ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা ১৫০০ থেকে ৬০০ অব্দ

0

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা ১৫০০ থেকে ৬০০ অব্দ

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর

প্রিয় বন্ধুরা 

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা ১৫০০ থেকে ৬০০ অব্দ আজকে আলোচনা করব|তোমরা West Bengal Class 6 History পেয়ে যাবে|ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|West Bengal Class Six|Class 6 History Question and Answer|Class 6 History 3rd chapter Sugges -tion WBBSE| Class 6 History 3rd chapter Notes WBBSE|Class 6 History 2 marks Question and Answer|ইতহাস প্রশ্নোত্তর|ইতিহাস মক টেস্ট|itihas proshno o uttor|History Mock Test|


এছাড়াও তোমরা পাবে ষষ্ঠ শ্রেণী তৃতীয় অধ্যায় ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা ১৫০০ থেকে ৬০০ অব্দ থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ, Very Short Question, Short Questions, Descriptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের VI History Examin -ation এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই ২ নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস (তৃতীয় অধ্যায় ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা) ২ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।


ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা ১৫০০ থেকে ৬০০ অব্দ

১. আর্য কারা ?

উত্তর :- আর্য কারা এ নিয়ে নানা মত আছে। একটি মত অনুযায়ী যারা আর্য ভাষায় কথা বলত তারা আর্য অন্যমত অনুযায়ী, খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে ভারতে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে যে-জাতি ভারতে প্রবেশ করেছিল, তারা আর্য।

 

২. রামায়ণের বিষয়বস্তু কী ?

উত্তর :- ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী রামায়ণ হল প্রজাবৎসল রাম, দস্যু রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ করে কীভাবে স্ত্রী সীতাকে উদ্ধার করেছিলেন তার কাহিনি। ইতিহাসের দিক থেকে আর্য সভ্যতার দক্ষিণ ভারতের বিস্তৃতি এবং আর্য ও অনার্যদের সংঘাত রামায়ণে বর্ণিত হয়েছে।

 

৩. রামায়ণে রাবণকে দশ মাথাওয়ালা রাক্ষস বলা হয়েছে কেন ?

উত্তর :- রামায়ণে রাবণ একজন অনার্য এবং যুদ্ধে পরাজিত রাজা। তাই রাবণকে ছোটো করে দেখানোর জন্য তাকে দশমাথাওয়ালা দস্যু বা রাক্ষস হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

 

৪. ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষায় কথা বলা মানুষ কোথায় বাস করত বলে বেশিরভাগ ঐতিহাসিক মনে করেন ?

উত্তর :- বেশিরভাগ ঐতিহাসিক মনে করেন যে, প্রথমে ইন্দোইউরোপীয় ভাষায় কথা বলা মানুষ তৃণভূমি এলাকায় যাযাবর হিসেবে বাস করত, পরে তারা ইরানে ও ভারতে বাস করতে থাকে।

 

৫. ইন্দো-ইরানীয় পরিবারের সদস্য কোন ভাষা ?

উত্তর :- ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের সদস্য হল ইন্দোইরানীয় ভাষা।

 

৬. বৈদিক সভ্যতা নাম হয় কেন ?

উত্তর :- বেদ ভিত্তিক বা বৈদিক সাহিত্য থেকে ইন্দো-আর্যদের বসতি ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানা যায়, তাই এই সভ্যতার নাম বৈদিক সভ্যতা।

 

৭. বৈদিক সাহিত্যের ক-টি ভাগ ? কী কী ?

উত্তর :- বৈদিক সাহিত্যের চারটি ভাগ সংহিতা, ব্রাক্ষ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদ।

 

৮ . কোন সময়কে আদি বৈদিক যুগ বলে ধরা হয় ?

উত্তর :- খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ১০০০ অব্দকে আদি বৈদিক যুগ বলে ধরা হয়।

 

৯. ঋগবেদের ভূগোল থেকে কী জানা যায় ?

উত্তর :- ঋগবেদের ভূগোল থেকে আদি বৈদিক সভ্যতা কোন ভৌগোলিক পরিবেশে এবং এলাকায় ছড়িয়ে ছিল তা বোঝা যায়।

 

১০. ধূসর মাটির পাত্র কী?

উত্তর :-পরবর্তী বৈদিক যুগে একরকমের মাটির পাত্র বানানো হত, যেগুলির রং ধূসর। এগুলি তাই ধূসর মাটির পাত্র নামে পরিচিত।

 

১১. ঋগবেদে গ্রাম বলতে কী বোঝায় ?

উত্তর :- ঋগবেদে গ্রাম বলতে কেবলমাত্র গ্রামীণ বসতি নয়, ছোটো জনসমষ্টিকেও বোঝাত।

 

১২. রাজ্য কী? পরবর্তী বৈদিক যুগে এগুলির নাম কীভাবে দেওয়া হতে থাকে ?

উত্তর :- রাজা যে-এলাকা শাসন করত তাকে বলা হত রাজ্য। পরবর্তী বৈদিক যুগে উপজাতি বা গোষ্ঠীর নামে রাজ্যের নাম হতে থাকে।

 

১৩. বৈদিক যুগে রাজা ও প্রজার মধ্যে সম্পর্কের শর্ত কী ছিল ?

উত্তর :- রাজা প্রজাদের সমস্যা মেটাতেন। তার বিনিময়ে প্রজারা রাজাকে মেনে চলত।

 

১৪. বৈদিক সমাজে কোন্ কোন্ খেলা জনপ্রিয় ছিল ?

উত্তর :- বৈদিক যুগে পাশা খেলা বেশ জনপ্রিয় ছিল। রথ চালনা ও ঘোড়ার দৌড় মানুষের মনোরঞ্জন করত।

 

১৫. প্রাচীনকালে রাজারা কী কী যজ্ঞ করতেন?

উত্তর :- প্রাচীনকালে রাজারা অশ্বমেধ যজ্ঞ, বাজপেয় যজ্ঞ, রাজসূয় যজ্ঞ করতেন।

 

১৬. রত্নিন কাদের বলা হত ?

উত্তর:- বৈদিক যুগে শাসনের কাজে রাজাকে যারা পরামর্শ দিতেন, তাদের রত্নিন বলা হত।

 

 

১৭. আদি বৈদিক সমাজে গবাদি পশুর গুরুত্ব কেমন ছিল ?

উত্তর :-আদি বৈদিক সমাজে গবাদি পশুই ছিল প্রধান সম্পদ। যার গবাদি পশু বেশি ছিল তিনি ধনী বলে পরিচিত হতেন।

 

১৮. ঋগবেদ থেকে চামড়ার শিল্প সম্পর্কে কী জানা যায় ?

উত্তর :- ঋগবেদ থেকে জানা যায় যে, চামড়া দিয়ে থলি, ঘোড়ার লাগাম প্রভৃতি বানানো হত।

 

১৯. গঙ্গা অববাহিকায় চাষের জমি কীভাবে তৈরি করা হত ?

উত্তর :- গঙ্গা অববাহিকায় কৃষিকাজ করার জন্য জঙ্গল পুড়িয়ে, জমি পরিষ্কার করে কৃষি জমিতে পরিণত করা হত।

 

২০. বিদথ কী ?

উত্তর :- ঋকবৈদিক যুগে একটি সমিতি বা প্রতিষ্ঠান ছিল বিদথ। এখানে রাজা ও বিশের সদস্যরা যুদ্ধ করা ও যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে আলোচনা করত।

 

২১. পরবর্তী বৈদিক যুগে রাজা কী কী নামে পরিচিত হন ?

উত্তর :- ভূপতি অর্থাৎ জমির মালিক, মহীপতি অর্থাৎ পৃথিবীর রাজা, নৃপতি অর্থাৎ মানুষের রক্ষাকারী নামে রাজা পরিচিত হয়।

 

২২. পরবর্তী বৈদিক যুগে রাজ্য চালানোর জন্য কী কী প্রয়োজন ছিল বলে মনে করা হত ?

উত্তর :- পরবর্তী বৈদিক যুগে রাজ্য চালানোর জন্য একটি প্রভাবাধীন ভৌগোলিক এলাকা, একজন শাসক বা রাজা, প্রজা, রাজকর্মচারী ও সেনাবাহিনী।

 

২৩. বৈদিক যুগে কীসের মাধ্যমে ব্যাবসাবাণিজ্য চলত ?

উত্তর :- বৈদিক যুগে জিনিসপত্র বিনিময় করা হত। এ যুগে মুদ্রার ব্যবহার ছিল বলে মনে হয় না। যদিও ‘নিষ্ক’ বা শতমান মুদ্রার মতোই ব্যবহার করা হত।

 

২৪. বৈদিক সমাজে পরিবারের প্রধান কে হতেন?

উত্তর :- বৈদিক যুগের সমাজ ছিল পিতৃতান্ত্রিক। পরিবার বা সমাজে পিতা বা বাবাই ছিলেন প্রধান।

 

২৫. ঋগবেদের সমাজে ভেদাভেদ কেমন ছিল ?

উত্তর :- ঋগবেদের সমাজে ভেদাভেদ ছিল। তবে এই ভেদাভেদ বর্ণপ্রথা দিয়ে বিচার করা হত না।

 

২৬. বৈদিক যুগে ব্রাহ্রণ ও ক্ষত্রিয়দের কাজ কী ছিল ?

উত্তর :- বৈদিক যুগে ব্রাক্ষ্মণরা পুজো, যজ্ঞ, বেদ পাঠ এবং শিক্ষকতার কাজ করতেন। আর ক্ষত্রিয়দের কাজ ছিল যুদ্ধ করা ও সম্পদ লুঠ করা। এরা রাজা ও শাসকের দায়িত্বও পালন করতেন।

 

২৭. পরবর্তী বৈদিক যুগে শূদ্রদের কী অবস্থা হয়েছিল ?

উত্তর :- প্রবর্তী বৈদিক যুগে সবথেকে খারাপ অবস্থা হয়েছিল শূদ্রদের। তারা সামাজিক কোনো সুযোগসুবিধা পেত না।

 

২৮.সভা ও সমিতি কী ?

উত্তর :- পরবর্তী বৈদিক যুগে বয়স্ক ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত পরামর্শ পরিষদ ছিল সভা। আর সাধারণ মানুষদের নিয়ে তৈরি হত সমিতি।

 

২৯. ঋকবৈদিক পরবর্তী বৈদিক যুগে কৃষির গুরুত্বের কী পরিবর্তন হয়েছিল ?

উত্তর :- ঋকবৈদিক যুগে কৃষির প্রসঙ্গ ছিল ঠিকই, তবে পরবর্তী বৈদিক যুগে কৃষির গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল।

 

৩০. ঋকবৈদিক যুগে কাষ্ঠশিল্পের কী পরিচয় জানা যায় ?

উত্তর :- ঋকবৈদিক যুগে কাষ্ঠশিল্প হিসেবে কাঠের আসবাবপত্র, বাড়িঘর, রথ তৈরির কথা জানা যায়।

 

৩১. ঋকবৈদিক যুগে ব্যাবসা বাণিজ্য কেমন ছিল ?

উত্তর :- ঋকবৈদিক যুগে ব্যাবসা বাণিজ্য সেভাবে উন্নতিলাভ করেনি। ঋকবেদে ব্যাবসাবাণিজ্যের উল্লেখ সেভাবে নেই।

 

৩২.‘গোত্র’কী ?

উত্তর :- বৈদিক যুগে গবাদি পশু রাখার জায়গাকে বলা হত ‘গোত্র’। পরে ‘গোত্র ও উত্তরাধিকারী এক হয়ে যায়। জাতিভেদপ্রথার ক্ষেত্রে গোত্রের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

 

৩৩. বৈদিক সমাজে কোন্ কাজে মেয়েরা যোগ দিত না ?

উত্তর :- বৈদিক সমাজে যুদ্ধ বা ‘সভা’ ও ‘সমিতি’র কাজে মেয়েরা যোগ দিত না। সভায় অংশ নিতে পারত বয়স্ক ব্যক্তিরা এবং সমিতিতে জনসাধারণ অংশ নিত।

 

৩৪. বৈদিক যুগের মানুষ কী ধরনের খাবার খেতেন ?

উত্তর :- বৈদিক যুগের মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য ছিল গম, যব ও ধান। তারা মাংসও খেত।

 

৩৫. বৈদিক যুগের ছাত্ররা কীভাবে মনে রাখত ?

উত্তর :- বৈদিক যুগে গুরু একটা অংশ পড়ে তার মানে বুঝিয়ে দিতেন, ছাত্ররা তা পুরোটা শুনে আবৃত্তি করে মনে রাখত।

 

৩৬. উপনয়ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে কী করা হত ?

উত্তর :- উপনয়ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে গুরু সেই ছাত্রকে শিষ্য হিসেবে মেনে নিতেন।

 

৩৭. বৈদিক যুগে শিক্ষার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হত ?

উত্তর :- বৈদিক যুগে বেদ পাঠ, গণিত, ব্যাকরণ ও ভাষা শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হত। তা ছাড়া হাতেকলমে অনেক কিছু সে যুগের ছাত্রদের শিখতে হত।

 

৩৮.‘স্নাতক’ কাদের বলা হত ?

উত্তর :- বৈদিক যুগে ছাত্ররা সাধারণত বারো বছর ধরে শিক্ষা গ্রহণ করত এবং বারো বছরের পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর ‘সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ছাত্রদের ‘স্নাতক বলে অভিহিত করা হত।

 

৩৯. বৈদিক যুগে কীভাবে গুরুদক্ষিণা দেওয়া হত ?

উত্তর :- বৈদিক যুগে ছাত্ররা স্নাতক হওয়ার পর গুরুগৃহ ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে ছাত্ররা তাদের সাধ্যমতো গুরুদক্ষিণা দিত। গুরুদক্ষিণা হিসেবে গোরু দান করার কথা জানা যায়।

 

৪০. ভারতীয় উপমহাদেশের কোন কোন অংশে বৈদিক সভ্যতা ছড়িয়ে পড়েনি?"

উত্তর :- ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণাংশে বৈদিক সভ্যতা ছড়িয়ে পড়েনি।

 

৪১. পশ্চিমবঙ্গের মহিষাদলে কোন সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া গেছে ?

উত্তর :- বৈদিক যুগে গড়ে ওঠা অন্যান্য সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া গেছে পশ্চিমবঙ্গের মহিষাদলে।


আরও পড়ুন......



File Details

 

File Name/Book Name

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

86 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File


Join Telegram... Members

 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top