ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহা সপ্তম অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতিচর্চার নানা দিক

0

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহা সপ্তম অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতিচর্চার নানা দিক

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহা সপ্তম অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর

প্রিয় বন্ধুরা 

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহা সপ্তম অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতিচর্চার নানা দিক আজকে আলোচনা করব|তোমরা West Bengal Class 6 History পেয়ে যাবে|ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|West Bengal Class Six|Class 6 History Question and Answer|Class 6 History 7th chapter Sugges -tion WBBSE|Class 6 History 7th chapter Notes WBBSE|Class 6 History 2 marks Question and Answer|ইতহাস প্রশ্নোত্তর|ইতিহাস মক টেস্ট|itihas proshno o uttor| History Mock Test|


এছাড়াও তোমরা পাবে ষষ্ঠ শ্রেণী সপ্তম অধ্যায় প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতিচর্চার নানা দিক থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ, Very Short Question, Short Questions,  Descriptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের VI History Examin -ation এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই ২ নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস (সপ্তম অধ্যায় প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতিচর্চার নানা দিক) ২ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।


ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহা সপ্তম অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতিচর্চার নানা দিক

১. গুরুকুল ব্যবস্থা কাকে বলে ?

উত্তর :- বৈদিক যুগে ছাত্রকে গুরুর গৃহে গিয়ে পড়াশোনা করতে হত। গুরু-শিষ্য সম্পর্ককেন্দ্রিক এই শিক্ষাব্যবস্থাকে বলা হয় গুরুকুল ব্যবস্থা।

 

২. আচার্য কাকে বলে ?

উত্তর :- বৈদিক যুগে যে-গৃহে শিক্ষকের থেকে ছাত্র বিনা বেতনে শিক্ষালাভ করত সেই শিক্ষককে আচার্য বলা হত।

 

৩. উপাধ্যায় কাকে বলে ?

উত্তর :-  বৈদিক যুগে যে-শিক্ষক ছাত্রের কাছ থেকে বেতন নিয়ে একটি নির্দিষ্ট বিষয় পড়াতেন তাকে উপাধ্যায় বলা হত।

 

৪. মহাবিহার কাকে বলা হত ?

উত্তর :-  কিছু কিছু বৌদ্ধবিহারকে মহাবিহার বলা হত। সেখানে দেশ-বিদেশ থেকে ছাত্ররা পড়তে আসত।

 

৫.‘বিদ্যারম্ভ’ কী ?

উত্তর :-  গুপ্ত যুগের পরবর্তীকালে একটি শিশুর ৫ বছর বয়সে হাতেখড়ির মাধ্যমে অক্ষর পরিচয়ের অনুষ্ঠান হত। একেই বলা হয় বিদ্যারম্ভ।

 

৬. কাদের লেখা থেকে মোগলমারি বৌদ্ধবিহারের কথা জানা যায় ?

উত্তর :-  ফাসিয়ান ও সুয়ান জাং-এর লেখা থেকে মোগলমারি বৌদ্ধবিহারের কথা জানা যায়।

 

৭.দেবনাগরী লিপি কী ?

উত্তর :-  ব্রাত্মীলিপি থেকে দেবনাগরী লিপির সৃষ্টি হয়। ধর্মীয় কাজে বা দেবতার কাজে নগরের ব্রাত্মণরা ওই লিপির ব্যবহার করতেন। তাই তার নাম দেবনাগরী লিপি।

 

৮. প্রাচীন ভারতের দুটি মহাকাব্যের নাম লেখো।

উত্তর :-  প্রাচীন ভারতের দুটি মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারত।

 

৯. মহাভারতকে পঞ্চমবেদ বলা হয়েছে কেন ?

উত্তর :-  প্রাচীন ভারতের ঋষিরা বলতেন যে, মহাভারতের চর্চা করলে বেদচর্চার মতোই সুফল হবে। তাই মহাভারতকে বলা হয় পঞ্চমবেদ।

 

১০. প্রাচীন ভারতের চিকিৎসা বিষয়ক দুটি গ্রন্থের নাম লেখো।

উত্তর :-  প্রাচীন ভারতের চিকিৎসা বিষয়ক দুটি গ্রন্থের নাম চরক সংহিতা ও শুশ্রত সংহিতা।

 

১১. চিকিৎসাশাস্ত্রকে উপবেদ বলা হত কেন ?

উত্তর :- প্রাচীন ভারতের সমাজে চিকিৎসার গুরুত্ব এতটাই বেশি ছিল যে, চিকিৎসাশাস্ত্রকে উপবেদ বলা হত।

 

১২. তামিল সাহিত্যে দুটি মহাকাব্যের নাম কী ?

উত্তর :-  শিলপ্পাদিকারম ও মণিমেখলাই।

 

১৩. গুহাবাস কাকে বলে ?

উত্তর :-  অশোক ও তাঁর পরবর্তী মৌর্য সম্রাটরা আজীবিকদের জন্য পাহাড় কেটে কৃত্রিম গুহা বানাত। সেই গুহাগুলির ভিতরে সন্ন্যাসীরা থাকতেন বলে তাকেই গুহাবাস বলা হত।

 

১৪.  স্তূপ কী ? একটি উদাহরণ দাও।

উত্তর :-  গৌতম বুদ্ধ ও মহাবীরের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলিতে ইট ও পাথর দিয়ে নির্মিত স্থাপত্যকেই বলা হয় তূপ। একটি স্কুপের উদাহরণ হল সাঁচি স্তূপ।

 

১৫.‘চৈত্য কী ? এর একটি উদাহরণ দাও।

উত্তর :- বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কৃত্রিম গুহাগুলিকে বলা হয় চৈত্য। যেমন-নাগার্জুনী পাহাড়ের চৈত্য।

 

১৬. গন্ধার শিল্পের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তর :-  গন্ধার শিল্পের একাধিক বৈশিষ্ট্য ছিল। তার মধ্যে অন্যতম দুটি বৈশিষ্ট্য হল : (ক) এই শিল্পরীতিতে গৌতম বুদ্ধের মূর্তিগুলি নির্মিত হয়েছিল গ্রিক, রোমান ও ভারতীয় শিল্পরীতির সংমিশ্রণে। (খ) এই শিল্পের বিষয়বস্তু ছিল বৌদ্ধধর্ম তথা বুদ্ধের মূর্তি।

 

১৭. মথুরা শিল্পের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তর :-  মথুরা শিল্পের বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে অন্যতম হল: (ক) এই শিল্পরীতি ছিল সম্পূর্ণ ভারতীয়। (খ) এই শিল্পরীতিতে বুদ্ধমূর্তি বা ভারতীয় দেবদেবীর অবয়বগুলি বিশালাকারে তৈরি হত।

 

১৮. পল্লব শিল্পের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তর :- পল্পব শিল্পের বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে অন্যতম হল: (ক) মহেন্দ্ররীতি—এই রীতিতে মন্দিরগুলি তৈরি হত। একটি মাত্র পাহাড় কেটে। (খ) মহামল্ল রীতি—এই রীতিতে মন্দিরগুলি তৈরি হত রথের আদলে।

 

১৯. গন্ধার শিল্প বলতে কী বোঝো ?

উত্তর :- কুষাণ যুগে গ্রিক, রোম ও ভারতীয় শিল্পরীতির সংমিশ্রণে এক নতুন ভাস্কর্য শিল্পরীতির জন্ম হয়। এই শিল্প গড়ে ওঠে গন্ধার অঞ্চলকে কেন্দ্র করে। এজন্য এই নতুন শিল্প তথা শিল্পরীতিকে বলা হয় গন্ধার শিল্প।

 

২০. নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়টি কোন রাজাদের (বা কার) আমলে গড়ে ওঠে ? এখানে কী কী পড়ানো হত ?

উত্তর :- নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়টি গুপ্ত রাজাদের আমলে গড়ে ওঠে। এখানে বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হত, যেমন- ব্যাকরণ, ধর্মশাস্ত্র, অর্থশাস্ত্র, চিকিৎসাশাস্ত্র ইত্যাদি।

 

২১. তোরণ কাকে বলে ?

উত্তর :- তূপের চারদিকে চারটি বড়ো বড়ো দরজা থাকত। সেগুলিকে বলা হয় তোরণ।

 

২২. বিহার বা সংঘারাম কেন তৈরি করা হত ?

উত্তর :- বৌদ্ধ ভিক্ষুদের থাকার ও পড়াশোনার জন্যই বিহারগুলি তৈরি হত। এগুলি ছিল গুহার সমষ্টি। গুহাবাস হিসেবেও ব্যবহার করা হত।

 

২৩. কোন সময় এবং কেন সমাজে বৈশ্যদের মর্যাদা বাড়ে ?

উত্তর :- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ব্যাবসাবাণিজ্যের প্রসার ঘটলে বৈশ্যরা ধনী হয়ে ওঠে। সে কারণেই সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।

 

২৪. প্রাচীন ভারতে চিকিৎসাশাস্ত্রকে উপবেদ বলা হত কেন ?

উত্তর :- কুষাণ যুগে ভারতীয় সমাজে চিকিৎসার ব্যাপক প্রসার ঘটে। একাধিক চিকিৎসাশাস্ত্র লেখা হয়। এর ফলে বেদ-এর মতো চিকিৎসাশাস্ত্রের মর্যাদা ও গুরুত্ব বাড়ে। সে জন্য চিকিৎসাশাস্ত্রকে তখন বলা হত ‘উপবেদ।

 

২৫. গুপ্ত যুগে ধাতু শিল্প খুব উন্নত ছিল। এর পক্ষে তোমার মত কী ?

উত্তর :-  গুপ্ত যুগে ধাতুশিল্প যে-খুব উন্নত ছিল, তার সাক্ষ্য বহন করে সেযুগে নির্মিত মেহরৌলি স্তম্ভ। এটি লোহা দিয়ে তৈরি। এখনও এটি দিল্লির কুতুবমিনারের পাশে অক্ষত অবস্থায় আছে। তাতে এখনও মরচে ধরেনি। এটিই প্রমাণ করে সেযুগে ধাতু শিল্প কতটা উন্নত ছিল।

 

২৬. প্রাচীন ভারতে স্থাপত্য কর্মগুলি কী কারণে তৈরি করা হত ? অথবা, এর উদ্দেশ্য কী ছিল ?

উত্তর :-  প্রাচীন ভারতে অসংখ্য স্থাপত্য গড়ে উঠেছিল। ভারতের নানা স্থানে এর অজস্র উদাহরণ রয়েছে। আসলে এগুলি নির্মাণের মধ্যদিয়ে শাসকরা তাঁদের ক্ষমতা ও কৃতিত্ব জাহির করতেন। এ ছাড়া ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের জন্য অথবা, কোনো ক্ষেত্রে জনকল্যাণের জন্যও শাসকরা এরূপ স্থাপত্য নির্মাণ করতেন।

 

২৭. ‘সপ্ত প্যাগোডা’ কী ?

উত্তর :-  দক্ষিণ ভারতের মহাবলিপুরমে পল্লব রাজারা পাহাড় কেটে রথের আদলে ৭টি মন্দির নির্মাণ করেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- পঞ্চপাণ্ডব রথ, দ্রৌপদী রথ। এই মন্দিরগুলিকেই একত্রে বলা হয় সপ্ত প্যাগোডা।

 

২৮. গুপ্ত যুগের দুটি চৈত্যগুহার নাম লেখো।

উত্তর :-  গুপ্তযুগের দুটি উল্লেখযোগ্য চৈত্যগুহা হল অজন্তা ও ইলোরা।



আরও পড়ুন......



File Details

 

File Name/Book Name

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস নবম অধ্যায় ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

51 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File


Join Telegram... Members


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top