হুতোমপ্যাঁচার নক্সা গ্রন্থ থেকে উনিশ শতকের বাংলা সমাজের কী প্রতিফলন পাওয়া যায়? || সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা || মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়

2

হুতোমপ্যাঁচার নক্সা গ্রন্থ থেকে উনিশ শতকের বাংলা সমাজের কী প্রতিফলন পাওয়া যায়?||সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা||মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়


হুতোমপ্যাঁচার নক্সা গ্রন্থ 



প্রিয় মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা,

আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো হুতোমপ্যাঁচার নক্সা গ্রন্থ থেকে উনিশ শতকের বাংলা সমাজের কী প্রতিফলন পাওয়া যায়?||সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা||মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়||৮ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর||দশম শ্রেণী মক টেস্ট||এছাড়াও তোমরা পাবে মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|Ten History Examination- মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|দশম শ্রেনীর দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা থেকে ১ ও ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে|Madhyamik History Question and Answer|10th History Examination| মাধ্যমিক দ্বিতীয় অধ্যায় ৮ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে এগুলি তোমাদের ফাইনাল পরিক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন হবে।মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্নোত্তর |


তো বন্ধুরা সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায় থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ Very Short Short Descriptive Question and Answer|তোমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়|প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ|হুতোমপ্যাঁচার নক্সা গ্রন্থ থেকে উনিশ শতকের বাংলা সমাজের কী প্রতিফলন পাওয়া যায়?|আমাদের আশা এই প্রশ্নগুলি তোমাদের পরিক্ষায় খুবই কাজে আসবে।

হুতোমপ্যাঁচার নক্সা গ্রন্থ থেকে উনিশ শতকের বাংলা সমাজের কী প্রতিফলন পাওয়া যায়?||সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা||মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়


হুতোমপ্যাঁচার নক্সা গ্রন্থ থেকে উনিশ শতকের বাংলা সমাজের কী প্রতিফলন পাওয়া যায়?


ভূমিকা:- কালীপ্রসন্ন সিংহ রচিত হুতোম প্যাচার নকশা গ্রন্থটি 1861 খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়। কালীপ্রসন্ন সিংহ এই গ্রন্থে তৎকালীন বাঙালি সমাজের চিত্র তুলে ধরেছেন। এতে ব্রিটিশ আমলের কলকাতা ও তার আশপাশে অর্থসম্পদে ফুলে- ফেঁপে ওঠা এক সমাজের বাস্তব চিত্র অঙ্কিত হয়েছে ।


সমাজের ধ্বজাধারীদের শ্রেণিবিভাজন:- এই গ্রন্থে যাদের ব্যঙ্গ করা হয়েছে তারা হলেন লেখকের সেই সময়ের অগ্রবর্তী বা ধ্বজাধারী মানুষজন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লেখক নিজেও এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। লেখক তাদের তিনভাগে ভাগ করেছিলেন।


1. ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত ও সাহেবি চালচলনের অন্ধ অনুকরণকারী।

2. ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত কিন্তু অন্ধ অনুকরণকারী নয়।

3. ইংরেজি না জানা গোঁড়া হিন্দু।

তবে, এদের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হল এরা সকলেই কমবেশি বিভিন্ন ফন্দিফিকির করে বা অসৎ উপায়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করে।


জাত বস্তসমূহ:- এই গ্রন্থ থেকে সমকালীন সমাজের বাস্তব জীবন, সমকালীন সমাজে ব্যবহৃত মুখের ভাষা এবং সমাজকে প্রগতির পথে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস সম্পর্কে আমরা জানতে পারি।


সমাজের প্রতিফলন:-

1.ধনীসমাজের হীনতা ও কপটতা:- কালীপ্রসন্ন  সিংহ ছিলেন  উনিশ শতকের এক ধনী পরিবারের সন্তান। ফলে তিনি ধনী সম্প্রদায়ের মানুষজনকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তার নক্শায় এদের হীনতা, কপটতা ও ভণ্ডামির কথা তুলে ধরেছেন ও তার বিরুদ্ধে শানিত বাণনিক্ষেপ করেছেন। তার আক্রমণের ভাষা ছিল তীক্ষ্ণ, শ্লেষাত্মক ঝাজালো।


2. সামাজিক সংস্কার ও সংস্কার:- হুতোম প্যাঁচার নকশায় উনিশ শতকের বাংলা সমাজের সতীদাহ প্রথা রোধ, বিধবাবিবাহ প্রচলন, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি বিষয়ের নানান ঘটনার প্রতিফলন পাওয়া যায়। এইসব প্রথার বিরুদ্ধে ও প্রচলনের সপক্ষে যে আন্দোলন হয়েছিল, সে সম্পর্কেও কতিপয় নকশা রচিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি রামমোহন ও বিদ্যাসাগরের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতেও ভোলেননি।নকশায় যেসব মনীষীদের তিনি বিশেষভাবে স্মরণ করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- রাজা রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত, হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ডেভিড হেয়ার প্রমুখ।


3. সমকালীন  লোকসংস্কৃতি:- হুতোম প্যাঁচার নক্শায় লোক সংস্কৃতির অনেক উপাদান সম্পর্কে জানতে পারা যায়। মূলত এই নকশাগুলি লকায়েত কাঠামর উপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে। তার নকশাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- চড়ক পার্বণ, কলিকাতার বারোয়ারি পুজো, মাহেশের স্নানযাত্রা, রথযাত্রা', হুতোম প্যাচার নকশা দুর্গোৎসব, রাসলীলা প্রভৃতি। এ ছাড়াও তার বিভিন্ন নকশায় নীলের রাত্রির ব্রত, পাঁচালি, যাত্রাগান, পিঠেপার্বণ বা পৌষসংক্রান্তি, ষষ্ঠীর বাটা প্রভৃতি লোকসংস্কৃতির নিদর্শন পাওয়া যায়। এই সময়ের বাবুচিত্র রচনায় পাঁচালি টপ্পা আখড়া ইত্যাদি লকোয়েত  উপকরণকেও তিনি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।


4. সমকালীন শিক্ষা ও সাহিত্য:- উনিশ শতকের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে হুতোমপ্যাঁচার নক্সায় অনেক ভিন্নধর্মী চিত্র পাওয়া যায়। এই নকশাগুলি থেকে একদিকে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ও অন্যদিকে বাংলা ও সংস্কৃত শিক্ষার নানান কথা জানা যায়। এই সময়ের বাংলা গ্রন্থের মধ্যে যেগুলি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য সেগুলি হল- চাণক্য শ্লোক, বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয়, সীতার বনবাস, টেকচাঁদ ঠাকুরের আলালের ঘরের দুলাল প্রভৃতি।


উপসংহার:- কালীপ্রসন্ন সিংহ তার হুতোম প্যাঁচারনক্সায় তৎকালীন সমাজজীবন ও ব্যক্তিজীবনের ক্ষতস্থানগুলিকে চিহ্নিত করেন এবং তার নিরাময়ের কথা বলে দেশের উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করেছেন। তিনি তৎকালীন বড়োলোকদের লাম্পট্য, মাদকাসক্তি ও নানান দুষ্কর্মের নকশা রশাগুলির দ্বারা তিনি স্বজাতির কল্যাণসাধনের কথা বলেছেন।

Class 10 History Mock Test 

20টি MCQ 

কয়টির উত্তর দিতে পারছো দেখে নাও 

কালকের জন্য(১১/০৩/২০২২০) খুবই গুরুত্বপুর্ন

মকটেস্ট দেওয়ার জন্য নিচের 

Start The Quiz Button-এ ক্লিক করো

Created By Html Quiz Generator

Time's Up

score :

Name : Apu

Roll : 3

Total Questions:

Correct: | Wrong:

Attempt: | Percentage:

 


আরও পড়ুন......


  • বন্ধুরা ২০২২ সালের অধ্যায় ভিত্তিক ইতিহাস সাজেশন এর জন্য  Click Here
  • সমাজ সংস্কারক হিসেবে বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ করো Click Here


File Details

 

File Name/Book Name

হুতোমপ্যাঁচার নক্সা গ্রন্থ থেকে উনিশ শতকের বাংলা সমাজের কী প্রতিফলন পাওয়া যায়? 

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

64 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File



Join Telegram... Members

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
To Top