাসিটাইলকোলিন নিঃসৃত করে, যা স্নায়ুস্পন্দনকে পরবর্তী নিউরােনের ডেনড্রাইটের মধ্যে প্রবাহিত করে।



৩.৩ “কাছের বস্তু দেখার ক্ষেত্রে চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্যের পরিমার্জন ঘটে” – বক্তব্যটির যথার্থতা ব্যাখ্যা

করাে।

উঃ- i) 6 মিটার বা 20 ফুটের কাছের বস্তু দেখার জন্য চোখে সর্বাধিক টেনশন সৃষ্টি হয়।

ii) এই অবস্থায় সিলিয়ারি পেশি (বৃত্তাকার পেশি) সংকুচিত হয় এবং কোরয়েড স্তরকে সামনের দিকে টেনে আনে।

iii) এর ফলে সাসপেনসারি লিগামেন্ট আলগা হয় এবং লেন্সের বক্রতা বেড়ে যায় ফাক লেন্স বেশি উত্তল হয়।

iv) অ্যাকুয়াস হিউমরের দিকে লেন্সের এই রূপ বক্রতা  বেড়ে যাওয়ায়  লেন্সের প্রতিসরণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য কমে যায় ও চোখ কাছের বস্তুকে দেখার জন্য অভিযোজিত হয়।


৩.৪ মায়ােপিয়ার কারণ ও প্রয়ােজনীয় সংশােধনী ব্যবস্থা আলােচনা করাে।

মায়ােপিয়া কারণ:- যে দৃষ্টিতে দূরের দৃষ্টি ব্যাহত হয় কিন্তু নিকটের দৃষ্টি ঠিক থাকে তাকে মায়োপিয়া বা নিকট দৃষ্টি বলে। চক্ষু গোলকের ব্যাস স্বাভাবিকের তুলনায় বর্ধিত হওয়ার ফলে বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার সামনে পড়ে ফলে দূরের বস্তু দেখা যায় না। এভাবে মায়োপিয়ার সৃষ্টি হয়।

সংশোধনী ব্যবস্থাঃ- অবতল লেন্স যুক্ত চশমা ব্যবহার করে এর সংশোধনী করা যায়।



৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :

৪.১ “নানা কারণে জীবের গমন ঘটে” – কারণগুলি আলােচনা করাে। হরমােন ও স্নায়ুতন্ত্রের দুটি পার্থক্য উল্লেখ করাে।                                                                                                ৩+২=৫

গমনের কারণঃ- প্রাণীদের গমনের প্রধান কারণ গুলি হল—

i)খাদ্য অন্বেষণ: প্রাণীরা খাদ্য অন্বেষণের জন্য স্থানান্তরে গমন করে।

(ii) খাদক প্রাণী থেকে আত্মরক্ষা: কোনাে খাদক প্রাণী কর্তৃক আক্রান্ত হলে শিকার প্রাণীটি নিজেকে রক্ষার জন্য উক্ত স্থান থেকে পলায়ন করে। অর্থাৎ প্রাণীদের আত্মরক্ষার জন্য গমন করতে হয়।

(iii) ছড়িয়ে পড়াঃ একটি প্রাণী অনেকগুলি শাবকের জন্ম দিলে শাবকগুলি বড়াে হয়ে খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।

(iv) আশ্রয় বা বাসস্থান খোজা:- প্রাণীরা তাদের পছন্দমতাে ও নতুন আশ্রয়ের সন্ধানে স্থানান্তরে গমন করে।

(v) প্রজননঃ প্রজনন অর্থাৎবংশবিস্তারের উদ্দেশ্যে প্রাণীদের গমনের প্রয়ােজন হয়। উপযুক্ত সঙ্গী বা সঙ্গিনী খোঁজা, পুরুষ ও স্ত্রী প্রাণীদের যৌন মিলনের জন্য পরস্পর কাছে আসার জন্য গমনের প্রয়ােজন হয়।

(vi) নতুন এবং অনুকূল পরিবেশের সন্ধানঃ অনুকূল পরিবেশের সন্ধানে প্রাণীদের গমন হয়।

 

 

 

 

 

হরমােন ও স্নায়ুতন্ত্রের দুটি পার্থক্য হল-

 

হরমােন

স্নায়ুতন্ত্রের

হরমোন জীবদেহে রাসায়নিক সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করে।

স্নায়ুতন্ত্র জীবদেহে ভৌত সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করে ।

হরমোনের কাজ মন্থর কিন্তু সুদুরপ্রসারী

স্নায়ুতন্ত্রের কাজ দ্রুত কিন্তু তৎক্ষণাৎ

হরমোন ক্রিয়ার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়

ক্রিয়ার পর স্নায়ুতন্ত্রের কোন গঠন বা কার্যগত পরিবর্তন হয়না

 

 

 


Class 10 All Subject Answers Links

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top