বিধবাবিবাহ প্রবর্তনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা সংক্ষেপে লেখো।||মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়||সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা
প্রিয় মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা,
আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো বিধবাবিবাহ প্রবর্তনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা সংক্ষেপে লেখো।||মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়||সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা||৮ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর||10th History Examination– দশম শ্রেনীর দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা থেকে ১ ও ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে|এছাড়াও তোমরা মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|Ten History Examination - মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|Madhyamik History Question and Answer|মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় ৮ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে এগুলি তোমাদের ফাইনাল পরিক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন হবে। মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্নোত্তর|
তো বন্ধুরা সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায় থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর MCQ Very Short Short Descriptive Question and Answer|তোমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়|প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ|টীকা লেখো- বিধবা বিবাহ আন্দোলন।|আমাদের আশা এই প্রশ্নগুলি তোমাদের পরিক্ষায় খুবই কাজে আসবে।
বিধবাবিবাহ প্রবর্তনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা সংক্ষেপে লেখো
বিধবাবিবাহ প্রবর্তনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা সংক্ষেপে লেখো।
অথবা
টীকা লেখোঃ- বিধবা বিবাহ আন্দোলন।
ভূমিকা:- সমাজ সংস্কারকরূপে যে সকল মনীষী ভারতবাসীর মনের মণিকোঠায় চিরশ্রদ্ধার আসন লাভ করেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাদের মধ্যে অন্যতম। তারই অক্লান্ত প্রয়াসে ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুলাই ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসি বিধবাবিবাহ আইন পাস করেন। তিনি নিজেই বলেছেন- বিধবাবিবাহ প্রবর্তন আমার জীবনের সর্বপ্রধান সৎকর্ম।
বিধবাদের অবস্থা:- ভারতে হিন্দু সমাজে যে সমস্ত কুপ্রথাগুলি প্রচলিত ছিল বাল্যবিবাহ তার মধ্যে অন্যতম। এরই অবশ্যম্ভাবী ফল হল বাল্যবিধবা। প্রাচীন কালে বিধবা বিবাহের প্রচলন থাকলেও পরবর্তীকালে ধর্মীয় ও সামাজিক বিধিবিধানে বিধবাবিবাহ নিষিদ্ধ হয়।
আন্দোলনের সূত্রপাত:- বিধবাদের এই যন্ত্রণার নিরসনে বিধবাবিবাহ প্রচলনে বহু সমাজ সংস্কার আন্দোলন গড়ে ওঠে। তবে রক্ষণশীল গোঁড়া হিন্দুদের চাপে এগুলি সফল হয়নি। উনিশ শতকের মধ্যভাগে তত্ত্ববোধিনী সভা নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী সুহৃদ সভা ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন সত্যশোধক সমাজ প্রার্থনা সমাজ প্রভৃতি বিধবাবিবাহের প্রচলনে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করে। সমাচার দর্পণ জ্ঞানান্বেষণ প্রভৃতি পত্রিকাতেও এর পক্ষে প্রচার চালানো হয়।
বিদ্যাসাগরের ভূমিকা:- বিধবাবিবাহের পক্ষে সবচেয়ে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
বিধবাদের যন্ত্রণা করুণদশাতকে সর্বাধিক ব্যথিত করে তোলে। তিনি বিধবাবিবাহের প্রচলনের জন্য বিভিন্ন ভাবে জনমত গঠনে প্রচেষ্টা চালান।
গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে জনমত গঠন:- তিনি ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে বিধবাবিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কিনা এতদবিষয়ক প্রস্তাব নামে একটি পুস্তিকা রচনা করেন। এতে পরাশর সংহিতার উদ্ধৃতি থেকে তিনি প্রমাণ করেন বিধবা বিবাহ শাস্ত্রসম্মত।
সংবাদপত্রের মাধ্যমে জনমত গঠন:- ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে সর্বশুভকরী’ পত্রিকায় তিনি বাল্যবিবাহের দোষ নামক একটি নিবন্ধ লেখেন। ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় বিধবা বিবাহের সমর্থনে একটি প্রবন্ধ লেখেন। এগুলিতে বিধবাদের করুণ দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।
সরকারের কাছে আবেদন:- ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে ৯৮৭জন বিশিষ্ট ব্যক্তির স্বাক্ষরযুক্ত বিধবাবিবাহের পক্ষে লেখা একটি আবেদনপত্র সরকারের কাছে পাঠান।এর প্রতিবাদে রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের নেতা রাধাকান্ত দেবের নেতৃত্বে ৩৬৭৬৩ জনের স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন সরকারের কাছে পাঠানো হয়।
বিধবাবিবাহ আইন পাস:- বিদ্যাসাগরের জোরালো দাবির ভিত্তিতে সরকার ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুলাই ১৫নং রেগুলেশন দ্বারা বিধবাবিবাহ আইনসিদ্ধ ঘোষণা করেন।
উপসংহার:- ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্নের সঙ্গে কালীমতি দেবীর প্রথম বিধবা বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। তিনি নিজপুত্র নারায়ণচন্দ্রের সঙ্গে বিধবা ভবসুন্দরী দেবীর বিবাহ দেন। বিধবাদের জন্য তিনি ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে গড়ে তোলেন হিন্দু ফ্যামিলি অ্যানুইটি ফান্ড।
বিধবাদের অবস্থা:- ভারতে হিন্দু সমাজে যে সমস্ত কুপ্রথাগুলি প্রচলিত ছিল বাল্যবিবাহ তার মধ্যে অন্যতম। এরই অবশ্যম্ভাবী ফল হল বাল্যবিধবা। প্রাচীন কালে বিধবা বিবাহের প্রচলন থাকলেও পরবর্তীকালে ধর্মীয় ও সামাজিক বিধিবিধানে বিধবাবিবাহ নিষিদ্ধ হয়।
আন্দোলনের সূত্রপাত:- বিধবাদের এই যন্ত্রণার নিরসনে বিধবাবিবাহ প্রচলনে বহু সমাজ সংস্কার আন্দোলন গড়ে ওঠে। তবে রক্ষণশীল গোঁড়া হিন্দুদের চাপে এগুলি সফল হয়নি। উনিশ শতকের মধ্যভাগে তত্ত্ববোধিনী সভা নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী সুহৃদ সভা ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন সত্যশোধক সমাজ প্রার্থনা সমাজ প্রভৃতি বিধবাবিবাহের প্রচলনে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করে। সমাচার দর্পণ জ্ঞানান্বেষণ প্রভৃতি পত্রিকাতেও এর পক্ষে প্রচার চালানো হয়।
বিদ্যাসাগরের ভূমিকা:- বিধবাবিবাহের পক্ষে সবচেয়ে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
বিধবাদের যন্ত্রণা করুণদশাতকে সর্বাধিক ব্যথিত করে তোলে। তিনি বিধবাবিবাহের প্রচলনের জন্য বিভিন্ন ভাবে জনমত গঠনে প্রচেষ্টা চালান।
গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে জনমত গঠন:- তিনি ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে বিধবাবিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কিনা এতদবিষয়ক প্রস্তাব নামে একটি পুস্তিকা রচনা করেন। এতে পরাশর সংহিতার উদ্ধৃতি থেকে তিনি প্রমাণ করেন বিধবা বিবাহ শাস্ত্রসম্মত।
সংবাদপত্রের মাধ্যমে জনমত গঠন:- ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে সর্বশুভকরী’ পত্রিকায় তিনি বাল্যবিবাহের দোষ নামক একটি নিবন্ধ লেখেন। ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় বিধবা বিবাহের সমর্থনে একটি প্রবন্ধ লেখেন। এগুলিতে বিধবাদের করুণ দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।
সরকারের কাছে আবেদন:- ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে ৯৮৭জন বিশিষ্ট ব্যক্তির স্বাক্ষরযুক্ত বিধবাবিবাহের পক্ষে লেখা একটি আবেদনপত্র সরকারের কাছে পাঠান।এর প্রতিবাদে রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের নেতা রাধাকান্ত দেবের নেতৃত্বে ৩৬৭৬৩ জনের স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন সরকারের কাছে পাঠানো হয়।
বিধবাবিবাহ আইন পাস:- বিদ্যাসাগরের জোরালো দাবির ভিত্তিতে সরকার ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুলাই ১৫নং রেগুলেশন দ্বারা বিধবাবিবাহ আইনসিদ্ধ ঘোষণা করেন।
উপসংহার:- ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্নের সঙ্গে কালীমতি দেবীর প্রথম বিধবা বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। তিনি নিজপুত্র নারায়ণচন্দ্রের সঙ্গে বিধবা ভবসুন্দরী দেবীর বিবাহ দেন। বিধবাদের জন্য তিনি ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে গড়ে তোলেন হিন্দু ফ্যামিলি অ্যানুইটি ফান্ড।
আরও পড়ুন......
- মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার,বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
- মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার,বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
- মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার,বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
- মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার,বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা ৮ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
- বন্ধুরা ২০২২ সালের অধ্যায় ভিত্তিক ইতিহাস সাজেশন এর জন্য Click Here
সমাজ সংস্কারক হিসেবে বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ করো Click Here
File Details |
|
File Name/Book Name | বিধবাবিবাহ প্রবর্তনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা সংক্ষেপে লেখো। |
File Format | PDF |
File Language | Bengali |
File Size | 57 KB |
File Location | GOOGLE DRIVE |
Download Link |