সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস| চতুর্থ অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|মুঘল সাম্রাজ্য

0

সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস| চতুর্থ অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|মুঘল সাম্রাজ্য

সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর


প্রিয় বন্ধুরা 

সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস| চতুর্থ অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|মুঘল সাম্রাজ্য|আজকে আলোচনা করব তোমরা West Bengal Class 7 History পেয়ে যাবে |সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|Class 7 History 4th chapter Suggestion WBBSE|ইতহাস প্রশ্নোত্তর| West Bengal Class Seven|Class 7 History Question and Answer|itihas proshno uttor| Class 7 History 4th chapter Notes WBBSE|ইতিহাস মক টেস্ট|History Mock Test 


এছাড়াও তোমরা পাবে সপ্তম শ্রেণী চতুর্থ অধ্যায় মুঘল সাম্রাজ্য থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ Very Short Question Short Questions Descriptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের VII History Examination এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই ২ নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস (মুঘল সাম্রাজ্য) ২ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।


সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস| চতুর্থ অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|মুঘল সাম্রাজ্য

1.প্রশ্ন মোগল কারা ? মোগলদের পরিচয় কী ?

উঃ- ভারতবর্ষে মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জহিরউদ্দিন বাবর। বাবর ছিলেন তুর্কি নেতা তৈমুর লঙ ও মোঙ্গল নেতা চেঙ্গিজ খানের বংশধর। মোগল কথাটি এসেছে মোঙ্গল বা মোঙ্গ শব্দ থেকে, যার অর্থ সাহসী।


2.ভারতে মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কারা ?

উঃ- ভারতে মগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হলেন বাবর। আর প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা হলেন সম্রাট আকবর।


3.কবে, কাদের মধ্যে পানিপতের প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয় ?

উঃ- ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে, বাবর ও ইব্রাহিম লোদির মধ্যে পানিপতের প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়।


4.শেরশাহের প্রকৃত নাম কী ? তিনি কত বছর পর্যন্ত রাজত্ব করেন ?

উঃ- শেরশাহের প্রকৃত নাম ছিল ফরিদ খাঁ। তিনি ১৫৪০১৫৪৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন।


5.শেরশাহের দুটি মৌলিক সংস্কারের পরিচয় দাও।

উঃ- শেরশাহের মৌলিক সংস্কার 

(ক) তিনি প্রথম ভারতে জমি জরিপের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, 

(খ) খবরাখব দ্রুত আদানপ্রদানের জন্য তিনি ঘোড়ার পিঠে ডাক পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।


6.বর্গি ও শিলাদার  কারা ?

উঃ- শিবাজির অশ্বারোহী বাহিনীতে দু-রকমের সেনা ছিল। যথা- (ক) বর্গি: এটি ছিল সরকারি বাহিনী। 

(খ) শিলাদার: শিলাদারদের সৈন্য ও অশ্ব নিজেদের জোগাড় করতে হত। তবে তার বিনিময়ে তারা টাকা পেত।


7.আহম্মদ শাহ আবদালি কে ছিলেন ? তিনি কতবার ভারত আক্রমণ করেন ?

উঃ- আহম্মদ শাহ আবদালি ছিলেন পারস্যসম্রাট নাদির শাহের আফগান সেনাপতি এবং পরবর্তীকালে আফগা -নিস্তানের স্বাধীন নরপতি (১৭৪৭-১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দ) হিসেবে তিনি মোট ৯বার ভারত আক্রমণ করেন।


8.কবে, কাদের মধ্যে বিলগ্রামের যুদ্ধ হয় ? এই যুদ্ধের গুরুত্ব কী ছিল ?

উঃ- ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে মোগল সম্রাট হুমায়ুনের সঙ্গে শেরশাহের বিলগ্রামের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। বিলগ্রামের যুদ্ধে পরাজিত হয়ে হুমায়ুন কাবুলে পালিয়ে যান। শেরশাহ ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির মসনদ দখল করেন এবং তিনি পাঁচ বছরের জন্য ভারতবর্ষ থেকে মোগল শাসনের বিলুপ্তি ঘটান।


5.হুমায়ুন কী কারণে পারস্যে পলায়ন করেন ?

উত্তর ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে বিলগ্রামের যুদ্ধে শেরশাহের নিকট পরাজিত হয়ে হুমায়ুন পারস্যে পলায়ন করেন।


6.চদিরানের যুদ্ধ সম্পর্কে কী জানো ?

উঃ- এক ধরনের রণকৌশল অবলম্বন করে তুরস্কের অটোমান তুর্কি সেনাবাহিনী ১৫১৪ খ্রিস্টাব্দে চদিরানের যুদ্ধে পারস্যের সফাবি সৈন্যবাহিনীকে পরাজিত করে।


7.দাগ ও হুলিয়া কী ?

উঃ- সেনাবাহিনীতে দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য শেরশাহ অশ্ব বা ঘড়া চিহ্নিতকরণ ও সৈন্যের বিবরণ লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা করেন। এই দুই ব্যবস্থাই যথাক্রমে দাগ ও হুলিয়া নামে খ্যাত।


8.সম্রাট আকবরের রাজপুত নীতির দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উঃ- সম্রাট আকবরের রাজপুত নীতির দুটি বৈশিষ্ট্য (ক) আকবর রাজপুতদের ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য এই জাতির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।


9.মোগলরা নিজেদের কেন বাদশাহ বলত ?

উঃ- বাদশাহ বা পাদশাহ শব্দটি একটি ফারসি শব্দ। এর অর্থ শাসক বা সম্রাট (পাদ = প্রভু/শাহ = শাসক)।১৫০৭ খ্রিস্টাব্দে কাবুল জয়ের পর বাবর ‘পাদশাহ উপাধি ধারণ করেন। পরে তাঁর বংশধররা এই উপাধি ব্যবহার করতে থাকেন।


10.ভারতের ইতিহাসে পানিপতের প্রথম যুদ্ধের গুরুত্ব কী ছিল ?

উঃ- ভারতের ইতিহাসে পানিপতের প্রথম যুদ্ধের গুরুত্ব অপরিসীম। 

(ক) এই যুদ্ধে সুলতানি যুগের সুলতান ইব্রাহিম লোদি পরাজিত ও নিহত হন। 

(খ) ফলে দিল্লিতে লোদি বংশের অবসান ঘটে। 

(গ) এবং ভারতে মোগল রাজত্ব শুরু হয়।


আরও পড়ুন......

11.হুমায়ুন শেরশাহ বা আফগানদের কাছে কেন হেরে গিয়েছিলেন ?

উঃ- হুমায়ুন আফগানদের কাছে হেরে গিয়েছিলেন, কারণ(ক) হুমায়ুনের ভাই কামরান, আসকারি ও হিন্দাল যুদ্ধে দাদাকে সাহায্য করেননি। 

(খ) হুমায়ুনের সময় মোগল সাম্রাজ্যের ভিত অতটা মজবুত ছিল না। 

(গ) অন্যদিকে আফগান নেতা শেরশাহ ছিলেন সুচতুর ও রণনিপুণ।


12.শেরশাহের রাজ্যের শাসনতান্ত্রিক বিভাগগুলি কী ছিল ?

উঃ- শেরশাহের শাসনব্যবস্থার দুটি ভাগ ছিল, যথা 

(ক) কেন্দ্রীয় শাসন এবং 

(খ) প্রাদেশিক শাসন। শাসনকার্যে সুবিধার জন্য তিনি তাঁর সাম্রাজ্যকে ৪৭ টি ভাগে ভাগ করেন। প্রতিটি ভাগ ‘সরকার নামে পরিচিত। প্রতিটি সরকার আবার কয়েকটি পরগনায় বিভক্ত ছিল। প্রতিটি পরগনা আবার কতকগুলি গ্রামে নিয়ে গঠিত ছিল।


13.খানুয়ার যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল ?

উঃ- ১৫২৭ খ্রিস্টাব্দে মেবারের রানা সংগ্রাম সিংহের সঙ্গে বাবরের খানুয়ার যুদ্ধ হয়েছিল।


14.খানুয়ার যুদ্ধের গুরুত্ব কী ছিল ?

উঃ- খানুয়ার যুদ্ধে বাবর জয়লাভ করেছিলেন। এর ফলে ভারতে মোগল সাম্রাজ্য দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।


15.ঘর্ঘরার যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল ?

উঃ- ১৫২৯ খ্রিস্টাব্দে বাবরের সঙ্গে বিহারের আফগানদের ঘর্ঘরার যুদ্ধ হয়েছিল। এই যুদ্ধে আফগানদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বাংলার শাসক নসরৎ শাহ।


16.হুমায়ুন কেন পারস্যে আশ্রয় নিয়েছিলেন ?

উঃ- বিহারের আফগান নেতা শের খান-এর কাছে ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে বিলগ্রামের যুদ্ধে (কনৌজের যুদ্ধও বলা হয়ে থাকে) হুমায়ুন পরাজিত হয়ে দিল্লির সিংহাসনচ্যুত হয়েছিলেন। এমনকি তাঁকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বনে জঙ্গলে ঘুড়ে বেড়াতে হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত পারস্যের শাহ হমম্প-এর কাছে তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন।


17.হুমায়ুনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী কে ছিলেন ? তাঁর কাছে তিনি কোন কোন যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন ?

উঃ- হুমায়ুনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন শের খান। শের খানের কাছে ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে চৌসার যুদ্ধে এবং ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে বিলগ্রামের যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হয়েছিলেন।


18.কবুলিয়ত ও পাট্টা কী ?

উঃ- শের শাহ রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার করে পাট্টা ও কবুলিয়তপ্রথার প্রবর্তন করেন।

(ক) পাট্টা: যে-দলিলে কৃষকের নাম, জমিতে কৃষকের অধিকার ও রাজস্ব দেওয়ার পরিমাণ প্রভৃতি উল্লেখ 


19.করে লেখা থাকত, তাকেই পাট্টা বলে।

(খ) কবুলিয়ত: যে-দলিলে কৃষক রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে সরকারকে একটি অঙ্গীকার পত্র দিত, তাকে কবুলিয়ত বলে।


20.সড়ক-ই-আজম কী ?

উঃ- শের শাহ বাংলার সোনারগাঁ থেকে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে পেশোয়ার পর্যন্ত একটি সড়ক নির্মাণ করেন। এই রাস্তাটির নাম ছিল সড়ক-ই-আজম


আরও পড়ুন......


21. পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল ?

উঃ- পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে, আকবরের সঙ্গে আফগান অধিপতি আদিল শাহের সেনাপতি হিমু-র মধ্যে হয়েছিল।


22.পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধের গুরুত্ব কী ছিল ?

উঃ- পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধে জয়লাভ করবার ফলে আকবর ভারতে মোগল সাম্রাজ্যের ভিতকে আরও সুদৃঢ় করেন। অন্যদিকে এই যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে আফগানদের দিল্লি দখলের স্বপ্ন বিলীন হয়ে যায়।


23.হলদিঘাটির যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল ?

উঃ- হলদিঘাটির যুদ্ধ ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে, আকবরের সঙ্গে মেবারের রানা প্রতাপ সিংহের মধ্যে হয়েছিল।


24.নবরত্ন/নওরতন বলতে কী বোঝায় ?

উঃ- আকবরের রাজদরবারে বহুবিশিষ্ট জ্ঞানীগুণী মানুষদের মধ্যে ন-জনকে একত্রে নবরত্ন/নওরতন বলা হত। এঁদের মধ্যে রাজা বীরবল, আবুল ফজল আল্লামি, আবদুল কাদির বদায়ুনি, তানসেন, মানসিংহ, টোডরমল প্রমুখ উল্লেখযোগ্য ছিলেন।


25.আবুল ফজল আল্লামি রচিত দুটি গ্রন্থের নাম  লেখো।

উঃ- আবুল ফজল আল্লামি রচিত দুটি গ্রন্থের নাম হল—“আকবরনামা ও ‘আইন-ই-আকবরি।


26.বৈরাম খান কে ছিলেন ?

উঃ- বৈরাম খান ছিলেন বাদশাহ হুমায়ুনের বিশ্বস্ত অনুচর। হুমায়ুনের মৃত্যুর পর তিনি নাবালক আকবরের অভিভাবক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু ১৫৬০ খ্রিস্টাব্দে আকবর তাঁকে পদচ্যুত করেন।


27.আকবরের আমলে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের কোন্ কোন্ অঞ্চলগুলি মোগল সাম্রাজ্যভুক্ত হয়েছিল ?

উঃ- আকবরের আমলে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের কাবুল, কাশ্মীর, কান্দাহার, সিন্ধুপ্রদেশ এবং পূর্ব বেলুচিস্তান মোগল সাম্রাজ্যভুক্ত হয়েছিল।


28.আকবরের রাজপুত নীতির উদ্দেশ্য কী ছিল ?

উঃ- দূরদর্শী সম্রাট আকবর অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে, মোগল সাম্রাজ্যের ভিত্তি অনেকটাই নির্ভর করছে রাজপুত শক্তির সাহায্য ও অস্তিত্বের ওপর। সেজন্য তিনি রাজপুতদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। এই কারণে তিনি রাজপুত পরিবারের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এমনকি অনেক রাজপুত ব্যক্তিত্বকে প্রশাসনিক বিভাগের উচ্চস্থানে বসিয়ে মর্যাদা দান করেন।


29.মনসবদারি প্রথা কী ?

উঃ- সম্রাট আকবরের শাসনব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল মনসবদারি প্রথা। ১৫৭১ খ্রিস্টাব্দে তিনি জায়গিরদারি প্রথার বদলে এই প্রথা চালু করেন। মনসব কথার অর্থ পদমর্যাদা। এরূপ ১০ থেকে ১০ হাজারি পদমর্যাদা সম্পন্ন মনসবদারদের পরিচয় পাওয়া যায়।


30.বারো ভূঁইয়া নামে কারা পরিচিত ছিলেন ?

উঃ- জাহাঙ্গিরের সময়ে বাংলা ও বিহারের কিছু স্থানীয় হিন্দু ও মুসলমান জমিদার মোগলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এই বিদ্রোহী জমিদারদের একত্রে বারো ভুইয়া বলা হয়। এঁদের মধ্যে প্রতাপাদিত্য, চাঁদ রায়, কেদার রায়, ইশা খান, মুশা খান প্রমুখ উল্লেখযোগ্য ছিলেন।


জাহাঙ্গিরের রাজত্বকালের স্থানীয় বারো ভুইয়া-র -র মধ্যে দুজনের নাম লেখো।

উঃ- জাহাঙ্গিরের রাজত্বকালের স্থানীয় বারো ভূঁইয়া-র মধ্যে দুজন হলেন প্রতাপাদিত্য ও চাঁদ রায়।


31.জাহাঙ্গির কবে মেবার দখল করেন ? সে-সময় মেবারের রানা কে ছিলেন ?

উঃ- জাহাঙ্গির ১৬১৫ খ্রিস্টাব্দে মেবার দখল করেন। সে-সময় মেবারের রানা ছিলেন প্রতাপ সিংহের পুত্র অমর সিংহ।


32.শাসক নজর মহম্মদের অধীনের অঞ্চল দুটির নাম লেখো।

উঃ- উজবেক শাসক নজর মহম্মদের অধীনস্ত অঞ্চল দুটির নাম হল, বলখ এবং বদখশান।


33.ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে দাক্ষিণাত্যের কোন দুটি অঞ্চল মোগলদের দখলে আসে ?

উঃ- ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে দাক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকোণ্ডা মোগলদের দখলে আসে।


34.ঔরঙ্গজেবের শাসনকালের দুটি কৃষকবিদ্রোহের নাম লেখো।

উঃ- ঔরঙ্গজেবের শাসনকালের দুটি কৃষক বিদ্রোহের নাম হল মথুরার জাঠ বিদ্রোহ এবং হরিয়ানার সৎনামি বিদ্রোহ।


35.আকবরের রাজপুত নীতি কী ছিল ?

উঃ- আকবর বুঝেছিলেন যে, রাজপুতদের সাহায্য ছাড়া সমগ্র ভারতের ওপর স্থায়ীভাবে মোগল আধিপত্য স্থাপন করা সম্ভব নয়। আকবর রাজপুতদের সঙ্গে মৈত্রী স্থাপনের নীতি গ্রহণ করেন। তাঁর এই নীতির ফলে বীর রাজপুত যোদ্ধারা মমোগলদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল।


36.কয়েকজন রাজপুত বীরের নাম লেখো, যাঁরা মোগলদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন ?

উঃ- মানসিংহ, অমরসিংহ, জয়সিংহ, যশোবন্ত সিংহ প্রমুখ রাজপুত বীর মোগলদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন।


37.আকবর রাজপুতদের বেশি গুরুত্ব দিতেন, এর দুটি উদাহরণ দাও।

উঃ- (ক) আকবর বেশিরভাগ রাজপুতদের মোগল শাসনের উচ্চপদে নিয়োগ করেছিলেন। 

(খ) মোগল সেনাবাহিনীতে বেশিসংখ্যক রাজপুত সেনাকেও নিয়োগ করেছিলেন


38.ষোড়শ শতকের দ্বিতীয়ভাগে দাক্ষিণাত্যে কোন্ কোন্ রাজ্য ছিল ?

উঃ- ষোড়শ শতকের দ্বিতীয় ভাগে দাক্ষিণাত্যে বিজাপুর, গোলকোণ্ডা, আহম্মদনগর, বেরার, বিদর ও খান্দেশ প্রভৃতি রাজ্য ছিল।


 39.আকবরের রাজত্বকালে দাক্ষিণাত্যের কোন রাজ্যগুলি মোগলদের অধিকারে এসেছিল ?

উঃ- আকবরের রাজত্বকালে দাক্ষিণাত্যের বেরার, আহম্মদনগর ও খান্দেশ মোগলদের অধিকারে এসেছিল।


40.মালিক অম্বর কে ছিলেন ?

উঃ- মোগল আমলে আহম্মদনগরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মালিক অম্বর। তাঁর চেষ্টায় দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলি মোগলদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করেছিল।


41.দাক্ষিণাত্যের শাসকেরা কেন মোগলদের ওপর আথা হারান ?

উঃ- শাহজাহানের রাজত্বকালে বিজাপুর ও গোলকোণ্ড চুক্তি করে মোগলদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছিল। কিন্তু পরে মোগলরা এই চুক্তি ভেঙে দিলে দাক্ষিণাত্যের শাসকেরা তাদের ওপর আস্থা হারান।


42.দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী ?

উঃ- বাদশাহ ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলি ও মারাঠা নেতা শিবাজিকে দমন করার জন্য রাজধানী ছেড়ে প্রায় ২৫ বছর দক্ষিণ ভারতে কাটিয়েছিলেন। কিন্তু বাদশাহ যা ভেবেছিলেন তা হল না। এর ফলে মোগলদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হল। স্যার যদুনাথ সরকার একেই দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলে অভিহিত করেছেন।


43.কে, কবে দীন-ই-ইলাহি প্রবর্তন করেন ?

উঃ- বাদশাহ আকবর, ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে দীন-ই-ইলাহি প্রবর্তন করেন।


44.দীন-ই-ইলাহি কী ? এর গুরুত্ব কী ছিল?

উঃ- বাদশাহ আকবর সকল ধর্মের সারবস্তুর সমন্বয় করে একটি ব্যক্তিগত ধর্মমত গড়ে তুলেছিলেন। একেই দীন-ই-ইলাহি বলা হয়। আকবরের ধর্মীয় উদারতা ও বিচক্ষণতায় ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে দীন-ই ইলাহির উদ্ভব হয়। ইসলাম, হিন্দু, সুফি, খ্রিস্টান প্রভৃতি ধর্মের সার সমন্বয়ে এটি গড়ে উঠেছিল। এর মূল কথা ছিল ঈশ্বর এক ও অভিন্ন।

গুরুত্ব: আকবর সকলের প্রতি সহনশীলতা ও বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে বিভেদ দূর করার জন্য দীন-ই-ইলাহি প্রবর্তন করেছিলেন।


45.ইবাদতখানা কী ?

উঃ- বাদশাহ আকবর ফতেহপুর সিকরিতে ধর্মীয় আলোচনার জন্য একটি উপাসনাগৃহ তৈরি করেন। এই উপাসনাগৃহই ইবাদতখানা নামে পরিচিত। এখানে আকবর বিভিন্ন ধর্মের পণ্ডিত ব্যক্তিদের ধর্মালোচনা করার সুযোগ করে দিতেন এবং তাদের আলোচনা শুনতেন।


46.সুলহ-ই-কুল কী ?

উঃ- সম্রাট আকবর ভারতবর্ষে সুলহ-ই-কুল বা ধর্মসহিষ্ণুতার বাণী প্রচারের জন্য দীন-ই-ইলাহি নামক এক নতুন ধর্মমত প্রবর্তন করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল

ক) সকল মানুষ ও ধর্মের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ে তোলা। 

খ) তিনি চেয়েছিলেন ঈশ্বরের ইচ্ছায় দেশ শাসন করতে, প্রজাদের সঙ্গে পিতৃসুলভ আচরণ করতে ইত্যাদি।


47.ভারতের ইতিহাসে ১৫২৬ ও ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দ গুরুত্বপূর্ণ কেন ?

উঃ- ভারতের ইতিহাসে (ক) ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দ গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই বছর পানিপতের প্রথম যুদ্ধ হয়। সেই যুদ্ধে জয়লাভ করে বাবর ভারতে মোগল সাম্রাজ্যের সূচনা করেন (খ) ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের মৃত্যু হয়। ঐতিহাসিকগণ ওই খ্রিস্টাব্দ থেকেই ভারতে আধুনিক যুগের সূচনা কাল ধরেছেন।


File Details

 

File Name/Book Name

সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|প্রথম অধ্যায়|১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

112 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File



Join Telegram... Members




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top