ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস|ষষ্ঠ অধ্যায়|৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|অর্থনীতি ও জীবনযাত্রা

0

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস|ষষ্ঠ অধ্যায়|৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|অর্থনীতি ও জীবনযাত্রা

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর



প্রিয় বন্ধুরা 

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস|ষষ্ঠ অধ্যায়|৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|অর্থনীতি ও জীবনযাত্রা আজকে আলোচনা করব|তোমরা West Bengal Class 6 History পেয়ে যাবে|ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|West Bengal Class Six| Class 6 History Question and Answer|Class 6 History 6th chapter Suggestion WBBSE|Class 6 History 6th chapter Notes WBBSE|Class 6 History 5 marks Question and Answer|ইতহাস প্রশ্নোত্তর|ইতিহাস মক টেস্ট|itihas proshno o uttor| History Mock Test|


এছাড়াও তোমরা পাবে ষষ্ঠ শ্রেণী ষষ্ঠ অধ্যায় অর্থনীতি ও জীবনযাত্রা থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ, Very Short Ques -tion, Short Questions,  Descriptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের VI History Examination এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস (ষষ্ঠ অধ্যায় অর্থনীতি ও জীবনযাত্রা) নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।


ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস|ষষ্ঠ অধ্যায়|৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|অর্থনীতি ও জীবনযাত্রা



১. ষোড়শ মহাজনপদের আমলে অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন ছিল ?

উত্তর :- কৃষিকাজ ছিল ষোড়শ মহাজনপদ আমলের প্রধান জীবিকা। উর্বরতার ভিত্তিতে জমিকে নানা ভাগে ভাগ করা হত। বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন ফসল ফলানো হত। ঋতু অনুযায়ী ফসলগুলির আলাদা আলাদা নাম ছিল। কৃষিতে ধানই ছিল প্রধান ফসল। ধানের মধ্যে সেরা ছিল শালি ধান। মগধে এই ধানের প্রচুর চাষ হত। এ ছাড়া অন্যান্য কৃষিজ ফসল হল গম, যব ও আখ।

 

(ক) জমিতে অধিকার:- এই সময় সমাজের সামান্য সংখ্যক মানুষ জমির অধিকার ভোগ করত। এর পাশাপাশি ছিল ভূমিহীন কৃষক।

(খ) জমির পরিমাণ:- প্রত্নতাত্ত্বিকরা এই সময়ের দা, কুড়ুল বা কুঠার ও কিছু লাঙলের ফলাও পেয়েছিলেন। লোহার কুড়ুল বা কুঠার দিয়ে জঙ্গল পরিষ্কার করে কৃষিজমির পরিমাণ বাড়ানো সহজ হয়।

(গ) বাণিজ্য:- কৃষির পাশাপাশি এই সময়ে বাণিজ্যের উন্নতিও লক্ষ করা যায়। গোরুর ও ঘোড়ার গাড়ি বোঝাই করে দূরদূরা -ন্তে বাণিজ্যে যেতেন ব্যবসায়ীরা। উত্তর ভারতে স্থলপথে ও নদীপথে বাণিজ্য চলত। কিন্তু এই সময় সমুদ্রবাণিজ্য হত কম।

(ঘ) ব্যাবসা:- এ যুগে ব্যাবসা চলত ধার দেওয়া-নেওয়ার মাধ্যমে। জৈন ও বৌদ্ধধর্মে ধার নিলে শশাধ করা উচিত বলে উল্লেখ আছে।

(ঙ) বিনিময়ের মাধ্যম:- এ যুগে ব্যাবসাবাণিজ্যে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে কার্যাপণ নামে এক বহুল প্রচলিত মুদ্রা চালু ছিল। এ ছাড়া ষোড়শ মহাজনপদের আমলে গোল ও চৌকো আকৃতির অনেক রুপোর মুদ্রাও পাওয়া গিয়েছে।


 ২. মৌর্য আমলে ভারতের অর্থনৈতিক জীবন কেমন ছিল ?

উত্তর:- মৌর্য আমলে ভারতবর্ষে শান্তি ও রাষ্ট্রীয় ঐক্য বজায় থাকায় একদিকে যেমন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নতি ঘটেছিল তেমনই এর পাশাপাশি অর্থনৈতিক জীবনে অনেক পরিবর্তন দেখা দিয়েছিল। সেগুলি হল __

(ক) কৃষি :- মৌর্য আমলে কৃষি ছিল মানুষের প্রধান জীবিকা। গাঙ্গেয় উপত্যকায় জমি ছিল উর্বর। তাই এই অঞলে খাজনার পরিমাণ ছিল বেশি। জমিতে জলসেচের জন্য আলাদা জলসেচ বিভাগ ছিল। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে জলসেচের জন্য জল করের উল্লেখ আছে। এ যুগে খাল ও কূপ খনন করে জলসেচের ব্যবস্থা করা হত। উল্লেখযোগ্য ফসল ছিল গম, যব, তৈলবীজ, আখ প্রভৃতি।

(খ) শিল্প :- এ যুগে শিল্পক্ষেত্রে প্রভূত পরিমাণে উন্নতি ঘটেছিল। পশিগ, কাঠের আসবাবপত্র, চর্মশিঙ্কা, ধাতুশিল্প, হাতির দাতের শিল্পক প্রভৃতি ছিল এ যুগের উল্লেখযোগ্য শিল্প। এ যুগের শিল্পী কারিগররা সমাজে সম্মান পেলেও তারা শূদ্র বলে পরিগণিত বৃত্তিমূলক শিল্পগুলি হল- কাঠ, হাতির দাঁত, চামড়া, যন্ত্র, বস্ত্র, ধাতু, থাপত্য, ভাস্কর্য প্রভৃতি। এই যুগে দেশ-বিদেশে উন্নতমানের ভারতীয় বস্ত্রের চাহিদা ছিল বেশি। জন মার্শাল শিল্পী নিগমের এক বিরাট অট্টালিকা আবিষ্কার করেন, যাকে তিনি শিল্পীদের প্রধান কার্যালয় বলে মনে করেন।

(গ) অন্তর্দেশীয় বাণিজ্য :- এ যুগে প্রধানত নদীপথে বাণিজ্য চলত। গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী ও সিন্ধু নদ ছিল প্রধান জলপথ। থলপথেও বাণিজ্য চলত। গোরুর গাড়ি ও উটের পিঠে মাল আমদানি-রপ্তানি হত।

(ঘ) বৈদেশিক বাণিজ্য :- এ যুগে বৈদেশিক বাণিজ্য উন্নত। ছিল। স্থলপথে ও জলপথে এই বাণিজ্য চলত। এই সময় চিন, গ্রিস, সিংহল প্রভৃতি দেশগুলির সঙ্গেও ভারতের বাণিজ্যিক যোগসূত্র ছিল। মৌর্য রাজারা পশ্চিম এশিয়া থেকে মিষ্টি মদ ও শুকনো ডুমুর আমদানি করতেন।

(ঙ) ধনতন্ত্রবাদের উদ্ভব :- বুদ্ধের সময় থেকে ভারতে ধনতন্ত্রবাদের উন্মেষ ঘটে। এ যুগের বণিক ও ব্যবসায়ীরা ছিল ধনী। তাই এ যুগে অর্থসম্পদ জমানোর আগ্রহ ছিল। সাঁচি লিপিতে ধনী বণিকদের অর্থদানের উল্লেখ পাওয়া যায়।

সুতরাং, বলা যায় মৌর্য আমলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছিল, যদিও এর সমবণ্টন হত না।

 

৩. গুপ্ত ও গুপ্তোত্তর আমলের ব্যাবসাবাণিজ্য ও মুদ্রাব্যবস্থা কেমন ছিল ?

উত্তর:- গুপ্ত ও গুপ্তোত্তর আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে বাণিজ্যের অবস্থা প্রায় আগের মতোই ছিল। তবে এসময় দূরপাল্লার বাণিজ্যে কিছুটা ঘাটতি দেখা যায়। এর অন্যতম কারণ ছিল হুন আক্রমণ। এর ফলে রোম-ভারত বাণিজ্যে মন্দা দেখা দেয়। তবে এ যুগে এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশের বাণিজ্য চলত। এ যুগের উল্লেখযোগ্য বন্দরগুলি হল পূর্ব উপকূলের তাম্রলিপ্ত এবং তামিলনাড়ুর কাবেরীপট্টিনম। বিশেষ করে পূর্ব উপকূলের তাম্রলিপ্ত বন্দরের গুরুত্ব এইসময় আরও বৃদ্ধি পায় এবং দুর পাল্লার বাণিজ্যের জন্য কাবেরীপট্টিনাম বন্দরের গুরুত্ব ছিল বেশি।

 

মুদ্রাব্যবস্থা :-

গুপ্ত যুগে সোনার ও রুপোর দু-ধরনের মুদ্রা প্রচলন ছিল। গুপ্ত আমলে প্রচলিত সোনার মুদ্রাকে বলা হত দিনার ও সুবর্ণ। গুপ্তসম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের আমলে সর্বপ্রথম রূপোর মুদ্রা প্রচলিত হয়। এই মুদ্রাকে বলা হয় রুপক। এ ছাড়া এ যুগে তামার মুদ্রাও প্রচলিত ছিল। তবে বাকাটক শাসকরা কোনো মুদ্রার প্রচলন করেননি। ফলে ভারতীয় উপমহাদেশের সবজায়গায় লেনদেন সমানভাবে ছিল না।

 

৪. গুপ্ত যুগে নারীজাতির অবস্থা কেমন ছিল?

উত্তর:- গুপ্ত যুগে রচিত বিভিন্ন গ্রন্থ ও লেখমালা থেকে গুপ্ত যুগে নারীজাতির অবস্থা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।

 

 নারীজাতির অবস্থা :-

গুপ্ত যুগে নারীরা উপযুক্ত শিক্ষার সুযোগ পেত। বাৎস্যায়নের কামসূত্রে উল্লেখ আছে, আদর্শ প হওয়ার প্রধান মাপকাঠি হল শিক্ষা। এ যুগের মেয়ের যে-শিক্ষা গ্রহণ করত তার বড়ো প্রমাণ 

(ক)অমরসিংহের অমরকোশে উল্লেখিত শিক্ষিকা আচাৰ্যার উদাহরণ পাওয়া ।

(খ) এ যুগে দুধরনের নারীর কথা জানা যায়। যারা আজীবন বেদ অধ্যয়ন করতেন তাদের বলা হত ব্রহ্মবাদিনী। আর যারা কুমারী জীবন পর্যন্ত বেদচর্চা করতেন তাদের বলা হত সদ্যোদদাহ।

(গ) এ ছাড়া মহাভারতে দ্রৌপদীকে বলা হত পণ্ডিত। তবে তাদের অমর্যাদাও কম ছিল না। যেমন 

(অ) এ যুগে সমাজে দেবদাসীপ্রথা ছিল। 

(আ) সতীদাহপ্রথার চল ছিল। 

(ই) স্বামীরা স্ত্রীর ওপর অকথ্য নির্যাতন করত। এমনকি স্ত্রীদের পরিত্যাগ পর্যন্ত করা হত। 

(ঈ) মেয়েদের কম বয়সে বিবাহ দেওয়া হত। 

(উ) এই সময় মেয়েরা বিয়ের সময় স্ত্রীধন নামে সম্পদ পেত। এই সম্পদ একমাত্র মেয়েরা তাদের ইচ্ছামতো ব্যবহার করতে পারত। এটি সব বর্ণের মধ্যে চালু ছিল না।



File Details

 

File Name/Book Name

 ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

55.2 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File


Join Telegram... Members


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top