H.S Bangla Suggestion 2022 ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর
ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী |
প্রিয় উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা,
আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো|উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা|ভাত গল্প মহাশ্বেতা দেবী|সমস্ত প্রশ্ন উত্তর |উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন|দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা|Class 6 short Question|বাংলা প্রশ্ন উত্তর|বাংলা মক টেস্ট|Bengali Question and Answer|Bengali mock test|ইতিহাস ক্লাস সিক্স|ইতিহাস মক টেস্ট|vat golpo mohassheta debi|bangla proshno uttor|History Mock Test |Bengali suggestion Class 12|12th Bengali Examination|দ্বাদশ শ্রেণীর ভাত গল্প থেকে ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|এছাড়া এই ওয়েব সাইটে দ্বাদশ শ্রেণীর ভাত গল্প থেকে ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে |
তো বন্ধুরা দ্বাদশ শ্রেণীর মহাশ্বেতা দেবীর লেখা ভাত গল্প থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর MCQ Very Short Short Descriptive Question and Answer তোমরা পেয়ে যাবে|
H.S Bangla Suggestion 2022 ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর
ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী
1. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো
1.)“উনি আমার দেবতা” – উনিটা কে ?
(A) বাবু
(B) শিবঠাকুর
(C) বামুন
(D) উচ্ছব ।
Ans: B শিবঠাকুর
1.2) শশুর খেতে আসার কতক্ষন আগে বড় বউকে লুচি করতে হত ?
(A) পাঁচ মিনিট
(B) দশ মিনিট
(C) দু মিনিট
(D) এক ঘন্টা ।
Ans: D একঘন্টা
1.3) ছোট বাবু কোন চালের ভাত খান ?
(A) কনকপানি
(B) ঝিঙ্গেসাল
(C) রামশাল
(D) পদ্মজালি ।
Ans: D. পদ্মজালি
1.4) ট্রেন ধরে উচ্ছব প্রথমে কোথায় যাবে ভেবেছিল ?
(A) দেশে
(B) কালীঘাটে
(C) গায়ে
(D) ক্যানিং – এ
Ans: D. ক্যানিং – এ
1.5) কার চাহনি বড় ভাইয়ের ভালো লাগেনি ?
(A) উচ্ছবে
(B) নার্সের
(C) তান্ত্রিকের
(D) সসুরের ।
Ans: (A) উচ্ছবের
1.6) উচ্ছব বাসিনীর গা সম্পর্কে কে হয় ?
(A) দাদা
(B) কাকা
(C) বোনাই
(D) বেহাই ।
Ans: A. দাদা
1.7) কনকপানি চালের ভাত খান –
(A) বড়বাবু
(B) মেজবাবু
(C) ছোটবাবু
(D) পিসিমা ।
Ans: A. বড়বাবু
1.8) ভাত গল্পে কার বিয়ে হয়নি ?
(A) উদ্ধবের
(B) উচ্ছবের
(C) ছোট ছেলের
(D) পিসিমার ।
Ans: D. পিসিমার
1.9) এ বাড়িতে চাকরি করা হয়ে ওঠেনি । ” কারণ –
(A) তারা ঘর জামাই থাকে
(B) তারা এগারোটার আগে ঘুম থেকে ওঠে না
(C) তারা অসুস্থ
(D) তারা বাড়ির কাজে ব্যাস্ত ।
Ans: B. তারা এগারোটার আগে ঘুম থেকে ওঠে না
1.10) ডাক্তার বলে দিয়েছে বলেই যজ্ঞ – হোম হচ্ছে – ডাক্তার কী বলেছিলেন
?
(A) যজ্ঞ করতে
(B) চন্দ্রায়ন করতে
(C) তান্ত্রিক ডাকতে
(D) মৃত্যু আসন্ন
Ans: D. মৃত্যু আসন্ন
1.11) কর্তার মৃত্যু হলে পিসিমা তান্ত্রিককে কী অপবাদ দিয়েছিলেন ?
(A) পিশাচ
(B) ভন্ড সন্ন্যাসী
(C) ডাকাতের সন্ন্যাসী
(D) যজ্ঞের ।
Ans: C. ডাকাতের সন্ন্যাসী ।
1.12) গ্রামের শ্রদ্ধার জন্যে কাকে ডাকা হতো ?
(A) উচ্ছবকে
(B) অগ্রদানিকে
(C) পণ্ডিতকে
(D) মহানাম শতপথিকে ।
Ans: D. মহানাম শতপথিকে ।
1.13) এ পিশাচের বাড়ি কেমন তা ঝোননি দাদা ” – এখানে দাদা কে ?
(A) ডাক্তার
(B) ভজন
(C) তান্ত্রিক
(D) উচ্ছব ।
Ans: D. উচ্ছব
2. অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর
2.1) তাস পিটানো ছেলেগুলি অস্বস্তিতে পড়ে । কেন ছেলেগুলি অস্বস্তিতে পড়েছিল
?
Ans: ঝড়ে – জলে উচ্ছবের সর্বনাশ হয়েছে , তার মানুষও ভেসে গেছে , সেজন্য সে কাদছে । কান্নার এই কারণ শুনে তাস পিটানো ছেলেগুলি অস্বস্তিতে পড়ে ।
2.2)“ শ্বশুরের ঘরে নাস ” – নার্স কাকে বলে ?
Ans: বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রোগীর সেবিকাকে নার্স বলে ।
2.3)“ তার জন্য দই পেতে ইসবগুল দিয়ে শরবত করে দিতে হত ” – কার জন্যে , কে শরবত
করে দিতেন ?
Ans: ‘ ভাত ‘ গল্পে বড়ো বাড়ির বড়ো বউ শ্বশুরমশাইয়ের জন্য শরবত করে দিতেন ।
2.4)“ বাদায় থাকে অথচ ভাতের আহিংকে এতখানি ” – ‘ আহিংকে ‘ শব্দের অর্থ কী ?
Ans: এখানে ‘ আহিংকে ‘ শব্দের অর্থ হলো ‘ আকাঙ্ক্ষা ‘ ।
2.5)গরিবের গতর এরা শস্তা দেখে ” – কে , কাকে , কাদের প্রসঙ্গে এই কথা বলেছিল
?
Ans: মহাশ্বেতা দেবীর ‘ ভাত ‘ গল্পের বাসিনী উচ্ছবকে বড়ো বাড়ির মানুষজনদের সম্বন্ধে এই কথা বলেছিল ।
2.6)“ লোকটার চাহনি বড়ো বাড়ির বড়ো বউয়ের প্রথম থেকেই ভাল লাগেনি ” — ভালো
না লাগার কারণ কী ?
Ans: লোকটার চাহনি খুব উগ্র ছিল বলে বড়ো বাড়ির বড়ো বউয়ের ভালো লাগেনি ।
2.7) উচ্ছবকে জেলখানায় কেন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ?
Ans: উচ্ছব ভাত খাওয়ার জন্যে বড়ো বাড়ির ভাতসুদ্ধ পিতলের ডেকচি নিয়ে স্টেশনে চলে গিয়েছিল । তাতে লোকেরা উচ্ছবকে চুরির অপবাদ দিয়ে জেলে নিয়ে গিয়েছিল ।
2.8)“ চোখ ঠিকরে আসে তার ” — কী দেখে , কার চোেখ ঠিকরে আসে ?
Ans: পাঁচ রকমের চাল দেখে উচ্ছবের চোেখ ঠিকরে আসে ।
2.9)“ তোমার শ্বশুরই মরতে বসেছে বাছা ” কথাটি যিনি যাঁকে বলেছেন উভয়ের মধ্যে
সম্পর্ক কী ?
Ans: কথাটি যিনি যাঁকে বলেছেন উভয়ের মধ্যে পিসিশাশুড়ির ও ভাইপো – বৌ সম্পর্ক ।
2.10)“ তোমরা রা কাড়না ক্যান ” – কে , কাদের উদ্দেশে এই কথা বলেছিল ?
Ans: আলোচ্য কথাটি উচ্ছব তার স্ত্রী – সন্তানদের উদ্দেশে বলেছিল ।
2.11) তান্ত্রিকের হোম – যজ্ঞ প্রস্তুতির বর্ণনা দাও ।
Ans: পাঁচ প্রকার গাছের কাঠ— প্রতিটা আধমণ করে । কালো বিড়ালের লোম , শ্মশান থেকে বালি , বেশ্যার ঘর থেকে আনতে হবে হাত – আর্শি ।
3. রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর
3.1)“ ফুটন্ত ভাতের গন্ধ তাকে বড়ো উতলা করে । ” – তাকে বলতে এখানে কাকে ইঙ্গিত
করা হয়েছে ? এই গন্ধ তাকে কেন উতলা করে ?
Ans: এখানে ‘ ‘ তাকে ’ বলতে মহাশ্বেতা দেবীর ‘ ভাত ‘ গল্পের মুখ্য চরিত্র বাদা অঞ্চলের বাসিন্দা অন্নহীন উচ্ছব নাইয়ার কথা বলা হয়েছে ।
সুন্দরবনের নিম্ন জলাভূমি অঞ্চল অর্থাৎ বাদা অঞ্চলেই হলো প্রায় স দক্ষিণবঙ্গের অন্নের মূল উৎস স্থান । অথচ সেখাকার বাসিন্দা উৎসব দিনের পর দিন না খেয়ে থাকে । জমিহীন উৎসব সতীশবাবুর জমিতে কাজ করত । কিন্তু মড়ক লেগে উচ্ছব বলতে থাকে- “ লক্ষ্মী না আসতে সেধে ভাসান যাচ্ছে তা কাঁদব না এতটুকু ? আমরা খাব ‘ । শুধু অনাহারই নয় , সর্বঘাতী বন্যায় উৎসব তার বউ ছেলে মেয়েকে হারিয়ে ফেলেন । একদিকে শোক আর অন্যদিকে ক্ষুধার তীব্র জ্বালায় সে প্রেতে পরিণত হয় ।
ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য উৎসব বাসিনীর সাহায্যে বড়ো বাড়িতে এলে ভাতের বিনিময়ে কাঠ কাটার কাজে নিয়োজিত হয় । বড়ো বাড়িতে অপরিসীম ভাতের গল্প তাকে পাগল করে তোলে এবং সে জানতে পারে এ সব ভাত আসে বাদা অঞ্চল থেকে । কিন্তু উৎসবের বাদায় ভাত নয় শুধু- ‘ গুগলি – গোঁড়ি – কচুশাক সুশনো শাক ’ পাওয়া যায় । আর সেই জন্য উৎসব ভাতের হুতাশে আড়াই মন কাঠ কেটেছিল । বড়ো বাড়ি থেকে ভেসে আসা ফুটন্ত ভাতের গন্ধে তার বহুকালের খিদে বেড়ে যায় , উৎসব তাই ‘ ভাতের হুতাশে ’ উতলা হয়ে উঠে ।
3.2)“ দাঁতগুলো বের করে সে কামটের মতোই হিংস্র ভঙ্গি করে ” – কে , কার এরূপ আচরণ
করেছিল ? তার এরূপ আচরণের কারণ বিশ্লেষণ করো ।
Ans: প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর ‘ ভাত ‘ ছোটগল্পের মুখ্য চরিত্র উচ্ছব নাইয়া তার গ্রাম্য সম্পর্কিত বোন বাসিনীর প্রতি এমন আচরণ করেছিল।
গল্পে বুড়ো কর্তার মৃত্যুর পরে তার মৃতদেহ শ্মশানের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পরে বড়ো পিসিমার কথায় বাড়ির সব রান্না ফেলে আসতে বলেন । আর ঠিক সেই মুহুর্তেই উচ্ছব স্থির করে নেয় যে সে কী করবে । সুদূর সুন্দরবন থেকে শুধুমাত্র খাবারের সন্ধানে সে এসেছিল শহরের বড়ো বাড়িতে কাজ করতে । কিন্তু বুড়ো কর্তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য হোম – যজ্ঞ শেষ না হলে খাওয়া হবে না –এই যুক্তিতে সে তার চরম আকাঙ্খিত খাবার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল । এর মধ্যে সে নানা রকম চালের এবং খাবারের গল্প শুনেছে ও দেখেছে । আর তাই তো- ‘ ফুটন্ত ভাতের গন্ধ তাকে বড়ো উতলা করে ’ । কিন্তু ভাত জোটেনি উচ্ছবের ।
কিন্তু আজ যখন বাসিনী ভাত ফেলতে গেল তখন উচ্ছব ভাতের ডেকচি নিয়ে সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে সে কী করবে ? ডেকচি নিয়ে প্রথমে হনহনিয়ে হাঁটা তারপর দৌড়ানো শুরু করে । যে ভাতের জন্য তার দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা , সেই ভাত এখন তার হাতের মুঠোয় । এই সময়েই যখন বাসিনী তাকে ‘ অশুচ বাড়ির ভাত ’ খেতে নিষেধ করে তা সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে উচ্ছবের পক্ষে । সে ফিরে দাঁড়ায় এবং কামটের মতো হিংস্র চোখে বাসিনীর দিকে তাকায় । তার দাঁত বের করা মুখ ভঙ্গি কামটের মতো হিংস্র লাগে বাসিনীর ।
3.3)“ তুমি কি বুঝবে সতীশবাবু । ” সতীশবাবু কী বুঝবে না ? কেন বুঝবে না ? সতীশবাবু
উচ্ছবের সঙ্গে কেমন আচরণ করেছিল ?
Ans: আলোচ্য অংশটি মহাশ্বেতা দেবীর ‘ ভাত ‘ গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে । ভাত না খেলে কীরূপ ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় , উচ্ছব তা বুঝতে পেরেছে । একারণেই উচ্ছব জানিয়েছে সতীশবাবু ভাত না খেতে পারার জ্বালা বুঝতে পারবে না ।
সতীশবাবু আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছল । উচ্ছবের মতো যে নদীর পাড়েও থাকে না , মেটে ঘরেও থাকে না । তার পাকা ঘর ঝড়ে ভেঙে যায়নি , এছাড়া তার ধান – চাল সম্পূর্ণ নিরাপদে আছে । তাই দেশজোড়া দুর্যোগের সময়েও তার ঘরে রান্না হয়েছে । উচ্ছবের আর্থিক অবস্থা ভালো নয় । তার যা কিছু ছিল তাতেও ভগবানের মার পড়েছে । তুমুল ঝড়বৃষ্টিতে মাতলার জলে উচ্ছবদের সংসার সর্বনাশ হয়ে যায় । একে উচ্ছবের ঘরদোর বিপর্যস্ত তার ওপর স্ত্রী – পুত্র হারিয়ে যায় এ হেন অবস্থায় হতদরিদ্র উচ্ছবদের পেটের জ্বালা সতীশবাবু কোনোমতেই বুঝতে পারবে না ।
তুমুল ঝড়বৃষ্টিতে উচ্ছবদের সংসার বিপর্যস্ত হয়ে গেলে সে সম্পূর্ণ একাকী হয়ে পড়ে । কয়েকদিন ধরে অভুক্ত থাকার জন্য উচ্ছব খিদের জ্বালায় ছটফট করে । খিদের জ্বালা মিটানোর জন্য সে সতীশবাবুর কাছে ভাতের প্রার্থনা করে , কিন্তু সতীশবাবু জানায় তাকে ভাত দিলে পঙ্গপালের মতো মানুষ তার কাছে ভিড় করবে । প্রচণ্ড ক্ষুধার তাড়নায় উচ্ছব ভাত ভাত করছে শুনে সতীশবাবু মস্তব্য করেছে তার মতিভ্রম হয়েছে । উচ্ছবকে ভাত না দিয়ে সতীশবাবু নিষ্ঠুর , অমানবিক কাজ করেছে ।
3.4)“ আসল বাদাটার খোঁজ করা হয় না আর উচ্ছবের । ” “ আসল বাদা ‘ কোনটা ? উচ্ছব
আর আসল বাদাটার খোঁজ করতে পারল না কেন ?
অথবা , “ সে বাদাটা বড়ো বাড়িতে থেকে যায় অচল হয়ে । ” কোন বাদাটা , কেন বড়ো বাড়িতে অচল হয়ে থেকে যায় ?
Ans: মহাশ্বেতা দেবীর ‘ ভাত ’ গল্প থেকে সংগৃহীত উক্তিটিতে ‘ আসল বাদা ‘ বলতে বোঝানো হয়েছে উচ্ছবের গ্রামতুতো বোন বাসিনীর মনিবের যে বাদা অঞ্চলে ঝিঙেশাল , রামশাল , কনকপানি , পদ্মজালি , মোটা সাপটা ইত্যাদি ধান উৎপাদিত হতো সেই অঞ্চলকে ।
গল্পে দেখা যায় , বাসিনী উচ্ছবকে বড়ো বাড়িতে নিয়ে এসেছে হোমযজ্ঞের কাঠ কাটার জন্য । উচ্ছব ভাত খেতে পাবে এই আশায় আড়াই মণ কাঠ কেটে ফেলে । সে অনেক দিন ধরে ভাত খেতে পায়নি , তাই সে ভাতের জন্য উতলা হয়ে ওঠে । কিন্তু তান্ত্রিকের বিধানে তার কাঙ্ক্ষিত ভাত খাওয়া অধরা থেকে যায় । কেননা অসুস্থ বুড়োকর্তা মরে গিয়ে নাকি বাড়ির রান্না করা ভাত অশুচি করে দিয়েছে । তাই এই ভাত আর খাওয়া চলবে না । সংস্কার মতো এই অশুচি ভাত ফেলে দেওয়ার দায়িত্ব পড়েছে উচ্ছবের ওপর । কিন্তু ভাতের ডেকচি হাতের নাগালে পেতেই উচ্ছব অশুচি ভাত খাওয়ার ব্যাপারে কোনোরূপ বাধানিষেধ মানতে রাজি নয় । মনের আনন্দে ভাত খেয়ে ভুখা পেটের খিদে মিটাবে এই আশায় সে ভাতের ডেকচি নিয়ে হনহন করে হাঁটতে শুরু করে । সে খুব দ্রুত স্টেশনে উপস্থিত হয় , এবং প্রাণভরে ভাত খেয়ে স্বর্গসুখ অনুভব করে । সব ভাত খেয়ে উচ্ছব ডেকচির কানা মাথা স্পর্শ করে ঘুমিয়ে পড়ে ।
আর এখানেই উচ্ছবের স্বর্গসুখের স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায় । সকাল না হতেই পেতলের ডেকচি চুরি করার অপরাধে লোকজন উচ্ছবকে ধরে ফেলে এবং মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায় । উচ্ছব একদিন যে আসল বাদাটার খোঁজ করার স্বপ্ন দেখেছিল , সেই বাদাটার খোঁজ করা তার আর সম্ভব হলো না । এইভাবেই শেষ পর্যন্ত সেই আসল বাদাটা বড়ো বাড়িতে অচল হয়ে থেকে যায় ।
3.5)“ মারতে মারতে উচ্ছবকে ওরা থানায় নিয়ে যায় । ” কারা , কেন উচ্ছবকে মারতে
মারতে থানায় নিয়ে যায় ?
Ans: মহাশ্বেতা দেবীর ‘ ভাত ‘ গল্পে উচ্ছব নাইয়াকে পেতলের ডেকচি চুরি করার অপরাধে পুলিশের লোকজন মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায় ।
গল্পে দেখা যায় , বাসিনী উচ্ছবকে বড়ো বাড়িতে নিয়ে
এসেছে হোমযজ্ঞের কাঠ কাটার জন্য । উচ্ছব ভাত খেতে পাবে এই আশায় আড়াই মণ কাঠ কেটে
ফেলে । সে অনেক দিন ধরে ভাত খেতে পায়নি , তাই সে ভাতের জন্য উতলা হয়ে ওঠে । কিন্তু
তান্ত্রিকের বিধানে তার কাঙ্ক্ষিত ভাত খাওয়া অধরা থেকে যায় । কেননা অসুস্থ বুড়োকর্তা
মরে গিয়ে নাকি বাড়ির রান্না করা ভাত অশুচি করে দিয়েছে । তাই এই ভাত আর খাওয়া চলবে
না । সংস্কার মতো এই অশুচি ভাত ফেলে দেওয়ার দায়িত্ব পড়েছে উচ্ছবের ওপর । কিন্তু
ভাতের ডেকচি হাতের নাগালে পেতেই উচ্ছব অশুচি ভাত খাওয়ার ব্যাপারে কোনোরূপ বাধানিষেধ
মানতে রাজি নয় । মনের আনন্দে ভাত খেয়ে ভুখা পেটের খিদে মিটাবে এই আশায় সে ভাতের
ডেকচি নিয়ে হনহন করে হাঁটতে শুরু করে । সে খুব দ্রুত স্টেশনে উপস্থিত হয় , এবং প্রাণভরে
ভাত খেয়ে স্বর্গসুখ অনুভব করে । সব ভাত খেয়ে উচ্ছব ডেকচির কানা মাথা স্পর্শ করে ঘুমিয়ে
পড়ে । আর এখানেই উচ্ছবের স্বর্গসুখের স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায় । সকাল না হতেই পেতলের
ডেকচি চুরি করার অপরাধে লোকজন উচ্ছবকে ধরে ফেলে এবং মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায়
। উচ্ছব একদিন যে আসল বাদা খোঁজ করার স্বপ্ন দেখেছিল , সেই বাদাটার খোঁজ করা তার আর সম্ভব হলো না ।
উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা "কে বাঁচায় কে বাঁচে" সাজেশন পাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন