ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস ইতিহাসের ধারণা|৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
প্রিয় বন্ধুরা
ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস ইতিহাসের ধারণা|৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর |আজকে আলোচনা করব|তোমরা West Bengal Class 6 History পেয়ে যাবে|ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|West Bengal Class Six|Class 6 History Question and Answer|Class 6 History itihaser dharona Suggestion WBBSE|Class 6 History Notes WBBSE|Class 6 History 5 marks Ques -tion and Answer|ইতহাস প্রশ্নোত্তর| ইতিহাস মক টেস্ট| itihas proshno o uttor |History Mock Test|
এছাড়াও তোমরা পাবে ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাসের ধারণা থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ, Very Short Question, Short Ques -tions, Descriptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের VI History Examination এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই ৫ নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস (ইতিহাসের ধারণা) ৫ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।
ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস ইতিহাসের ধারণা|৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
১. ইতিহাসে নানা রকম সাল-তারিখের ব্যবহার দেখা যায় কেন ?
উত্তর :- আমরা পুরোনো
দিনের কথা সহজে জানতে পারি মানুষ লিখতে শেখার পর থেকে। আমাদের মনে যে সকল প্রশ্ন দেখা
দিয়েছিল তার উত্তর মেলে সহজে, পূর্বে সময়কে অনুমান করে নিতে হত। এখন সময়ের হিসাব
করা সহজ হলেও কিন্তু সমস্যা হল নানা রকম সাল-তারিখ বা অব্দ গণনাকে কেন্দ্র করে। ইতিহাসে
নানা রকম অব্দের ব্যবহার শুরু হলে সমস্যা আরও জটিল হয়ে পড়ে। সেসময় কনিষ্কাব্দ, গুপ্তাব্দ,
হর্ষাব্দ ইত্যাদি চালু ছিল। আসলে এই অব্দগুলি প্রচলিত হয়েছে রাজাদের বড়ো কোনো ঘটনা
বা সিংহাসনে আরোহণকাল সম্বন্ধীয় বিষয়কে কেন্দ্র করে। ভারতবর্ষের অনেক রাজা তাদের
সিংহাসনে বসার দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য নানা রকমের সাল-তারিখ ব্যবহার করেন। যেমন-
কুষাণ সম্রাট কনিষ্ক সিংহাসনে বসে কনিষ্কাব্দ বা শকাব্দ চালু করেন। গুপ্ত সম্রাট প্রথম
চন্দ্রগুপ্ত গুপ্তাব্দ, হর্ষবর্ধন হর্ষাব্দ চালু করেন। ভারতের বাইরেও সাল-তারিখের ব্যবহার
চোখে পড়ে। যেমন- খ্রিস্টাব্দ, জিশু খ্রিস্টের জন্মের সময়কালকে ধরে যে-অব্দ বা সাল
গণনা হয় তাকে খ্রিস্টাব্দ বলে। সারা বিশ্বে খ্রিস্টাব্দের মাধ্যমে সাল-তারিখের হিসাব
করা হয়। আবার অনেক দেশে জিশুর জন্মের আগের সময়কাল বিসি বা খ্রিস্টপূর্বাব্দ ব্যবহার
করে।
২. আমরা ইতিহাস পড়ি কেন ?
উত্তর:- মানুষের জন্মলগ্ন
থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের জীবনযাত্রার বিবরণকে ইতিহাস বলে। অতীতের বিভিন্ন বিষয় জানতে,
বর্তমানকে বুঝতে এবং ভবিষ্যতের কাজ ঠিক পথে পরিচালিত করতে আমরা ইতিহাস পড়ি।
ইতিহাস
পড়ার কারণগুলি হল —
(ক) মানুষের উৎপত্তি :- বর্তমান মানব প্রজাতির উৎপত্তি হয়েছে প্রায় দু-লক্ষ
বছর আগে। প্রায় ২৬ লক্ষ বছর আগে আদিম মানব প্রজাতির জন্ম হয়। এই প্রজাতির সম্বন্ধে
জানতে আমাদের ইতিহাস পড়া দরকার।
(খ) জীবনযুদ্ধ :- আদিম যুগের মানুষদের বেঁচে থাকতে হয়েছে। যেমন—ভূমিকম্প, ঝড়বৃষ্টি, তুষারপাত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বজ্রপাত এবং হিংস্র প্রাণীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে। এসব জানতে গেলে ইতিহাস পড়তে হবে।
(গ) সভ্যতার পথে অগ্রসর :- আদিম মানুষ ছিল পশুর মতো। তারা সেই অবস্থা থেকে
কীভাবে সভ্যতার পথে অগ্রসর হয়েছে তা জানার জন্য ইতিহাস পড়া প্রয়োজন।
৩. প্রাচীন ভারতে ইতিহাস রচনার উপাদান গুলির বিবরণ দাও।
উত্তর:- ইতিহাস লেখার
জন্য যে-সকল প্রমাণপত্র লাগে তাকে ইতিহাসের উপাদান বলে।
ইতিহাসের উপাদানগুলি
মূলত লিখিত এবং অলিখিত উপাদানে ভাগ করা যায়।
●লিখিত উপাদান :- লিখিত উপাদানগুলি হল
ক) দেশি,
খ) বৈদেশিক।
(ক) দেশি
:- দেশীয়
সাহিত্যকে আবার ধর্মনিরপেক্ষ সাহিত্য ও ধর্মভিত্তিক সাহিত্য প্রভৃতি ভাগে ভাগ করা যায়।
(খ) বৈদেশিক:- গ্রিক, রোমান ও চৈনিক। এ ছাড়া লিখিত উপাদান হল— পাথরের গায়ে বা তামার পাতে
লেখা সরকারি নির্দেশ, রাজার লেখ বা প্রশস্তি, পশুচামড়া ও গাছের ছালে লেখা বিভিন্ন
পুথি।
●অলিখিত উপাদান :-মাটি খুঁড়ে পাওয়া বিভিন্ন নিদর্শন হল অলিখিত বা প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান। এগুলি চার ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-
(ক) স্থাপত্য-ভাস্কর্য,
(খ) লেখ,
(গ) মুদ্রা ও
(ঘ) ধ্বংসাবশেষ।
এ ছাড়া প্রাচীন যুগের হাতিয়ার, যন্ত্রপাতি, চিত্রকলা, সমাধি প্রভৃতি
হল অলিখিত উপাদান।
৪. ইতিহাস রচনায় প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলি লেখো।
উত্তর :- মাটি খুঁড়ে
যে-সকল নিদর্শন পাওয়া যায় তাকে ইতিহাসের প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান বলে। প্রত্নতত্ত্ব’ কথাটির অর্থ হল অতীতের বিষয়
বস্তু নিয়ে চর্চা। ভারতের ইতিহাসের প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলি চারটি ভাগে ভাগ করা
যায়। যথা-
(ক) লিপি :- প্রাচীনকালে রাজার গুণকীর্তি যেখানে খোদাই থাকত, তা লিপি নামে পরিচিত।
ইতিহাস রচনায় লিপির গুরুত্ব আছে। প্রাচীনকালে মানুষ পাথরে বা ধাতুর পাতে লিপি খোদাই
করে রাখত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য লিপি হল অশোকের শিলালিপি, সমুদ্রগুপ্তের এলাহাবাদ প্রশস্তি,
রুদ্রদামনের জুনাগড় লিপি প্রভৃতি। এইসব, লিপিগুলি তামা কিংবা পোড়ামাটির ফলকের ওপর
লেখা থাকত। এগুলি থেকে রাজাদের গুণাগুণ, রাজত্বকাল, রাজ্যজয়, রাজ্যের সীমানা, ধর্মনীতি
ইত্যাদি সম্বন্ধে জানতে পারি।
(খ) মুদ্রা :- শাসকের ছাপযুক্ত নির্দিষ্টমানের ধাতুখণ্ডকে সাধারণভাবে মুদ্রা বলা হয়।
মুদ্রাগুলি সবই ছিল ধাতুর তৈরি। মুদ্রাগুলি হল- বৈদিক যুগে নিষ্ক, পাল যুগের নারায়ণী
প্রভৃতি। মুদ্রা থেকে রাজাদের নাম, বংশ পরিচয় এবং রাজত্বকাল ইত্যাদি সম্পর্কে জানা
যায়। ব্যাকট্রিয়া গ্রিক, শক, পার্থিয়ান, কুষাণদের ইতিহাস রচনার অন্যতম উপাদান হল
মুদ্রা।
(গ) স্থাপত্য-ভাস্কর্য :- পাথর, ধাতু ও পোড়ামাটি খোদাই করে যে-সকল মন্দির,
স্তুপ, বিহার, প্রাসাদ স্মৃতিস্তম্ভ, পশুর মূর্তি বানানো হত সেগুলি হল স্থাপত্য ও ভাস্কর্য।
(ঘ) ধ্বংসাবশেষ :- ভারতের বিভিন্ন জায়গায় মাটি খুঁড়ে প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া
গিয়েছে। যেমন— উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমা-র
বেড়াচাঁপার চন্দ্রকেতুরগড়, তক্ষশীলা প্রভৃতি জায়গায় সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ থেকে ইতিহাস
রচনার জন্য বহু প্রত্ননিদর্শন পাওয়া গেছে।
File Details |
|
File Name/Book Name | ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস ইতিহাসের ধারনা প্রশ্ন ও উত্তর |
File Format | PDF |
File Language | Bengali |
File Size | 50.6 KB |
File Location | GOOGLE DRIVE |
Download Link |