CLASS 7 History Compilation 2021 MODEL ACTIVITY TASK // সপ্তম শ্রেনীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক compilation

dream
0

CLASS 7 History Compilation 2021 MODEL ACTIVITY TASK // সপ্তম শ্রেনীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক compilation

CLASS 7 History Compilation 2021

১. ‘স্তম্ভের সাথেস্তম্ভ মেলাও :

উ:-

-স্তম্ভ

-স্তম্ভ

. খলিফার অনুমোদন

() ইলতুৎমিশ 

. সিজদা পাইবস

() গিয়াসউদ্দিন বলবন

. বাজারদর নিয়ন্ত্রণ

) আলাউদ্দিন খলজি

. আমুক্তমাল্যদ

()কৃষ্ণদেব রায়

 

২. বেমানান শব্দটির নিচে দাগ দাও :

২.১ বিজয়ালয়, দন্তিদুর্গ, প্রথম রাজরাজ, প্রথম রাজেন্দ্র 

উ:- দন্তিদুর্গ  

 

২.২ বরেন্দ্র, হরিকেল, কনৌজ, গৌড় 

উ:- কনৌজ

 

২.৩ হলায়ুধ, জয়দেব, গোবর্ধন, উমাপতিধর 

উ:- গোবর্ধন

 

২.৪ প্রতাপাদিত্য, কেদার রায়, ইশা খান, বৈরম খান 

উ:- বৈরম খান 

 

৩. শূন্যস্থান পূরণ করো

৩.১ বন্দেগান-ইচিহলগানির সদস্য ছিলেন সুলতান ___গিয়াসউদ্দিন বলবন ________

 

৩.২ বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান ছিলেন _____সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ ______ 

 

৩.৩ পোর্তুগিজ পর্যটক ___পেজ________ বিজয়নগর পরিভ্রমন করেন। 

 

৩.৪ বিজয়নগর পরাজিত হয়েছিল ____১৫৬৫ খ্রি: তালিকোটার _______ যুদ্ধে। 

 

৪.. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো :

৪.১ ‘দাগহুলিয়াব্যবস্থা চালু রাখেন শেরশাহ। 

উ:- সত্য 

 

৪.২ ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে হলদিঘাটির যুদ্ধে আকবর রানা প্রতাপকে পরাজিত করেছিলেন। 

উ:- সত্য 

 

 

৪.৩ মনসবদারি জায়গিরদারি ব্যবস্থা বংশানুক্রমিক ছিল।

উ:- মিথ্যা 

 

৪.৪ রাজিয়া তার মুদ্রায় নিজেকেসুলতানবলে দাবি করেছেন। 

উ:- সত্য 

 

৫. দুই-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :

৫.১ ‘দীন- ইলাহিকী?

উ:- খ্রিস্টীয় ১৫৭০ – এর দশকে মুঘল সম্রাট আকবর ফতেপুর, সিকরিতে নানান ধর্মের গুরুদের ডেকে ধর্মীয় নানা বিষয়ে আলোচনা করতেন। এই সব আলোচনার ভিত্তিতে তিনি দীন ইলাহিনামে এক নতুনমতাদর্শ চালু করেন ফারসি শব্দদীনইলাহি ‘- অর্থ হলো ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস, আবুল ফজল বাউনি, এই ধর্মমতকে তৌহিদ- ইলাহি বা স্বগীয় একেশ্বরবাদবলে উল্লেখ করেছেন।

 

আকবর বিভিন্ন ধর্ম থেকে নিজের পছন্দ মতো কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য | বেছে নিয়ে তার ওপর ভিত্তি কবে দীন- ইলাহি তৈবি কবেন। তিনি নিজের সভাসদদের মধ্যে এর প্রচলন করেছিলেন। বেশ কিছু অনুষ্ঠান রীতিনীতির মধ্যে দিয়ে তারা বাদশাহের প্রতি | সম্পূর্ণ অনুগত থাকার শপথ নিত। এই হলো দীন--ইলাহি।

 

৫.২ ‘মনসব কী

উ:- আকবর সামরিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন করেন। সেটি ছিল তার মনসবদারি ব্যাবস্থা। আকবরের শাসনব্যবস্থায় প্রশাসনিক পদগুলিকে বলা হতো মনসব।

 

৬. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও :

৬.১ পাল-সেন যুগে কেমন ভাবে কর আদায় করা হত

উ:- 

ভূমিকাপাল সেনযুগে রাজারা বিভিন্ন ধরনের কর সংগ্রহ করতেন।

 

1. কৃষি কর : রাজারা উৎপন্ন ফসলের এক-ষষ্ঠাংশ (১/৬ ভাগ) কৃষকদের কাছ থেকে কর নিতেন। তাঁরা নিজেদের ভোগের জন্য ফুল, ফল, কাঠ প্রসাদের কাছ থেকে কর হিসাবে আদায় করতেন।

 

2. বাণিজ্য কর : বণিকরা তাদের ব্যাবসাবাণিজ্য করার জন্য বাসাকে কর দিত। 

 

3. অন্যান্য করএছাড়াও প্রজারা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজাকে কর দিত। সমগ্র গ্রামের উপবেও কর দিতে হতো গ্রামবাসীদের। হাট খেয়াঘাটের , উপবে কর চাপানো

হতো৷

৬.২ সেন রাজারা কি সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন

উ:- বাংলার সেন বংশের রাজা লক্ষণ সেন ছিলেন সাহিত্যানুরাগী। অনেক কবি সাহিত্যিক তাঁর রাজসভা অলংকৃত করতেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন – 

 

(১) কবি জয়দেব: লক্ষণ সেনের সভাপতি জয়দেব ছিলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক। তাঁর রচিত কাব্যের নাম হলওগীতগোবিন্দ এই কাব্যের বিষয় ছিল রাধাকৃষ্ণের প্রেমের কাহিনি। 

 

(২)ধোয়ী : তাঁর রাজসভার আর এক কবি ধোয়ী লিখেছিলেনপবনদূতকাব্য। 

 

(৩) পঞ্চরত্ন : জয়দেব ধোয়ীসহ আরও তিনজন গোবর্ধন, উনাপতি ধর এবং শরণ লক্ষণ সেনের সভা অলংকৃত করেছিলেন। এই পাঁচজন কবিকে একত্রেপঞ্চববলা হয়।

 

(৪) এছাড়াও লক্ষণ সেনের মন্ত্রী হলায়ুধ বৈদিক নিয়ম বিষ  “ব্রাহ্মণ সর্বস্বনামে একটি বই লিখেছিলেন। লক্ষণ সেন নিজেও পিতার অসমাপ্তঅদ্ভুতসাগরবইটি সমাপ্ত করেন।

 

৬.৩ ইকতা ব্যবস্থা কী

উ:- নির্দিষ্ট অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরা সুলতানের নির্দেশে রাজস্ব আদায় করার অধিকার পেতেন। পরবর্তীকালে সাম্রাজ্যের আয়তন বেড়ে গেলে সুলতানরা যে সব রাজ্য জয় করতেন, সেই | রাজ্যগুলির দায়িত্ব এক একজন সামরিক নেতার উপর দিতেন। এই রাজ্যগুলিকে এক একটি প্রদেশে ধরে নেওয়া হত, এগুলিকে বলা হত ইকতা৷ ইকতার দায়িত্বে যিনি থাকতেন তাকে বলা হত ইকতাদার বা ওয়ালি

 

৬.৪ খলজি বিপ্লব বলতে কী বোঝ?

উ:- ১২৯০ খ্রিঃ হিন্দুস্থানি মুসলিমদের নেতা সাম্রাজ্যের প্রধান সেনাপতি জালালউদ্দিন খলজি বলবনের বংশধর অসুস্থ কায়কোবাদ শিশু কায়ুমার্সকে হত্যা করে দিল্লির সুলতান হন| এই ঘটনাকে বলা হয়খলজি বিপ্লব’| এর ফলে দিল্লিতে তুর্কি অভিজাতদের ক্ষমতা চলে যায়| তার বদলে খলজি তুর্কি হিন্দুস্তানিদের ক্ষমতা বেড়ে গিয়েছিল।

 

৬.৫ ‘দাক্ষিণাত্য ক্ষতবলতে কী বোঝো?

উ:- খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে ঔরঙ্গজেবের সময়ে মারাঠাদের শক্তি অনেক বেড়ে গিয়েছিল। ঔরঙ্গজেব ভেবেছিলেন যে দক্ষিণী 1 রাজ্যগুলিকে জয় করতে পারলে সেখানে থেকে অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করা যাবে। তার সঙ্গে মারাঠাদের দমন করাও সহজ হবে। ঔরঙ্গজেবের আমলে মুঘলরা বিজাপুর গোলাকোন্ডা দখল করেছিল। মুঘল সাম্রাজ্যের আয়তন এত বড়ো আগে। কখনো হয়নি। কিন্তু বাদশাহ যা ভেবেছিলেন তা হলও না। তার বদলে বহু বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মুঘলদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হলো দাক্ষিণাত্য যুদ্ধের এই ক্ষত আর সারলো না। মারাঠা। নেতা শিবাজীকেও স্বাধীন রাজা বলে মেনে নিতে হলো।

 

ঔরঙ্গন্ধোন পেষে দা পঁচিশ বছর ধবে যুদ্ধ কবে ঔরঙ্গজেব শেষে | দাক্ষিণাত্যেই মারা গেলেন (১৭০৭ খ্রিঃ)

 

 

 

 

 

৭. আট-দশটি বাক্যে উত্তর দাও

৭.১ বখতিয়ার খলজির বাংলা আক্রমণের পর বাংলাতে কি কি পরিবর্তন ঘটেছিল

উ:- বখতিয়ার খলজি বাংলা আক্রমন করলে লক্ষণ সেন কোন প্রতিবোধ না কবে পূর্ববঙ্গে চলেযান। ফলে বখতিয়ার | খলজি সহজে বাংলা দখল করে নেন। তিনি লক্ষণাবতী অধিকার | কবে নিজের রাজধানী

 

স্থাপন করেন। এই শহরকে সমকালীন ঐতিহাসিকরা লখনৌতি। বলেছেন। এরপর বখতিয়ার খলজি তার রাজ্যকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করেন। প্রত্যেক ভাগের জন্য একজন করে শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। এরা ছিলেন তার সেনাপতি। তিনি মসজিদ, মাদ্রাসা এবং সুফি সাধকদের আস্তানা তৈরি করেন। তার আমলে রাজ্যের সীমানা উত্তরে দিনাজপুর জেলার দেবকোট থেকে রংপুর, দক্ষিনে পাদ্মানদী, পূর্বে তিস্তা করতোয়া নদী, এদের পশ্চিমে বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।।

 

৭.২ কৃয়দেব রায়কে কেন বিজয়নগরের শ্রেষ্ঠ শাসক বলা হয়

উ:- কৃষ্ণদেব রায় ছিলেন বিজয়নগরেব রাজ্যের বিখ্যাত শাসক। তার রাজত্বকালে বিজয়নগরের গৌরব সবথেকে বেড়েছিল। সে সমযে সাম্রাজ্যের সীমা বেড়েছিল। অভ্যন্তরীণ বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রসার হয়েছিল। এছাড়াও শিল্প-সাহিত্য, সংগীত এবং দর্শনশাস্ত্রের উন্নতি তার সময় লক্ষ্য করা যায়। কৃষ্ণদেব রায়। নিজেও একজন সাহিত্যিক ছিলেন। তেলেগু ভাষায় লেখা আমুক্তমাল্যদ গ্রন্থে তিনি রাজার কর্তব্যের কথা লিখেছেন। রাজা কৃষ্ণদেব রায় ছিলেন বিষ্ণুর উপাসক। কিন্তু তা সত্বেও খ্রিস্টান মুসলমান বৌদ্ধ শিখ জৈন প্রভৃতি বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষেরাও স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মাচরণ পালন করতে পারত। বিজয়নগরের রাজাদের মধ্যে তিনি সর্বাপেক্ষা পন্ডিত এবং সর্বোত্তম একজন মহান শাসক এবং সুবিচারক সাহসী সর্বগুনম্বিত | ছিলেন, একথা বলেছিলেন পর্তুগিজ পর্যটক পেজ। এই সমস্ত কারণগুলোর জন্যই কৃষ্ণদেব রায়কে বিজয় নগরের শ্রেষ্ঠ শাশাক বলা হয়।

 

৭.৩ শেরশাহের যে-কোনো দুটি প্রশাসনিক সংস্কার সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

উ:- ভূমিকা – সম্রাট শের শাহ ছিলেন বিজেতা হিসেবে শ্রেষ্ঠ, আর শাসক হিসেবে শ্রেষ্ঠতম। দিল্লির শাসক হিসেবে তিনি মাত্রবছর (১৫৪০-১৫৪৫ খ্রি.) রাজত্ব করেছিলেন। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যেই শাসনব্যবস্থার সর্বত্র তিনি কৃতিত্বের স্বাক্ষর  বেখেছিলেন। তাঁর শাসনব্যবস্থার মধ্যে অনেক মানবিক চিন্তার  পরিচয় পাওয়া যায়৷ 

 

১.ভূমিরাজস্ব : ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থার ক্ষেত্রে শের শাহ অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি পাট্টাকবুলিয়তব্যবস্থা চালু করেন। শের শাহ কৃষককে কৃষকের নাম, জমিতে কৃষকের অধিকার এবং তাকে কত রাজস্ব দিতে হবে তা লিখে যে দলিল। দিতেন, তাকে পাট্টা বলা হত। পাট্টাপ্রাপ্ত কৃষকরা রাজস্ব দেওয়ার কথা স্বীকার বা কবুল কবে সরকারকে যে দলিল সই কবে দিত, তাকে কবুলিয়ত বলা হত।

 

২.যোগাযোগ ব্যবস্থাযোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সুদীর্ঘ প্রশস্ত রাজপথ নির্মাণ শের শাহের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তিনি T পূর্ববঙ্গের সোনারগাঁ থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত ১৪০০ মাইল দীর্ঘ পথ নির্মাণ করেন, যা সড়ক- আজমসবা গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড বা জি টি বোড নামে পরিচিত। তিনি আগ্রা থেকে বুবহানপুর আগ্রা থেকে যোধপুর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করেন। তিনি পথিক বণিকদের সুবিধার জন্য রাস্তার ধারে ধাবে অনেক সবাইখানা | নির্মাণ করেছিলেন। তিনিই প্রথম ঘোড়ার পিঠে ডাক | আদানপ্রদানের ব্যবস্থা কবেন।


You Can Also Read ...........CLASS-7 All Subject



You Can Also Read ...........CLASS-5 All Subject



You Can Also Read ...........CLASS-6 All Subject





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top