সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|তৃতীয় অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| দিল্লি সুলতানি তুরকো আফগান শাসন

0

সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|তৃতীয় অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| দিল্লি সুলতানি তুরকো আফগান শাসন


সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ২ নম্বরের উত্তর


প্রিয় বন্ধুরা 

সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|তৃতীয় অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| দিল্লি সুলতানি তুরকো আফগান শাসন|আজকে আলোচনা করব তোমরা West Bengal Class 7 History পেয়ে যাবে |সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর |Class 7 History 3rd chapter Suggestion WBBSE|ইতহাস প্রশ্নোত্তর|West Bengal Class Seven|Class 7 History Question and Ans-wer|itihas proshno uttor| Class 7 History 3rd chapter Notes WBBSE|ইতিহাস মক টেস্ট| History Mock Test 


এছাড়াও তোমরা পাবে সপ্তম শ্রেণী তৃতীয় অধ্যায় দিল্লি সুলতানি তুরকো আফগান শাসন  থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ Very Short Question Short Questions Descriptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের VII History Examin -ation এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই ২ নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস (দিল্লি সুলতানি তুরকো আফগান শাসন) ২ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।


সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|তৃতীয় অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| দিল্লি সুলতানি তুরকো আফগান শাসন



1. খুতবা কথার অর্থ কি?

উঃ- 'তাষণ'। শত্রুর (জাহরের নামাজের পর ইমাম এই খুতবা পাঠ করে শোনাতেন।


2. দুরশ কী ?

উঃ- স্বাধীন শাসনের প্রতীক দণ্ড হল দুরবাশ । খলিফা আবু জাফর আল মুনতাসিব ইলতুৎমিশকে দিল্লির সুলতান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এই প্রতীক দণ্ড দুরবাশ পাঠিয়েছিলেন।


3. কেন খলিফার অনুমোদন পাওয়াকে গ্রাহ্য করতেন না ?

উঃ- মোগল বাদশাহরা ভারতের বাইরের কাউকে মর্যাদা ও ক্ষমতায় নিজেদের সমস্যা বলে মনে করতেন না। তাই তারা খলিফার অনুমোদন পাওয়াকে গ্রাহ্য করতেন না।


4. আমির কাদের বলা হত ?

উঃ- দিল্লি সুলতানির ইতিহাসে শাসনকাজে নিযুক্ত, উঁচু বংশজাত, ধনী, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমির বলা হত।


5. দিল্লির কোন্ সুলতান, কার কাছ থেকে প্রথম খিলাত পেয়েছিলেন ?

উঃ- খিলাত হল আনুষ্ঠানিক পােশাক। ইলতুৎমিশ খলিফা আল মুনতাসি-এর কাছ থেকে প্রথম খিলাত পেয়েছিলেন।


আরও পড়ুন......

6. কে, কাকে ‘সুলতান-ই-আজম উপাধি দিয়েছিলেন ? এই উপাধির তাৎপর্য কী ?

উঃ- ১২২৯ খ্রিস্টাব্দে খলিফা আল মুনতাসিৰ দিল্লির সুলতান ইলতুৎমিশকে ‘সুলতান-ই-আজম' উপাধি দিয়েছিলেন। এর ফলে ইলতুৎমিশ ও তাঁর সুলতানির মর্যাদা ও ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছিল। খলিফার এই অনুমোদন বা উপাধি দানকে কেউ নাকচ করতে পারেনি। রাখে। তুর্কি শাসকরা সুলতান উপাধি ধারণ করনে। সেজন্য দিল্লির সুলতানগন রাজা/সম্রাট উপাধি না-নিয়ে সুলতান উপাধি ধারণ করেন। ক্ষমতা। তাঁর আদেশ ছিল শেষকথা। এইভাবে সুলতানকে কেন্দ্র করে যে-রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল, তাকেই কেন্দ্রীভূত রাষ্ট্রব্যবস্থা বলা হয়।


7. কখন অভিজাতদের ক্ষমতা বেড়ে যেত?

উঃ- সুলতানের নিজের প্রতিভার ওপর তার ক্ষমতা ও মর্যাদা নির্ভর করত। কিন্তু সুলতানের শাসন দুর্বল হয়ে পড়লেই অভিজাতদের ক্ষমতা বেড়ে যেত।


8. বলবন রাজদরবারে কী ধরনের নিয়ম চালু করেছিলেন ?

উঃ- বলবন তাঁর রাজদরবারে কয়েকটি নিয়ম চালু করেছিলেন। যেমন 

(ক) রাজসভায় জমকালো পোশাক পরা। 

(খ) হাসি-তামাশা বা হালকা কথা বলা চলবে না। 

(গ) গম্ভীরভাবে দরবারে শাসনকার্য পরিচালনা করতে।


9. উলেমা কাদের বলা হত ? তাঁদের কাজ কী ছিল ?

উঃ- বিশেষভাবে যারা ইসলামি শাস্ত্রে পণ্ডিত তাদের আলিম বলা হত। একের বেশি আলিমকে উলেমা বলা হত। উলেমা-র কাজ ছিল শাসনকাজের বিষয়ে সুলতানকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দান করা।


10. বড়ো ইকতাদারদের কী কী দায়িত্ব পালন করতে হত ?

উঃ- বড়ো ইকতাদারদের সামরিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রশাসনিক দায়িত্বও পালন করতে হত। যেমন- সৈন্যবাহিনীর দেখাশোনা করা, বাড়তি রাজস্ব আদায় করে সুলতানকে দেওয়া, ইকতা বা প্রদেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা ইত্যাদি।


11.সিজদা ও ‘পাইবস কী ?

উঃ- রাজদরবারে সম্রাটের প্রতি প্রজার সম্মান প্রদর্শন করার জন্য বলবন দুটি পারসিকপ্রথা চালু করেছিলেন। যথা “সিজদা ও ‘পাইবস।সিজদা-র অর্থ সুলতানকে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করা।

পাইবস: পাইবস-এর অর্থ সুলতানের পদযুগল চুম্বন


12.আলাউদ্দিন খলজি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কী সংস্কার করেছিলেন ?

উঃ- আলাউদ্দিন খলজি বিরাট সৈন্যদলের ভরণ পোষণের জন্য নিত্যপ্রয়ােজনীয় দ্রব্যের দাম ঠিক করে দেন। বাজারদর তদারকির জন্য শাহানা-ই-মান্ডি ও দেওয়ান-ইরিয়াস নামে রাজকর্মচারী নিয়ােগ করেন। বেশি দাম নিলে বা ক্রেতাকে ওজনে ঠকালে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেছিলেন।


13. ফিরোজশাহ তুঘলকের আমলের চার ধরনের করের নাম লেখো।

উঃ- ফিরোজশাহ তুঘলকের আমলের চার ধরনের করের নাম হলখরাজ, খামস, জিজিয়া ও জাকাত।


14. খরাজ কী ?

উঃ- সুলতানি আমলে কৃষিজমির ওপর আরোপ করা কর-কে বলা হত ‘খরাজ।


15.খামস কী ?

উঃ- সুলতানি আমলে যুদ্ধের সময় লুঠ করা ধনসম্পদের একটি অংশ কর হিসেবে দিতে হত। একে বলা হত খামস।


আরও পড়ুন......


16. জিজিয়া কী ?

উঃ- সুলতানি আমলে অ-মুসলমানদের ওপর আরোপ করা কর-কে বলা হত “জিজিয়া


17. জাকাত কী ?

উঃ- সুলতানি আমলে মুসলমানদের সম্পত্তির ওপর আরোপ করা কর-কে ‘জাকাত বলা হত ।


18. বাংলার দুটি আঞ্চলিক শক্তির নাম লেখো।

উঃ- বাংলার দুটি আঞ্চলিক শক্তির নাম হল ইলিয়াস শাহি ও হোসেন শাহি।


19.দক্ষিণ ভারতের দুটি আঞ্চলিক শক্তির নাম লেখো।

উঃ- দক্ষিণ ভারতের দুটি আঞ্চলিক শক্তির নাম হল। বিজয়নগর ও বাহমনি রাজ্য।


20. বাংলার কোন্ কোন্ রাজ্য যুক্ত করে ইলিয়াস শাহি শাসন শুরু হয়েছিল ?

উঃ- বাংলার লখনৌতি, সাতগাঁ এবং সোনারগাঁ যুক্ত করে ইলিয়াস শাহি শাসন শুরু হয়েছিল।


21. ইলিয়াস শাহি বংশের দুজন শাসকের নাম লেখো।

উঃ- ইলিয়াস শাহি বংশের দুজন শাসকের নাম হল শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ এবং সিকান্দর শাহ।


22. হোসেন শাহি বংশের দুজন শাসকের নাম লেখো।

উঃ- হোসেন শাহি বংশের দুজন শাসকের নাম হল আলাউদ্দিন হােসেন শাহ এবং নুসরৎ শাহ।


23.হোসেন শাহির উজির ও প্রধান চিকিৎসক। কারা ছিলেন ?

উঃ- হোসেন শাহির উজির ছিলেন গোপীনাথ বসু ও প্রধান চিকিৎসক ছিলেন মুকুন্দ দাস।


24. বিজয়নগর সাম্রাজ্যের চারটি রাজবংশের নাম লেখো।

উঃ- বিজয়নগর সাম্রাজ্যের চারটি রাজবংশের নাম হলসঙ্গম, সালুভ, তুলুভ ও আরবিডু।


25. সুলতান হোসেন শাহি কার ভক্ত ছিলেন ? তার দুজন ব্যক্তিগত সচিবের নাম কী ছিল ?

উঃ- সুলতান হোসেন শাহি শ্রীচৈতন্যের ভক্ত ছিলেন। তাঁর দুজন ব্যক্তিগত সচিব হলেন রূপ ও সনাতন গোস্বামী। এঁরা দুজনেই ছিলেন বৈয়ব।


26. অষ্টদিগগজ বলতে কী বোঝায় ?

উঃ- তুলুভ বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক কৃয়দেব রায়ের রাজসভায় আটজন জ্ঞানী পণ্ডিত বিরাজ করতেন। এরা অষ্টদিগগজ নামে পরিচিত ছিলেন।


27. তাঁর রাজধানী কোথায় ছিল ?

উঃ- আলাউদ্দিন বাহন শাহ ১৩৪৭ খ্রিস্টাব্দে বাহমনি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর রাজধানী ছিল গুলবর্গায় এবং তার নাম দেন হাসনাবাদ। সুলতান তাজউদ্দিন ফিরোজ শাহের পর বাহমনি রাজ্যের রাজধানী চলে আসে বিদর শহরে।


28. বাহমনি সাম্রাজ্যের চারটি প্রদেশ কী কী ছিল ?

উঃ- বাহমনি সাম্রাজ্যের চারটি প্রদেশ ছিল, যথাক্রমে গুলবর্গা, দৌলতাবাদ, বেরার এবং বিদর।


29. মাহমুদ গাওয়ান কার মন্ত্রী ছিলেন? মাহমুদ গাওয়ান রচিত গ্রন্থটির নাম কী ?

উঃ- মাহমুদ গাওয়ান ছিলেন বাহমনি রাজ্যের শাসক তৃতীয় মহম্মদের মন্ত্রী। মাহমুদ গাওয়ান রচিত গ্রন্থটির নাম দেওয়ানে-আমার ।


30. বাহমনি রাজ্য ভেঙে ক-টি সুলতানি রাজ্য হয় ?

উঃ- বাহমনি রাজ্যের ধ্বংসস্তুপের ওপর গড়ে ওঠা পাঁচটি সুলতানি রাজ্য হল আহম্মদনগর, বিজাপুর, 


31. বেরার, গোলকোণ্ড বিদর। তালিকাটা যুদ্ধ করে কাদের মধ্যে হয় ?

উঃ- ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে বানিহাটি বা লিকোটার যুদ্ধ হয়েছিল বিজয়নগর ও আহম্মদনগর, বিজাপুর, বেরার, গোলকোণ্ড এবং বিদর জোটের সঙ্গে। এই যুদ্ধে বিজয়নগর পরাজিত হয়।


 32. মাহমুদ গাওয়ান কে ছিলেন ?

উঃ- তৃতীয় মহম্মদের মন্ত্রী মাহমুদ গাওয়ান ছিলেন একজন সুযোদ্ধা ও লেখক। তিনি একটি গ্রন্থ রচনা করেন, যার নাম দেওয়ানে-আমার।


33. বিজয়নগর সাম্রাজ্যে আগত কয়েকজন পর্যটকের নাম লেখো।

উঃ- বিজয়নগর সাম্রাজ্যে আগত কয়েকজন পর্যটক হলেন নিকোল কন্টি, আব্দুর রজ্জাক, পায়েজ ও নুনিজ প্রমুখ।


আরও পড়ুন......

File Details

 

File Name/Book Name

সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|তৃতীয় অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

93 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File



Join Telegram... Members





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top