মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় || প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ || ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়||প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ ||২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর 


মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রিয় মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা,

আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়|প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ||২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|Madhyamik History Question and Answer |10th History Examination – দশম শ্রেনীর চতুর্থ অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ থেকে ১ ও ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে|এছাড়াও তোমরা মাধ্যমিক তৃতীয় অধ্যায় ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|মাধ্যমিক তৃতীয় অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর |Ten History Examination - মাধ্যমিক তৃতীয় অধ্যায় ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|মাধ্যমিক তৃতীয় অধ্যায় ৮ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে এগুলি তোমাদের ফাইনাল পরিক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন হবে। 


তো বন্ধুরা প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ অধ্যায় থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short,  Descriptive Question and Answer)|তোমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়|প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ||২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা আছে। আমাদের আশা এই প্রশ্নগুলি তোমাদের পরিক্ষায় খুবই কাজে আসবে।

মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় || প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ  || ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর 



1.ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল?

উঃ- অরণ্য আইন পাশের কারণ হল- (a) অষ্টাদশ শতকের শুরুতে ভারতে ব্রিটিশশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে নতুন নতুন শহর নির্মাণ, প্রশাসনিক ভবন, জাহাজ তৈরি, রেলপথ প্রতিষ্ঠা ইত্যাদির জন্য কাঠের প্রয়োজন হয়ে পড়ে, (b) এ ছাড়া, আদিবাসীদের পরিশ্রমে তৈরি কৃষিজমি থেকে রাজস্ব আদায় ইত্যাদির জন্য সরকার ১৮৬৫, ১৮৭৮ ও ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় অরণ্য আইন পাশ করে। এর দ্বারা উপজাতি সম্প্রদায়গুলির অরণ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।


2.কবে, কী উদ্দেশ্যে ভারতীয় অরণ্য আইন পাশ হয় ?

উঃ- ১৮৬৫, ১৮৭৮ ও ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় ও অরণ্য আইন’ বা ইন্ডিয়ান ফরেস্ট অ্যাক্ট পাশ করে।

উদ্দেশ্য :ভারতের অরণ্য সম্পদের উপর সরকারের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। অবশ্য এতে অরণ্যচারী উপজাতি সম্প্রদায় অরণ্যের ওপর তাদের চিরাচরিত অধিকার হারায়।


3.‘অরণ্য আইন’  বলতে কী বোঝ?

উঃ- ভারতে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার পর সরকার ভারতের অরণ্য সম্পদের ওপর নিজ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য কতগুলি আইন প্রণয়ন করেন। এগুলি ‘অরণ্য আইন’ নামে পরিচিত। এগুলির মধ্যে ১৮৫৬, ১৮৭৮ ও ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের আইন উল্লেখযোগ্য। এতে একদিকে সরকারের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়, অন্যদিকে আদিবাসী সম্প্রদায় তাদের অধিকার হারায়।


4.বিদ্রোহ’ বলতে কী বোঝায়?

উঃ- ‘বিদ্রোহ’ বলতে বোঝায় নির্দিষ্ট কোনো অঞ্চলে প্রচলিত কোনো ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো বা বিরোধিতা করা। এটি স্বল্পমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি, ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত, সশস্ত্র বা শান্তিপূর্ণ যে-কোনোভাবে হতে পারে।



1.ব্রিটিশ সরকার কেন অরণ্য আইন পাশ করেছিল?

উঃ- অরণ্য আইন পাশের কারণ হল- (a) অষ্টাদশ শতকের শুরুতে ভারতে ব্রিটিশশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে নতুন নতুন শহর নির্মাণ, প্রশাসনিক ভবন, জাহাজ তৈরি, রেলপথ প্রতিষ্ঠা ইত্যাদির জন্য কাঠের প্রয়োজন হয়ে পড়ে, (b) এ ছাড়া, আদিবাসীদের পরিশ্রমে তৈরি কৃষিজমি থেকে রাজস্ব আদায় ইত্যাদির জন্য সরকার ১৮৬৫, ১৮৭৮ ও ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় অরণ্য আইন পাশ করে। এর দ্বারা উপজাতি সম্প্রদায়গুলির অরণ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।


2.কবে, কী উদ্দেশ্যে ভারতীয় অরণ্য আইন পাশ হয় ?

উঃ- ১৮৬৫, ১৮৭৮ ও ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় ও অরণ্য আইন’ বা ইন্ডিয়ান ফরেস্ট অ্যাক্ট পাশ করে।

উদ্দেশ্য: ভারতের অরণ্য সম্পদের উপর সরকারের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। অবশ্য এতে অরণ্যচারী উপজাতি সম্প্রদায় অরণ্যের ওপর তাদের চিরাচরিত অধিকার হারায়।


3.‘অরণ্য আইন’  বলতে কী বোঝ?

উঃ- ভারতে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার পর সরকার ভারতের অরণ্য সম্পদের ওপর নিজ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য কতগুলি আইন প্রণয়ন করেন। এগুলি ‘অরণ্য আইন’ নামে পরিচিত। এগুলির মধ্যে ১৮৫৬, ১৮৭৮ ও ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের আইন উল্লেখযোগ্য। এতে একদিকে সরকারের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়, অন্যদিকে আদিবাসী সম্প্রদায় তাদের অধিকার হারায়।


4.বিদ্রোহ’ বলতে কী বোঝায়?

উঃ- ‘বিদ্রোহ’ বলতে বোঝায় নির্দিষ্ট কোনো অঞ্চলে প্রচলিত কোনো ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো বা বিরোধিতা করা। এটি স্বল্পমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি, ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত, সশস্ত্র বা শান্তিপূর্ণ যে-কোনোভাবে হতে পারে।


উদাহরণ : ইংরেজ শাসনকালে ভারতে বেশ কয়েকটি বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। এগুলির মধ্যে সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ’ (১৭৬৩ খ্রি:), রংপুর বিদ্রোহ (১৭৮৩ খ্রি.), চুয়াড় বিদ্রোহ’ (১৭৯৮ খ্রি.), নীল বিদ্রোহ (১৮৫৯ খ্রি.), সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ’ (১৭৬৩ খ্রি:), সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৮৫৫ খ্রি.) প্রভৃতি ছিল বিশেষ উল্লেখযোগ্য।




5.‘বিপ্লব’ বলতে কী বোঝায়?

উঃ- বিপ্লব’ বলতে বোঝায় দেশের অধিকাংশ মানুষ দ্বারা প্রচলিত ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। এটি শান্তিপূর্ণভাবে অর্থাৎ বিনা রক্তপাতে হতে পারে কিংবা রক্তাক্ত সংগ্রামের মাধ্যমে হতে পারে। 

আমেরিকার বিপ্লব, ফরাসি বিপ্লব, ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লব, গৌরবময় বিপ্লব 



6.ঔপনিবেশিক ভারতে কৃষক ও উপজাতি বিদ্রোহগুলির দুটি কারণ লেখো।

উঃ- বিভিন্ন কারণে ঔপনিবেশিক ভারতে কৃষক ও উপজাতি বিদ্রোহগুলি সংঘঠিত হয়। (i) সরকারের বাড়তি রাজস্বের চাপ, মহাজন ও জমিদারদের শোষণ কৃষক ও উপজাতিদের তাদের বিদ্রোহী করে তোলে। (i) খাজনা আদায়ে অত্যাচার তাদের বিক্ষুব্ধ করে তোলে। (ii) খাদ্যশস্যের পরিবর্তে বাণিজ্যিক দ্রব্য, যেমন— নীল, তুলো, পাট ইত্যাদি উৎপাদনে বাধ্যকরা হলে তারা শেষপর্যন্ত বিদ্রোহের পথে পা বাড়ায়।


7.‘অভ্যুত্থান’ বলতে কী বোঝায়?

উঃ-কোনো দেশের প্রচলিত শাসনব্যবস্থা বা শক্তির বিরুদ্ধে একাংশের কিংবা সমষ্টির সশস্ত্র সংগ্রামকে বলা হয় অভ্যুত্থান। নিজেদের দাবিপূরণ বা ক্ষমতা দখলই এর প্রধান উদ্দেশ্য। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ‘সিপাহি বিদ্রোহ’ বা ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের নৌবিদ্রোহ হল অভ্যুত্থান-এর উদাহরণ।



আরও পড়ুন......




8.পাইক বিদ্রোহ বলতে কী বোঝায় ?

উঃ- পাইকরা ছিল মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও ধলভূমের স্থানীয় জমিদারদের নিয়ন্ত্রণাধীন এক বিশ্বস্ত ও দুর্ধর্ষ আধা-সামরিক বাহিনী। বেতনের পরিবর্তে তারা নিষ্কর জমি ভোগ করত। এই জমি পাইকানজমি নামে পরিচিত। এই জমি নিষ্কর জমি হলেও কোম্পানি সরকার তার ওপর উচ্চ হারে রাজস্ব আরোপ করে ও অনাদায়ে পাইকান জমি কেড়ে নিলে পাইকরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।



9.‘পাইকান জমি’ বলতে কী বোঝায়?

উঃ- মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ধলভূমি অঞ্চলের পাইকরা বেতনের পরিবর্তে জমিদারদের কাছ থেকে সে নিষ্কর জমি লাভ করেছিল তা ‘পাইকান’ নামে পরিচিত। কোম্পানি সরকার এই জমির ওপর রাজস্ব ধার্য করলে পাইকরা জমিদারদের সঙ্গে বিদ্রোহে অংশ গ্রহণ করে।


মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় || প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ  || ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর 


1০.প্রথম পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহ সম্পর্কে কী জানা যায়?

উঃ-ইংরেজ ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ২ ও ধলভূমে ১৭৬৭-১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রথম পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। ১৭৬৮ খ্রিস্টাব্দে ঘাটশিলার জমিদার বা ধলভূমের রাজা জগন্নাথ ধল (সিংহ)-এর নেতৃত্বে এবং ১৭৭১ খ্রিস্টাব্দে বাদকার জমিদার শ্যামগঞ্জন-এর নেতৃত্বে চুয়াড়রা পুণরায় বিদ্রোহী হলেও তাদের বিদ্রোহ সফল হয়নি।


11.দ্বিতীয় পর্বের ‘চুয়াড় বিদ্রোহ কবে, কার নেতৃত্বে সংঘটিত হয়?

উঃ-১৭৯৮-৯৯ খ্রিস্টাব্দে বাঁকুড়ার রায়পুরের দুর্জন সিংহের ও নেতৃত্বে দ্বিতীয় পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, - বীরভূম, ধলভূম প্রভৃতি অঞ্চলে তা ছড়িয়ে পড়ে। মেদিনীপুরের : লক্ষ্মীবাঈ’ নামে পরিচিত শিরোমণি, নাড়াজোলের রাজা প্রমুখ এতে যোগদান করলে দ্বিতীয় পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহ ব্যাপক আকার ধারণ করে।


12.দ্বিতীয় পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহের (দুটি) কারণগুলি লেখো।

উঃ-১৭৯৮-৯৯ খ্রিস্টাব্দে দুর্জন সিংহ, রানি শিরোমনি প্রমুখে নেতৃত্বে জঙ্গলমহলসহ মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অখুলে দ্বিতীয় পরে চুয়াড় বিদ্রোহ শুরু হয়।

কারণ : (i) কোম্পানি সরকার কর্তৃক জমিদারদের ওপ বাড়তি রাজস্ব আরোপ ও আদায়ের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি, আদিবাস চয়াড় কৃষকদের জমির ওপর তাদের অধিকার খারিজ, (ii) চুয়াড়দের পাইকের পেশা থেকে বিতাড়ন, (iv) তাদের চিরাচরিত সমাজ ব্যবস্থায় পরিবর্তন, (v) দুর্ভিক্ষ, দারিদ্র ইত্যাদি চুয়াড়দের বিদ্রোহী করে তোলে


13.দুর্জন সিংহ কে ছিলেন?

উঃ-দুর্জন সিংহ ছিলেন বাঁকুড়ার রায়পুরের জমিদার ও ১৭৯৮-৯৯ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত চুয়াড় বিদ্রোহের এক দুঃসাহসিক নেতা। তারই সুযোগ্য নেতৃত্বে মেদিনীপুর শহরের কাছাকাছি প্রায় ১০০টি গ্রামে এবং বাঁকুড়া, বীরভূম, ধলভূম প্রভৃতি অঞ্চলে বিদ্রোহ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। এর ফলে ব্রিটিশ প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করলেও সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে তাঁকে বেকসুর খালাস দেয়। তার প্রচেষ্টায় চুয়াড় বিদ্রোহ শক্তিশালী কৃষক বিদ্রোহে পরিণত হয়।



14.কাকে, কেন ‘মেদিনীপুরের লক্ষ্মীবাঈ’ বলা হয়?

উঃ- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ’ বা ‘সিপাহি বিদ্রোহ’ । ইংরেজদের বিরুদ্ধে বীরবিক্রমে যুদ্ধ চালিয়ে ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ ইতিহাসে যেমন চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। তেমনই ১৭৯৮-৯৯ খ্রিস্টাব্দের চুয়াড় বিদ্রোহে’ মেদিনীপুরের রানি শিরোমণিও অসামান্য অবদান রাখেন। সেই কারণে তাঁকে ‘মেদিনীপুরের লক্ষ্মীবাঈ’ বলা হয়।


15.‘চুয়াড় বিদ্রোহের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ- ১৭৯৮-৯৯ খ্রিস্টাব্দে সংঘঠিত জঙ্গলমহলসহ মেদিনীপুরের স্তীর্ণ অঞলে সংঘঠিত হয় চুয়াড় বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহের কতগুলি এশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়।

বৈশিষ্ট্য: (i) চুয়াড়রা ছিল সশস্ত্র উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত নুষ। (i) বিদ্রোহী চুয়াড় উপজাতিদের সাথে জমিদারগণও বিদ্রোহে ,


16.কবে কী কারণে ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন পাস হয়?

উঃ- ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন’ পাস করে।১৮৯৯-১৯০০ খ্রিস্টাব্দে বীরসা মুন্ডার নেতৃত্বে মুন্ডা বিদ্রোহ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করলে সরকার বিচলিত হয়ে ওঠে। অতঃপর বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দানের মাধ্যমে বিদ্রোহী মুন্ডাদের শান্ত করার জন্য এই আইন পাস করে।


17.কবে, কাদের মধ্যে চাইবাসার যুদ্ধ সংঘটিত হয়? এর গুরুত্ব কী ?

উঃ-১৮২০-২১ খ্রিস্টাব্দে পোড়াহাটের জমিদার ও তার সহযোগী ইংরেজ সেনাপতি রোগসেস-এর সাথে আদিবাসী কোলদের মধ্যে যে যুদ্ধ সংঘটিত হয় তা চাইবাসার যুদ্ধ’ নামে পরিচিত।

গুরুত্ব : এই যুদ্ধে কোলরা পরাজিত হলে কোম্পানি ও তার সহযোগী জমিদার, মহাজন ও ব্যবসায়ীদের অত্যাচার বৃদ্ধি পায়। এরই পরিণতিতে ১৮৩১-৩২ খ্রিস্টাব্দে কোলরা পুনরায় বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।


18.কবে, কাদের নেতৃত্বে কোল বিদ্রোহ সংঘটিত হয়?

উঃ-১৮৩১-৩২ খ্রিস্টাব্দে বিহারের ছোটোনাগপুর অঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কোলবিদ্রোহ সংঘটিত হয়। বুন্ধুভগত, জোয়াভগত, বিন্দরাই মানকি, পুঁই মুন্ডা, খাঁদু পাতর প্রমুখের নেতৃত্বে এক বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।


19.ভিল বিদ্রোহের দুটি কারণ লেখো।

উঃ-বিভিন্ন কারণে ১৮ ১৯ খ্রিস্টাব্দে শিউরামের নেতৃত্বে পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পাদদেশ খাদেশ অঞলে ‘ভিল বিদ্রোহ’ শুরু হয়।

কারণ : (i) ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে মারাঠা শক্তির পতন হলে ঐ অঞলে ব্রিটিশ আধিপত্য স্থাপিত হয়। অতপর ব্রিটিশের শোষণমূলক ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা, (i) বাড়তি করের বোঝা, (ii) রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে চরম নির্যাতন ইত্যাদি তাদের ক্ষুদ্ধ করে তোলে। অতঃম্পর শাসন শোষণ নিপীড়নের হাত থেকে নিষ্কৃতিলাভের জন্য ভিলরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে।


20.‘দামিন-ই কোহ’কী?

উঃ- ‘দামিন-ই-কোহ' কথাটির অর্থ হল ‘পাহাড়ের প্রান্তদেশ। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তিত হলে সাঁওতালরা নিজ বাসভূমি মেদিনীপুর, বীরভূম, মানভূম ছোটনাগপুর, পালামৌ ছেড়ে রাজমহল অঞ্চলের প্রান্তদেশে বসবাস শুরু করে। তারা এই অঞ্চলের নাম দেয় ‘দামিন-ই-কোহ’ বা ‘পাহাড়ের প্রান্তদেশ।


21.‘মুন্ডা উলগুলান’ কী?

উঃ- আদিবাসী শব্দ ‘উলগুলান’ কথাটির অর্থ হল ভয়ঙ্কর বিশৃঙ্খলা’ বা ‘প্রবল বিক্ষোভ। বীরসা মুন্ডার নেতৃত্বে আদিবাসী মুন্ডারা ১৮৯৯-১৯০০ খ্রিস্টাব্দে ছোটনাগপুর ও তার সন্নিহিত অঞ্চলে যে-শক্তিশালী বিদ্রোহ শুরু করে তা উলগুলানচ’ নামে পরিচিত। মহাজন, জমিদার ও ইংরেজ কর্মচারীদের শোষণ ও অত্যাচার ইত্যাদি ছিল এই মুন্ডা উলগুলানের গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

22.‘কেনারাম’, ‘বেচারাম কী ?

উঃ- ‘কেনারাম’ ও ‘বেচারাম’ দু-ধরনের তারতম্য যুক্ত বাটখারা। ‘কেনারাম' নামক বাটখারা দ্বারা সাঁওতাল অধ্যুষিত অঞ্চলের বহিরাগত ব্যবসায়ীরা সাঁওতালদের কাছ থেকে বেশি ওজনের বাটখারা দিয়ে কৃষিপণ্য ক্রয় করে তাদের ঠকাতো। আবার বেচারাম’ নামক কম ওজনের বাটখারা দিয়ে তাদের বিভিন্ন দ্রব্য যেমন—চিনি, লবণ ইত্যাদি বিক্রি করা হত। এর ফলে দুভাবেই অসহায়, দরিদ্র সাঁওতালদের ঠকানো হত।



23.‘দামিন-ই কোহ’ কী?

উঃ- ‘দামিন-ই-কোহ' কথাটির অর্থ হল ‘পাহাড়ের প্রান্তদেশ। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তিত হলে সাঁওতালরা নিজ বাসভূমি মেদিনীপুর, বীরভূম, মানভূম ছােটনাগপুর, পালামৌ ছেড়ে রাজমহল অঞ্চলের প্রান্তদেশে বসবাস শুরু করে। তারা এই অঞ্চলের নাম দেয় ‘দামিন-ই-কোহ’ বা ‘পাহাড়ের প্রান্তদেশ।


24.‘দিকু’ কাদের বলা হয় ?

উঃ- আদিবাসী অধ্যুষিত ছোটনাগপুরের কোল ও সাঁওতাল অধ্যুষিত ' এলাকায় বহিরাগত জমিদার, মহাজন ও ব্যবসায়ীদের দিকু’ বলা হত। এরা ছিল অসৎ, স্বার্থপর, অর্থলোভী ও শোষণকারী। বাড়তি রাজস্ব, উচ্চ সুদে ঋণদান, ইত্যাদির মাধ্যমে তারা উপজাতিদের সর্বনাশ করত।







File Details

 

File Name/Book Name

মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর 

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

109 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File


 

Join Telegram... Members

 







Next Post Previous Post
2 Comments
  • Unknown
    Unknown ৫ আগস্ট, ২০২০ এ ৭:৪৯ AM

    nice post.

  • Unknown
    Unknown ২০ ডিসেম্বর, ২০২০ এ ১০:৩১ PM

    Wow
    Nice
    Question And Answer.

Add Comment
comment url