Advertisement

CLASS 10 History Compilation 2021 MODEL ACTIVITY TASK // দশম শ্রেনীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক compilation

CLASS 10 History Compilation 2021 MODEL ACTIVITY TASK // দশম শ্রেনীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক compilation

CLASS 10 History Compilation 2021 MODEL ACTIVITY TASK

১. ‘ক’ স্তম্ভের সাথে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও :

উ:- 

-স্তম্ভ

-স্তম্ভ

. ভাইসরয়

() লর্ড ক্যানিং

. চৈত্র মেলা

() নবগোপাল মিত্র

. জমিদার সভা

() রাধাকান্ত দেব

. বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট

() তারকনাথ পালিত


২. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করাে :

২.১ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের অভিঘাতে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সমাপ্তি ঘটেছিল। 

উ:- মিথ্যা

২.২ ভারতসভা গড়ে উঠেছিল দেশের জনগণকে বৃহত্তর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে একজোট করার জন্য। 

উ:- সত্য

২.৩ ১৮৫৭-র বিদ্রোহকে জাতীয়তাবাদীরা ‘ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধ’ বলে ব্যাখ্যা করেন।

উ:- সত্য

২.৪ ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থে স্বামী বিবেকানন্দ শূদ্র জাগরণের কথা বলেছেন। 

উ:- সত্য

৩. শূন্যস্থান পূরণ করাে :

৩.১ ভারতে ছাপা প্রথম বাংলা বই হল ____এ গ্রামার অফ দা বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ______ ।

৩.২ ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠিত হয় ____১৮০০______ খ্রিষ্টাব্দে। 

৩.৩ ঔপনিবেশিক ভারতে ____লর্ড ক্যানিং______ প্রথম ভাইসরয় নিযুক্ত হন। 

৩.৪ ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসটি.____সন্ন্যাসী বিদ্রোহ______ আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত হয়।

৪. দুটি বা তিনটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

৪.১ ইন্টারনেট ব্যবহারের দুটি সুবিধা লেখ। 

উ:- উত্তরঃ স্যাটেলাইট – নির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থা ‘ ইন্টারনেট ‘ মানব সভ্যতার দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে লাগে । এর দুটি ব্যবহার হল – – 

i ) তথ্যের সহজলভ্যতা : ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে থেকেই পুরো বিশ্বের অসংখ্য তথ্য নিমেষের মধ্যে জানা যায় | ইন্টারনেট থেকে খুব সহজেই বহু তথ্য সংগ্রহ করে ইতিহাস রচনা করা যায় |

ii ) সময়ের সাশ্রয় : বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বই বা অন্যান্য উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা খুবই সময় সাপেক্ষ | কিন্তু ইন্টারনেটের সাহায্যে খুব অল্প সময়েই সেই সব তথ্য খুব সহজেই সংগ্রহ করা যায়

 

৪.২ ডেভিড হেয়ার কেন স্মরণীয়? 

উ:- ডেভিড হেয়ার অনেক কারণেই স্মরণীয় হয়ে আছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হল-

(i) ডেভিড হেয়ার ছিলেন ‘হিন্দু কলেজ’ প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। 

(ii) তিনি ‘কলকাতা মেডিকেল কলেজ’ প্রতিষ্ঠা ও তার উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। 

(iii) এছাড়া তিনি ‘ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি’ ‘পটলডাঙা অ্যাকাডেমি’ (হেয়ার স্কুল) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

৪.৩ বারাসাত বিদ্রোহ’ কী? 

উ:- বারাসাত বিদ্রোহ: বাংলার ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রানপুরুষ তিতুমির ওরফে মির নিযার আলি বারাসাত মহকুমার জমিদার, নীলকর ও ইংরেজ বিরোধী যে বিদ্রোহের সূচনা করেন তা ‘বারাসাত বিদ্রোহ’ নামে পরিচিত। ১৮৩০ সাল থেকে ১৮৩১ সাল পর্যন্ত এই বিদ্রোহ হয়। শেষ পর্যন্ত ইংরেজ দমননীতির কারণে এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়।

৪.৪ ‘গােরা’ উপন্যাসের মধ্য দিয়ে কোন দ্বন্দ্বের প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায় ?

উ:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘গোরা’ উপন্যাসটি জাতীয়তাবাদী উপন্যাস।

৪.৫ গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মরণীয় কেন? 

উ:- গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মরণীয় কারন-

(i) চিত্রশিল্পী: জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারের সদস্য গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গীয় ঘরানার একজন চিত্রকর ও ব্যঙ্গচিত্রশিল্পী হিসাবে বিখ্যাত হয়ে আছেন। তাঁর ব্যঙ্গচিত্রগুলির মধ্যে অদ্ভুতলোক, বিরূপ বজ্র এবং নব হুল্লোড় প্রভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

(ii) আধুনিক চিত্রশিল্পের পথিকৃৎ: গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘আধুনিক চিত্রশিল্পের পথিকৃৎ’ হিসাবে আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে

৫. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও :

৫.১ মহেন্দ্রলাল সরকার কেন স্মরনীয়?

উ:-  উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন মহেন্দ্রলাল সরকার ৷ তিনি বাঙ্গালী জাতিকে অন্ধবিশ্বাসের পরিবর্তে যুক্তিবাদের পথে নিয়ে আসতে সচেষ্ট হন । ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘ দ্য ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স ‘

 

৫.২ শিক্ষা বিস্তারে শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশনের ভূমিকার উল্লেখ কর। 

উ:- উনিশ শতকের সূচনাকাল থেকে বাংলায় দ্রুত ছাপাখানা শিল্পের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। এই সময়ে বাংলার একটি উল্লেখযোগ্য ছাপাখানা ছিল শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেস। শ্রীরামপুর ত্রয়ী’ নামে খ্যাত তিন খ্রিস্টান মিশনারি (কেরি, মার্শম্যান, ওয়ার্ড) ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুরে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। এটিই শ্রীরামপুর প্রেস নামে খ্যাত। এই প্রেস থেকে নানা বিষয়ে নানা ধরনের বই ও পত্রপত্রিকা ছাপানো হত, যেমন—নিউ টেস্টামেন্ট (বাইবেল) বাংলায় অনুবাদ করে এখান থেকে ছাপা হয়। এছাড়াও স্কুল ও কলেজের জন্য পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও প্রকাশনার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। 1832 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই প্রেস থেকে 40টি ভাষায় 2 লক্ষেরও বেশি বই ছাপানো হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল— রামরাম বসুর রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালংকারের বত্রিশ সিংহাসন। কাশীরাম দাসের মহাভারত, কৃত্তিবাসের রামায়ণ ইত্যাদি। ব্যাপটিস্ট  মিশনের প্রচেষ্টায় বাংলায় ছাপাখানার যেমন শ্রীবৃদ্ধি ঘটে, তেমনি শিক্ষাদীক্ষা ও জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার নবদিগন্তের সূচনা হয়। তাই বলা যায় বাংলার শিক্ষার ইতিহাসে শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেস এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা করেন।

৫.৩ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাচিন্তায় কোন দিকটি শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বেশি ফুটে উঠেছিল? 

উ:- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে নিজের শিক্ষাচিন্তার ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। রবীন্দ্রনাথের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রায়পুরের জমিদার ভুবনমোহন সিংহের কাছ থেকে 20 বিঘা জমি নিয়ে 1863 খ্রিস্টাব্দে শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।

 রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন ভাবনা :-

i)রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার নিজস্ব শিক্ষাচিন্তার ভিত্তিতে শান্তিনিকেতনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি চেয়েছিলেন প্রকৃতির কাছাকাছি আদর্শ পরিবেশের মধ্যে শিশুদের বড়ো করে তুলতে হবে।

ii)রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রাচীন ভারতের আশ্রমিক শিক্ষার ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। তাই তিনি শিক্ষার্থীদের শান্তিনিকেতনে রেখে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।

রবীন্দ্রনাথের প্রকৃতি মানুষ ও শিক্ষা বিষয়ে হাতে কলমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন যে শিক্ষা হবে মুক্ত প্রকৃতির কোলে মুক্ত আকাশের নিচে। চার দেওয়ালের মধ্যে আবদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তিনিও খোপওয়ালা বড় বাক্স বলে অভিহিত করেছেন। তার উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃতির কাছে থেকে আদর্শ প্রাকৃতিক পরিবেশে শিশু ও কিশোরদের বড় হতে সাহায্য করা। রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন যে প্রকৃতির সংস্পর্শে শিশুর দেহ মন সুগঠিত হয়। শিশুদের পরম সত্তাকে নিবিড় ভাবে অনুধাবন করতে পারে

৫.৪ ‘ভারতমাতা’ চিত্রটি কীভাবে ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত হয়েছিল?

উ:- ভারতের জাতীয়তাবাদের বিকাশে ভারতমাতা চিত্রখানি পরাধীন ভারতে জাতীয়তাবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। বিভিন্ন কারণে সমস্ত ভারতবাসী সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন আন্দোলনের যুগে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ভারতমাতা চিত্র খানি কে পরাধীন ভারতের একমাত্র জাতীয়তাবাদের প্রতীক হিসাবে তুলে ধরেছিল।ইউরোপীয় ইতিহাসে নবজাগরণের মতো ভারতীয় ইতিহাসে নবজাগরণ ঘটেছিল। ইউরোপের ইতিহাস কে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিভিন্ন অর্থনীতিবীদ, বিভিন্ন চিত্রকরের প্রকাশিত হওয়া বই ও বিভিন্ন ছবিকে ঘিরে নবজাগরণের বিকাশ ঘটেছিল। ঠিক একই রকম ভাবে পরাধীন ভারতবর্ষের বুকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও চিত্র ভারতীয়দের একতাবদ্ধ হতে সাহায্য করেছিল। এই সকল চিত্রের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি চিত্র ছিল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ভারতমাতা চিত্র টি। 

ভারতমাতা চিত্র টি পরাধীন ভারতের জাতীয়তাবাদের প্রতীক হয়ে ওঠার কারণ। 

স্বদেশিকতা : অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ভারতমাতা চিত্র খানি জাতীয়তাবাদের মূল স্তম্ভ রূপে পরিগণিত হয়েছিল বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময়। কারণ এই চিত্রটি স্বদেশীকতার বাতাবরণে চিত্রিত হয়েছিল। চিত্রটিতে হিন্দুদের দেবী লক্ষ্মীর অনুকরণে তিনি ভারত মাতা কে অঙ্কন করেছিলেন। 

ব্রিটিশ বিরোধিতা : ব্রিটিশদের বিরোধিতা করা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মনোভাবের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আর এই ভারতমাতা চিত্রটি টিকে তিনি ব্রিটিশবিরোধী একটি প্রতীক হিসাবে তুলে ধরেছিলেন। এই কারণে সমকালীন ব্রিটিশবিরোধী ভারতবাসীরা ভারতমাতা ছবিটির মধ্যে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ লক্ষ্য করতে পেরেছিল |

জাতীয়তাবাদ : বঙ্গভঙ্গ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলন এবং ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে অনুপ্রেরণা জাগানোর জন্য ভারতমাতা চিত্র টি কে সব সময় আন্দোলনের সামনে রাখা হতো। এই কারণে খুব সহজেই ভারতমাতা চিত্র টি ভারতের জাতীয়তাবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছিল

ঐক্যবদ্ধতা : অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভারতমাতা চিত্র টির মধ্যে ছিল সমস্ত ভারতের বৈশিষ্ট্য, যেমন চিত্রটিতে ভারত মাতার চার হাতে রয়েছে বেদ, ধানের শীস, জপের মালা ও শ্বেত বস্ত্র পরিধান। চিত্রটিতে এই রূপের কারণে খুব সহজেই ভারতবাসীদের ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে উঠেছিল।

    উপরে বর্ণিত এই সকল বৈশিষ্ট্যের জন্য অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভারতমাতা চিত্রটি ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব নিয়ে খুব সহজেই ভারতের জাতীয়তাবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছিল।

৫.৫ ‘বাংলার নবজাগরণ ছিল কলকাতাকেন্দ্রিক। – বিশ্লেষণ করাে। 

উ:- উনিশ শতকের গোড়ায় বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, সমাজ প্রভৃতি ক্ষেত্রে এক নবচেতনার সূচনা হয় যা বাংলায় নবজাগরণ নামে পরিচিত। বাংলার নবজাগরণ মূলত কলকাতাকেন্দ্রিক ছিল, তাই তা সামগ্রিকভাবে সমস্ত বাংলায় ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। তবে এই নবজাগরণ এর মাধ্যমে বাংলার ধর্ম ও সমাজে আধুনিকতার সঞ্চয় হয়েছিল।

৬. পনেরাে-যােলােটি বাক্যে উত্তর দাও :

প্রাচ্য-পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।

উ:- প্রাচ্য-পাশ্চাত্য বিতর্ক: ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের চার্টার অ্যাক্টে এদেশের শিক্ষাখাতে প্রতি বছর বরাদ্দ করা একলক্ষ টাকা প্রাচ্য না পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারে খরচ করা হবে সে সম্পর্কে ১৮২০-র দশকে এক তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়, যা প্রাচ্য শিক্ষা-পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব নামে পরিচিত।

(i) বিতর্কের বিষয়: ওই সময়ে যারা প্রাচ্য ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাচর্চার কথা বলেন তাঁরা প্রাচ্যবাদী এবং যারা ইংরেজির মাধ্যমে শিক্ষাচর্চার কথা বলতেন তাঁরা পাশ্চাত্যবাদী নামে পরিচিত হন। এইচ টি প্রিন্সেপ, কোলব্রুক প্রমুখ্য পাচ্যবাদীর মত ছিলো-দেশীয় ভাষার মাধ্যমো শিক্ষার বিস্তার ঘটানো। অন্যদিকে লর্ড মেকলে, চার্লস গ্রান্ট প্রমুখ পাশ্চাত্যবাদীর উদ্দেশ্য ছিল মূলত ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে শিক্ষার বিস্তার ঘটানো। ভারতীয়দের মধ্যে রাজা রামমোহন রায় ছিলেন পাশ্চাত্যবাদী, পক্ষান্তরে রাজা রাধাকান্ত দেব প্রমুখ ছিলেন প্রাচ্যবাদী। রাজা রামমোহন রায় কলকাতায় সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেন এবং পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের দাবি করেন।

(ii) বিতর্কের অবসান: ভারতে ইংরেজি শিক্ষাবিস্তারের ক্ষেত্রে প্রাচ্যবাদী-পাশ্চাত্যবাদী বিতর্কে শেষ পর্যন্ত পাশ্চাত্যবাদীদের মতই সুপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের ৮ মার্চ গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক মেকলে মিনিট-এর ভিত্তিতে ইংরেজি ভাষায় শিক্ষার প্রসারকে ‘সরকারী নীতি’ বলে ঘোষণা করেন।

মূল্যায়ন: ভারতের বাংলা প্রদেশে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য বিতর্ক শুরু হলেও বোম্বাই প্রদেশ-সহ অন্যান্য প্রদেশে অনুরূপ বিতর্ক হয়নি। এই স্থানগুলিতে পাশ্চাত্য শিক্ষারীতিই গৃহিত হয়েছিল। যাইহোক, প্রাচ্য-পাশ্চাত্য বিতর্কের অবসানের ফলে ভারতে দ্রুত পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটতে থাকে।টতে থাকে।


You Can Also Read ...........CLASS-10 All Subject




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ