সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|পঞ্চম অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|নগর বণিক বাণিজ্য

0

সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|পঞ্চম অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|নগর বণিক বাণিজ্য


সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় ২ নম্বরের উত্তর

প্রিয় বন্ধুরা 

সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|পঞ্চম অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|নগর বণিক বাণিজ্য|আজকে আলোচনা করব তোমরা West Bengal Class 7 History পেয়ে যাবে |সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|Class 7 History 5th chapter Suggestion WBBSE|ইতহাস প্রশ্নোত্তর| West Bengal Class Seven|Class 7 History Question and Answer|itihas proshno uttor| Class 7 History 5th chapter Notes WBBSE|ইতিহাস মক টেস্ট|History Mock Test 


এছাড়াও তোমরা পাবে সপ্তম শ্রেণী পঞ্চম অধ্যায় নগর  বণিক বাণিজ্য থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ Very Short Question Short Questions Descriptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের VII History Examination এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই ২ নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস (মুঘল সাম্রাজ্য) ২ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।


সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|পঞ্চম অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|নগর বণিক বাণিজ্য



1. মধ্যযুগের কোন্ কোন্ শহর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল ?

উ:- মধ্যযুগে ভারতের রাজনীতি ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে দিল্লি ছিল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর। তবে এর বাইরে ছিল আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহর। যেমন বাংলার পাণ্ডুয়া, গৌড়, নবদ্বীপ, চট্টগ্রাম, পাঞ্জাবের লাহাের, উত্তর ভারতের আগ্রা, মোগল আমলের ফতেহপুর সিকরি, দাক্ষিণাত্যের বুরহানপুর, গােলকোণ্ডা ও বিজাপুর এবং পশ্চিম ভারতের আহমেদাবাদ, সুরাট ইত্যাদি।


2. মধ্যযুগে দিল্লি শহরের উৎপত্তি ও বিকাশের ক-টি পর্যায় ছিল ? কী

উ:-মধ্যযুগে দিল্লি শহরের উৎপত্তি ও বিকাশের দুটি পর্যায় ছিল। 

(ক) ত্রয়ােদশ-চতুর্দশ শতকে দিল্লি শহরের বিকাশ এবং (খ) সপ্তদশ শতকে মোগল সম্রাট শাহজাহানের তৈরি শাহজাহানাবাদ।


3. দিল্লিকে ‘হজরত-ই-দিল্লি কেন বলা হত ?

উ:-পারস্যের বিখ্যাত শহর বাগদাদের পতন ঘটলে দিল্লি শহরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মধ্য এশিয়া ও পশ্চিম এশিয়া থেকে প্রচুর মানুষ দিল্লিতে আসতে থাকে। ক্রমে দিল্লি হয়ে ওঠে সুফি সাধকদের পীঠস্থান। সে কারণেই দিল্লিকে বলা হত “হজরত-ই-দিল্লি।


4. চাঁদনি চক নামটি কীভাবে প্রচলিত হল ?

উ:-শাহজাহানের কন্যা জাহানারা দিল্লির লালকেল্লা থেকে জাহানারা বেগমের চক পর্যন্ত বিস্তৃত বাজারের উত্তর দিক জুড়ে একটি সরাইখানা ও বাগান এবং দক্ষিণ দিকে একটি স্নানাগার তৈরি করে দিয়েছিলেন। জনশ্রুতি অনুযায়ী, চাঁদনি রাতে জলে চাঁদের আলো পড়ে চিকচিক করত বলেই ওই জায়গার নাম ‘চাঁদনি চক। অন্য কাহিনি অনুযায়ী ওই বাজারে সোনা-রুপোর টাকার ঝিলিকের জন্য এই অঞ্চলের নাম হয় ‘চাঁদনি চক।


5. সুলতানি যুগে রাস্তার ধারে সরাইখানা নির্মাণ করা হত কেন ?

উ:-সুলতানি আমলে ব্যাবসাবাণিজ্য এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি ঘটেছিল। এসময় রাস্তার ধারে পথিকদের সাহায্যের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল সরাইখানা। এগুলিতে পথিক ও বণিকরা বিশ্রাম নিত।


আরও পড়ুন......

6. মোগল যুগের কয়েকটি বণিক সম্প্রদায়ের পরিচয় দাও।

উ:-মোগল যুগের কয়েকটি বণিক সম্প্রদায় ছিল লোহানা, ক্ষেত্রী, কোমতি (পূর্ব ভারত), অসোয়াল, মহেশ্বরী ও আগরওয়াল (রাজস্থান) প্রভৃতি।


7. মোগল যুগের কয়েকজন ধনী বণিকের নাম লেখো।

উ:-বিরজি বোহড়া, আবদুল গফুর বোহড়া, মলয় চেট্টি, কাশী বিরম্না, সুনকা রাম চেট্টি প্রমুখ ছিলেন মোগল যুগের ধনী বণিক।


8. মোগল যুগের কয়েকটি বিখ্যাত বাণিজ্য কেন্দ্র ও বন্দরের নাম করো।

উ:-বাংলাদেশের সাতগাঁ ও চট্টগ্রাম, তামিলনাড়ুর মাদ্রাজ নেগপটনম, সিন্ধুর লাহোর, গুজরাটের কাম্বে ও সুরাট, মহারাষ্ট্রের কালিকট ও গোয় ছিল মোগল যুগের বিখ্যাত বাণিজ্য কেন্দ্র ও বন্দর।


9. মোগল আমলে কী কী শিল্প প্রসিদ্ধ লাভ করেছিল ?

উ:-মোগল যুগের প্রসিদ্ধ শিল্পের তালিকায় ছিল জাহাজ শিল্প, বন্দুক ও বারুদ শিল্প, তলোয়ার শিল্প, বস্ত্রশিল্প, গালিচা শিল্প, রেশম শিল্প, কাগজ শিল্প, স্বর্ণ ও রৌপ্য অলংকার শিল্প, খোদাই শিল্প, রঞ্জন শিল্প, মৃৎ শিল্প ইত্যাদি।


আরও পড়ুন......


10. কে, কবে, কোথায় ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি স্থাপন করেন ? প্রথম কোন ইংরেজ বাণিজ্য প্রতিনিধি ভারতে আসেন ? সেই সময় মোগলসম্রাট কে ছিলেন ?

উ:-১৬০০ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের মহারানি প্রথম এলিজাবেথ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৬০৯ খ্রিস্টাব্দে ক্যাপটেন হকিন্স প্রথম মােগল সম্রাট জাহাঙ্গিরের রাজদরবারে উপস্থিত হন।


11. হুন্ডি কী ?

উ:-হুন্ডি হল একধরনের কাগজ বা কাগুজে মুদ্রা। মধ্যযুগের সরাফরা (একধরনের বণিক) এই হুন্ডি দ্বারা বণিকদের সঙ্গে মুদ্রা বিনিময় করত।


12. দস্তক বলতে কী বোঝো ?

উ:-১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে মোগলসম্রাট ফারুকশিয়ারের ‘ফরমান অনুযায়ী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সুবা বাংলায় অর্থাৎ, বাংলা-বিহার-ওড়িশায় বাৎসরিক ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে বাণিজ্য করার অনুমতি লাভ করে। এই ফরমান অনুযায়ী কোম্পানি বাংলায় বিনা শুল্কে বাণিজ্য করার ছাড়পত্র বা অনুমতি পায় তাকে বলে দস্তক।


13. ফারুকশিয়ারের ফরমান অনুযায়ী কোম্পানি বাংলায় কী কী অধিকার লাভ করে ?

উ:-ফারুকশিয়ারের ফরমান অনুসারে কোম্পানি বাংলায় যে-অধিকারগুলি লাভ করে, তা হল- (ক) বিনা শুল্কে বাণিজ্য করার অধিকার পায়, (খ) গঙ্গার তীরবর্তী অঞ্চল সুতানুটি, গোবিন্দপুর ও কলকাতাসহ আরও ৩৮টি গ্রাম খরিদ করার অনুমতি পায়, (গ) কলকাতায় কোম্পানি ‘দস্তক ব্যবহারের অনুমতি পায়, (ঘ) কোম্পানি তার নিজস্ব মুদ্রা ছাপানোর অধিকার লাভ করে।


File Details

 

File Name/Book Name

সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|পঞ্চম অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|নগর বণিক বাণিজ্য

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

79 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File



Join Telegram... Members





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top