ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস ২য় অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্নোত্তর Part-2

0

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস ২য় অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্নোত্তর


ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস ২য় অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্নোত্তর


1.এপ থেকে কীভাবে মানুষের উৎপত্তি হল ?

পৃথিবীতে একসময় আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে গাছপালা কমে যেতে থাকে। তখন একদল এপ খাবারের সন্ধানে মাটিতে নেমে আসে। তারা দু-পায়ে দাঁড়ানাের চেষ্টা করতে থাকে। দীর্ঘদিনের নানারকম প্রচেষ্টায় তাদের শরীরের নানা পরিবর্তন ঘটে। এভাবেই এপ থেকে ধীরে ধীরে বিবর্তনের এপ মধ্যদিয়ে মানুষে পরিণত হয়।

 

2.এপ কাদের বলে ?

আফ্রিকা মহাদেশের পূর্বদিকে ঘন জঙ্গলে গাছে গাছে এক ধরনের বড়াে লেজহীন বানর ছিল। এই বানরকে বলে এপ। 


3.অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গে মানুষের কী কী পার্থক্য তােমার চোখে পড়ে ?

অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গে মানুষের পার্থক্যগুলি হল প্রধানত

  1. অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় মানুষের মস্তিষ্কের আকার বেশ বড়াে। 

  2. মানুষ দু-পায়ে হাঁটতে পারে। 

  3. মানুষের হাত দুটি বেশ নমনীয় এবং তা ভালােভাবে ব্যবহার করতে পারে।

  4. মানুষের লম্বা মেরুদণ্ড রয়েছে।

4.অস্ট্রালােপিথেকাসদের সম্পর্কে কী জানা যায় ?

অস্ট্রালােপিথেকাস-এর পরিচয় 

  1. আনুমানিক 40 লক্ষ থেকে 30 লক্ষ বছর আগে মানব প্রজাতির গুরুত্বপূর্ণ অস্ট্রালােপিথেকাস গােষ্ঠীর উদ্ভব ঘটে।

  2. এরা দু-পায়ে ভর দিয়ে কোনােক্রমে দাঁড়াতে পারত।

  3. এদের চোয়াল ছিল শক্ত ও সুগঠিত। 

  4. এরা শুকনাে ফল, শক্ত বাদাম, গাছের পাতা চিবিয়ে খেত।


5.আদিম মানুষের জীবন কেমন ছিল?

আদিম মানুষের জীবনধারা ছিল নিম্নরূপ-

  1. আদিম মানুষের জীবন ছিল অনেকটা পশুর মতাে। 

  2. তারা দলবেঁধে কখনও খােলা আকাশের নীচে, আবার কখনও অন্ধকার পাহাড়ের গুহায় বাস করত। 

  3. তাদের হাতিয়ার হাতের মুঠোতে ধরা যায় এমন পাথরের এবড়ােখেবড়াে টুকরাে।



4.অস্ট্রালােপিথেকাসদের সম্পর্কে কী জানা যায় ?

অস্ট্রালােপিথেকাস-এর পরিচয় 

  1. আনুমানিক 40 লক্ষ থেকে 30 লক্ষ বছর আগে মানব প্রজাতির গুরুত্বপূর্ণ অস্ট্রালােপিথেকাস গােষ্ঠীর উদ্ভব ঘটে।

  2. এরা দু-পায়ে ভর দিয়ে কোনােক্রমে দাঁড়াতে পারত।

  3. এদের চোয়াল ছিল শক্ত ও সুগঠিত। 

  4. এরা শুকনাে ফল, শক্ত বাদাম, গাছের পাতা চিবিয়ে খেত।



5.অস্ট্রালােপিথেকাস এর বৈশিষ্টঃ-

  1. এরা পাথর, পশুর হাড় ও শিং-কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করত। 

  2. এদের মাথার খুলির আয়তন ছিল 550 ঘন সেমি।



6.পুরােনাে দক্ষ মানুষরা কেমন ছিল? অথবা, হােমাে হাবিলিসদের সম্পর্কে কী জানা যায় ? 

পুরােনাে দক্ষ মানুষদের পরিচয়-

  1. আনুমানিক 26 লক্ষ থেকে 17 লক্ষ বছর আগে হােমাে হাবিলিস বা দক্ষ মানুষদের উদ্ভব ঘটে।

  2. এরা দলবদ্ধভাবে হাঁটত এবং শিকার করত। তারা ফলমূলের পাশাপাশি কাঁচা মাংসও খেত। 

  3. এরাই প্রথম পাথরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য একটি পাথরের টুকরােকে আর-একটি পাথর দিয়ে আঘাত করত। 

  4. এদের মাথার খুলির আয়তন ছিল 660ঘন সেমি।

7.হােমাে স্যাপিয়েন্স বা বুদ্ধিমান মানুষদের সম্পর্কে কী জানা যায় ?

আনুমানিক 2 লক্ষ 30 হাজার বছর আগে হােমাে ইরেকটাস থেকেই বিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমানের মানুষ হােমাে স্যাপিয়েন্স বা বুদ্ধিমান মানুষের উদ্ভব ঘটে। এরা দলবেঁধে পশু শিকার করত। পশুর মাংস আগুনে পুড়িয়ে খেত এবং পশুর চামড়া পরত। তারা নানা কাজে আগুনের ব্যবহার শিখেছিল। তারা ছােটো, ধারালাে ও তীক্ষ্ণ পাথরের হাতিয়ার তৈরি করতে শিখেছিল। এমনকি তারা বর্শা জাতীয় পাথরের হাতিয়ার বানাতে পারত। এদের মাথার  আয়তন ছিল প্রায় 1400 ঘন সেমি।



8.হােমা ইরেকটাস বা দণ্ডায়মান মানুষদের সম্পর্কে কী জানা যায় ?

দণ্ডায়মান মানুষদের পরিচয়-

  1. আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব 20 লক্ষ থেকে 3 লক্ষ 50 হাজার বছর আগে হােমাে ইরেকটাস বা দণ্ডায়মান মানুষদের উদ্ভব ঘটে।

  2. এরা দু-পায়ে ভর দিয়ে সােজা হয়ে দাঁড়াতে পারত এবং দলবদ্ধভাবে গুহায় বসবাস করত।

  3. এরা একসঙ্গে পশু শিকারে যেত ।

  4. এরাই প্রথম বনে-লাগা আগুন (দাবানল) দেখে আগুনের ব্যবহার শিখেছিল।



9.পুরােনাে পাথরের যুগে মানুষ কীভাবে খাদ্য সংগ্রহ করত ?

পুরােনাে পাথরের যুগে মানুষ মূলত বনের ফলমূল ও জীবজন্তুর কাঁচা মাংসের ওপর নির্ভরশীল ছিল। সেই সময় তারা ছিল খাদ্য সংগ্রাহক। শিকার করে ও বনের ফলমূল জোগাড় করে নিজেদের জীবনকে বাঁচিয়ে রাখত। তবে খাদ্য জোগাড়ের কোনাে নিশ্চয়তা ছিল না।



10.আগুনের ব্যবহার আদিম মানুষের জীবনে কী পরিবর্তন এনেছিল ?

আগুনকে সব প্রাণী ভয় পায়। প্রাণীদের মধ্যে মানুষই একমাত্র আগুন জ্বালাতে ও ব্যবহার করতে পারে। তারা আগুনে কাঁচা মাংস ঝলসে খেতে শিখেছিল। রাতের বেলায় হিংস্র প্রাণীদের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে তারা বাসস্থানের চারিদিকে আগুন জ্বালিয়ে রাখত। শীতের হাত থেকে বাঁচতে তারা আগুন জ্বালাত।



11.লুসি সম্পর্কে কী জানা যায় ?

1947 খ্রিস্টাব্দে আফ্রিকা মহাদেশের ইথিয়ােপিয়ার হাদার অঞ্চলে একটি অস্ট্রালােপিথেকাস প্রজাতির কঙ্কালের কিছু অংশ পাওয়া গেছে। এই কঙ্কালটি প্রায় 32 লক্ষ বছর আগের একটি ছােটো মেয়ের। এর নাম দেওয়া লুসির মস্তিষ্ক হয়েছে লুসি। গবেষকগণ এই কঙ্কালটিকে অস্ট্রালােপিথেকাস প্রজাতির বলে মনে করেন। এই লুসির মস্তিষ্ক অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় বড়াে ছিল।



12.আদিম মানুষ কীভাবে আগুন জ্বালাতে শিখেছিল ?

প্রাণীদের মধ্যে একমাত্র মানুষই আগুন জ্বালাতে ও ব্যবহার করতে পারে। প্রথম দিকে তারা বনে লাগা আগুন (দাবানল) বা অন্যভাবে জ্বলেওঠা আগুন দেখত। কোনাে একসময় তারা জ্বলন্ত গাছের ডাল গুহায় নিয়ে আসত এবং তা নিভতে দিত না। এইভাবে হঠাৎ একদিন পাপরের হাতিয়ার তৈরি করতে গিয়ে চকমকি জাতীয় পাথরের ঠোকাঠুকিতে আগুন জ্বালিয়ে ফেলে। আনেকে মনে করেন শুকনো কাঠে কাঠ ঘষে তারা আগুন জ্বালাতে শিখেছিল ।

13.ভারতীয় উপমহাদেশের কোন্ কোন্ অঞ্চল থেকে পুরােনাে পাথরের যুগের মানুষের প্রমাণ পাওয়া গেছে ?

ভারতীয় উপমহাদেশে কাশ্মীরের সােয়ান উপত্যকা, হিমাচল প্রদেশের শিবালিক পর্বত অঞলকর্ণাটকের হুন্সগি উপত্যকা, রাজস্থানের দিদওয়ানা, মহারাষ্ট্রের নেভাসা, মধ্যপ্রদেশের নর্মদা উপত্যকা প্রভৃতি অঞ্চল থেকে পুরােনাে পাথরের যুগের মানুষের প্রমাণ পাওয়া গেছে।



14.পুরােনাে পাথরের যুগে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ কীভাবে খাদ্য জোগাড় করত ?

পুরােনাে পাথরের যুগে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারত না। পশুপালনও তাদের জানা ছিল না। তাই তারা পশুশিকার করে ও ফলমূল জোগাড় করে খাদ্য সংস্থান করত। এর জন্য তাদের নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে দিন কাটাতে হত।



15.ভারতীয় উপমহাদেশের আদিম মানুষদের কথা কীভাবে জানা যায় ? 

অনুমান করা হয় যে, আফ্রিকা থেকে একসময় আদিম মানুষ ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছিল। সেইসব মানুষের

হাড়গােড় এবং তাদের ব্যবহার করা পুরােনাে হাতিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলে পাওয়া গেছে। সেগুলি থেকেই উপমহাদেশের আদিম মানুষদের কথা জানতে পারা যায়। যেমন— কাশ্মীরের সােয়ান উপত্যকা, কর্ণাটকের হুগি উপত্যকা প্রভৃতি অঞ্চল থেকে নানা প্রমাণ পাওয়া গেছে।



16.ভারতীয় মহাদেশে পুরােনাে পাথরের যুগের তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে। 

পুরােনাে পাথরের যুগের বৈশিষ্ট্যগুলি হল— 

  1. হাতিয়ার:- পুরােনাে পাথরের যুগের হাতিয়ার ছিল ভারী নুড়ি পাথরের তৈরি। কুঠার ও চপার জাতীয় হাতিয়ারের ব্যবহার ছিল বেশি।

  2. পশুপালন:- যাযাবর মানুষেরা পশুর দল নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়াত। 

  3. পােশাক:- পােশাক তৈরির ধারণা তখনও তৈরি না হওয়ায় মানুষেরা গাছের ছাল, পশুর চামড়া প্রভৃতি পােশাক হিসেবে ব্যবহার করত। 



17.ভীমবেটকা গুহাচিত্র গুলির বৈশিষ্ট্য কী ছিল ? 

ভীমবেটকা গুহার চিত্রগুলির বৈশিষ্ট্য ছিল— 

  1. পশুপাখির ছবি:- ভীমবেটকা গুহায় ছবিগুলির অধিকাংশ বন্য পশু পাখি, মাছ প্রভৃতির। 

  2. শিকার:- মানুষের পশুশিকারের ছবিও এখানে পাওয়া গেছে। একা কিংবা দলবদ্ধভাবে মানুষের শিকারের ছবি এখানে আঁকা রয়েছে। 

  3. রং-এর ব্যবহার:- এখানকার ছবিগুলিতে সবুজ, হলদে, সাদা-নীল রং-এর ব্যবহার দেখা যায়। 



18.আলতামিরা গুহা কোথায় আবিষ্কৃত হয়েছে ? 

এখানে কীসের ছবি পাওয়া গেছে ? উত্তর আলতামিরা গুহা ইউরােপ মহাদেশের স্পেনে অবস্থিত। আলতামিরা গুহা আলতামিরা গুহায় ‘ট্যরাে’ বা ষাঁড়ের ছবি পাওয়া গেছে। গুহার ছাদে 50 থেকে 60 হাজার বছর আগে গুহাবাসী মানুষেরা একটি বড়াে ষাঁড়ের ছবি এখানে এঁকেছিলেন।

19.ভারতীয় উপমহাদেশে মাঝের পাথরের যুগের তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে।

ভারতীয় উপমহাদেশের মাঝের পাথরের যুগের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

  1. ধারালাে হাতিয়ার:- মাঝের পাথরের যুগে মানুষের অস্ত্রগুলি ছিল ধারালাে ও ছােটো প্রকৃতির। 

  2. আগুনের ব্যবহার:- এই সময়কার মানুষেরা মাংস ঝলসানাের জন্য আগুনের ব্যবহার করত। 

  3. জাঁতার ব্যবহার:- সরাই নহর রাই-তে শস্যদানা ভাঙার জন্য জাঁতার মতাে যন্ত্র ব্যবহার করা হত বলে জানা গেছে।



20.রাজস্থানের বাগােড় অঞ্চলের গৃহপালিত পশুদের সম্পর্কে কী জানা যায় ? 

রাজস্থানের বাগােড় অঞ্চলে অনেকগুলি পশুর হাড় পাওয়া গেছে। সেগুলি থেকে অনুমান করা হয় যে, এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের পশুপালন জানা ছিল। পরের দিকে গৃহপালিত পশুর সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তারা গােরু, রাজস্থানের বাগোড় অঞ্চল ছাগল, ভেড়া প্রভৃতি প্রাণীকে লালনপালন করত। বাগােড়ের বাসিন্দারা ধীরে ধীরে গৃহপালিত পশুর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিল।



21.ভারতীয় উপমহাদেশে নতুন পাথরের যুগের বৈশিষ্ট্য লেখাে।

ভারতীয় উপমহাদেশে নতুনপাথরের যুগের বৈশিষ্ট্যগুলি হল- 

  1. কৃষিকাজ:- নতুন পাথরের যুগে মানুষেরা কৃষিকাজ করতে শিখেছিল। আদিম মানুষেরা এই সময় খাদ্য সংগ্রাহক থেকে খাদ্য উৎপাদনকারীতে পরিণত হয়েছিল। 

  2. স্থায়ী বসবাস:- এই সময় মানুষেরা যাযাবর জীবন বাদ দিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করে। 

  3. কারিগর শ্রেণি:- সমাজের বিভিন্ন মানুষের প্রয়ােজন মেটাতে এইসময় কারিগর শ্রেণির জন্ম হয়।



22.হুগি উপত্যকা থেকে কী ধরনের হাতিয়ার পাওয়া গেছে ?

কর্ণাটকের গুলবর্গা জেলার উত্তর-পশ্চিমে হুগি উপত্যকা অবস্থিত। 1983 খ্রিস্টাব্দে এখানে মাটি খুঁড়ে হাতকুড়ুল, ছােরা, চাছুনি জাতীয় পাথরের হাতিয়ার পাওয়া গেছে। অনুমান করা হয় যে, এইসব হাতিয়ার আজ থেকে প্রায় পাঁচ-ছয় লক্ষ বছর আগেকার। অনেকের মতে, হুন্সগিতে পাথরের হাতিয়ার তৈরি হত। 



23.পুরােনাে পাথরের যুগে হাতিয়ারগুলির প্রকৃতি কেমন ছিল ? 

পুরােনাে পাথরের যুগের হাতিয়ারের প্রকৃতি ছিল 

  1. পুরােনাে পাথরের যুগের প্রথমদিকে মানুষেরা ভারী নুড়ি পাথর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করত।

  2. পরের দিকে পাথরগুলি ভেঙে তার কোণার অংশগুলি ব্যবহার করত।

  3. প্রথম পর্বে কুঠার ও চপার জাতীয় অস্ত্র ব্যবহৃত হলেও পরে ছুরি জাতীয় অস্ত্র বেশি ব্যবহৃত হত।



24.নতুন পাথরের যুগের মানুষের বসতি বানানাের গুরুত্ব সম্পর্কে কী জানা যায় ?

নতুন পাথরের যুগের মানুষের বসতি বানানাের 

গুরুত্ব:- 

  1. শিকার ও পশুপালনের জন্য মানুষকে নানান জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হত। কৃষিকাজ শুরু করার পর তারা কৃষিজমির পাশে বসতি গড়ে তােলে।

  2. কৃষিফসল বাঁচানাে এবং মাছ শিকারের জন্য মানুষ জলাশয়ের পাশে বসতি গড়ে তােলে। 

  3. নতুন পাথরের যুগে মানুষ খড়, বিচালি, লতাপাতা, ঘাসজাতীয় আগাছা, গাছের পাতা প্রভৃতি দিয়ে বসতবাড়ি তৈরি করত।


25.সংস্কৃতি বলতে কী বােঝায় ? 

সংস্কৃতি বলতে নাচ-গান, শিল্প-সাহিত্য, পােশাকপরিচ্ছদ, খাওয়াদাওয়া, অবসর বিনােদন এবং নানান ধরনের কাজকর্মকে বােঝায়। পুরােনাে যুগ থেকে বর্তমান যুগ সবসময় সব সমাজেরই কোননা-না-কোনাে সংস্কৃতি ছিল, তবে আদিম মানুষের সংস্কৃতি ছিল পাথরের ওপর ভিত্তি করে। 



26.ঠান্ডা যুগ বা বরফ যুগ বলতে কী বােঝায় ? 

এই যুগের বৈশিষ্ট্য কী ছিল ? উত্তর পুরােনাে পাথরের যুগের শেষদিকে পৃথিবীতে ধাপে ধাপে কয়েক লক্ষ বছর ধরে প্রচণ্ড ঠান্ডা এবং বরফে ঢাকা ছিল। এই সময়কালকে ঠান্ডা যুগ বা বরফ যুগ বলা হয়। এই যুগের কতকগুলি বৈশিষ্ট্য হল-

  1. ঠান্ডা যুগে পৃথিবীর অনেকটাই পুরু বরফে ঢেকে যায়।

  2. অনেক পশুপাখি ও মানুষ সেই ঠান্ডায় কষ্ট পায়। অসহ্য ঠান্ডায় অনেক পশুপাখি মারা যায়। 

  3. ঠান্ডা থেকে বাঁচতে মানুষ গাছের ছাল অথবা পশুর চামড়া পরত।


27.আদিম মানুষের মুখাবয়বের পরিবর্তন হল কীভাবে ?

আগুনের ব্যবহারের ফলে আদিম মানুষের খাদ্যাভ্যাসের বদল ঘটেছিল। এসময় কাঁচা মাংস খাওয়ার বদলে মাংস আগুন ধরেছে খাওয়া শুরু করে ধর্ষণ ও মাংস অনেক নরম ধর্ষণে নরম মাংস খেতে তাদের চেয়ে ভালো দাঁতের কম লাগবে সেই কারণে ধীরে ধীরে তাদের শুরু হয়ে এলো সামনে দাড়ালো উঁচু দাঁত ছোট হয়ে গেল এভাবে আদিম মানুষের মুখের পরিবর্তন হলো।




আরও পড়ুন......


File Details -

PDF Name / Book Name ইতিহাস প্রশ্নোত্তর 
Language : Bengali
Size : 1.01MB
Download Link : Click Hereto Download




 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top