ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস ইতিহাসের ধারণা|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর | Class 6 The concept of History 2 Marks

1

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস ইতিহাসের ধারণা|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর

 
ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস ইতিহাসের ধারণা ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর

প্রিয় বন্ধুরা 

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস ইতিহাসের ধারণা|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর |আজকে আলোচনা করব|তোমরা West Bengal Class 6 History পেয়ে যাবে|ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|West Bengal Class Six|Class 6 History Question and Answer|Class 6 History itihaser dharona Suggestion WBBSE|Class 6 History Notes WBBSE|Class 6 History 2 marks Question and Answer|ইতহাস প্রশ্নোত্তর| ইতিহাস মক টেস্ট|itihas proshno o uttor |History Mock Test

এছাড়াও তোমরা পাবে ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাসের ধারণা থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ, Very Short Question, Short Questions,  Descriptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের VI History Examination এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই ২ নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস (ইতিহাসের ধারণা) ২ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।


ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস ইতিহাসের ধারণা|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর

১. ইতিহাস কাকে বলে ?

উত্তর :- মানুষের জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের জীবনযাত্রার বিবরণকে ইতিহাস বলে।

 

২. আদিম মানুষ সভ্যতার সূচনা কীভাবে করে ?

উত্তর :- আগুনের ব্যবহারের মধ্য দিয়ে সভ্যতার সূচনা করে।

 

৩. যুগ কাকে বলে ?

উত্তর :- হাজার হাজার বছরকে একসঙ্গে যুগ বলে।

 

৪. তামা ও ব্রোঞ্জের যুগ কাকে বলে ?

উত্তর :- তামা ও ব্রোঞ্জের ব্যবহারের সময়কে বলে তাম্র-ব্রোঞ্জ যুগ।

 

৫. ইতিহাসের গল্প কেমনভাবে শুরু হয় ?

উত্তর :- কবে, কেন, কীভাবে, কোথায়' দিয়েই ইতিহাসের গল্প শুরু হয়।

 

৬. নদীমাতৃক সভ্যতা বলতে কী বোঝায় ?

উত্তর :- প্রাচীন সভ্যতাগুলি নদীর তীরেই গড়ে উঠেছিল। নদী ছিল মানুষের মায়ের মতো। তাই সেগুলিকে নদীমাতৃক সভ্যতা বলা হয়।

 

৭. সমতল অঞ্চলের লোকেরা খাদ্য হিসেবে ভাত গ্রহণ করেন কেন ?

উত্তর :- সমতল অঞ্চলে ধান চাষ বেশি হয়। এর ফলে এই অঞ্চলের লোকেরা ভাত প্রধান খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করেন।

 

৮. ভূগোল জানা দরকার কেন ?

উত্তর :- ভূগোল জানা না-থাকলে ইতিহাস অজানা থেকে যাবে। সুতরাং, ইতিহাস জানতে গেলে ভূগােল জানা দরকার এমনকি ইতিহাসের ‘কেন’ এবং কোথায় জানার জন্যও ভূগােল জানা দরকার।

 

৯. ভারতীয় উপমহাদেশ বলতে কী বোঝায় ?

উত্তর :- ভারত একটি বৃহৎ দেশ। এখানে পাহাড়, নদী, সমুদ্র ও মরুভূমিতে পরিপূর্ণ এবং নানারকম পরিবেশ ও মানুষের বাস। তাদের খাদ্য, পোশাক, ঘরবাড়িতেও নানারকম বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। এদের একসঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশ বলা হয়।

 

১০. উপমহাদেশ বলতে কী বোঝায় ?

উত্তর :- উপমহাদেশ বলতে একটি মহাদেশের মতোই বড়ো অঞ্চলকে বোঝায়। যার মধ্যে মহাদেশীয় বৈশিষ্ট্যগুলি খুঁজে পাওয়া যায়।

 

১১. আর্যাবর্ত বলতে কী বোঝায় ?

 

উত্তর :- ভারতের উত্তর অংশ যেখানে আর্যরা বাস করত সেই অলকে আর্যাবর্ত বলা হত।

 

১২. দাক্ষিণাত্য বলতে কী বোঝায় ?

উত্তর :- বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণ ভাগকে অর্থাৎ বিন্ধ্য থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত অ কে দাক্ষিণাত্য বলা হয়।

 

১৩. কোন্ অঞ্চলকে দ্রাবিড় দেশ বলা হত ?

উত্তর :- দ্রাবিড়রা বাস করত ভারতের দক্ষিণ দিকে। এই দক্ষিণ দিককে দাক্ষিণাত্য বলা হয়। কাবেরী নদীর দক্ষিণ অংশকে তাই দ্রাবিড় দেশ বলা হত।

 

১৪. তুষার যুগ কাকে বলে ?

উত্তর :- হাজার হাজার বছর আগে পৃথিবী বরফে জমেছিল; এই দীর্ঘ সময় পৃথিবী বরফে ঢাকা ছিল বলে এই সময়কে তুষার বা বরফের যুগ বলা হয়।

 

১৫. তামার যুগ কাকে বলে ?

উত্তর :- যখন মানুষ শুধু তামার ব্যবহার জানত, তখন সেই যুগকে তামার যুগ বলা হত।

 

১৬. লোহার যুগ কাকে বলে ?

উত্তর :- একটা সময় ছিল যখন থেকে লোহাই সবচেয়ে মানুষের বেশি কাজে লাগল, লোহার যন্ত্রপাতি তৈরি হল। তাই এই সময়ের নাম লোহার যুগ।

 

১৭. আনুমানিক বলতে কী বোঝায়?

উত্তর :- অনেক সময় গণনার সুবিধার জন্য পুরোনো দিনের সাল-তারিখ আন্দাজ করে নিতে হয়, এই আন্দাজ বা অনুমান করে নেওয়াকে আনুমানিক বলা হয়।

 

১৮. প্রাক-ইতিহাস যুগ কাকে বলে ?

উত্তর :- ইতিহাসে একটা সময়ের কথা অনুমান করে নিতে হয়, যখন মানুষ লিখতে পারত না। এই সময়কে প্রাকইতিহাস যুগ বলা হয়।

 

১৯. প্রায়-ইতিহাস যুগ কাকে বলে ?

উত্তর :- এক সময়ে মানুষ লিখতে শিখেছিল, সেই সময়ের লেখা পাওয়া যায়, কিন্তু পড়া যায় না। পুরোনো দিনের এই সময়কে প্রায়-ইতিহাস যুগ বলা হয়।

 

২০. ইতিহাস যুগ কাকে বলে ?

উত্তর :- যে-সময়ের লেখা পাওয়া যায় ও পড়া যায় এবং তার থেকে মানুষ ও তার জীবনযাপন সম্পর্কে কথা জানা যায়, পুরোনো দিনের সেই সময়কে ইতিহাসের যুগ বলা হয়।

 

২১. সময়ের হিসাব কীভাবে করা যায় ?

উত্তর :- সাল-তারিখ, বছর-অব্দ প্রভৃতি দিয়ে সময়ের হিসাব করা হয়।

 

২২. খ্রিস্টপূর্বাব্দ কাকে বলে ?

উত্তর :- জিশু খ্রিস্টের জন্মের আগের সময়কে খ্রিস্টপূর্বাব্দ বলা হয়।

 

২৩. খ্রিস্টাব্দ কাকে বলে ?

উত্তর :- জিশু খ্রিস্টের জন্মকে ধরে যে-অব্দ বা সাল গণনা কর। হয় তা খ্রিস্টাব্দ নামেই পরিচিত।

২৪. খ্রিস্টপূর্বাব্দ কীভাবে গোনা হয় ?

উত্তর :- খ্রিস্টপূর্বাব্দ বড়ো থেকে ছোটোর দিকে গণনা করা হয় । যেমন- ৫, ৪, ৩, ২, ১।

 

২৫. খ্রিস্টাব্দ কীভাবে গোনা হয় ?

উত্তর :- খ্রিস্টাব্দ ছোটো থেকে বড়ড়ার দিকে গোনা হয়। যেমন-১, ২, ৩, ৪, ৫।

 

২৬. শতাব্দ ও সহস্রাব্দ কী ?

উত্তর :- একশো বছরকে শতাব্দ বা শতাব্দী এবং হাজার বছরকে সহস্রাব্দ বলা হয়।

 

২৭. পুরোনো দিনের মানুষ কোথায় ছবি আঁকত ?

উত্তর :- পুরোনো দিনের মানুষ গুহার পাথরের গায়ে, মাটির দেয়ালে, ধাতুর পাতে ছবি আঁকত। পরে এই ছবিই অক্ষর হয়ে উঠেছিল।

 

২৮. ইতিহাসের উপাদান কাকে বলে ?

উত্তর :- প্রাকৃতিক বা অন্য কোনো কারণে মাটির নীচে চাপা পড়ে যাওয়া মানুষের ব্যবহার করা নানা জিনিস, মুদ্রা, গয়না, অস্ত্রশস্ত্র, মূর্তি হল পুরোনো দিনের সাক্ষ্য। এগুলিকেই ইতিহাসের উপাদান বলে।

 

২৯. প্রত্নতাত্ত্বিক কাদের বলে ?

উত্তর :- মাটির নীচে চাপা পড়ে যাওয়া উপাদানগুলিকে যারা খুঁজে বের করেন এবং ইতিহাস রচনার কাজে সেগুলিকে যথাযথ ব্যবহার করেন, তাঁদের প্রত্নতাত্ত্বিক বলে।

 

৩০. প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান কাকে বলে ?

উত্তর :- মাটির নীচে চাপা পড়ে যাওয়া উপাদানগুলি যখন উদ্ধার হয় তাকে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান বলে।

 

৩১. প্রত্নক্ষেত্র কাকে বলে ?

উত্তর :- যে-অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রত্নবস্তু বা উপাদান পাওয়ার জন্য খননকার্য চালান, সেই অঞ্চলকে প্রত্নক্ষেত্র বলে।

 

৩২. প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলি কী কী ?

উত্তর :- প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলি হল— প্রত্নবস্তু, লেখমালা, মুদ্রা, স্থাপত্য-ভাস্কর্য-চিত্র ইত্যাদি।

 

৩৩. শিলালেখ কাকে বলে ?

উত্তর :- পাথরের গায়ে খোদাই লেখাগুলিকে শিলালেখ বলে।

 

৩৪. প্রশস্তি কাকে বলে ?

উত্তর :- প্রশস্তি মানে গুণগান করা। অনেক শাসকের গুণগান লেখ হিসেবে খোদাই করা হত, একে প্রশস্তি বলে।

 

৩৫. মুদ্রা থেকে কী জানা যায় ?

উত্তর :- মুদ্রা থেকে রাজার নাম, বংশ পরিচয়, মূর্তি, রাজ্যসীমা, রাজত্বকাল, ধর্মবিশ্বাস, শিল্পের প্রতি অনুরাগ, রাজ্যের উন্নতি এবং অর্থনৈতিক পরিকাঠামো প্রভৃতি কথা জানা যায়।

 

৩৬. প্রাচীন ভারতের চিত্রের নমুনা পাওয়া যায় এমন দুটি গুহার নাম লেখো।

উত্তর :- প্রাচীন ভারতের চিত্রের নমুনা পাওয়া যায় এমন দুটি গুহার নাম- মধ্যপ্রদেশের ভূপালের ভীমবেটকা ও মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গবাদের অজন্তা।

 

৩৭. সাহিত্য উপাদান কাকে বলে ?

উত্তর :- প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে যেসব সাহিত্য সাহায্য করে থাকে; এইসব সাহিত্যকে সাহিত্য উপাদান বলে।

 

৩৮. সাহিত্য উপাদান ক-টি ভাগে বিভক্ত, এবং কী কী ?

উত্তর :- সাহিত্য উপাদান দুটি ভাগে বিভক্ত, যথা—দেশি এবং বিদেশি।


 ৩৯. দেশি সাহিত্য কী কী ?

উত্তর :- ধর্মনিরপেক্ষ সাহিত্য ও ধর্মভিত্তিক সাহিত্য নিয়েই দেশি সাহিত্য।


৪০. প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে তিন ধরুনের বিদেশি বিবরণ কী কী ?

উত্তর :- প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে তিন ধরনের বিদেশি বিবরণ হল- 

(ক) গ্রিক বিবরণ, 

(খ) রোমান বিবরণ ও 

(গ) চিনা বিবরণ।


আরও পড়ুন......



File Details

 

File Name/Book Name

ষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস ইতিহাসের ধারণা|২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

81 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File


Join Telegram... Members

 





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
To Top