সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস| ষষ্ঠ অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সুলতানি ও মুঘল যুগ
প্রিয় বন্ধুরা
সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|ষষ্ঠ অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সুলতানি ও মুঘল যুগ|আজকে আলোচনা করব তোমরা West Bengal Class 7 History পেয়ে যাবে|সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|Class 7 History 6th chapter Suggestion WBBSE|ইতহাস প্রশ্নোত্তর|West Bengal Class Seven|Class 7 History Question and Answer|itihas proshno uttor|Class 7 Hist -ory 6th chapter Notes WBBSE|ইতিহাস মক টেস্ট| History Mock Test
এছাড়াও তোমরা পাবে সপ্তম শ্রেণী ষষ্ঠ অধ্যায় জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সুলতানি ও মুঘল যুগ থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ Very Short Question Short Questions Descriptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের VII History Examination এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই ২ নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস (জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সুলতানি ও মুঘল যুগ) ২ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।
সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস| ষষ্ঠ অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সুলতানি ও মুঘল যুগ
উ:- সুলতানি ও মোগল আমলে সমাজে পরিবারের গুরুত্ব ছিল। সেই পরিবার ছিল
যৌথ পরিবার। সমাজে ও পরিবারে নারীর স্থান ছিল পুরুষের নীচে। এসময় হিন্দু ও মুসলিম
উভয় সমাজেই পর্দাপ্রথার প্রচলন ছিল। তবে গরিব পরিবারে নারী ও পুরুষ উভয়েই কাঁধে কাঁধ
মিলিয়ে কাজ করতেন, তাঁরা একই সঙ্গে খেতখামারেও একত্রে কাজ করতেন। ফলে এদের মধ্যে পর্দা
বা ঘোমটাপ্রথার বিশেষ প্রচলন ছিল না।
2. সুলতানি ও মোগল আমলের মানুষ কীভাবে আনন্দ উপভোগ করত ?
উ:- সে-যুগে খেলাধুলোর মধ্যে কুস্তি ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয়; এই কুস্তি প্রতিযোগিতায় অভিজাত থেকে সাধারণ জনগণ সকলেই যোগ দিতেন। এ ছাড়া এ ব্যাপারে বিশেষ উৎসাহী ছিলেন সাধুসন্তরা। এসময় তিরধনুক, বর্শা-ছোঁড়া, বাঁটুল ছোঁড়া ও সাঁতার অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। সাধারণ মানুষ লোকগান, নাচ, বাজিকর বা জাদুখেলা, সং সাজা প্রভৃতির মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ করতেন।
3.মধ্যযুগের ভারতে ধর্মীয় অবস্থা কেমন ছিল ?
উ:- মধ্যযুগের ভারতীয় জীবনযাত্রায় ধর্ম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করত। সেসময়ে জনজীবনে প্রাচীন আমলের ব্রাত্মণ্যবাদ, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের প্রভাব
ছিল। তবে মানুষ এইসব ধর্মের ওপর ক্রমশ তাদের আস্থা হারিয়ে ফেলছিল। ফলে ভক্তিবাদ ও
সুফিবাদের উদ্ভব ও প্রচারের পথ সুগম হয়
4. ভক্তিবাদের মূল কথা কী ?
উ:- ভক্তিদর্শনের মূল কথা হল আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার মিলন, অর্থাৎ,
ভগবানের সঙ্গে তাঁর সৃষ্ট জীবের মিলন। ভক্তিবাদী সাধকেরা বলতেন ভক্তিই মুক্তির আসল
পথ। তাঁরা প্রচার করতেন ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়। তাঁরা ধর্মের কঠোর অনুশাসন, জাতিভেদ
প্রথা ও পৌত্তলিকতাবাদে বিশ্বাসী ছিলেন না।
5. ভারতে ভক্তিবাদের সূচনা কবে হয় এবং কারা করেন ?
উত্তর দক্ষিণ ভারতে সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যে ভক্তিবাদের সূচনা
হয়। এই সময়ের বিখ্যাত দুই ভক্তিবাদী সাধক ছিলেন নায়নার ও আলওয়ার। তারা সর্বশ্রেষ্ঠ
দেবতা অর্থাৎ, শিব ও বিষ্ণুর পুজোর দ্বারা ভক্তিবাদী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট রচনা করেন।
6. গুরুনানক কী প্রচার করেন ?
উ:- হিন্দু ও মুসলমান ধর্মের যা কিছু ভালো তার উপর ভিত্তি করে গুরুনানক
তাঁর ধর্মমত প্রচার করেন। তিনি জাতিভেদ প্রথা মানতেন না। মূর্তিপুজোয় তাঁর বিশ্বাস
ছিল না। তিনি ছিলেন একজন একেশ্বরবাদী সাধক। তাঁর ধর্মমত তিনটি বিষয়কেন্দ্রিক ছিল,
যথা—নাম বা ভগবানের কীর্তন, দান বা জীবে দয়া এবং স্নান বা দৈহিক পরিচ্ছন্নতা।
7. ভক্তিবাদী সাধক কবীর কী প্রচার করেন ?
উ:- ত্তর কবীর হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির সেতুবন্ধনের
প্রচেষ্টা করেন। কবীরের ভক্তিচিন্তায় ইসলামের একেশ্বরবাদের সঙ্গে বৈয়ব, তান্ত্রিক
ও নাথ-যোগী ধর্মীয় বিশ্বাসের মিলন ঘটেছিল। হিন্দু ও মুসলমানের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের
প্রতি তাঁর কোনো আস্থা ছিল না। তিনি বলতেন ঈশ্বর একজনই। তাঁকে রাম, রহিম, খোদা, আল্লা
প্রভৃতি নামে ডাকা হয়। তাঁর মতে, হিন্দু ও মুসলমান একই মাটির দুটি পাত্র বিশেষ।
আরও পড়ুন......
- সপ্তম শ্রেণী প্রথম অধ্যায় ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
- সপ্তম শ্রেণী দ্বিতীয় অধ্যায় ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
8. পির ও মুরিদ সম্পর্কে কয়েকটি কথা লেখো।
উ:- সুফি সিলসিলাগুলির এক-একজন করে গুরু থাকতেন। সুফি গুরু ও শিষ্যরা
একসঙ্গে থাকতেন ‘খানকা’-য়। সুফি গুরুদের বলা হত ‘পির’ এবং
শিষ্যদের বলা হত “মুরিদ। এই গুরু- বু-শিষ্যের সম্পর্ক ছিল মধুর। পিররা তাদের উত্তরাধিকারী
বা মুরিদদের ওপর দায়িত্ব দিয়ে যেতেন।
9. সুফিবাদের মূল কথা কী ?
উ:- সুফিবাদের মূল কথা ছিল—ঈশ্বর
এক এবং অভিন্ন। তাঁরা বলতেন মানুষকে ভালােবাসলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয় এবং জাতিধর্মবর্ণনির্বিশেষে
সকলেই সমান। তাঁরা বলতেন গুরু ছাড়া ঈশ্বর লাভ করা যায় না।
10. সুফিবাদের’ উৎস কী ?
উ:- সম্ভবত আরবি শব্দ সুফ বা পশম থেকে সুফি কথাটি এসেছে। ভারতীয় সুফিবাদ বিকাশলাভ করেছে পারস্যের ‘অতিন্দ্রিয়বাদ’ থেকে। সুফি মতবাদ হচ্ছে একটি বিশাল নদী সেখানে বহু ভাবধারা ও প্রবাহ এসে মিলিত হয়েছে। এই মতবাদের মূলসূত্র ‘কোরান’ ও ‘হাদিস থেকে সংগৃহীত হয়েছে।
11. সুফি সংগঠন ও কর্তব্য সম্পর্কে কী জান ?
উ:- সুফি সাধকদের বলা হয় ‘পির’ বা
দরবেশ বা ফকির। পিরের কর্মকেন্দ্রকে বলা হয় দরগা বা খাকা। সুফি ধর্মাবলম্বীদের অবশ্য
পালনীয় কর্তব্যগুলি হল—নামাজ, রোজা, তওয়াকুল (ব্রম্মচর্য), বাসল (মুক্তিলাভ), সবর (ধর্মসহিষ্ণুতা),
ফকর (কৃচ্ছসাধন), জুহবা (দয়া), তওবা (অনুশোচনা) প্রভৃতি।
কয়েকটি সুফি আন্দোলনের ধারার উদাহরণ দাও।
উ:- সুফি আন্দোলনের ধারার উদাহরণস্বরূপ বলা যায়—চিস্তি
পন্থা, সুহরাবর্দি পন্থা, কালিন্দ্ৰী, কাদিরী, শাত্তারী, নকশবন্দি ইত্যাদি।
12. সুফি আন্দোলনের সময় কী কী যৌথ দেবদেবীর উদ্ভব হয় ?
উ:- সুফি আন্দোলনের সময় যেসব দেবদেবীর উদ্ভব হয় তাঁরা হলেন বনবিবি,
ওলাবিবি, সত্যপির, মানিকপির, জয়পির প্রভৃতি।
13. কবে কোথায় সম্রাট আকবর ‘ইবাদতখানা’ স্থাপন করেন ? ইবাদতখানা
কী ? সেখানে কারা আসতেন ?
উ:- ১৫৭৫ খ্রিস্টাব্দে আকবর ফতেহপুর সিকরিতে ইবাদতখানা স্থাপন করেন।
ইবাদতখানার অর্থ হল উপাসনা গৃহ। এখানে ধর্ম আলোচনার জন্য হিন্দুপণ্ডিত
14. সুলতানি যুগের বাংলার কয়েকটি স্থাপত্যশিল্পের নমুনা দাও।
উ:- সুলতানি যুগে বাংলার স্থাপত্য শিল্পের নমুনা হল—পাণ্ডুয়ার
‘আদিনা মসজিদ’, ‘বডো সোনা মসজিদ, ‘কদম-রসুল মসজিদ’,
‘ছোটো সোনা মসজিদ’ ইত্যাদি।
15. মোগল যুগের কিছু ঐতিহাসিক স্থাপত্যশৈলীর নমুনা দাও।
উ:- ফতেহপুর সিকরি’,
‘তাজমহল’, ‘বুলন্দদরওয়াজা, ‘পাঁচমহল’,‘জামামসজিদ,দেওয়ান-ই-খাস, মোতিমসজিদ, ময়ূর সিংহাসন, লালকেল্লা প্রভৃতি।
16. মোগল যুগের দুটি ঐতিহাসিক গ্রন্থের নাম ক।
উ:- মোগল যুগে রচিত দুটি ঐতিহাসিক গ্রন্থ হলশেরওয়ানির ‘তারিখ-ই-শেরশাহি’ এবং
জাহাঙ্গির-এর ‘তুজুক-ই-জাহাঙ্গিরি।
17. গে বাংলা ভাষায় লিখিত কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উ:- মধ্যযুগে বাংলা ভাষায় লিখিত বিভিন্ন গ্রন্থগুলি হল-মালাধর বসুর
‘শ্রীমদ্ভবগত গীতা’, কাশীরাম দাসের ‘মহাভারত’, মুকুন্দ
দাসের ‘ চণ্ডীমঙ্গল’, আলওয়ালের ‘পদ্মাবতী’ প্রভৃতি।
18. তানসেন কোন রাগ সৃষ্টি করে বিখ্যাত হন ? এই রাগের বিশেষত্ব কী ?
উ:- তানসেন ‘মেঘমল্লার’ রাগের
জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। জানা যায় যে, তিনি এই রাগ গেয়ে অকালে বর্ষা এনেছিলেন
19. উর্দুভাষা কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে ?
উ:- সুলতানি যুগে উর্দু নামে একটি নতুন ভাষা সৃষ্টি হয়। এই ভাষা আরবি,
ফারসি, তুর্কি প্রভৃতি মুসলমান ভাষার সংমিশ্রণে সৃষ্টি হয়। পরে উর্দুভাষা হয় মোগল
যুগের দরবারি ভাষা।
20. বখতিয়ার কাকি কীভাবে দিল্লি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন ?
উ:- ফি সাধক ছিলেন কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকি। তিনি ছিলেন দিল্লিতে
চিশতি মতবাদের প্রচারক। তার প্রচারের ফলে চিশতি মতবাদ দিল্লিতে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
এতে উলেমারা ও সুহরাবর্দিরা ক্ষুদ্ধ হয়। কাকি-কে অ-ইসলামীয় আচরণকারী বলে অভিযুক্ত
করা হয়। কেননা তিনি সমা বা সুফি ‘কীর্তন’ গান
করেন। এর প্রতিবাদে বখতিয়ার কাকি যখন দিল্লি ছেড়ে শহরের বাইরে বেরোন, তখন হাজার হাজার
মানুষ তাঁর সঙ্গে বহুদূর চলে আসেন। মানুষের এই সহমর্মিতা দেখে কাকি দিল্লি ফেরার সিদ্ধান্ত
নেন।
21. আকবরের ধর্মীয় চরিত্র কেমন ছিল ?
উ:- আকবর মৌলবি বা উলেমাদের কথায় রাজ্য শাসনের পক্ষপাতী ছিলেন না,
তিনি এ কথা বুঝেছিলেন যে, ভারতে নানা ধর্মের ও নানা জাতির মানুষের বাস। এখানে কোনো
বিশেষ ধর্মের মাধ্যমে শাসন পরিচালনা সম্ভব নয়। তাই তিনি নানা ধর্মের সমন্বয়ে দীন-ই-ইলাহি
নামে এক ধর্ম প্রবর্তন করেন। তাই তিনি সূর্যপ্রণাম, সূর্যের নামজপ, প্রাসাদের ‘ঝরোখা’ (জানালা)
থেকে প্রজা দর্শন প্রভৃতি প্রথার প্রচলন করেন।
22. আকবরের ধর্মীয় চরিত্র কেমন ছিল ?
উ:- আকবর মৌলবি বা উলেমাদের কথায় রাজ্য শাসনের পক্ষপাতী ছিলেন না,
তিনি এ কথা বুঝেছিলেন যে, ভারতে
23. টুকরো কথা দীন-ই-ইলাহি
উ:- দীন-ই-ইলাহি প্রবর্তন করেন সম্রাট আকবর। এটি একটি একেশ্বরবাদী ধর্মমত।
এই ধর্মমত প্রবর্তিত হয় ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে। এই ধর্মমত প্রবর্তনের আগে সম্রাট আকবর
১৫৭৫ খ্রিস্টাব্দে একটি ইবাদতখানা বা উপাসনা গৃহ প্রতিষ্ঠা করেন। আকবরের নবরত্ন সভার
হাস্যরসিক বীরবল সর্বপ্রথম এই ধর্মমত গ্রহন করেন। দীন-ই-ইলাহি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য
ছিল সুলহ-ই-কুল বা ধর্মসহিষ্ণুতার বানী প্রচার করা
24. সুলতানি স্থাপত্যশিল্প কী ?
উ:- সুলতানরা দিল্লিসহ ভারতের নানা স্থানে ঘরবাড়ি, প্রাসাদ, মিনার,
মন্দির-মসজিদ, সৌধ প্রভৃতি তৈরি করেন, একে বলা হয় স্থাপত্য। এইসব স্থাপত্য নির্মাণের
কারিগরিবিদ্যাকে বলা হয় স্থাপত্যশিল্প।
25. কুতুবউদ্দিন আইবক কুয়াত-উল ইসলাম মসজিদ কেন নির্মাণ করেন ?
উ:- কুতুবউদ্দিন আইবক তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে জয়লাভের পর কুয়াত-উল
ইসলাম মসজিদ নির্মাণ শুরু করেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল লোকে যাতে তাঁকে শাসক হিসেবে মেনে
নেয়। তাই পার্শ্ববর্তী সাতাশটি হিন্দু এবং জৈন মন্দিরের ভাঙা অংশ এই মসজিদ বানানোর
কাজে ব্যবহার করা হয়। এই মসজিদে হিন্দু, জৈন এবং ইসলামীয় থাপত্যশিল্পের মিশ্রণ ঘটেছে।
- সপ্তম শ্রেণী চতুর্থ অধ্যায় ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
- সপ্তম শ্রেণী পঞ্চম অধ্যায় ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
- সপ্তম শ্রেণী ষষ্ঠ অধ্যায় ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
26. তাজমহল সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
উ:- মোগল আমলের ভারতীয় স্থাপত্যশিল্পের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হল তাজমহল।
শাহজাহান এই স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করেন। এতে যেভাবে পাথরের ব্যবহার করা হয়েছে এবং নানা
কারুকার্য করা হয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসে তা বিরল। তাই তাজমহলকে অনুপম শিল্পরীতি মণ্ডিত
বলে অভিহিত করা হয়।
27. বাংলা' পদ্ধতি কী ?
উ:- খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতক নাগাদ বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
এসময় বাংলার স্থাপত্য নির্মিত হত ইসলামি রীতি অনুসারে। তবে স্থাপত্যগুলির বাইরের দিকের
কারুকার্য করা হত বাংলার লৌকিক রীতির সাহায্যে। বাংলায় ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে ইটের
ব্যবহার করা হত। বাড়ি ও মন্দিরগুলি ঢালু ধাঁচে তৈরি করা হত। যা বাংলা’ পদ্ধতি
নামে পরিচিত।
28. রত্ন মন্দির স্থাপত্যরীতি কী ?
উ:- মধ্যযুগের বাংলায় আয়তক্ষেত্রাকার কাঠামোর ওপর একাধিক চূড়া যোগ
করে মন্দির বানানো হত। যেগুলিকে বলা হত “রত্ন’। এক
চূড়াযুক্ত মন্দিরকে বলা হত একরত্ন মন্দির, পাঁচচূড়াযুক্ত মন্দিরকে বলা হত ‘পঞ্চরত্ন’ ইত্যাদি
পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলাসহ অন্যান্য স্থানে এই ধরনের মন্দির দেখা যায়।
29. মোগল আমলে কীভাবে দরবারি চিত্রকলার উদ্ভব ঘটে ?
উ:- সুলতানি শাসনের সূত্রপাতের সময় ভারতবর্ষে ছবি আঁকার প্রচলন ছিল।
কিন্তু সুলতানি আমল থেকেই এক্ষেত্রে নানা পরিবর্তন আসে। এযুগের চিত্রকলায় নানা রীতির
মিশ্রণ দেখা যায়। এসময় নানা আঞ্চলিক চিত্রকলারও উদ্ভব ঘটে। সুলতানি আমলে বই ও পাণ্ডুলিপিতেও
ছবি আঁকার প্রচলন ঘটে। এ ছাড়া পাণ্ডুলিপিগুলি লেখা হত সুন্দর হাতের লেখায়।
30. সুলতানি ও মোগল আমলে সংগীতচর্চার বৈশিষ্ট্যগুলি কী ছিল ?
উ:- সুলতানি ও মোগল আমলে সংগীতচর্চার ক্ষেত্রেও এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন
এসেছিল। এসময় ভারতীয় সংগীতচর্চা এবং ইরানি সংগীতচর্চার মিলন ঘটেছিল। খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ
শতক থেকেই সুফি পিররা সমা গানকে তাঁদের সাধনার মাধ্যম করে তোলেন। এ ছাড়া এসময় ভক্তিবাদের
হাত ধরেও নানা আঞ্চলিক সংগীতচর্চার ধারা গড়ে ওঠে। ফলে কবীর, নানক, মীরাবাঈ সকলেই গানকে
তাঁদের ঈশ্বর
31. ভারতে মণিপুরী নৃত্যের ক্ষেত্রে পরিবর্তন কীভাবে আসে ?
উ:- আঠারো শতকে ভক্তিধর্মের প্রভাবে মণিপুরী নৃত্যের ক্ষেত্রেও আসে
নানা পরিবর্তন। ফলে প্রচলিত আদি নৃত্যধারার সঙ্গে যুক্ত হয় ভক্তিরস। এভাবেই সৃষ্টি
হয় সংকীর্তন এবং রাসলীলা, মণিপুরের মহারাজ ভাগ্যচন্দ্রই সর্বপ্রথম মণিপুরী রাসলীলার
ধারাগুলির বিকাশসাধন করেন।
32. মধ্যযুগের ফারসি ভাষার ঐতিহাসিকদের সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
উ:- মধ্যযুগের ইতিহাস রচনার প্রধান মাধ্যম ছিল ফারসি ভাষা। এই ভাষায়
ইতিহাস রচনা করে যেসব ঐতিহাসিক কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে মিনহাজ-উসসিরাজ,
ইসামি এবং জিয়াউদ্দিন বারনি উল্লেখযোগ্য।
33. সুলতানি ও মোগল আমলে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কী কী উন্নতি ঘটে ?
উ:- সুলতানি ও মোগল আমলে জ্যোতির্বিদ্যারও প্রভূত উন্নতি ঘটে। সুলতানি
আমলে তুঘলক বংশের সুলতান ফিরোজশাহ তুঘলক দিল্লিতে একটি মানমন্দির তৈরি করান। এই মন্দিরটি
তৈরি করা হয়েছিল একটি উঁচু মিনারের ওপর। এর ওপর বসানো হয় একটি সূর্যঘড়ি। এ ছাড়া
খ্রিস্টীয় তেরাে শতক থেকে চিনের চৌম্বক কম্পাসের ব্যবহার ভারতে শুরু হয়। এই কম্পাস
ব্যবহার করা হত ভারতের সামুদ্রিক এলাকায়।
34. মধ্যযুগের ভারতে বয়ন প্রযুক্তি বা কাপড় বোনার ক্ষেত্রে কী কী
পরিবর্তন আসে ?
উ:- মধ্যযুগের ভারতে বয়ন প্রযুক্তিতে নানা পরিবর্তন আসে। এগারো খ্রিস্টাব্দে
ম ধ্যএশিয়া থেকে ভারতে ‘চরকার’ আমদানি হয়। এসময় থেকেই কাপড় বানোর জন্য তাঁতেরও প্রচলন হয়।
35. পারসিক চক্র কী ?
উ:- খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকে পারস্য থেকে ভারতে আসে পারসিক চক্র বা Persian wheel। এই যন্ত্রের মাধ্যমে পশুর সাহায্যে কুয়ো বা খাল থেকে জল তোলা যেত। তবে যন্ত্রটি ছিল অত্যন্ত দামি। তাই সাধারণ মানুষ এটিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে পারেনি।
File Details
File Name/Book Name
সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস| ষষ্ঠ অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|
File Format
PDF
File Language
Bengali
File Size
90 KB
File Location
GOOGLE DRIVE
Download Link
Join Telegram... Members
File Details |
|
File Name/Book Name | সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস| ষষ্ঠ অধ্যায়|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| |
File Format | PDF |
File Language | Bengali |
File Size | 90 KB |
File Location | GOOGLE DRIVE |
Download Link |