ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ, ফলাফল ও তাৎপর্য উল্লেখ করাে।
ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ, ফলাফল ও তাৎপর্য |
প্রিয় নবম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা,
আজকে আমি আলোচনা করব নবম শ্রেনী তৃতীয় অধ্যায়|ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ফলাফল ও তাৎপর্য উল্লেখ করাে।|ঊনবিংশ শতকের ইউরোপ:রাজতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারার সংঘাত|নবম শ্রেনী তৃতীয় অধ্যায় ঊনবিংশ শতকের ইউরোপ থেকে ১ ও ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে|ক্রিমিয়ার যুদ্ধ কেন হয়েছিল|Nine History Examination|ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল|নবম শ্রেনী তৃতীয় অধ্যায় ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|ক্রিমিয়ার যুদ্ধের গুরুত্ব|এছাড়াও তোমরা ইতিহাস মক টেস্ট পেয়ে যাবে|History Mock Test|Class 9 History Question and Answer|এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নবম শ্রেনী তৃতীয় অধ্যায় ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর |এটি তোমাদের ফাইনাল পরিক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন হবে।
তো বন্ধুরা নবম শ্রেনী তৃতীয় অধ্যায় থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর MCQ Very Short Short Descriptive Question and Answer|তোমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে নবম শ্রেনী তৃতীয় অধ্যায় থেকে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের রাজনৈতিক তাৎপর্য আলোচনা করা আছে। আমাদের আশা এই প্রশ্নগুলি তোমাদের পরিক্ষায় খুবই কাজে আসবে।
নবম শ্রেনী তৃতীয় অধ্যায়|ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ, ফলাফল ও তাৎপর্য উল্লেখ করাে।|ঊনবিংশ শতকের ইউরোপ: রাজতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারার সংঘাত
ভূমিকা: উনিশ শতকের প্রথম থেকেই নিকট প্রাচ্যের সমস্যা জটিল আকার ধারণ করে। শেষ পর্যন্ত নানা কারণে এই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে 1854 খ্রিস্টাব্দে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সূচনা হয়।
ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ :
রুশ সম্প্রসারণ নীতি: তুরস্কের দুর্বলতার সুযােগ নিয়ে রুশ জার পিটার দ্য গ্রেট উম্নজল নীতি দ্বারা নিকট প্রাচ্যে সাম্রাজ্য বিস্তার নীতি গ্রহণ করেন। সেই ধারা অব্যাহত ছিল জার প্রথম ও দ্বিতীয় নিকোলাসের সময় পর্যন্ত।
ইঙ্গ-ফরাসি বিরােধিতা: কৃয়সাগর বসফরাস ও দার্দানেলিস প্রণালীসহ ভূমধ্যসাগরে রাশিয়ার সম্প্রসারণ নীতি ব্রিটেন ও ফ্রান্স ভালাে চোখে দেখেনি। ওই অঞ্চলে তারা তাদের অধিপত্য হারানাের আশঙ্কা বােধ করে। সেজন্য তারা রাশিয়ার বিরােধিতা শুরু করে।
আধিপত্যের লড়াই: 1740 খ্রিস্টাব্দের ক্যাপিচুলেশন চুক্তি দ্বারা ফ্রান্স জেরুজালেমের গির্জা ও সেখানকার রােমান ধর্মাবলম্বীদের ওপর অভিভাবকত্ব লাভ করে। এর প্রায় 100 বছর পর 1852 খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স জেরুজালেম দখল করলে তুরস্ক তা মেনে নেয়। এই অবস্থায় ক্ষুব্ধ রাশিয়া তুরস্কের কাছে এই একই দাবি উত্থাপন করে।
প্রত্যক্ষ কারণ: ব্রিটেনের মদতে তুরস্ক রাশিয়ার সেই দাবি খারিজ করে দেয়। এই অবস্থায় ক্ষুদ্ধ রাশিয়া তুরস্কের দুটি প্রদেশ মােলডাভিয়া ও ওয়ালেশিয়া দখল করে। তখন ব্রিটেন ফ্রান্স ও পিডমন্ট তুরস্কের পক্ষ নেয়। এইভাবে 1854 খ্রিস্টাব্দে ক্রিমিয়া যুদ্ধের সূচনা হয়।
ক্রিমিয়ার যুদ্ধের ফলাফল | ক্রিমিয়ার যুদ্ধের গুরুত্ব | ক্রিমিয়ার যুদ্ধের রাজনৈতিক তাৎপর্য | ক্রিমিয়ার যুদ্ধের তাৎপর্য
1. প্রত্যক্ষ ফল: i. কৃয়সাগর এলাকায় রাশিয়ার সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থ সফল হয়নি কারণ প্যারিসের সন্ধি অনুযায়ী ঠিক হয় ওই অঞ্চলে রাশিয়া কোনাে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে পারবে না।
ii. প্যারিসের সন্ধি আর কিছুকালের জন্য তুরস্ককে নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়।
iii. ক্রিমিয়ার যুদ্ধের ভয়াবহতা ছিল মর্মান্তিক। এই যুদ্ধে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ মারা যায়।
2.পরােক্ষ ফল: i. এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ইংল্যান্ড ঋণভারে জর্জরিত হয়। তবে ভূমধ্যসাগরে রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধ হওয়ায় সে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল।
ii. পিডমন্ট-সার্ডিনিয়া এই যুদ্ধে যােগদান করায় ইটালির ঐক্য আন্দোলনের বিষয়টি ইউরােপীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়।
iii. অস্ট্রিয়া ও প্রাশিয়ার মধ্যে নতুন করে বিবাদ সৃষ্টি হয়।
iv. অন্যদিকে প্রাশিয়া ও রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
3. অন্যান্য প্রভাব: ক্রিমিয়ার যুদ্ধে রাশিয়া ব্যর্থ হলে রুশ জনমানসে দারুণ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সেখানে দেখা দেয় গণজাগরণ। শেষপর্যন্ত জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার রাশিয়ায় কিছু সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করেন। ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে তিনি আইন করে সার্ফ বা ভূমিদাসদের মুক্তি দেন।
File Details | |
---|---|
File Name/Book Name | ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ, ফলাফল ও তাৎপর্য উল্লেখ করাে। |
File Format | |
File Language | Bengali |
File Size | 86 |
File Location | GOOGLE DRIVE |
Download Link | Click Here to Download |