ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস|চতূর্থ অধ্যায়|৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের ভারতীয় উপমহাদেশ

0

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস|চতূর্থ অধ্যায়|৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের ভারতীয় উপমহাদেশ


ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস চতূর্থ অধ্যায় ৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর



প্রিয় বন্ধুরা 

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস|চতূর্থ অধ্যায়|৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের ভারতীয় উপমহাদেশ আজকে আলোচনা করব|তোমরা West Bengal Class 6 History পেয়ে যাবে|ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস চতূর্থ অধ্যায় ৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|West Bengal Class Six|Class 6 History Question and Answer|Class 6 History 4th chapter Sugges -tion WBBSE| Class 6 History 4th chapter Notes WBBSE|Class 6 History 5 marks Question and Answer|ইতহাস প্রশ্নোত্তর|ইতিহাস মক টেস্ট|itihas proshno o uttor| History Mock Test|


এছাড়াও তোমরা পাবে ষষ্ঠ শ্রেণী চতূর্থ অধ্যায় খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ, Very Short Question, Short Questions ,Descriptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের VI History Examination এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস (চতূর্থ অধ্যায় খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের ভারতীয় উপমহাদেশ) নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।


ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস|চতূর্থ অধ্যায়|৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের ভারতীয় উপমহাদেশ


১. কেন বৌদ্ধরা হীনযান ও মহাযানে বিভক্ত হয়ে যায় ?

উত্তর :- জীবনযাপন ও ধর্মীয় আচরণ বিষয়ে বৌদ্ধ সংঘে মতবিরোধ তৈরি হয়। বেশ কিছু সন্ন্যাসী আমিষ খাবার খেতে থাকেন। দামি, ভালো পোশাক পরতে থাকেন। সোনা-রুপো দান হিসেবে নিতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে কিছু সন্ন্যাসী প্রায় পারিবারিক জীবনযাপন শুরু করেন।

(ক) নতুন দল :- সংঘের এর ফলে বৌদ্ধ ধর্মে মহাযান নামে এক নতুন দল তৈরি হয়।

(খ) মূর্তিপুজো :- কুষাণ আমল থেকে বুদ্ধের মূর্তিপুজোর চল শুরু হয়। মহাযানরা মূর্তিপুজোর সমর্থক ছিলেন। এর ফলে পুরোনো মতে বিশ্বাসী বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা মহাযান মতের বিরোধী হয়ে যান। তাঁরা হীনযান নামে পরিচিত হন।

(গ) চূড়ান্ত বিভাজন :- চতুর্থ বৌদ্ধ মহাসংগীতিতেই হীনযান ও মহাযানরা সম্পূর্ণভাবে আলাদা হয়ে যায়।

 

২.খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে নব্যধর্ম(প্রতিবাদী) আন্দোলন কেন হয়েছিল ?

উত্তর :- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক নাগাদ ধর্মের নামে আড়ম্বর অনুষ্ঠান ও জাতিভেদ বেড়ে যাওয়ায় এর প্রতিবাদে নব্যধর্ম আন্দোলন শুরু হয়। ব্রামহন ধর্মের গোঁড়ামির বদলে নতুন সহজ-সরল ধর্মের খোঁজ শুরু হয়েছিল। সেই চাহিদা পূরণ করেছিল বেশ কিছু ধর্ম। যার মধ্যে প্রধান দুটি হল জৈন ধর্ম ও বৌদ্ধ ধর্ম। এই প্রতিবাদী ধর্ম আন্দোলন শুরু হওয়ার পিছনে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় কারণ ছিল।

 

(ক) সামাজিক কারণ :- বৈদিক সমাজে বর্ণভেদের সুফল অর্থাৎ বেশি সুযোগসুবিধা ভোগ করত বর্ণশ্রেষ্ঠ ব্রামহনরা। ফলে ব্রামহনদের বিরুদ্ধে ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের ক্ষোভ জমতে থাকে। শূদ্ররা ছিল সমাজের অবহেলিত শ্রেণি। তারা তাদের প্রাপ্য মর্যাদা ও অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য অন্যান্য ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকে।

(খ) রাজনৈতিক কারণ :- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারতে বেশ কিছু গণরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছিল। এই গণরাজ্যগুলিতে ব্যক্তি স্বাধীনতার সুযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বর্ণ ও জাতিভেদপ্রথার কঠোরতা কমে। ফলে এই গণরাজ্যগুলি হয়ে ওঠে নব্যধর্ম আন্দোলনের রাজনৈতিক পটভূমি।

(গ) অর্থনৈতিক কারণ :- বৈদিক যুগে সমাজের মুষ্টিমেয় কিছু বণিক শ্রেণি যাবতীয় সুযোগসুবিধা ভোগ করে আসছিল। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকেই লোহার তৈরি কৃষি সরঞ্জামের সাহায্য নিয়ে এক নতুন কৃষক শ্রেণির উত্থান ঘটে। নতুন সৃষ্ট নগরে ব্যাবসাবাণিজ্য করে বৈশ্য শ্রেণি নিজেদের আর্থিক অবস্থানের উন্নতি ঘটায়। এই কৃষক ও বণিক, সম্প্রদায় মিলিতভাবে ব্রাত্মণ্যবাদের বিরোধিতা করে। কেননা ব্রাক্ষ্মণ্যধর্মে পশুবলি ও যুদ্ধের ফলে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হত। বাণিজ্যের জন্য সমুদ্রযাত্রা অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হত। অথচ সমুদ্রযাত্রাকে পাপ হিসেবে দেখত ব্রাক্ষ্মণেরা। ব্যাবসা চালাতে গেলে পয়সার লেনদেনে ও সুদে টাকা খাটানো দরকার হত। কিন্তু সুদ নেওয়া ব্রাত্মণ্যধর্মে নিন্দার বিষয় ছিল।

(ঘ) ধর্মীয় কারণ :- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারতবাসীর চিন্তাজগতে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। যাগযজ্ঞ ও আড়ম্বরপূর্ণ আচার-অনুষ্ঠানের পরিবর্তে তারা সৎ চিন্তা ও আচরণের মাধ্যমে ঈশ্বরের করুণালাভে সচেষ্ট হয়। এই চিন্তাধারা নব্যধর্ম আন্দোলনের উত্থান ঘটাতে সহায়ক হয়।

 

৩. বুদ্ধদেব বজ্জিদের কতগুলি নিয়ম মানতে বলেছিলেন? নিয়মগুলি কী কী?

উত্তর :- বুদ্ধদেব বজ্জিদের সাতটি নিয়ম মেনে চলতে বলেন। কারণ মগধের রাজা অজাতশত্রু, একবার বজ্জিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই বিষয়ে গৌতম বুদ্ধের মতামত জানতে বজ্জিদের পক্ষে একজন কর্মচারীকে বুদ্ধের কাছে পাঠানো হয়। বুদ্ধ তখন নিজের শিষ্য আনন্দের সঙ্গে সে বিষয়ে কথাবার্তা বলেন। ওই আলোচনায় বজ্জিদের দেওয়া বুদ্ধের উপদেশের মধ্যে সাতটি নিয়মের কথা ওঠে। বুদ্ধ বলেন, সেই নিয়মগুলি মেনে চললে বজ্জিদের উন্নতি হবে। রাজা অজাতশত্রু বজ্জিদের কোনোভাবেই হারাতে পারবেন না। সেই নিয়মগুলি হল__

 

(ক) বজ্জিদের প্রায়ই সভা করে রাজ্য চালাতে হবে।

(খ) বজ্জিদের সব কাজ সবাই মিলে একজোট হয়ে করতে হবে।

(গ) বজ্জিদের নিজেদের বানানো আইন অনুসারে চলতে হবে।

(ঘ) বজ্জি সমাজে বয়স্ক মানুষদের কথা শুনে চলতে হবে ও তাদের সম্মান করতে হবে।

(ঙ) বজ্জি সমাজে নারীদের সবসময় সম্মান করে চলতে হবে।

(চ) বজ্জিদের এলাকায় অবস্থিত সমস্ত দেবতার মন্দিরের যত্ন নিতে হবে।

(ছ) নিজেদের অঞ্চলে গাছপালা ও পশুপাখিদের ওপর অত্যাচার করা যাবে না।

 

৪. ষোড়শ মহাজনপদ কাকে বলে ?

উত্তর :- ‘মহাজনপদ শব্দের অর্থ ‘বৃহৎ রাজ্য। বৈদিক সাহিত্যে একাধিক রাজা বা রাজ্যের কথার উল্লেখ থাকলেও সে সময়ের ধারাবাহিক রাজনৈতিক ইতিহাস অজ্ঞাতই থেকে গেছে। তবে খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে মহাবীর ও বুদ্ধদেব যখন তাদের ধর্মমত প্রচার করছিলেন, তখন কাবুল থেকে গোদাবরী নদীর তীর পর্যন্ত সমগ্র ভারতবর্ষে ১৬টি বড়ো রাজ্যের অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া যায়। বৌদ্ধ সাহিত্যে এই ১৬টি রাজ্য ষোড়শ মহাজনপদ নামে পরিচিত।

 

এই ১৬টি রাজ্য হল (ক) অঙ্গ, (খ) মগধ, (গ) কাশী, (ঘ) কোশল, (ঙ) অবন্তি, (চ) বৎস, (ছ) বৃজি, (জ) মল্ল, (ঝ) চেদি, (ঞ) কুরু, (ট) পাঞ্চাল, (ঠ) মৎস্য, ড) শূরসেন, (ড) অস্মক, (ণ) গর, (ত) কম্বোজ।

 

বৈশিষ্ট্য :-

(অ)মহাজনপদগুলির মধ্যে ১৩টি ছিল রাজতন্ত্রশাসিত'। বৃজি, কম্বোজ, মল্ল ছিল প্রজাতান্ত্রিক রাজ্য।

(আ) মহাজনপদগুলি ছিল পরস্পর বিবাদমান।

(ই) মহাজনপদের শাসকেরা সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবাপন্ন ছিলেন।

 

৫. মগধের উত্থানের কারণ আলোচনা করো।

উত্তর:- ষোড়শ মহাজনপদগুলির মধ্যে খ্রিস্টপূর্ব যষ্ঠ শতাব্দীতে ভারতে রাজনৈতিক ইতিহাসে বৃহত্তম শক্তি হিসেবে মগধের আত্মপ্রকাশ ঘটে। অন্যান্য ১৫ টি মহাজনপদের তুলনায় মগধের উত্থানের পিছনে কতকগুলি কারণ ছিল, কারণগুলি নীচে আলোচনা করা হল-

 

(ক) শক্তিশালী শাসকবৃন্দ :- বিম্বিসার, অজাতশত্রু, শিশুনাগ এবং মহাপদ্মনন্দের মত উদ্যমী শাসকবৃন্দের অবদান মগধের অগ্রগতির কারণ ছিল।

(খ) নদী ও পাহাড়ে ঘেরা :- গঙ্গা, চম্পা ও শোন নদী দ্বারা ঘেরা মগধ ছিল নিরাপদ; মগধের প্রথম রাজধানী রাজগৃহ ছিল পাঁচটি পাহাড়ের মাঝখানে সুরক্ষিত।

(গ) হস্তীসংকুল ঘন অরণ্য :- মগধের পূর্বাঞ্চল ছিল হস্তীসংকুল ঘন অরণ্য। এই ঘন অরণ্য কোনো শত্রুর পক্ষে ভেদ করা ছিল অসম্ভব।

(ঘ) নন্দ রাজার অবদান :- উপরোক্ত অরণ্য থেকে হস্তী সংগ্রহ করে নন্দ রাজারা এক বিপুল রণহস্তী বাহিনী গড়ে তুলেছিল।

(ঙ) ঐতিহাসিকদের মত :- ঐতিহাসিক এ এল ব্যাসাম এবং রোমিলা থাপার মগধের উত্থানের জন্য গাঙ্গেয় উপত্যকার উর্বরতা এবং সমৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছেন।

(চ) বনজ ও খনিজ সম্পদ' :- মগধ ছিল বনজ ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধশালী।

 

৬. প্রতিবাদী বা নব্যধর্ম আন্দোলনের উত্থানের ধর্মীয়, ভাষাগত ও রাজনৈতিক কারণ আলোচনা করো।

উত্তর:- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে নব্য ধর্মীয় আন্দোলনের উত্থানের সময়কাল হিসেবে সারা পৃথিবীতে সমাদৃত। কারণ এই সময় চিনে কনফুসিয়াস, পারস্যে জরাথুষ্ট এবং ভারতে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের উত্থান ঘটে। বৈদিক যুগের সরল অনাড়ম্বর ধর্ম পরবর্তীকালে মন্ত্রপাঠ, পশুবলি যাগযজ্ঞের বাহুল্য ও প্রচুর দক্ষিণা এই ধর্মের অঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়।

 

(ক) ধর্মীয় কারণ :-

প্রতিবাদী ধর্ম উত্থানের পিছনে ধর্মীয় কারণগুলি হল নিম্নরূপ-

 

(অ) ব্রাক্ষ্মণ্য ধর্মের কঠোরতা :- অনুষ্ঠান সর্বস্বতা ব্যায়বহুল যাগযজ্ঞ প্রভৃতির ফলে ব্রাত্মণ্য ধর্ম জনপ্রিয়তা হারায়। অন্যদিকে সহজসরল প্রতিবাদী ধর্ম জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

(আ) নিম্নবর্ণের ক্ষোভ :- নিম্নবর্ণের হিন্দুরা বৈদিক ধর্ম পালনের সুযোগ না পেয়ে মনে মনে ক্ষুদ্ধ ছিল, কিন্তু বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মে সে সমস্যা ছিল না।

(ই) ঐতিহাসিক বিবর্তন :- ঐতিহাসিক বিবর্তনের ফলে হিন্দু ধর্মের পর বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের উত্থান ঘটে।

(ঈ) বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের প্রভাব:- বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের উদার ধর্মচিন্তা ও ধর্মপ্রচারকদের প্রভাব যুগপোযোগী ধর্মীয় নির্দেশ এই ধর্মের উত্থানে সাহায্য করেছিল।

(খ) ভাষাগত কারণ :-

বৈদিক আর্যদের প্রধান ভাষা ছিল সংস্কৃত কিন্তু এই ভাষা সাধারণ মানুষের কাছে জটিল ও দুর্বোধ্য বলে মনে হত। অপরদিকে বৌদ্ধ ধর্মের পালি ভাষা সর্বসাধারণের কাছে সহজবোধ্য ছিল।

(গ) রাজনৈতিক কারণ :-

এই সময় রাজার চরম আধিপত্য ও কঠোর নিয়মকানুন জনগণের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল। অন্যদিকে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মে রাজনৈতিক আদর্শের বদলে গণতান্ত্রিক আদর্শের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছিল।

উপসংহার :-

ব্রামহণ্য ধর্মের আচারসর্বস্ব রীতিনীতি ও ব্রামহণ্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের উত্থান ঘটেছিল। এই আন্দোলনে জাতিভেদ, অস্পৃশ্যতা ও অহিংসা মূল আদর্শ রূপে প্রকাশ পেয়েছে।

 

৭. বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মকে প্রতিবাদী ধর্ম বলা যায় কী ? অথবা ব্রাম্মণ্য ধর্মের সঙ্গে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের সাদৃশ্য ও বৈচিত্র্য লেখো।

উত্তর :- বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মকে প্রতিবাদী ধর্ম বলা যায় কিনা তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিতর্ক আছে। অনেকের মতে, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম ব্রাত্মণ্য ধর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে গড়ে উঠেছিল বলে একে প্রতিবাদী ধর্ম বলা উচিত। তা ছাড়া মূল ব্রাত্মণ্য ধর্মের সঙ্গে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের কিছু মৌলিক পার্থক্য ছিল যেমন বৌদ্ধ ও জৈনরা বেদের অপৌরুষেয়তা স্বীকার করে না। যাগযজ্ঞাদি, ক্রিয়াকর্মকে তারা মোক্ষের সোপান বলে মনে করে না। হিন্দু বর্ণাশ্রম ও জাতিভেদ উভয় ধর্মই স্বীকার করে না।

 

অপর মত অনুসারে ব্রাত্মণ্য ধর্মের সঙ্গে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের অনেক মিল লক্ষ করা যায়। যেমনবৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম সম্পূর্ণ বেদ বিরোধী ছিল না এবং এটি নতুন কোনো ধর্মমতও নয়। হিন্দু ধর্মের একটি শাখা ছিল এই ধর্ম। দর্শনের দিক থেকে বিচার করলে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মকে উপনিষদেরই প্রতিধ্বনি বলা যেতে পারে।

সবশেষে উভয় দিক বিচার করে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মকে প্রতিবাদী ধর্ম বলা যায়।



File Details

 

File Name/Book Name

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস চতূর্থ অধ্যায় ৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

76.3 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File


Join Telegram... Members



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top