Advertisement

CLASS 8 History Compilation 2021 MODEL ACTIVITY TASK // অষ্টম শ্রেনীর ইতিহাসঅ্যাক্টিভিটি টাস্ক compilation

CLASS 8 History Compilation 2021 MODEL ACTIVITY TASK // অষ্টম শ্রেনীর ইতিহাসঅ্যাক্টিভিটি টাস্ক compilation

CLASS 8 History Compilation


১. ‘ক’ স্তম্ভের সাথে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও :

উ:-    

স্তম্ভ

স্তম্ভ

. আবওয়াব 

() বেআইনি কর

. সাহুকার

() মহাজন

. দাদন

() অগ্রিম অর্থ


. সঠিক তথ্য দিয়ে নীচের ছকটি পূরণ করাে

:-  

বিদ্রোহ

একজন নেতার নাম

কারন (যে কোনাে একটি)

নীল বিদ্রোহ

বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস

নীলকর কোনো নীলচাষিকেই ন্যায্য মুল্য দিত না

বারাসাত বিদ্রোহ

মীর নিসার আলী (তিতুমীর)

ব্রিটিশদের অত্যাচার

সাঁওতাল বিদ্রোহ

সিধু কানহু

বহিরাগত মহাজনদের অত্যাচার

মুণ্ডা বিদ্রোহ

বিরসা মুণ্ডা

জমিদার মহাজন, খ্রিষ্টান মিশনারি ঔপনিবেশিক সরকারের অত্যাচার


৩. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করাে :

৩.১ ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে লর্ড নর্থব্রুক জারি করেন নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন। 

উ:-  সত্য

 

৩.২ ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর বাংলা বিভাজনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হয়।

উ:-  সত্য

 

৩.৩ পাঞ্জাবে লালা লাজপত রাই-এর নেতৃত্বে শিবাজি উৎসব চালু হয়।

উ:-  মিথ্যা

৩.৪ সাঁওতালরা ঔপনিবেশিক শাসকের শােষনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। 

উ:-  মিথ্যা

 

৪. সঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করাে :

৪.১ ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে _____মুর্শিদকুলি খান______ কে বাংলার নাজিম পদ দেওয়া হয় (মুর্শিদকুলি খান/সাদাৎ খান /আলিবর্দি খান)। 

 

৪.২ ১৭২২ খ্রিষ্টাব্দে ______সাদাৎ খান_____ এর নেতৃত্বে অযােধ্যা এবং স্বশাসিত আঞ্চলিক শক্তি হিসাবে গড়ে ওঠে (নিজাম-উল-মুলক/সাদাৎ খান/সফদর জং)।

 

৪.৩ ১৭২৪ খ্রিষ্টাব্দে হায়দ্রাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন _____নিজাম-উল-মুলক______ । (ফররুখশিয়র / নিজাম-উল-মুলক/সাদাৎ খান)।

 

৪.৪ ১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দে দেশীয় মুদ্রণ আইন জারি করেন _____লর্ড লিটন______ (লর্ড লিটন/লর্ড রিপন/লর্ড বেন্টিঙ্ক/লর্ড ক্যানিং)। 

 

৫. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও :

৫.১ কে, কি উদ্দেশ্যে সিভিল সার্ভিস চালু করেন? 

উ:-   ভারতে সিভিল সার্ভিস চালু করেন লর্ড কর্ণওয়ালিশ । সিভিল সার্ভিস চালু করার পিছনে লর্ড কর্ণওয়ালিশের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল প্রশাসনিক কাজের মানকে উন্নত ও দ্রুতগামী করা । উল্লেখ্য রাজস্ব বিভাগের কর্মচারীদের দক্ষ করার জন্য ও সাধারণ কর্মচারীদের দুর্নীতি বন্ধ করাই ছিল উদ্দেশ্য

৫.২ ব্যাপটিস্ট মিশন শিক্ষার প্রসারে কেমন ভূমিকা পালন করেছিল? 

উ:-  ব্যাপটিস্ট মিশনারি ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে উইলিয়াম কেরি, মার্শম্যান ও উইলিয়ম ওয়ার্ডের মিলিত প্রচেষ্টায় শ্রীরামপুরে প্রতিষ্ঠা হয়। শিক্ষার প্রসারে ব্যাপটিস্ট মিশনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই মিশনের প্রচেষ্টাতেই ১২৬টি বিদ্যালয় ও প্রায় দশ হাজার ভারতীয় ছাত্র পাশ্চাত্য শিক্ষার সুযােগ পায় ।

৫.৩ পণ্ডিতা রমাবাঈ কেন স্মরণীয়?

উ:-  পণ্ডিতা রমাবাই একজন মহিলা অধিকারি ও শিক্ষা কর্মী। ভারতের নারীদের শিক্ষা ও মুক্তি দানের অগ্রদূত এবং একজন সমাজ সংস্কারক। তিনি প্রথম নারী যিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পণ্ডিত এবং সরস্বতী উপাধিতে ভূষিত হন। তিনি ১৮৮৯ সালের কংগ্রেস অধিবেশনে ১০ জন মহিলা প্রতিনিধিদের মধ্যে একজন ছিলেন। ১৮৯০ সালের শেষদিকে, তিনি পুনে শহর থেকে চল্লিশ মাইল পূর্বে কেদগাঁও গ্রামে মুক্তি মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। পরে মিশনটির নামকরণ করা হয় পণ্ডিতা রমাবাই মুক্তি মিশন।

৫.৪ ইয়ং বেঙ্গল দলের দুটি সীমাবদ্ধতার উল্লেখ করাে।

উ:-  ইয়ং বেঙ্গল দলের দুটি সীমাবদ্ধতা হল

(i) ইয়ং বেঙ্গল দল শুধু হিন্দু সমাজের সংস্কার নিয়ে চিন্তাভাবনায় ব্যস্ত ছিল। মুসলিম সমাজের সংস্কার নিয়ে গােষ্ঠীর সদস্যরা কোনাে চিন্তাভাবনা করেননি। 

(ii) ইয়ংবেঙ্গল গােষ্ঠী দেশের দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিকদের দুরবস্থা ও সমস্যা সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন ছিলেন।

৫.৫ ইলবার্ট বিলকে নিয়ে কেন বিতর্কের সূচনা হয়েছিল? 

উ:-  কোনও ভারতীয় বিচারকের ইউরােপীয়দের বিচার করার অধিকার ছিল না। গভর্নর জেনারেল লর্ড রিপনের আইনসভার সদস্য ইলবার্ট বিচার বিভাগীয় ক্ষেত্রে এই অসংগতি দূর করার চেষ্টা করেন তার প্রস্তাবিত একটি বিলে ভারতীয় বিচারকদের ইউরােপীয়দের বিচার করার অধিকার দেওয়া। হয়, এই বিলের প্রতিবাদে ইউরােপীয়রা সংগঠিতভাবে বিদ্রোহ ঘােষণা করে l শ্বেতাঙ্গদের এই আন্দোলনের ফলে ঐ বিল প্রত্যাহার করা হয় । বিল প্রত্যাহার হলে ভারত সভার উদ্যোগে ভারতীয়রা আন্দোলন শুরু করেন। উভয়পক্ষের আন্দোলন ও পাল্টা আন্দোলন ইলবার্ট বিল বিতর্ক নামে পরিচিত।

৬. আট-দশটি বাক্যে উত্তর দাও :

৬.১ জমি জরিপ ও রাজস্ব নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ নিয়েছিল? 

উ:-  বক্সারের যুদ্ধের পর নায়েব নাজিম, আমিলদার ও সুপারভাইজার এসব গঠনের মাধ্যমেই কোম্পানি ভূমিরাজস্বের ভার দখল করতে থাকে । ঔপনিবেশিক শাসনের জমি জরিপ ও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে পদক্ষেপগুলাে হলাে – পাঁচাওসালা, একসালা, দশসালা ও চিরস্থায়ে বন্দোবস্ত এবং রায়তওয়ারি ও মহলওয়ারি বন্ধবস্ত ইত্যাদি।

পাঁচসালা বন্ধোবস্ত : ভ্রাম্যমান কমিটির সুপারিশে ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে পাঁচ বছরের জন্য জমিদারদের জমি বন্টন করেন, সেটাই পাঁচসালা বন্ধোবস্ত নামে পরিচিত।

একসালা বন্ধোবস্ত : পাঁচসালা বন্ধোবস্তের অসুবিধাগুলাে দূর করতে আমিনি কমিশনের রিপাের্টের ভিত্তিতে ওয়ারেন হেস্টিংস এক সালা বন্দোবস্ত চালু করেন। 

দশসালা বন্ধোবস্ত : ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে লর্ড কর্নওয়ালিস বাংলা, বিহার ও , উড়িষ্যার জমিদারের দশ বছরের জন্য জমি দেন, এরই নাম দশ সালা বন্ধোবস্ত। 

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত : জামিদাররা দশ সালা বন্ধোবস্ত অনুসারে ঠিক সময় মতাে রাজস্ব জমা দেয় তাই রাজস্ব বাের্ডের পরামর্শে লর্ড কর্ণওয়ালিস। ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের ২২ মার্চ বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার জমিদারদের চিরদিনের জন্য নির্দিষ্ট রাজস্বের বিনিময়ে জমি বন্টন করেন, এটাই চিরস্থায়ী বন্ধোবস্ত নামে পরিচিত।

৬.২ ‘সম্পদের বহির্গমন’ বলতে কী বােঝাে? 

উ:-  সম্পদের বহির্গমন- পলাশির যুদ্ধ জয়ের পর কোম্পানি অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগে বাংলা ও ভারতের অন্যান্য প্রান্ত থেকে কোনাে প্রতিদান ছাড়াই বিপুল পরিমাণ অর্থ, বিভিন্ন পণ্য ও উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী ইংল্যান্ডে চালান করেছিল এই ঘটনাটিই ঐতিহাসিক ও সমালােচকদের মতে সম্পদের নির্গমন বা অর্থনৈতিক নিষ্ক্রমণ নামে পরিচিত । এ প্রসঙ্গে কোম্পানির মাদ্রাজের রাজস্ব সচিব জন সুলিভ্যান লিখেছেন—আমাদের শাসনব্যবস্থা অনেকটা স্পঞ্জের মতো গঙ্গা তীরবর্তী দেশ থেকে এই স্পঞ্জধর্মী শাসন যা কিছু সম্পদ সব শুষে নেয় এবং টেমস তীরবর্তী দেশে এনে তা নিংড়ে দেয়।দাদাভাই নওরােজি, রমেশচন্দ্র দত্ত সম্পদের বহির্গমনকে ‘Drain of Wealth’ বলে উল্লেখ করেছেন। 

 সময়কাল : ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশির যুদ্ধ জয়ের পর থেকেই কোম্পানি বিভিন্নভাবে সম্পদের নির্গমন ঘটাতে শুরু করে কার্ল মাকর্স দাস ক্যাপিটালের ‘প্রথম খণ্ডে উল্লেখ করেছেন যে-১৭৫৭ থেকে ১৭৬৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ৬ মিলিয়ন পাউন্ড শুধু উপহার বাবদ ভারতের বাইরে চালান দেওয়া হয়। সম্পদ নির্গমনের পদ্ধতি-: আর্থিক নিষ্ক্রমণ ঘটেছিল দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে। 

(i) কোম্পানির কর্মচারী ও বণিকদের মাধ্যমে। 

(ii) কোম্পানির বাণিজ্য অর্থনীতি ও রাজস্বনীতির মাধ্যমে । এই দুটি পদ্ধতিতে প্রচুর পরিমাণ অর্থ ও সম্পদ ভারত থেকে ইংল্যান্ডে পাচার করা হয়েছিল।

৬.৩ বিশ শতকের প্রথম দিকে বাংলায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন গুপ্ত সমিতির পরিচয় দাও।

উ:- স্বদেশী আন্দোলনের শেষ দিকে বিপ্লববাদী। আন্দোলনের ধারাটি বেশি করে দেখতে পাওয়া যায়। এই ধারাটির একটি প্রধান ভিত্তি ছিল বিভিন্ন সমিতিগুলি। আপাতভাবে সমিতিগুলি শরীর চর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক উদ্যোগ নিত। তার মধ্য দিয়ে মূলত ছাত্র ও যুব সমাজের কাছে স্বদেশের ভাবধারা প্রচার করা হতাে। সেই সময়ে মূলত বিভিন্ন সমিতি কে কেন্দ্র করে বিপ্লবী পন্থায় ব্রিটিশ প্রশাসনের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করার ধারাটি গড়ে ওঠে। নিবেদন ” নীতির অসারতা হচ্ছিল। অন্যদিকে । স্বদেশী আন্দোলনের পাতীয় কংগ্রেসের ” আবেদন বেড়ে চলেছিল । উপনিবেশিক দমন-পীড়ন। পাশাপাশি 1908 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ স্বদেশী আন্দোলন সামাজিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। 

সেই পরিস্থিতিতে বিপ্লবীদের অনেকেই উপনিবেশিক প্রশাসনকে সস্ত্রস্ত করে ধাক্কা দিতে চেয়ে ছিলেন। তার ফলে বিপ্লববাদী আন্দোলনের ধারাটি প্রবল হয়ে ওঠে। অত্যাচারী ব্রিটিশ প্রশাসক ও তাদের সহযােগী দেশীয় ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে শুরু করেন বিপ্লবীরা। শুরু হয় ব্যাক্তি হত্যার রাজনীতি। বাস্তবতা শেষ সময়ে জনগণের সামনে উপনিবেশ বিরােধী আন্দোলনের কোনাে কর্মসূচি ছিল না। ফলে উপনিবেশিক দমন পীড়নের পাল্টা সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ শাসককে ত্রাস সৃষ্টি করা অপরিহার্য মনে করেছিলেন। অনেকেই যদিও বিপ্লবীদের সামনে সেটা একমাত্র পথ ছিল না। সবাই নির্বিচারে সেই পথকে সমানভাবে সমর্থনও করেনি ।


You Can Also Read ...........CLASS-8 All Subject







You Can Also Read ...........CLASS-5 All Subject



You Can Also Read ...........CLASS-6 All Subject

 Class 6 Math Compilation Model Activity Task   Click Here

 Class 6 Geography Compilation Model Activity Task   Click Here 

 Class 6 Bengali Compilation Model Activity Task   Click Here

 Class 6 Sastho O sorir Shikkha Compilation Model Activity Task   Click Here

 Class 6 Poribesh O Biggan Compilation Model Activity Task   Click Here

 Class 6 English Compilation Model Activity Task   Click Here


You Can Also Read ...........CLASS-7 All Subject

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ