সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|দ্বিতীয় অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|ভারতের সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা
সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস| দ্বিতীয় অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| ভারতের সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা|আজকে আলোচনা করব তোমরা West Bengal Class 7 History পেয়ে যাবে|সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর |Class 7 History 2nd chapter Suggestion WBBSE|ইতহাস প্রশ্নোত্তর|West Bengal Class Seven|Class 7 History Question and Answer |itihas proshno uttor|Class 7 History 2nd chapter Notes WBBSE|ইতিহাস মক টেস্ট |History Mock Test
এছাড়াও তোমরা পাবে সপ্তম শ্রেণী দ্বিতীয় অধ্যায় ভারতের সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ Very Short Question Short Questions Descriptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের VII History Examination এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই ২ নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস (ভারতের সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা) ২ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।
সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|দ্বিতীয় অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| ভারতের সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা
1.হিউয়েন সাঙ কোন কোন অঞ্চলের ব্যাবসায়িক উন্নতির কথা উল্লেখ করেছেন ?
উ:- হিউয়েন সাঙ থানেশ্বর, কনৌজ ও বারাণসীর ব্যাবসায়িক উন্নতির কথা উল্লেখ করেছেন।
2.গ্রামপরিষদ বা উর বলতে কী বোঝায় ?
উ:- চোল রাজ্যে কৃষকদের বসতিকে নিয়ে গড়ে ওঠা গ্রামগুলিকে একটি পরিষদ শাসন করত। এই গ্রাম পরিষদকে উর বলা হত।
3.গঙ্গাইকোণ্ডচোল’ উপাধি ধারণ করেন ?
উ:- চোল বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন প্রথম রাজেন্দ্র চোল। তিনি বঙ্গদেশ আক্রমণ করে পালরাজ মহীপাল, পূর্ববঙ্গের গোবিন্দচন্দ্র এবং দক্ষিণবঙ্গের রণসূরকে পরাজিত করেন। তাই বঙ্গ বিজয়ের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তিনি ‘গঙ্গাইকোণ্ডচোল’ উপাধি ধারণ করেন।
4.চিন ও তিব্বতে কাদের চেষ্টায় ভারতীয় সভ্যতা প্রবেশ করে ?
উ:- চিন দেশে ভারতীয় ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রসার চিনা পর্যটক ফা-হিয়েন,হিউয়েন সাঙ ওইৎসিঙ-এর চেষ্টায়সম্ভব হয়েছিল।
5.নাড়ু কী ?
উ:- চোল রাজ্যে কয়েকটি গ্রাম নিয়ে গঠিত পরিষদকে নাড়ু বলা হত।
আরও পড়ুন......
6.নগরম কী ?
উ:- চোল রাজ্যে নগরের ব্যবসায়ীদের স্বার্থ ও বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য একটি পরিষদ গঠন করা হয়েছিল। একে নগরম বলা হয়।
7.আদি-মধ্যযুগে ভারতের রাজারা কীভাবে কর সংগ্রহ করতেন ?
উ:- ভারতের আদি-মধ্যযুগে রাজারা কৃষক, পশুপালক, কারিগর ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উৎপাদন কর, শ্রম কর ও ব্যাবসার জন্য কিছু কর নিতেন। একে কর সংগ্রহ করা বলে।
8.অগ্রহার বা ব্রম্মদেয় ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো ?
উ:- ভারতের আদি-মধ্যযুগে (বিশেষ করে গুপ্ত যুগে) রাজারা পুরোহিত বা মন্দিরকে ভূমিদান করতেন। এই ভূমিগুলি ছিল নিষ্কর। এই ভূমি দান ব্যবস্থাকেই বলা হত অগ্রহার বা ব্রম্মদেয় ব্যবস্থা।
9.সামন্ততন্ত্র বা সামন্তব্যবথা বলতে কী বোঝো ?
উ:- ভারতবর্ষের আদি-মধ্যযুগকে (৩০০-৯০০ খ্রিস্টাব্দ) সামন্ততন্ত্রের যুগ বলা হয়। অগ্রহার (ব্রাক্ষ্মণকে নিষ্কর ভূমি দান) ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে জমিতে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের বদলে স্থানীয়ভাবে ভূস্বামীদের যে-অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয় তাকেই বলা হয় সামন্ততন্ত্র।
10.পাল ও সেন যুগে বাংলার অর্থনীতির মূলভিত্তি কী ছিল ?
উ:- পাল ও সেন যুগে বাংলার অর্থনীতির মূলভিত্তি ছিল কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য।
11.রাজারা কেন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ভূমি দান করতেন বলে মনে হয় ?
উ:- পাল যুগে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে রাজারা ভূমি দান করতেন। রাজারা মনে করতেন ধর্মীয় ক্ষেত্রে শ্রদ্ধা অর্জন করতে পারলে প্রজারা রাজাকে মান্য করবে। এ ছাড়া ধর্মীয় প্রধান পুরােহিত কিংবা ব্রাক্ষ্মণ সম্প্রদায় রাজার প্রতিনিধি হিসেবে জনসাধারণকে রাজার প্রতি আস্থাশীল রাখবেন।
12.প্রজারা রাজাকে কর দিত কেন ?
উ:- প্রজারা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজাকে কর দিত। তারা নানা ধরনের কর রাজাকে দিত।
13.রাজারা প্রজাদের কাছ থেকে কর হিসেবে কী কী আদায় করতেন?
উ:- রাজারা কৃষক তথা প্রজাদের কাছ থেকে উৎপন্ন ফসলের এক-ষষ্ঠাংশ ভাগ) কর নিতেন। তাঁরা নিজেদের ভোগের জন্য ফুল, ফল ও কাঠ প্রজাদের কাছ থেকে কর হিসেবে আদায় করতেন।
14.মধ্যযুগের বাংলার প্রধান ফসলগুলির মধ্যে কোনগুলি আজকের পশ্চিমবঙ্গেও দেখা যায় ?
উ:- মধ্যযুগের প্রধান ফসলগুলি ছিল— ধান, সরষে, আম, কাঁঠাল, কলা, ডালিম, ডুমুর, খেজুর, নারকেল ইত্যাদি। আজকের পশ্চিমবঙ্গে এইসব ফসলগুলি সবই দেখা যায়।
15.মধ্যযুগে বাংলার গৃহপালিত ও বন্যপ্রাণীগুলির নাম লেখো।
উ:- মধ্যযুগে বাংলার গৃহপালিত ও বন্যপ্রাণীগুলির মধ্যে ছিল- গোরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, পায়রা, কাক, কোকিল, নানা ধরনের জলচর পাখি, হাতি, বাঘ, ঘোড়া, উট, বুনো মোষ, বানর, হরিণ, শূকর, সাপ ইত্যাদি। ঘোড়া ও উট বাংলার বাইরে থেকে এসেছিল।
16.প্রাচীনকালে বাঙালির সবজি তালিকায় কী কী সবজি ছিল ?
উ:- প্রাচীনকালে বাঙালির সবজি তালিকায় বেগুন, লাউ, কুমড়ো, ঝিঙে, কাঁকরোল, কচু, নালতে (পাটশাক) ইত্যাদি সবজি ছিল।
17.মধ্যযুগে বাঙালির প্রতিদিনের খাদ্যবস্তু কী ছিল ?
উ:- মধ্যযুগে বাঙালির প্রতিদিনের খাদ্যবস্তু ছিল ভাত, নানা ধরনের সবজি, দুধ, দই, পায়েস, ক্ষীর, আখের গুড়, লবণ, মহুয়া ও আখের পানীয় ইত্যাদি।
18.মধ্যযুগে বাংলার বাইরে থেকে এসেছিল এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর মধ্যযুগে বাংলার বাইরেড়া ও উট।
15.কোন সময়ে এবং কীভাবে প্রাচীন বাংলা ভাষার জন্ম হয় ?
উ:- আনুমানিক ৮০০-১১০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মাগধী, অপভ্রংশ ভাষার গৌড়-বঙ্গীয় রূপ থেকে ধীরে ধীরে প্রাচীন বাংলা ভাষার জন্ম হয়।
16.চক্রপাণি দত্ত কেন বিখ্যাত ছিলেন ?
উ:- পাল যুগের একজন নামকরা চিকিৎসাবিজ্ঞানী ছিলেন চক্রপাণি দত্ত। তিনি ভেষজ গাছগাছড়া, ওষুধের উপাদান, পথ্য নিয়ে চিকিৎসাসংগ্রহ’ নামক একটি বই লেখেন।
17.এই কাব্যে রামায়ণের রামের সঙ্গে কার তুলনা করে গল্প লেখা হয়েছে ?
উ:- পালরাজা মদন পালের শাসনকালে কবি সন্ধ্যাকর নন্দী রামচরিত’ কাব্য রচনা করেন।এই কাব্যে রামায়ণের রামের সঙ্গে পালরাজা রামপালের তুলনা করে গল্প লেখা হয়েছে।
18.সিদ্ধাচার্য কাদের বলা হত ?
উ:- পাল যুগে মহাযান বৌদ্ধ ধর্মমতের সঙ্গে অন্যান্য দার্শনিক চিন্তাধারা মিশে বজ্রযান বা তান্ত্রিক বৌদ্ধ ধর্মমতের উদ্ভব হয়। এই ধর্মমতের নেতারা সিদ্ধাচার্য নামে পরিচিত।
19.পাল যুগের দুজন সিদ্ধাচার্যের নাম করো।
উ:- পাল যুগের দুজন সিদ্ধাচার্যের নাম হল- লুইপাদ ও কাহ্নপাদ।
20.অশ্বঘোষ তাঁর ‘বুদ্ধচরিত’ গ্রন্থে নির্বাণ সম্পর্কে কী ব্যাখ্যা দিয়েছেন ?
উ:- কুষাণ সম্রাট কনিষ্কের সভাকবি অশ্বঘোষ তাঁর বুদ্ধচরিত গ্রন্থে নির্বাণ বা মুক্তি সম্পর্কে একটি উপমা দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন যে, প্রদীপের তেল ফুরিয়ে গেলে যেমন তার শিখা নিভে যায়, জীবনে ক্লেশ বা দুঃখের অবসান হলে চিরতরে মুক্তি বা নির্বাণ মেলে।
21.চর্যাপদ কী ?
উ:- খ্রিস্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতকে বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের লেখা কবিতা ও গানের সংকলনকে চর্যাপদ বলা হয়।
22.কে, কোথায় চর্যাপদের পুথি উদ্ধার করেন ?
উ:- আচার্য হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ-এর পুথি উদ্ধার করেন।
23.অষ্টম ও নবম শতকের কয়েকজন বাঙালি আচার্যদের নাম লেখো।
উ:- অষ্টম ও নবম শতকের কয়েকজন বাঙালি আচার্য ছিলেন— শান্তরক্ষিত, শান্তিদেব, কম্বলপাদ ও শবরীপাদ ।
24.দশম থেকে দ্বাদশ শতকের কয়েকজন বাঙালি আচার্যের নাম লেখো।
উ:- দশম থেকে দ্বাদশ শতকের কয়েকজন বাঙালি আচার্যের নাম- দীপঙ্কর-শ্রীজ্ঞান (অতীশ), গোরক্ষনাথ ও কাহ্নপাদ।
25.পাল যুগের কয়েকটি বৌদ্ধ জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রের নাম লেখো।
উ:- পাল যুগের করে বৌদ্ধ জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হলনালন্দা মহাবিহার, ওদন্তপুরী মহাবিহার, বিক্রমশীল মহাবিহার, সোমপুরী মহাবিহার, জগদ্দল মহাবিহার প্রভৃতি।
26.নালন্দা মহাবিহারে কী কী বিষয়ে পাঠদান করা হত ?
উ:- নালন্দা মহাবিহারে বৌদ্ধদর্শন, হিন্দু ধর্মশাস্ত্র, দর্শন, সাংখ্য, ন্যায়, ব্যাকরণ, সাহিত্য, গণিত ইত্যাদি বিষয়ে পাঠদান করা হত।
27.কে, কোন সময়ে বিক্রমশীল মহাবিহার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ? এই মহাবিহারের নাম বিক্রমশীল রাখা হয়েছিল
উ:- পালরাজা ধর্মপাল অষ্টম শতকে ভাগলপুর শহরের কাছে বিক্রমশীল মহাবিহার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
28.ধীমান ও বীটপাল বিখ্যাত ছিলেন কেন ?
উ:- পাল যুগে অষ্টম-নবম শতকে বরেন্দ্র অঞ্চলের ধীমান ও তাঁর ছেলে বীটপাল ধাতব শিল্প, ভাস্কর্য ও চিত্রশিল্পে বিশেষ কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। তাই তাঁরা প্রসিদ্ধ শিল্পী রূপে বিখ্যাত হয়ে আছেন।
29.বাংলার সেন রাজাদের পরিচয় দাও।
উ:- সেন রাজারা দাক্ষিণাত্যের কর্ণাটক থেকে বাংলায় এসেছিলেন। সেনবংশীয় সামন্ত সেন ও হেমন্ত সেন প্রথম রাঢ় অঞ্চলে প্রাধান্য বিস্তার করেন।‘দেওপাড়া লিপি থেকে জানা যায় যে, পাল রাজাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিজয় সেন প্রায় সমস্ত বাংলা জয় করেন।
30.লক্ষ্মণ সেনের রাজসভার ‘পঞ্চরত্ন’ কাদের বলা হত ?
উ:- লক্ষ্মণ সেনের রাজসভার পঞরত্ন ছিলেন। ‘গীতগোবিন্দম’ কাব্যের রচয়িতা জয়দেব, ‘পবনদূত' কাব্যের রচয়িতা ধোয়ী, গোবর্ধন, উমাপতি ধর ও শরণ।
31.অতীশ দীপঙ্করকে কেন ‘নাস্তিক পণ্ডিত বলা হত ?
উ:- অতীশ দীপঙ্কর ব্রাক্ষ্মণ্য মতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন । এইজন্য তিনি নাস্তিক পণ্ডিত’ নামে পরিচিত ছিলেন।
32.অতীশ দীপঙ্কর কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ?
উ:- অতীশ দীপঙ্কর আনুমানিক ৯৮০ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গাল অঞ্চলের বিক্রমমণিপুরে বজ্রযোগিনী নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
33.অতীশ দীপঙ্কর কোন্ কোন্ মহাবিহারের আচার্য ছিলেন ?
উ:- অতীশ দীপঙ্কর সম্ভবত বিক্রমশীল, ওদন্তপুরী ও সোমপুরী মহাবিহারের আচার্য ছিলেন।
34. অতীশ কীভাবে দীপঙ্কর-শ্রীজ্ঞান নামে পরিচিত হন ?
উ:- অতীশ ওদন্তপুরী বিহারের আচার্য শীলরক্ষিতের কাছে দীক্ষা নেন এবং দীপঙ্কর-শ্রীজ্ঞান নামে পরিচিত হন।
আরও পড়ুন......
File Details
File Name/Book Name
সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|দ্বিতীয় অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|
File Format
PDF
File Language
Bengali
File Size
92 KB
File Location
GOOGLE DRIVE
Download Link
Join Telegram... Members
File Details |
|
File Name/Book Name | সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|দ্বিতীয় অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| |
File Format | PDF |
File Language | Bengali |
File Size | 92 KB |
File Location | GOOGLE DRIVE |
Download Link |