পাল ও সেন যুগে বাংলার বাণিজ্য ও কৃষির মধ্যে তুলনা করাে এবং পাল ও সেন যুগে বাঙালির খাওয়াদাওয়া কীরকম ছিল আলোচনা কর।
বন্ধুরা আজকে পাল ও সেন যুগে বাংলার বাণিজ্য ও কৃষির মধ্যে তুলনা সম্পর্কে তোমাদের সঙ্গে আলোচনা করব, এই পোস্টের মাধ্যমে তোমরা পাল ও সেন যুগে বাঙালির খাওয়াদাওয়া কীরকম ছিল আলোচনা কর সপ্তম শ্রেনী দ্বিতীয় অধ্যায় (ভারতের সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা) থেকে পাল ও সেন যুগে বাংলার বাণিজ্য ও কৃষির মধ্যে তুলনা করাে এবং পাল ও সেন যুগে বাঙালির খাওয়াদাওয়া কীরকম ছিল সেই সম্পর্কে আলোচনা পেয়ে যাবে।
পাল ও সেন যুগে বাংলার বাণিজ্য ও কৃষির মধ্যে তুলনা
পাল ও সেন যুগে বাংলার অর্থনীতির মূল ভিত্তি ছিল বাণিজ্য ও কৃষি।
পাল ও সেন যুগে বাংলার বাণিজ্য:
পাল ও সেন যুগে বাংলার বাণিজ্য:- পাল ও সেন যুগে বাংলার অর্থনীতিতে ক্রমশ বাণিজ্যের গুরুত্ব কমে আসছিল। এই সময় বাণিজ্যের অবনতির কয়েকটি কারণ ছিল-
1.ভারতের পশ্চিমদিকে আরব সাগরে আরব বণিকদের কর্তৃত্ব বেড়েছিল। তাদের দাপটের ফলে বাংলার বণিকরা পিছু হটেছিল।
2.পাল-সেন যুগে বাংলার অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার জন্য সােনা-রুপার মুদ্রার ব্যবহার কমে গিয়েছিল এবং কড়ির মাধ্যমে জিনিসপত্র কেনাবেচা চলত। ফলে বাইরের ব্যবসায়ীরাও বাংলার সাথে ব্যাবসা করতে উৎসাহী ছিল না।
পাল ও সেন যুগে বাংলার কৃষি:
পাল ও সেন যুগে বাংলার কৃষি:- পাল ও সেন যুগে বাংলার অর্থনীতিতে বাণিজ্যের অবনতির ফলে কৃষির গুরুত্ব বেড়েছিল। কৃষকদের উৎপন্ন ফসলের একের ছয় ভাগ (এক-ষষ্ঠাংশ) কর দিতে হত। এযুগের উৎপন্ন ফসলগুলির মধ্যে প্রধান ছিল ধান, সরষে, বিভিন্ন ধরনের ডাল। তা ছাড়া আম, কাঁঠাল, কলা, নারকেল, মহুয়া প্রভৃতি ফল উৎপন্ন হত। মহুয়া ও আখ থেকে তৈরি পানীয় বাঙালি সমাজে প্রচলিত ছিল। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের চাষিরা পান, সুপারি, পাট, কার্পাস প্রভৃতি উৎপাদন করত।
পাল ও সেন যুগে বাঙালির খাওয়াদাওয়া
পাল ও সেন যুগে বাঙালির খাওয়াদাওয়ার বিবরণ সেই সময়ে রচিত বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে জানা যায়।
ভাত:- বাংলার প্রধান ফসল ছিল ধান, তাই বাঙালিদের প্রধান খাদ্য ছিল ভাত। ঘি দিয়ে গরম ভাত বাঙালির খুব প্রিয় খাদ্য ছিল।
শাকসবজি:- সেই সময় বাংলায় যেসব শাকসবজি উৎপন্ন হত তার মধ্যে প্রধান ছিল নালতে (পাট) শাক, লাউ, কুমড়াে, ঝিঙে, বেগুন, কচু, ডুমুর, কাকরােল প্রভৃতি। এইসব শাকসবজি বাঙালির নিত্যদিনের খাদ্য ছিল। আজও আমরা এইসব শাকসবজি খাই। তবে উল্লেখযােগ্য বিষয় হল তখন বাঙালিরা আলু খেতে জানত না। বাংলায় আলুর চাষ ও খাদ্য হিসেবে আলুর ব্যবহার শুরু হয়েছে অনেক পরে। পাের্তুগিজরা এদেশে আসার পর তাদের কাছ থেকে বাঙালিরা আলু খেতে শিখেছে।
মাছ:- বাংলার নদী, নালা ও পুকুরে বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যেত। যেমন— পুঁটি, মৌরলা, রুই, শােল প্রভৃতি। সমুদ্রসংলগ্ন নদীতে ইলিশ মাছ পাওয়া যেত। অনেকে শুকনাে মাছও খেত।
মাংস:- মাছের মতাে মাংসও বাঙালির প্রিয় খাদ্য ছিল। বাঙালি সমাজের সবাই না খেলেও অনেকে ছাগল, বিভিন্ন ধরনের পাখি, কচ্ছপ, কাঁকড়া, শামুক ও হরিণের মাংস খেত।
দুধ:- বাঙালিরা দুধ ও দুধের তৈরি দই, পায়েস, ক্ষীর খেতে খুব পছন্দ করত। তা ছাড়া আখের গুড়, আখ ও মহুয়া থেকে তৈরি পানীয় বাঙালি সমাজে চালু ছিল।
আরও পড়ুন......
আরও পড়ুন......File Details
File Name/Book Name
পাল ও সেন যুগে বাংলার বাণিজ্য ও কৃষির মধ্যে তুলনা করাে এবং পাল ও সেন যুগে বাঙালির খাওয়াদাওয়া কীরকম ছিল আলোচনা কর।
File Format
PDF
File Language
Bengali
File Size
62 KB
File Location
GOOGLE DRIVE
Download Link
Join Telegram... Members
File Details |
|
File Name/Book Name | পাল ও সেন যুগে বাংলার বাণিজ্য ও কৃষির মধ্যে তুলনা করাে এবং পাল ও সেন যুগে বাঙালির খাওয়াদাওয়া কীরকম ছিল আলোচনা কর। |
File Format | PDF |
File Language | Bengali |
File Size | 62 KB |
File Location | GOOGLE DRIVE |
Download Link |