প্রশ্ন- সরলা দেবী চৌধুরানী আত্মজীবনী জীবনের ঝরাপাতা ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে কতখানি সহায়ক হয়েছে ?
“জীবনের ঝরাপাতা” হল সরলা দেবী চৌধুরানীর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ।সরলা দেবী চৌধুরানী ছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোন স্বর্ণকুমারী দেবীর মেয়ে।জীবনের ঝরাপাতা কাহিনীটি দেশ পত্রিকায় 1944 -45 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল এবং পরে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। জীবনের ঝরাপাতা থেকে সমকালীন ইতিহাস এর বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়-
i) ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলঃ এই গ্রন্থ থেকে ঠাকুর বাড়ির শিশুদের জীবনচর্চা, দুধমা-ধাইমা দিয়ে সন্তান পালন, গৃহশিক্ষক প্রথা নারী শিক্ষা,জন্মদিন পালন ইত্যাদি কথা জানা যায্।
ii) স্বাদেশিকতাঃ বঙ্গভঙ্গ ও স্বদেশী আন্দোলনের সময় সরলা দেবী চৌধুরানী স্বদেশী দ্রব্যের উৎপাদন ও ব্যবহারের প্রচার করার জন্য লক্ষীর ভান্ডার নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছিলেন।1910 সালে জাতীয় কংগ্রেসের এলাহাবাদে অধিবেশনের সময় তিনি নিখিল ভারত মহিলা সম্মেলন আহবান করেন এবং তাঁরই উদ্যোগে 1911 খ্রিস্টাব্দে ভারত স্ত্রী মহামন্ডল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
iii) অর্থনৈতিক শোষণের ইতিহাসঃ নীল চাষীদের, বাগানের কুলিদের ও মজুরদের ওপর ব্রিটিশদের অত্যাচারের কথা,অবিচারের কথা তিনি জীবনের ঝরাপাতায় লিখেছিলেন। সরলা দেবী চৌধুরানী ভারতী পত্রিকায় বিলিতি ঘুষি বনাম দেশি কিল নামে একটি প্রবন্ধ উপনিবেশিক শোষণের বিরুদ্ধে লিখেছিলেন তা জানা যায়।
iv) রাজনৈতিক কার্যকলাপঃ বাঙ্গালী যুবকদের স্বাধীনতা সংগ্রামে উপযুক্ত করার উদ্দেশ্যে তাদের অস্ত্র শিক্ষা প্রদানের জন্য গড়ে তোলেন প্রতাপাদিত্য উৎসব,উদয়াদিত্য উৎসব, বীরাষ্টমী ব্রত ইত্যাদি। এছাড়াও জীবনের ঝরাপাতা থেকে সমকালীন সমাজে নারী শিক্ষায, নারী সমাজের বিভিন্ন আদব-কায়দা ও ব্রাহ্মসমাজের কার্যকলাপের কথা জানা যায়
সুতরাং আমরা পরিশেষে বলতে পারি যে,সরলা দেবী চৌধুরানীর আত্মজীবনী 'জীবনের ঝরাপাতা' নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তৎকালীনচর্চার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন উপাদান হয়ে উঠেছে।
সরলা দেবী চৌধুরানী |
“জীবনের ঝরাপাতা” হল সরলা দেবী চৌধুরানীর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ।সরলা দেবী চৌধুরানী ছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোন স্বর্ণকুমারী দেবীর মেয়ে।জীবনের ঝরাপাতা কাহিনীটি দেশ পত্রিকায় 1944 -45 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল এবং পরে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। জীবনের ঝরাপাতা থেকে সমকালীন ইতিহাস এর বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়-
i) ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলঃ এই গ্রন্থ থেকে ঠাকুর বাড়ির শিশুদের জীবনচর্চা, দুধমা-ধাইমা দিয়ে সন্তান পালন, গৃহশিক্ষক প্রথা নারী শিক্ষা,জন্মদিন পালন ইত্যাদি কথা জানা যায্।
ii) স্বাদেশিকতাঃ বঙ্গভঙ্গ ও স্বদেশী আন্দোলনের সময় সরলা দেবী চৌধুরানী স্বদেশী দ্রব্যের উৎপাদন ও ব্যবহারের প্রচার করার জন্য লক্ষীর ভান্ডার নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছিলেন।1910 সালে জাতীয় কংগ্রেসের এলাহাবাদে অধিবেশনের সময় তিনি নিখিল ভারত মহিলা সম্মেলন আহবান করেন এবং তাঁরই উদ্যোগে 1911 খ্রিস্টাব্দে ভারত স্ত্রী মহামন্ডল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
iii) অর্থনৈতিক শোষণের ইতিহাসঃ নীল চাষীদের, বাগানের কুলিদের ও মজুরদের ওপর ব্রিটিশদের অত্যাচারের কথা,অবিচারের কথা তিনি জীবনের ঝরাপাতায় লিখেছিলেন। সরলা দেবী চৌধুরানী ভারতী পত্রিকায় বিলিতি ঘুষি বনাম দেশি কিল নামে একটি প্রবন্ধ উপনিবেশিক শোষণের বিরুদ্ধে লিখেছিলেন তা জানা যায়।
iv) রাজনৈতিক কার্যকলাপঃ বাঙ্গালী যুবকদের স্বাধীনতা সংগ্রামে উপযুক্ত করার উদ্দেশ্যে তাদের অস্ত্র শিক্ষা প্রদানের জন্য গড়ে তোলেন প্রতাপাদিত্য উৎসব,উদয়াদিত্য উৎসব, বীরাষ্টমী ব্রত ইত্যাদি। এছাড়াও জীবনের ঝরাপাতা থেকে সমকালীন সমাজে নারী শিক্ষায, নারী সমাজের বিভিন্ন আদব-কায়দা ও ব্রাহ্মসমাজের কার্যকলাপের কথা জানা যায়
সুতরাং আমরা পরিশেষে বলতে পারি যে,সরলা দেবী চৌধুরানীর আত্মজীবনী 'জীবনের ঝরাপাতা' নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তৎকালীনচর্চার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন উপাদান হয়ে উঠেছে।
****যদি আপনাদের পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে অন্যদের
পড়ার সু্যোগ করেদিন।****ধন্যবাদ*****
|
Darun
উত্তরমুছুনমোটামুটি
উত্তরমুছুনExam er jnno akdm ok
উত্তরমুছুনAkdom thik
মুছুনখুব ভালো আরও answer postকরুন।
উত্তরমুছুনভেরি
উত্তরমুছুন