রাজা রামমোহন রায়কে কেন ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ মনে করা হয়?||মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়||সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা||৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
প্রিয় মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা,
আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো রাজা রামমোহন রায়কে কেন ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ মনে করা হয়?||মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়||সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা||৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর||10th History Examination– দশম শ্রেনীর দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা থেকে ১ ও ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে|এছাড়াও তোমরা মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|Madhyamik History Question and Answer|মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|Ten History Examination - মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় ৮ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে এগুলি তোমাদের ফাইনাল পরিক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন হবে। মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্নোত্তর|
তো বন্ধুরা সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায় থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর MCQ Very Short Short Descriptive Question and Answer|তোমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়|প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ|রাজা রামমোহন রায়কে কেন ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ মনে করা হয়?|আমাদের আশা এই প্রশ্নগুলি তোমাদের পরিক্ষায় খুবই কাজে আসবে।
রাজা রামমোহন রায়কে কেন ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ মনে করা হয়?||মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়||সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা||৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
রাজা রামমোহন রায়কে কেন ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ মনে করা হয়?
উনিশ শতকে ভারতের ধর্ম ও সমাজসংস্কারের ইতিহাসে রাজা রামমোহন রায়-এর নাম চিরস্মরণীয়। পাশ্চাত্য শিক্ষায় যুক্তিবাদের সমন্বয় ঘটিয়ে রামমোহন রায় নবভারত গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন।‘প্রথম আধুনিক মানুষ’ বলার কারণ-
(1)পাশ্চাত্য শিক্ষার সমর্থনে গৃহীত পদক্ষেপ : রামমোহন ছিলেন পাশ্চাত্য শিক্ষার উগ্র সমর্থক। তিনি পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে সরকারি অর্থ ব্যয়ের জন্য অনুরোধ জানান ব্রিটিশ সরকারকে।
(2)বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন : রাজা রামমোহন রায় পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে ‘হিন্দু কলেজ’ এবং ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে ‘জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন’ প্রতিষ্ঠায় আলেকজান্ডার ডাফ-কে তিনি বিশেষভাবে সহায়তা করেন।
(3) জাতিভেদ প্রথার বিরোধিতা : জাতিভেদ প্রথার প্রবল বিরোধী ছিলেন রামমোহন রায়। তিনি অসবর্ণ বিবাহকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি সমস্ত ধর্মের মানুষের সমন্বয় ঘটাতে তৎপর হয়েছিলেন।
(4) সতীদাহপ্রথার অবসান : হিন্দুসমাজে প্রচলিত মর্মান্তিক সতীদাহপ্রথা নিবারণের জন্য রাজা রামমোহন রায় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে বড়োলাট বেন্টিঙ্কের কাছে একটি আবেদনপত্র জমা দেন। শেষপর্যন্ত ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে সতীদাহপ্রথা নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হয়।
মূল্যায়ন : রাজা রামমোহন রায়ের হাত ধরে ভারতবর্ষে আধুনিক যুগের সূচনা ঘটেছিল। পাশ্চাত্য শিক্ষা ও যুক্তিবাদের প্রসারের প্রয়োজনীয়তা তিনি অনুভব করেছিলেন। এ ছাড়া মধ্যযুগীয় জড়তা, অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের হাত থেকে ভারতবাসীকে মুক্ত করে নবজাগরণ ঘটাতে তিনি বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছিলেন। এই সকল কারণের জন্য রাজা রামমোহন রায়কে ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ বলে অভিহিত করা হয়।
আরও পড়ুন......
- মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার,বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
- মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার,বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
- মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার,বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
- মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার,বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা ৮ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
- বন্ধুরা ২০২২ সালের অধ্যায় ভিত্তিক ইতিহাস সাজেশন এর জন্য Click Here
সমাজ সংস্কারক হিসেবে বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ করো Click Here
File Details |
|
File Name/Book Name | পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রাজা রাধাকান্ত দেব-এর ভূমিকা আলোচনা করো। |
File Format | PDF |
File Language | Bengali |
File Size | 49 KB |
File Location | GOOGLE DRIVE |
Download Link |