H.S Bangla Suggestion 2022 কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

dream
0

H.S Bangla Suggestion 2022 কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর


H.S Bangla Suggestion


উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

1.সেদিন কোথায় যাবার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম মৃত্যু দেখে

(A) বাজার 

(B) নিখিলের বাড়ি 

(C) অফিস 

(D) বাড়ি ফেরার পথে

Ans: (C) অফিস 

 

2.“ফুটপাতে হাঁটা তার বেশি প্রয়োজন হয় না” – কার প্রয়োজন হয় না

(A) নিখিল 

(B) টুনুর মা 

(C) মৃত্যুঞ্জয়ের 

(D) টুণুর

Ans: (C) মৃত্যুঞ্জয়ের

 

3.মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে থাকে – 

(A) দশ জন লোক 

(B) পাঁচ জন লোক 

(C) সাতজন লোক 

(D) জন লোক

Ans: (D) জন লোক 

 

4.মৃত্যুঞ্জয়ের প্রকৃত বন্ধু হল – 

(A) কৈলাস 

(B) মানিক 

(C) নিখিল 

(D) সুব্রত

Ans: (C) নিখিল 

 

5.মৃত্যুঞ্জয় অফিসে ঠিকমতো না এসে কোথায় যায় – 

(A) বাজারে 

(B) আত্মীয়ের বাড়িতে 

(C) নিজের বাড়িতে 

(D) শহরের ফুটপাতে ঘুরে বেড়ায়

Ans: (D) শহরের ফুটপাতে ঘুরে বেড়ায় 

 

6.নিখিল অবসর জীবন কিভাবে কাটাতে চায় ?

(A) দুস্থ মানুষের সেবা করে 

(B) দেশ বিদেশ ভ্রমন করে 

(C) গান শুনে নাটক দেখে 

(D) বই পড়ে আর চিন্তা জগৎ গড়ে তুলে

Ans: (D) বই পড়ে আর চিন্তা জগৎ গড়ে তুলে

 

7.নিখিল কার কাছে মাঝে মধ্যেই কাবু হয়ে যায়

(A) মৃত্যুঞ্জয়ের কাছে 

(B) অফিসের অন্যান্যের কাছে 

(C) তার স্ত্রীর কাছে 

(D) অফিসের বড় বাবুর কাছে

Ans: (A) মৃত্যুঞ্জয়ের কাছে

 

8.গ্রুয়েল কথার অর্থ হলো – 

(A) এক ধরনের টনিক 

(B) ভাতের ফ্যান 

(C) ফলের সরবত 

(D) সুস্বাদু খাবার

Ans: (B) ভাতের ফ্যান

 

9.নিখিল রোগা তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং একটু – 

(A) আলোসে প্রকৃতির লোক 

(B) সাহসী প্রকৃতির লোক 

(C) ভীরু প্রকৃতির লোক 

(D) চালক প্রকৃতির লোক

Ans: (A) আলসে প্রকৃতির লোক 

 

10.মৃত্যুঞ্জয় ধূর্লিমলিন সিল্কের জমা এখন – 

(A) পরিচ্ছন্ন হয়েছে 

(B) ছিঁড়ে গেছে 

(C) অদৃশ্য হয়েছে 

(D) নতুন হয়েছে

Ans: (C) অদৃশ্য হয়েছে 

 

11.ফুটপাতে ব্যক্তিটির মৃত্যুর কারণ – 

(A) রোগ 

(B) দুর্ঘটনা 

(C) খাদ্যে বিক্রিয়া 

(D) অনাহার

Ans: (D) অনাহার 

 

12.“কয়েক মিনিট মৃত্যুঞ্জয়ের সুস্থ শরীরটা অসুস্থ হয়ে গেলকারণ – 

(A) অফিসে কাজের প্রবল চাপ ছিল 

(B) প্রচণ্ড গরমের মধ্যে হেঁটে সে অফিসে এসেছিল 

(C) প্রথমবার অনাহারে মৃত্যু দেখে সে প্রবল আঘাত পেয়েছিল 

(D) বেশি খাবার খেয়ে ফেলায় তার বমি হচ্চিল

Ans: (C) প্রথমবার অনাহারে মৃত্যু দেখে সে প্রবল আঘাত পেয়েছিল

 

13.মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি নজর রাখার জন্য কার কাছে কাতর অনুরোধ করেন

(A) প্রতিবেশীর কাছে 

(B) নিখিলের কাছে 

(C) অফিসের বড় বাবুর কাছে 

(D) ডাক্তারের কাছে

Ans: (B) নিখিলের কাছে 

 

14.মৃত্যুঞ্জয় রোজ অফিসে যায় – 

(A) বাসে করে 

(B) ট্রামে করে 

(C) পায়ে হেঁটে 

(D) নিজের গাড়িতে

Ans: (B) ট্রামে করে 

 15.“গা থেকে এইচি খেতে পাই নে বাবা আমায় খেতে দাও কথাগুলো বলেছে – 

(A) টুনুর মা 

(B) মৃত্যুঞ্জয় 

(C) মৃত্যুঞ্জয়ের ছেলে 

(D) নিখিল

Ans: (B) মৃত্যুঞ্জয় 

 

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

1.আনমনে অর্ধভাষণে যেন আর্তনাদ করে উঠল মৃত্যুঞ্জয় ” – আর্তনাদটা কী ছিল ?

উ: আর্তনাদটা ছিল— “ মরে গেল না খেয়ে মরে গেল ” 

2.“ অন্য সকলের মতো মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে ” – কী কারণেসেমৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করে ?

উ: মৃত্যুঞ্জয় আদর্শবাদের কল্পনা তাপস এক সরলচিত্ত যুবক বলে নিখিল উত্তর মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করে

3. নিখিলকে বার বার আসতে হয় ” – নিখিলকে কোথায় , কেন বারবার আসতে হয় ? 

উ: পথে পথে ঘুরে বেড়ানো বন্ধু মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির লোকেদের খোঁজ খবর নিতে নিখিলকে মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে বারবার আসতে হয়  

4.নিখিলের সমপদস্থ মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের তুলনায় কত টাকা মাইনে বেশি পায় এবং কেন ?

উ:- নিখিল মৃত্যুঞ্জয় সমপদস্থ হলেও মৃত্যুঞ্জয়ের বেতন পঞ্চাশ টাকা বেশি কারণ সে একটা বাড়তি দায়িত্ব পালন করে

5.“ সকলে এক কথাই বলে কী কথা বলে ?

উ: সকল দুর্ভিক্ষ পীড়িতই বলে , ‘ গা থেকে এইছি খেতে পাইনে বাবা আমায় খেতে দাও

6একেবারে মুষরে যাচ্ছেন দিনকে দিন ” – উক্তিটি কার ?

উত্তর : ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচেগল্পে প্রশ্নোধৃত এই উক্তিটি মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীর

7.কে হল হে তোমার ? ” – কে , কাকে কথা বলেছিল ?

উত্তর : কে বাঁচায় , কে বাঁচেগল্পে মৃত্যুঞ্জয়ের বমি করা শরীর খারাপ দেখে সহকর্মী নিখিল তাকে কথা বলেছিল  

8.“ নইলে দর্শনটা অনেক আগেই ঘটে যেত সন্দেহ নেই ” – কীসের দর্শন ? 

উত্তর : দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে মৃত্যুঞ্জয়ের ফুটপাথে অনাহার- মৃত্যুর দর্শনের কথা এখানে বলা হয়েছে

 9.শত ধিক্ আমাকে ” – কে , কেন নিজেকে ধিক্কার দিয়েছিল ?

উ: মৃত্যুঞ্জয় নিজেকে ধিক্কার দিয়েছিল কারণ দেশের লোকের অনাহার জনিত মৃত্যুর কথা জেনে শুনেও সে চারবেলা পেট পুরে খেয়েছে  

10.কে বাঁচায় , কে বাঁচেগল্পটি প্রথম কোথায় প্রকাশিত হয় ?

উত্তর : ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচেগল্পটি প্রথম সারদাকুমার দাস সম্পাদিতভৈরবপত্রিকার প্রথম শারদ সংখ্যায় ১৩৫০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়

11.“ তখন সে রীতিমতো কাবু হয়ে পড়েছে ” – সে কাবু হয়ে পড়েছিল কেন ?

উ: পঞ্চাশের দুর্ভিক্ষের দিনে অফিসকর্মী মৃত্যুঞ্জয় প্রথম পথে এক অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখে মানসিক আঘাত পেয়ে কাবু হয়ে পড়েছিল  

12.অনাহারক্লিষ্ট মানুষদের জন্য খাদ্যের সংস্থান করতে নিখিল কী ব্যবস্থা নিয়েছে

উ: অনাহারক্লিষ্ট মানুষদের জন্য খাদ্যের সংস্থান করতে নিখিল তার পরিবারের রোজকার খাওয়াদাওয়ার বহর যতদূর সম্ভব কমিয়ে দিয়েছে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যই তারা খায়

13. অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কি ? ” অপরাধটা কী ?

উ: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিতকে বাঁচায় , কে বাঁচে ! ‘ গল্পে দেখা যায় , মানুষ অনাহারে ভুগছে আর মৃত্যুঞ্জয় এই দুরবস্থার সময়েও চারবেলা পেটভরে খেয়েছে সে এটাকেই অপরাধ বলে গণ্য করেছে

14.মরে গেল ! না খেয়ে মরে গেল ” — কার উক্তি এবং কে মরে গেল

উ: উক্তিটি মৃত্যুঞ্জয়ের একজন ফুটপাথবাসী বুভুক্ষু মানুষ অনাহারে মরে গেল  

15.টুনুর মা বিছানায় পড়ে থেকে বাড়ির লোকদের কীভাবে মৃত্যুঞ্জয়ের খোঁজ নিতে পাঠান

উ: টুনুর মা বিছানায় পড়ে থেকে বাড়ির ছেলে , বুড়ো সকলকে তাগাদা দিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ের খোঁজ নিতে পাঠান

16.“সেটা আশ্চর্য নয় কোনটা আশ্চর্য নয়

উ:কে বাঁচায় , কে বাঁচে ! ’ গল্পে অনাহারে ফুটপাতে মৃত্যুর ঘটনাটি আশ্চর্য নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে

 

 

রচনাধর্মী

1.“ এভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না এভাবে বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? এভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না কেন ?

Ans: আলোচ্য অংশটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়েরকে বাঁচায় , কে বাঁচে গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে পঞ্চাশের মন্বস্তরের প্রেক্ষাপটে গল্পটি রচিত হয়েছে অনাহারক্লিষ্ট মানুষ খাদ্যের আশায় কলকাতায় ভিড় করেছে দিনের পর দিন কলকাতায় অনাহারেঅর্ধাহারে কাটিয়ে দেওয়া মানুষগুলির ঠিকানা ফুটপাথ একদিন ফুটপাথে এমনই এক ব্যক্তির মৃত্যু দেখে অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়ে মৃত্যুঞ্জয় এটা সে মন থেকে মেনে নিতে পারেনি সে নিজের খাওয়া কমিয়ে দেয় নিজের বেতনের পুরো টাকাটা কোনো রিলিফ ফান্ডে দিয়ে দেওয়ার জন্য মৃত্যুঞ্জয় অনুরোধ করে নিখিলকে এভাবে মৃত্যুঞ্জয় অনাহারক্লিষ্ট মানুষকে বাঁচাতে চায় মৃত্যুঞ্জয়ের এই স্বার্থত্যাগ , পরোপকারবৃত্তি মানবিকতাবোধ আসলে বাস্তববর্জিত তাই নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে বলে , “ এভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না কারণ নিজে বাঁচো , অন্যকেও বাঁচাও ’ – এটাই জীবনের দাবি , বাস্তব সত্য কেননা একজন মানুষ তার সর্বস্ব দিয়েও দেশের এত অনাহারক্লিষ্ট মানুষকে বাঁচাতে পারবে না এজন্য দরকার প্রত্যেকের সাধ্যানুযায়ী সাহায্য সহযোগিতা করা সম্মিলিত প্রয়াসে এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব , অর্থাৎ অভুক্ত , নিরন্ন মানুষকে বাঁচাতে একজন মানুষের সর্বস্ব ত্যাগও যথেষ্ট নয় কোথাও দীর্ঘ খরা , আবার কোথাও অতিবৃষ্টির জন্য ফসল নষ্ট হয়েছে ফলে গ্রামবাংলায় দেখা দিয়েছিল দুর্ভিক্ষ গ্রাম ছেড়ে দলে দলে মানুষ ভিড় করেছিল শহরেবন্দরে সরকার ত্রাণের ব্যবস্থা , বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে কিন্তু আশানুরূপ সাফল্য পায়নি বেশিরভাগ মানুষ এটা বুঝতে পেরেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কিন্তু মৃত্যুণায়কে এসব প্রচণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছে সে সর্বস্ব দান করেছে , নিজেও ভুখা মানুষগুলির দলে সামিল হয়েছে তবুও সে অবস্থা একটুও পাল্টাতে পারেনি এই পরিস্থিতি বিচার করেই নিখিল এমন মন্তব্য করেছে তার মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ কেননাএকজনের সর্বস্ব ত্যাগ বা একজনকে খাওয়ালে মনের শাস্তি মেলে , দুর্ভিক্ষপীড়িত বৃহত্তর জনগণের মঙ্গল হয় না তাছাড়া প্রত্যেক মানুষ তার দায়িত্ব যদি যথাযথোভাবে পালন করে তবেই দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশের মানুষকে বাঁচানো যাবে  

 

2.“ সেদিন অফিস যাবার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম মৃত্যু দেখলঅনাহারে মৃত্যু এইদেখা ফলে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল ?

Ans: উদ্ধৃতাংশটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়েরকে বাঁচায় , কে বাঁচে ! ’ গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে

 মৃত্যুঞ্জয় একজন অফিসকর্মী সমপদস্থ সহকর্মী নিখিলের থেকে সে বরং একটি বাড়তি দায়িত্বের কারণে পঞ্চাশ টাকা বেশি পায় বাড়ি থেকে বেরিয়েই সে ট্রামে ওঠে এবং অফিসের দরজার সামনে গিয়ে নামে ফলে পঞ্চাশের দুর্ভিক্ষের সময় কলকাতার পথেঘাটে দুর্ভাগা মানুষের মৃত্যুর ভয়াবহ দৃশ্যের সম্মুখীন তাকে এতদিন হতে হয়নি কিন্তু সেদিন মৃত্যুঞ্জয়কে আকস্মিকভাবে অনাহারে মৃত্যুর বীভৎস দৃশ্যের মুখোমুখি হতে হলো

এই মৃত্যুদৃশ্য তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুঞ্জয়ের নরম , দরদি , মানবিক আদর্শে বিশ্বাসী মনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করল তার সুস্থ শরীর যেন মুহূর্তে অসুস্থ হয়ে পড়ল তার সংবেদনশীল মনে আঘাত লাগলে শরীরেও প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ফলে মৃত্যুদৃশ্যে তার মন আলোড়িত হতেই শারীরিক কষ্ট বোধ হতে লাগল অফিসে পৌঁছেই নিজের কুঠুরিতে বসে সে যেন অবসাদে ধপ করে চেয়ারে বসে পড়ে কিন্তু সেখানেও সে স্বস্তিবোধ করে না বলে উঠে কলঘরে যায় কলঘরে দরজা বন্ধ করে সে আসার আগে পেট ভরে খেয়ে আসা যাবতীয় খাদ্য বমি করে উগরে দেয় তার পর টেবিলে ফিরে জল খেয়ে দেওয়ালের দিকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে

3.” ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা ” – কে , কাকে একথা বলেছে ? ‘ পাশবিক স্বার্থপরতাশব্দবদ্ধ ব্যবহারের কারণ কী ? অথবা , “ … সমাজদর্শনের দিক থেকে বিচার করলে দশ জনকে খুন করার চেয়ে নিজেকে না খাইয়ে মারা বড়ো পাপ বক্তা কে ? এই উত্তিতে বক্তার যে মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে তা বিশ্লেষণ করো

Ans: উদ্ধৃত উক্তিটি করেছে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটোগল্পকে বাঁচায় , কে বাঁচে ! ’ গল্পের অন্যতম চরিত্র নিখিল

 নিখিল বাস্তববাদী তার মতে নিজেকে না খাইয়ে মারা ঠিক নয় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের প্রতি সহানুভূতিবশত মৃত্যুঞ্জয় খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল নিখিল তখন যুক্তি দেখিয়ে বলে মন্বন্তরের দিনে ভূরিভোজনটা অন্যায় কিন্তু নিজেকে না খাইয়ে রাখা আরও অন্যায় বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু দরকার ততটুকু খেলে দুর্ভিক্ষের দিনে অন্যায় কোথায় ? শত শত নিরন্নের দিকে চেয়ে যদি নিজেকে অভুক্ত রেখে দেওয়া হয় তবে সেটা নিজেরই সঙ্গে প্রবঞ্ছনা করা। এর উত্তরে মৃত্যুঞ্জয় বলে ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা স্বার্থপরতা চরম হলে তবেই কাজ করা যায় নিজেকে খাইয়ে অন্যকে না খাইয়ে রাখা , মৃত্যুঞ্জয় আপন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নিখিলের এই যুক্তিকেপাশবিক স্বার্থপরতাবলেছে

 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top