দলিত বিষয় নিয়ে গান্ধীজি- আম্বেদকর এর বিতর্ক আলোচনা কর। || মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় || বিশ শতকের ভারতে নারী ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন

2

দলিত বিষয় নিয়ে গান্ধীজি- আম্বেদকর এর বিতর্ক আলোচনা কর।||মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায়||বিশ শতকের ভারতে নারী ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন


দলিত বিষয় নিয়ে গান্ধীজি- আম্বেদকর এর বিতর্ক আলোচনা কর।



প্রিয় মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা,

আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো দলিত বিষয় নিয়ে গান্ধীজি- আম্বেদকর এর বিতর্ক আলোচনা কর।||মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায়||বিশ শতকের ভারতে নারী ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন||10th History Examination|itihas proshno uttor| মাধ্যমিক সপ্তম অধ্যায় ৮ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর||কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন অধ্যায় থেকে ১ ও ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে||এছাড়া তোমরা মাধ্যমিক সপ্তম অধ্যায় ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে|Madhyamik History Question and Answer|| মাধ্যমিক সপ্তম অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|দশম শ্রেনীর সপ্তম অধ্যায়|Ten History Examination|মাধ্যমিক সপ্তম অধ্যায় ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে এগুলি তোমাদের ফাইনাল পরিক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন হবে। 


তো বন্ধুরা সপ্তম অধ্যায় থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর MCQ Very Short Short Descriptive Question and Answe|তোমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় বিশ শতকের ভারতে নারী ছাত্র ও প্রান্তিক অধ্যায় থেকে দলিত বিষয় নিয়ে গান্ধীজি-আম্বেদকর এর বিতর্ক আলোচনা কর।|সম্পর্কে আলোচনা করা আছে। আমাদের আশা এই প্রশ্নগুলি তোমাদের পরিক্ষায় খুবই কাজে আসবে। 


দলিত বিষয় নিয়ে গান্ধীজি- আম্বেদকর এর বিতর্ক আলোচনা কর।||মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায়||বিশ শতকের ভারতে নারী ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন



                   

দলিত বিষয় নিয়ে গান্ধীজি-আম্বেদকর এর বিতর্ক আলোচনা কর।


ভূমিকা:- দলিত বিষয় নিয়ে গান্ধীজি আম্বেদকর এর বিতর্ক আলোচনা করার পূর্বে দলিতকারা তা জানা প্রয়োজন। ভারতীয় সমাজে অতি প্রাচীনকাল থেকেই বর্ণভেদ প্রথা ও জাতিভেদ প্রথা প্রচলিত ছিল। এই প্রথায় সর্বনিম্ন স্থানে যাদের স্থান ছিল তারা ছিল শূদ্র। চতুর্বর্ণ যুক্ত হিন্দু সমাজের বাইরে বা সর্বনিম্ন স্তরে অবস্থানকারী শুদ্রদের নিচেও একটি স্তর আছে যাদের অবর্ণ বা অতিশুদ্র বলা হচ্ছে সমাজে এরা ছিল অস্পৃশ্য। এরা সমাজের বিভিন্ন নিম্নমানের কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল। ঔপনিবেশিক ভারতে সমাজের এই সুযোগ সুবিধা হীন অবহেলিত মানুষেরাই পরিচিত হয় দলিত নামে। দলিত কথাটি 1930 এর দশকে প্রথম ব্যবহৃত হয় অনেকেই আবার বর্তমান শাসনিক পরিভাষায় তপশিলিজাতি ও তপশিলি উপজাতি ভুক্ত সকলকেই দলিত বলে আখ্যায়িত করতে চান।

      

গান্ধী আম্বেদকর বিতর্ক এর পটভূমি:- ভারতের এই তথাকথিত দলিত বা অনুন্নত শ্রেণির মানুষদের বিরুদ্ধে অনাচার বিভিন্ন মানবিক অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা বা অস্পৃশ্যতা দেশের সব মানুষ মেনে নিতে পারেনি। এর বিরুদ্ধে বারংবার প্রতিবাদ উঠেছে এবং ১৮৮০ থেকে ১৮৯০ এর মধ্যে বেশ কিছু সমাজ সংস্কারক গোষ্ঠী অস্পৃশ্যতা মোকাবিলায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে এগিয়ে এসেছে। দলিত মতাদর্শ ও অধিকার নিয়ে ভারতীয় আন্দোলনের প্রাণপুরুষ গান্ধীজী এবং দলিত আন্দোলনের সর্বশ্রেষ্ঠ সংগ্রামী নেতা ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ড. বি. আর. আম্বেদকরের দৃষ্টিভঙ্গীর মধ্যে কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।


গান্ধী আম্বেদকর এর মতাদর্শগত পার্থক্য:- ড. আম্বেদকর নিজে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ এবং নানাভাবে অনাচারের শিকার। তিনি দলিত সম্প্রদায়কে পূর্ণ অধিকার ও মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যা হিন্দু সমাজে প্রচলিত বর্ণাশ্রম প্রথাই দলিত সমাজের ওপর সকল অনাচার ও অস্পৃশ্যতার কারণ। এই ব্যবস্থাই সমাজকে দুর্বল করে পঙ্গু করে এবং মৃত্যু মুখে ঠেলে দেয়। অপরপক্ষে গান্ধীজী ছিলেন বর্ণাশ্রম ব্যবস্থার সমর্থক এবং প্রবল অস্পৃশ্যতা বিরোধী। তার কাছে দলিতরা ছিল হরিজন বা ঈশ্বরের সন্তান। তিনিও দলিত সম্প্রদায়কে পূর্ণ অধিকারে প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট ছিলেন। তার উদ্যোগেই জাতীয় কংগ্রেস প্রথম দলিত সমস্যা নিরসনে উদ্যোগী হয়। তিনি চাইতেন বর্ণাশ্রম ব্যবস্থাকে অক্ষুন্ন রেখে অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ ও দলিত সম্প্রদায়ের কল্যাণ। ১৯৩১ সালের ১৪ আগস্ট গান্ধী- আম্বেদকর সাক্ষাৎকালকে ড. আম্বেদকর তাকে বলেন আমার বিশ্বাস অস্পৃশ্যতা বর্ণাশ্রম ধর্মে অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। যতদিন বর্ণাশ্রম থাকবে ততদিন হিন্দুধর্মে অস্পৃশ্যতা থাকবে। আপনি বর্ণাশ্রম চান অথচ অস্পৃশ্য চান না এটা একটা অবাস্তব কথা।


গান্ধী আম্বেদকর বিতর্ক অবসান:- অনুন্নত সম্প্রদায়কে জাতীয় আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে বিট্রিশ প্রধানমন্ত্রী র‍্যামসে ম্যাকডোনাল্ড আগস্ট ১৯৩২ খ্রিঃ সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি ঘোষণা করেন। এর দ্বারা অনুন্নত সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক নির্বাচক মণ্ডলী গঠনের প্রস্তাব করা হয়। এই প্রস্তাব কার্যকরী হলে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি হত এবং অনুন্নত সম্প্রদায় বর্ণ হিন্দুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। গান্ধীজী এইনীতির তীব্র বিরোধিতা করেন এবং এর প্রতিবাদে ২০শে সেপ্টেম্বর থেকে অনশন শুরু করেন। এ সময় তফশিলি নেতা ড. আম্বেদকর তারসঙ্গে আলোচনা করেন এবং ২৫শে সেপ্টেম্বর পুণা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এর দ্বারা হিন্দুদের ক্ষেত্রে যৌথ নির্বাচনের নীতি স্বীকৃতি হয় এবং সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারার মাধ্যমে প্রাপ্ত আসনের দ্বিগুণ আসন তফশিলি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত করা হয়। এইভাবে গান্ধী- আম্বেদকর বিতর্কের' অবসান ঘটে।



আরও পড়ুন......

  • বন্ধুরা ২০২২ সালের অধ্যায় ভিত্তিক ইতিহাস সাজেশন এর জন্য  Click Here
  • নারী শিক্ষা বিস্তারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো Click Here

File Details

 

File Name/Book Name

দলিত বিষয় নিয়ে গান্ধীজি- আম্বেদকর এর বিতর্ক আলোচনা কর।

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

58 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File


Join Telegram... Members

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
To Top