আইন অমান্য আন্দোলনে নারীদের ভুমিকা আলোচনা কর/ Discuss the Role of Women In Non Co operation Movement In India.

5
                         
আইন অমান্য আন্দোলনে নারীদের ভুমিকা আলোচনা কর।

আইন অমান্য আন্দোলনে মেয়েরা
            ১৯৩০ সালের ৬ই এপ্রিল ভারতীয জাতীয় কংগ্রেস গান্ধীজীর নেতৃত্বে আইন অমান্য আন্দোলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং ডান্ডির সমুদ্র উপকূলে লবণ আইন ভঙ্গ করে গান্ধীজী স্বহস্তে লবণ তৈরি করে ভারতব্যাপী আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা করেন অসহযোগ আন্দোলনের চেয়ে আইন অমান্য আন্দোলনের সময় (১৯৩০৩৪খ্রি.) নারীর যোগদান ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি গান্ধিজি লবণকে আইন অমান্যের বিষয়ে পরিণত করে নারীদের কাছে এই আন্দোলন আকর্ষণীয় করে তুলতে চেয়েছিলেন 


 ডান্ডিতে মহাত্মা গান্ধীর লবণ আইন অমান্যকালে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত  তথা  কলকাতা,  এলাহাবাদদিল্লিলাহোরলখনউ প্রভৃতি শহরের সম্ভ্রান্তউচ্চবিত্তমধ্যবিত্ত পরিবারের মহিলারাও এই আন্দলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল যা দেখে রক্ষণশীল পুরুষসমাজ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল লবণ আইন ভাঙা থেকে শুরু করে বিদেশি বস্ত্র  অন্যান্য দোকানের সামনে পিকেটিং সমস্ত কিছুতেই এই মহিলারা সক্রিয় অংশ নিয়েছিল।সরোজনী নাইডু ধারসানার লবনগোলার সত্যাগ্রহে অংশ নিয়েছেন, কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় ১৫০০০ সত্যগ্রহী নিয়ে ওয়াদালা লবণ কারখানায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন

বাংলার বিভিন্ন স্থানের মহিলারা নির্ভয়ে  আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন যেমন মেদিনীপুর ঘাটাল,কাঁথি,তমলুকে মহিলারা লবণ আইন ভঙ্গ করে এবং তা বিক্রি করতে থাকে মেদিনীপুরের মাতঙ্গিনী হাজরাবীরভূমের সত্যবালা দেবীকুমিল্লার লাবণ্যলতা চন্দ,ঢাকার আশালতা সেনবাঁকুড়ার সুষমা পালিত প্রমুখের নেতৃত্বে এই আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল
                           


Women in Non-Cooperation Movement
                      এই আন্দোলনে নারীদের যোগদানের প্রকৃতি ভারতজুড়ে একইরকম ছিলনা ঐতিহাসিক শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন যে অংশগ্রহণের দিক থেকে বোম্বায়ের আন্দোলন সবচাইতে সংঘটিত, বাংলার আন্দোলন ছিল উগ্র এবং মাদ্রাজের নারীদের অংশগ্রহন ছিল সীমিত


 ****যদি আপনাদের পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সু্যোগ করেদিন।****ধন্যবাদ*****


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

5 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
To Top