সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|প্রথম অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা

0

সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|প্রথম অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা

সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ২ নম্বরের উত্তর

প্রিয় বন্ধুরা 

সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস| প্রথম অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা আজকে আলোচনা করব|তোমরা West Bengal Class 7 History প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে|সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর |Class 7 History 1st chapter Suggestion WBBSE|ইতহাস প্রশ্নোত্তর|West Bengal Class Seven |Class 7 History Question and Answer |itihas proshno uttor|Class 7 History 1st chapter Notes WBBSE|ইতিহাস মক টেস্ট| History Mock Test 


এছাড়াও তোমরা পাবে সপ্তম শ্রেণী প্রথম অধ্যায় ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ Very Short Question Short Questions Descri -ptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের VII History Examination এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই ২ নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন হবে এবং তোমরা যারা সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস (ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা) ২ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।


সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|প্রথম অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা


1. কোন মহাকাব্যে প্রাচীন বাংলাকে কী কী নামে উল্লেখ করা হয়েছে ?

উঃ- মহাভারতে প্রাচীন বাংলাকে বঙ্গ, পুণ্ড, সুষ্ম ও তাম্রলিপ্ত প্রভৃতি নামে উল্লেখ করা হয়েছে।


2.আবুল ফজলের রচনায় বঙ্গ সম্পর্কে কী উল্লেখ রয়েছে ?     

উঃ- মোগল যুগের ঐতিহাসিক আবুল ফজল তাঁর ‘আইনই-আকবরি’ নামক গ্রন্থে বঙ্গ সম্পর্কে সুবা বাংলার উল্লেখ করেছেন। এই সুবা-র অর্থ হল প্রদেশ বা রাজ্য।


3.পশ্চিমবঙ্গের নামকরণ কীভাবে হয়েছিল ?

উঃ- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের সময় বাংলাকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। এর পশ্চিম ভাগের নাম হয় পশ্চিমবঙ্গ।


4.বাংলাদেশ কীভাবে স্বাধীন দেশ হল ?

উঃ- ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়। এর নতুন নাম হয় বাংলাদেশ।


5.প্রাচীন বাংলার সীমানা কোন তিনটি নদী নিয়ে বেষ্টিত হয়েছিল ?

উঃ- প্রাচীন বাংলার সীমানা ভাগীরথী, পদ্মা ও মেঘনা এই তিনটি নদী নিয়ে বেষ্টিত হয়েছিল।


6. প্রাচীন বাংলার প্রধান অঞ্চলগুলি কী কী ?

উঃ- প্রাচীন বাংলার প্রধান অঞ্চলগুলি ছিল – পুণ্ড্রবর্ধন, বরেন্দ্র, বঙ্গ, বঙ্গাল, রাঢ়-সুয়ূ, গৌড়, সমতট ও হরিকেল।


7. পুণ্ড্রবর্ধনের অন্তর্গত অঞ্চলগুলি কী ছিল ?

উঃ- পুণ্ড্রবর্ধনের অন্তর্গত অঞ্চলগুলি ছিল পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দিনাজপুর, বগুড়া, রাজশাহি ও পাবনা। একসময় সিলেট বা শ্রীহট্ট-এর অন্তর্গত ছিল।


8.কোন্ অঞ্চল নিয়ে বরেন্দ্র গড়ে উঠেছিল ?

উত্তর ভাগীরথী ও করতোয়া নদীর মধ্যের এলাকা নিয়ে বরেন্দ্র গড়ে উঠেছিল।


9.কোন্ কোন্ অঞ্চল বঙ্গের  অন্তর্ভুক্ত ছিল ? অথবা, কোন্ এলাকা কে বঙ্গ বলা হত ?

উঃ- প্রাচীনকালে ভাগীরথী ও পদ্মর মাঝে ত্রিভুজের মতো দেখতে বদ্বীপ অঞ্চলকে বঙ্গ বলা হত। তবে একাদশ-দ্বাদশ শতকে বঙ্গ বলতে বোঝানো হত বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা, বিক্রমপুর, ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চলকে।


10.কোন্ অঞ্চলকে বল বলা হত ?

উঃ-বঙ্গের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী বঙ্গোপসাগরের উপকুলকে বঙ্গাল বলা হত।

11.দুটি ভাগ কী কী ?


রাঢ়-সুয় অঞ্চলের

উঃ- জৈনদের প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসারে রাঢ়-সুয় অঞ্চল দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল। যথাক্রমে– উত্তর রাঢ় ছিল বজ্জভূমি বা বজ্রভূমি এবং দক্ষিণ রাঢ় ছিল সুভভূমি বা সুষ্মভূমি।


12.উত্তর রাঢ় বা বজ্জভূমির অন্তর্গত অঞ্চলগুলি কী ছিল ?

উঃ- অভাকের মুরশিদাবাদ জেলার পশ্চিমভাগ, বীরভূম জেলা, সাঁওতাল পরগনার একাংশ ও বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার উত্তর অংশ ছিল উত্তর রাঢ় বা বজ্জভূমির অন্তর্গত।


13. দক্ষিণ রাঢ় বা সুষ্মভূমির অন্তর্গত অঞ্চলগুলি কী ছিল ?

উঃ- আজকের হাওড়া, হুগলি ও বর্ধমান জেলার বাকি (কাটোয়া মহকুমার উত্তর অংশ ছাড়া) ছিল দক্ষিণ রাঢ় বা সুষ্মভূমির অন্তর্গত। এককথায় বলা যায় অজয় ও দামোদর নদের মধ্যবর্তী এলাকাই ছিল সুষ্মভূমি বা দক্ষিণ রাঢ়। ধন, অংশ ।


14. প্রাচীনকালে গৌড় বলতে কোন অঞ্চলকে বোঝানো  হত ?

উঃ- প্রাচীনকালে গৌড় বলতে একটি জনগোষ্ঠীকে বোঝানো হত। খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকে বরাহমিহিরের রচনা নিয়ে থেকে জানা যায় যে, মুরশিদাবাদ, বীরভূম ও বর্ধমান জেলার পশ্চিম অংশ নিয়ে গৌড় তৈরি হয়েছিল। তবে শশাঙ্কেরআমলে পুণ্ড্রবর্ধন (উত্তরবঙ্গ) থেকে ওড়িশার উপকূল পর্যন্ত অঞ্চলকে গৌড় বলা হত।


15.প্রাচীন সমতট বলতে কোন্ অঞ্চলকে বোঝানো  হত ?

উঃ- মেঘনা নদীর পূর্বদিকের অঞ্চলকে প্রাচীন সমতট বলা হত। আজকের বাংলাদেশের কুমিল্লা-নোয়াখালি অঞ্চলের বিস্তৃত সমভূমিই ছিল প্রাচীন সমতট ।



আরও পড়ুন......

16.হরিকেল অঞ্চল বলতে কী বোঝায় ?

উঃ- প্রাচীন সমতটের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের অঞ্চলকে হরিকেল বলা হত। বর্তমানের বাংলাদেশের চট্টগ্রামের উপকূল ছিল এর অন্তর্গত।


17.হর্ষবর্ধনের রাজ্যসীমা বর্ণনা করো ?

উঃ- হর্ষবর্ধনের রাজ্যসীমা উত্তরে কাশ্মীর থেকে দক্ষিণে নর্মদা নদী এবং পশ্চিমে বলভি রাজ্য থেকে পূর্বে গঞ্জাম জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।


18.(হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে কোন চিনা পর্যটক ভারত -বর্ষে আসেন ? ভারত সম্পর্কে অভিজ্ঞতা তিনি কোন গ্রন্থে লিখে গেছেন ?

উঃ- হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে হিউয়েন সাঙ ভারতবর্ষে আসেন।


19.শশাঙ্ককে শাস্তি দিতে হর্ষবর্ধন কোন্ কোন্ রাজার সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করেন ? এর ফল কী হয়েছিল ?

উঃ- শশাঙ্ককে শাস্তি দিতে হর্ষবর্ধন মালব রাজ ও কামরূপ রাজ ভাস্করবর্মার সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করেন। কিন্তু হর্ষবর্ধন শশাঙ্ককে পরাজিত করতে পারেননি।


20.হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর পর উত্তর ভারতে কোন কোন্ রাজবংশের উৎপত্তি হয় ?

উঃ- হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর পর ভারতবর্ষে কতকগুলি রাজবংশ ও স্বাধীন রাজ্যের উচব হয়। যেমন-মালবে গুর্জর প্রতিহার, দিল্লি ও আজমিরে চৌহান, চেদি এবং কলচুরি, গুজরাটে শোলাঙ্কি প্রভৃতি রাজবংশ।


লো-টো-মো-চিহ’ কী ?

উঃ- পশ্চিমবঙ্গের মুরশিদাবাদ জেলায় কর্ণসুবর্ণের কাছে রক্তমৃত্তিকায় বৌদ্ধবিহারের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে। চিনা ভাষায় এই বৌদ্ধবিহারের নাম ‘লো-টো-মো-চিহ


23.কর্ণসুবর্ণের গুরুত্ব কীরকম ছিল ?

উঃ- শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ। এ ছাড়া এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র ও প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল।


24.মাৎস্যন্যায় বলতে কী বোঝায় ?

উঃ- শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলার রাজনীতিতে অরাজকতা, অনৈক্য, বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পুকুরের বড়াে মাছ যেমন ছোটো মাছগুলিকে খেয়ে ফেলে, তেমনি সেইসময় শক্তিশালী লােক দুর্বল লােকের ওপর অত্যাচার । এই অবস্থাকে মাৎস্যন্যায় বলা হয়।


25.গৌড়তন্ত্র’ বলতে কী বোঝো ?

উঃ- গৌড়রাজ শশাঙ্কের রাজত্বকালে গৌড় তথা বাংলাদেশে যে-শাসনব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল তাকেই বলা হয় ‘গৌড়তন্ত্র।


26.প্রাচীনকালে বঙ্গ বলতে কোন অঞ্চলকে বোঝাত ?

উঃ- প্রাচীনকালে বঙ্গ নামে একটি বিখ্যাত জনপদ ছিল। সে সময় পদ্মা ও ভাগীরথী নদীর মধ্যবর্তী ত্রিভুজাকৃতি অঞলকে বঙ্গ বলা হত। পাল-সেন যুগের বঙ্গ বলতে বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা, বিক্রমপুর, ফরিদপুর, বরিশাল প্রভৃতি অঞ্চলকে বোঝানো হত।


27.বাংলার রক্তপাতহীন বিপ্লব' বলতে কী বোঝো ?

উঃ- গৌড়রাজ শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় যে-অরাজক পরিস্থিতি বা মাৎস্যন্যায় চলে তার থেকে মুক্তি পেতে বাংলার প্রবীণ অভিজাতগণ গোপাল নামক এক সামন্তকে বাংলার সিংহাসনে মনোনীত করেন। গোপালের এই নির্বাচন বাংলার ইতিহাসে ‘রক্তপাতহীন বিপ্লব নামে খ্যাত।


28.ভারতের কোন্ সময়কে রাজপুত যুগ বলা হয় ? রাজপুত কারা ?

উঃ- ৬৪৭ থেকে ১১৯২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে ভারতের রাজপুত যুগ বলে ধরা হয়। এমন একটি ধারণা আছে যে, রাজপুতরা এদেশের আদি বাসিন্দা নয়। সম্ভবত খুন, গুর্জর প্রভৃতি বিদেশি জাতি ভারতীয় জনসমাজে মিশে গিয়ে যে-মিশ্রজাতির সৃষ্টি করেছে তাদেরকেই বলা হয় রাজপুত। তারা নিজেদের ক্ষত্রিয় বলে দাবি করত । যেমন—প্রতিহার, চৌহান, চান্দেল, চুরি প্রভৃতি।


29.গোপাল কীভাবে রাজা নির্বাচিত হন ?

উঃ- বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা অরাজকতা থেকে মুক্তি পেতে বাংলার প্রভাবশালী লোকেদের সভা প্রকৃতিপুঞ্জ গোপাল নামে একজনকে রাজা নির্বাচিত করে। এইভাবে গোপাল আনুমানিক ৭৫০খ্রিস্টাব্দে


 30. বাংলায় পালরাজারা কোন্ সময়ে রাজত্ব করতেন?

উঃ- বাংলায় পালরাজারা খ্রিস্টীয় অষ্টম শতক থেকে একাদশ শতকের সূচনা পর্যন্ত সময়কালে রাজত্ব করতেন।


আরও পড়ুন......


31. গোপালের পর পাল বংশের দুজন রাজার নাম লেখো

উঃ- ওর গোপালের পর পাল বংশের দুজন রাজার নাম যথাক্রমে ধর্মপাল ও দেবপাল।


32.দেবপালের সময়ে পাল সাম্রাজ্য কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল ?

উঃ- দেবপালের সময়ে পাল সাম্রাজ্য উত্তরে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে দক্ষিণে বিন্ধ্য পর্বত এবং উত্তর-পশ্চিমে কম্বোজ দেশ থেকে পূর্বে প্রাগজ্যোতিষপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।


33.কার সময়ে, কোন্ বিদ্রোহের ফলে বরেন্দ্র অঞ্চল পালদের হাতছাড়া হয়েছিল ?

উঃ- একাদশ শতকে রামপালের সময় কৈবর্ত বিদ্রোহের ফলে বরেন্দ্র অঞল পালদের হাতছাড়া হয়েছিল।


34.পালযুগে সামন্তরাজারা কী কী নামে চিহ্নিত হতেন ?

উঃ- পালযুগে সামন্তরাজারা রাজন, সামন্ত, মহাসামন্ত ইত্যাদি নামে চিহ্নিত হতেন। 


35.কৈবর্ত কারা ছিলেন ?

উঃ- পালযুগে কৈবৰ্তরা ছিলেন সম্ভবত নৌকার মাঝি বা জেলে।

কৈবর্ত বিদ্রোহের নেতার কে?

উ:- কৈবর্ত বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম হল দিব্য 


36.কাদের সাহায্যে কৈবর্ত বিদ্রোহ দমন করেন ?

পালরাজা রামপাল বাংলা ও বিহারের বিভিন্ন সাহায্য নিয়ে কৈবর্ত নেতা ভীমকে পরাজিত ও হত্যা করেন। তিনি বরেন্দ্রসহ বাংলা, কামরূপ ও ওড়িশার একাংশে পালশাসন প্রতিষ্ঠা করেন।


37.কার আমলে এবং কার নেতৃত্বে বাংলায় কৈবর্ত বিদ্রোহ হয় ?

উঃ- পাল রাজা দ্বিতীয় মহীপালের আমলে দিব্য বা এবং রামপালের আমলে ভীম নামক এক কৈবর্ত সামন্ত বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। যদিও রামপাল এই বিদ্রোহ কঠোর হস্তে দমন করেন।


39.সেন বংশের প্রথম দুজন রাজার নাম করো।

উঃ- সেন বংশের প্রথম দুজন রাজার নাম হল সামন্ত সেন ও হেমন্ত সেন।


40.সেনরাজা বল্লাল সেন রচিত দুটি গ্রন্থের নাম

উঃ- সেনরাজা বল্লাল সেন রচিত দুটি গ্রন্থের নাম হল— দানসাগর’ ও ‘অদ্ভুতসাগর। 


সেনরাজ্য কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল ? 

উ:- সেনরাজ্য রাঢ়দেশ, গৌড়, পূর্ববঙ্গ ও মিথিলা পর্যন্ত ছিল।


41.সেন বংশের প্রথম স্বাধীন রাজা কে ছিলেন ? তিনি কবে সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন ?

উঃ- সেন বংশের প্রথম স্বাধীন রাজা ছিলেন বিজয় সেন। তিনি আনুমানিক ১০৯৬ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন। |

42.পঞ্চরত্ন’ বলতে কী বোঝো ?

উঃ- সেন রাজাদের রাজদরবার পাঁচজন বিশিষ্ট পণ্ডিত দ্বারা শোভা পেত। এঁরা ছিলেন—শরণ, ধােয়ী, উমাপতি ধর, জয়দেব ও গোবর্ধন। এঁদেরই বলা হত ‘পঞ্চরত্ন’।

43.দক্ষিণ ভারতের দুটি আঞ্চলিক শক্তির নাম লেখো।


উঃ- দক্ষিণ ভারতের দুটি আঙুলিক শক্তির নাম হলপল্লব ও চোল।


44.রাজেন্দ্র চোল কেন ‘গঙ্গাইকোণ্ডচাল’ উপাধি নিয়েছিলেন ?

উঃ- রাজেন্দ্ৰ চোল বাংলার পাল বংশের বিরুদ্ধে এক অভিযানে গঙ্গা নদীর তীরে পালরাজাকে পরাস্ত করেন। এই যুদ্ধভিযান স্মরণীয় করে রাখতে তিনি গঙ্গাইকোচোল বা গগাবিজেতা উপাধি নেন।


45.চোলরাজারা কেন দক্ষ নৌবাহিনী গড়ে তোলেন ?

উঃ- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চোল আধিপত্য স্থাপন এবং ওই অঞ্চলে ভারতীয় বাণিজ্য প্রসারের জন্য চোলরাজারা দক্ষ নৌবাহিনী গড়ে তোলেন


46.বেদুইন কাদের বলা হত ?

উঃ- আরব দেশের অধিবাসীরা দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত ছিল। যথা— (অ) শহরবাসী (আ) মরুবাসী। মরু অঞ্চলের অধিকাংশ অধিবাসী ছিল যাযাবর। তারা বেদুইন নামে পরিচিত।


47.বেদুইনদের জীবনযাত্রা কেমন ছিল ?

উঃ- বেদুইনরা ছিল যাযাবর। তাদের কোনো স্থায়ী বাসস্থান ছিল না। তারা উট ও ঘোড়ায় চড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেত। তারা ছিল কষ্টসহিষ্ণু, সাহসী ও দুর্ধর্ষ যোদ্ধা। খেজুর ও উটের দুধ ছিল তাদের অন্যতম খাদ্য।

48.আরব দেশের অবস্থান সম্পর্কে উল্লেখ করো।

উঃ- পৃথিবীর বৃহত্তম উপদ্বীপ হল আরব দেশ। পশ্চিমে লােহিত সাগর, দক্ষিণে আরব সাগর ও পূর্বে পারস উপসাগর বেষ্টিত দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার বিশাল ভূখণ্ড নিয়ে আরব দেশ গঠিত।


49. শেখ’ কাদের বলা হত ?

উঃ- আরব সমাজ বিভিন্ন কৌম বা গোত্রে বিভক্ত ছিল। এই কৌমগুলি গড়ে উঠত কয়েকটি জ্ঞাতি পরিবার নিয়ে। প্রত্যেক কৌমের একজন করে নেতা ছিলেন। এঁদেরকেই বলা হত শেখ।


50.বাইরের দেশের সঙ্গে আরবদের কীভাবে পরিচয় হয় ?

উঃ- প্রধানত ব্যাবসা-বাণিজ্যের সূত্র ধরেই বাইরের দেশের সঙ্গে আরবদের পরিচয় ঘটে। আরব বণিকরা ইউরোপে বাণিজ্য করতে যেত। সেখানেই তাদের খ্রিস্টান ও পারসিকদের সঙ্গে ভাব বিনিময় হয়।


51.মুহাজির ও আনসার’ কাদের বলা হয় ?

উঃ-  হত মহম্মদ মা হেতে মদিনা আসার সময় যেসমস্ত সীবিদের সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন তাঁদের বলা হয় মুহাতি বা বাত্যাগী । হন্যে অনুরে আশ্রয় নেয় এবং ধর্ম প্রচারে সাহায্য করে।


52.জাকাত' কী ?

উঃ- ইসলামের রীতি অনুসারে সম্পন্ন মুসলমানগণ তাদের আয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ (২১২) দুঃস্থ মানুষজনকে দান করেন এই দানইে বলা হয় 'জাকাত।


53.কাবা কী ?

উঃ- মক্কা শহরে মসজিদ-ই-হরম' নামে একটি মসজিদ আছে। এর মাঝখানে একটি পবিত্র ভবন আছে। একেই বলা হয় কাবা বা বাইতুল্লাহ।


54.আইয়ামে জাহেলিয়াত কী ?

উঃ- হজরত মহম্মদের আবির্ভাবের আগে প্রায় এক হাজার বছর আরব জাতির কাছে ছিল অন্ধকার যুগ। সেইসময় আরব জাতির সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে চরম অধঃপতন ঘটেছিল। কোরান শরিফে এই সময়কালকে ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত' বলা হয়।


55.হিজরত কী ? অথবা, হিজরি সাল কেন গণনা করা হয় ?

উঃ- মক্কার কোরায়েশ বংশের প্রবল বিরোধিতায় হজরত মহম্মদ ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা ছেড়ে তাঁর অনুগামীদের নিয়ে মদিনা শহরে চলে আসেন। তাঁর মক্কা থেকে মদিনা গমন করেন।


56.হিজরত কেন ঘটে? অথবা, হজরত মহম্মদ কেন মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে আসেন ?

উঃ- হজরত মহম্মদ প্রবর্তিত ইসলাম ধর্ম কোরায়েশদের চিরাচরিত ধর্মবিশ্বাসে আঘাত হানে। ইসলামের সহজ, সরল ধর্মমত তার সুবিচার ও আদর্শ সাধারণ মানুষকে খুব আকৃষ্ট করেছিল। ফলে কোরায়েশদের পবিত্র কাবায় সাধারণ তীর্থযাত্রীর ভিড় কমতে থাকে এবং তারা যে-বিপুল পরিমাণ তীর্থকর দিত তা থেকে কোরায়েশরা বণ্ডিত হন। ফলে হজরত মহম্মদ ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে প্রবল বিরোধিতা দেখা দেওয়ায় আত্মরক্ষার জন্য তারা মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে আসেন।


57.হজরত মহম্মদ প্রবর্তিত ইসলাম ধর্ম কারা প্রথম গ্রহণ করেছিল ?

উঃ- হজরত মহম্মদ প্রবর্তিত ইসলাম ধর্ম প্রথম গ্রহণ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী খাদিজা। পরে একে একে প্রথম খলিফা হজরত আবুবকর, জামাতা হজরত আলি, বাড়ির পরিচারক জায়েদ এই নতুন ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।


58.ইসলাম ধর্ম প্রসারের কারণ কী ছিল ?

উঃ- ইসলাম ধর্ম প্রসারের কারণ হল (অ) এই ধর্ম ছিল সহজ ও সরল।(আ) এই ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা হজরত মহম্মদের সাধারণ জীবনযাত্রা মানুষকে আকৃষ্ট করে। (ই) ইসলাম ধর্মের ভ্রাতৃত্ববোধ ও গরিব মানুষের পাশে দাঁড়নোর নীতিও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।


59.কোরান ও হাদিস কী ?

উঃ- হজরত মহম্মদ বিভিন্ন সময় আল্লাহ-র কাছ থেকে যেসব অহি বা প্রত্যাদেশ পেতেন, তার-ই সংকলন হল কোরান। বিভিন্ন প্রয়োজনে হজরত মহম্মদ তাঁর অনুগামী সাহাবাদের প্রশ্নের ভিত্তিতে যে-উপদেশগুলি দিতেন, তারই সংকলনকে বলা হয় হাদিস।


61.প্রাচীন নদিয়া বলতে কোন অঞ্চলকে বোঝানো হয় ?

উঃ- প্রাচীনকালের নদিয়া বলতে বর্তমান বাংলাদেশের রাজশাহি জেলার নৌদা গ্রামকে বােঝানাে হয়। আবার অনেকে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের ভাগীরথী নদীর তীরে—যা আজ নদীর তলায় চলে গেছে এমন স্থানকে প্রাচীনকালের নদিয়া বলেন।


62.বখতিয়ার খলজি কেমনভাবে তাঁর সৈন্যদের নিয়ে বাংলায় এসেছিলেন ?

উঃ- বখতিয়ার খলজি তাঁর সৈন্যদের অনেকগুলি ছোটো ছোটো দলে ভাগ করে ঝাড়খণ্ডের দুর্গম জঙ্গলের মধ্যদিয়ে বাংলায় এসেছিলেন।


63.চলখনৌতি রাজ্যের সীমানা কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল ?

উঃ- লখনৌতি রাজ্যের সীমানা উত্তর দিনাজপুর জেলার দেবকোট থেকে রংপুর শহর, দক্ষিণে পদ্মানদী, পূর্বে তিস্তা ও করতোয়া নদী এবং পশ্চিমে বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।


64. বখতিয়ার খলজি কীভাবে নদিয়া জয় করেছিলেন ?

উঃ- বখতিয়ার খলজি বাংলা আক্রমণের সময় বাংলার রাজা ছিলেন লক্ষ্মণ সেন। তুর্কিরা আসছে শুনে তিনি কোনো প্রতিরোধ না-করে পূর্ববঙ্গের দিকে পলায়ন করেন। বিনাযুদ্ধেই তুর্কি সেনাপতি বখতিয়ার খলজি নদিয়া জয় করেছিলেন।

আরও পড়ুন......


File Details

 

File Name/Book Name

সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|প্রথম অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

140 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File



Join Telegram... Members



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top