সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস| দ্বিতীয় অধ্যায়|৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| ভারতের সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা

0

সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস| দ্বিতীয় অধ্যায়|৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| ভারতের সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা




সপ্তম শ্রেনী দ্বিতীয় অধ্যায় ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর



প্রিয় বন্ধুরা 

সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস| দ্বিতীয় অধ্যায়|৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| ভারতের সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা আজকে আলোচনা করব |তোমরা West Bengal Class 7 History পেয়ে যাবে|সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|Class 7 History 2nd chapter Suggestion WBBSE|ইতহাস প্রশ্নোত্তর| West Bengal Class Seven|Class 7 History Question and Answer|itihas proshno uttor|Class 7 History 2nd chapter Notes WBBSE|ইতিহাস মক টেস্ট |History Mock Test 


এছাড়াও তোমরা পাবে সপ্তম শ্রেণী দ্বিতীয়  অধ্যায় ভারতের সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ Very Short Question Short Questions Descriptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের VII History Examination এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই ৩ নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস (ভারতের সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা) ৩ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।


সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস| দ্বিতীয় অধ্যায়|৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| ভারতের সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা


1. আদি-মধ্যযুগীয় ভারতের সামন্ততান্ত্রিক স্তরবিন্যাস কেমন ছিল ?

উ:-আদি মধ্যযুগীয় ভারতের সামন্ততান্ত্রিক স্তরবিন্যাস 

i. রাজা: সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থায় সবার ওপরে ছিলেন রাজা। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রের সমস্ত জমির মালিক। তাঁর নামেই দেশের প্রশাসনিক সামরিক, অর্থনৈতিক যাবতীয় কাজ সম্পাদিত হত।

ii.মহাসামন্ত: রাজার নীচে অবস্থান করতেন মহাসাম -ন্তগণ। মহাসামন্তরা সরকারি ও বেসরকারিভাবেপ্রাপ্ত জমি ভোগদখল করতেন।

iii. মাঝারি সামন্ত মহাসামন্তরা তাঁদের কয়েকজন অধস্তন ব্যক্তিকে জমি দান করতেন। এঁরা মহাসামন্তের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করতেন।


2. টীকা লেখো : চর্যাপদ।

উ:-খ্রিস্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতকে লেখা বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের কবিতা ও গানের সংকলনকে বলা হত চর্যাপদ। পালযুগের শেষ দিক থেকে বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যরা প্রাচীন বাংলা ভাষায় চর্যাপদ লেখা শুরু করেন। এককথায় বলা যায়, চর্যাপদে যে-ভাষা রয়েছে তা একেবারেই আদি বাংলা ভাষার নিদর্শন। লুইপাদ, সরহপাদ, কাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ প্রমুখ চর্যাপদকে কবিতায় ভরিয়ে তোলেন। নেপাল থেকে আচার্য হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাপদ-এর পুথি উদ্ধার করেন।


3. পাল ও সেন যুগের সাহিত্যচর্চা কীরূপ হত ?

উ:-পাল ও সেন যুগে বাংলা সাহিত্যচর্চার অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছিল। যেমন

i.  পালযুগ ; পালযুগে সংস্কৃত সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে

গৌড়ীয় রীতি ও বৈদভী রীতি-র উদ্ভব ঘটে।

বিভিন্ন সংস্কৃত সাহিত্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- হস্তায়ুর্বেদ, চান্দ্ৰব্যাকরণ, ন্যায়সিন্ধ্যালোক প্রভৃতি। এযুগে বাংলা সাহিত্যসম্ভারগুলির মধ্যে ছিল বিশাখদত্তের মুদ্রারাক্ষস, সন্ধ্যাকর নন্দীর রামচরিত, শ্রীধর ভট্টের সংগ্রহ টীকা প্রভৃতি

ii.  সেনযুগ: সেনযুগে সহজিয়া বাংলা সাহিত্যের উদ্ভব ঘটে। বল্লাল সেন রচনা করেন দানসাগর ও অদ্ভুতসাগর। হলায়ুধ ছিলেন সেনরাজাদের মন্ত্রী। তিনি

ব্রাত্মণসর্বস্ব, বৈয়বসর্বস্বরচনা করেন। এ ছাড়া উমাপতি ধরের চন্দ্রচূড় চরিত, ধোয়ীর পবনদূত, জয়দেবের গীতগোবিন্দম, সর্বানন্দের টীকাসর্বস্ব অনিরুদ্ধ ভাষ্ট্রের পিতৃদয়িতা প্রভৃতি ছিল সেনযুগের অমূল্য গ্রন্থভাণ্ডার


4. পাল সেনযুগে বাংলার শিল্পকলা সম্পর্কে কী জাননা ?

উ:-পালযুগে স্থাপত্য ও ভাস্কর্যশিল্পের প্রভূত উন্নতি ঘটে। এযুগে বাস্তুশিল্পে সর্বতোভদ্র নামে এক মন্দির শিল্পরীতির উদ্ভব ঘটে। পালযুগেই মন্দির শিল্পে টেরাকোটার সংমিশ্রণ ঘটে। মন্দিরগুলিতে থাকত গর্ভগৃহ, প্রদক্ষিণপথ, মণ্ডপ ও স্তম্ভ। এমন একটি মন্দিরের উদাহরণ হল সোমপুরী বিহার। ধীমান ও বীটপাল ছিলেন এ যুগের শ্রেষ্ঠ ভাস্কর ও স্থপতি। পালযুগে অষ্টধাতু, কষ্টিপাথর ও কালোপাথরে তৈরি মূর্তিগুলি ছিল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এযুগে অনেক প হয়। এগুলি সাধারণত বৌদ্ধরাই নির্মাণ করতেন। এগুলি প্রথমদিকে গোলাকার হত। পরে হয় মােচাকৃতি। এ ছাড়া মন্দিরের গায়ে চিত্র অঙ্কন করার রীতি ছিল। সেনযুগেও মন্দির শিল্প উন্নত ছিল। এযুগের খ্যাতনামা স্থপতিরা ছিলেন শূলপানি, কর্ণভদ্র বিয়ুভদ্র, তথাগত প্রমুখ ব্যক্তিগণ ।


5. পাল ও সেন যুগে বাঙালির ধর্মভাবনার পরিচয় দাও।

উ:-পাল ও সেনযুগে বাংলায় হিন্দুধর্মের পাশাপাশি বৌদ্ধধর্মের প্রভাব ছিল লক্ষণীয়। পালযুগে বৌদ্ধধর্মের প্রভাব বৃদ্ধি পায়। এযুগে বহু বৌদ্ধবিহার নির্মিত হয়। এযুগে ব্ৰজযান, তন্ত্রযান, কালচক্রযান প্রভৃতি বৌদ্ধধর্ম মতের উদ্ভব ঘটে, যা সহজিয়া ধর্ম নামে খ্যাত। এই ধর্মমতে আচার্যের স্থান ছিল সবার ওপরে। তবে পাল রাজারা পরধর্মসহিষ্ণু ছিলেন। আবার সেনযুগে ব্রাক্ষ্মণ্য ধর্মের প্রভাব বৃদ্ধি পায় এব বৌদ্ধধর্ম নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে। সেনরাজারা প্রায় সকলেই ছিলেন ব্রাত্মণ্য ধর্মের পৃষ্ঠপোষক। বৌদ্ধদের পাষণ্ড বলা হত। এযুগে সূর্য, গণেশ, অগ্নি, ইন্দ্র, বিষু, লক্ষ্মী, কার্তিক, সরস্বতী প্রভৃতি দেবদেবীর পুজো শুরু হয়। এযুগে ব্রাহ্ণদের মধ্যে একাধিক উপবিভাগ ছিল। অ-ব্রাত্মণদের সংকর বা শূদ্র বলা হত।


6. পাল রাজাদের শিক্ষানুরাগিতার পরিচয় দাও। 

অথবা, 

পালযুগে শিক্ষার প্রসার কেমন হয়েছিল ?

উ:-পাল রাজারা ছিলেন শিক্ষার পরম পৃষ্ঠপোষক। তাঁদের হাত ধরে সেযুগে বাংলায় বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেমন বিক্রমশীল, নালন্দা, বিক্রমপুরী, ওদন্তপুরী, সোমপুরী প্রভৃতি স্থাপিত হয়। পাল রাজাদের সমর্থনে ও বৌদ্ধআচার্য ছাত্রদের উৎসাহে এই বৌদ্ধবিহারগুলি এযুগের উৎকৃষ্ট শিক্ষাক্ষেত্রে পরিণত হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে হিন্দু ও বৌদ্ধশাস্ত্র, তর্ক ও গণিতশাস্ত্র, দর্শন ও চিকিৎসাশাস্ত্র পড়ানো হত। বিদেশ থেকে বহু ছাত্র এখানে অধ্যয়ন করতে আসত। শ্রীজ্ঞান দীপঙ্কর ছিলেন পালযুগের একজন বিখ্যাত মনীষী। তিনি বিক্রমশীল মহাবিহারের অধ্যক্ষ ছিলেন। এযুগে সাহিত্যচর্চারও ব্যাপক উন্নতি হয়। বিশেষ করে সংস্কৃত সাহিত্যে। রামপালের সভাকবি সন্ধ্যাকর নন্দী রচনা করেন রামচরিত নামক একটি কাব্যগ্রন্থ। এ ছাড়া মুদ্রারাক্ষস, সংগ্রহ টীকা প্রভৃতি অমূল্য গ্রন্থ এযুগে রচিত হয়।


7. বৃহত্তম ভারত বলতে কোন্ কোন্ অঞ্চলকে ? দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে ‘বৃহত্তম ভারত বলা বোঝায় হত কেন ?

উ:-বৃহত্তম ভারত বলতে বোঝায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কম্বোজ, চম্পা, আন্নাম, সুমাত্রা, যবদ্বীপ, বালি, বোর্নয়ো প্রভৃতি অঞ্চলকে। মধ্যযুগে ভারতের বিভিন্ন রাজবংশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ দখল করে সেখানে সাম্রাজ্য বিস্তার করে। আবার বাণিজ্য করতে এসে এখানে অনেক বণিক থেকে যায়, ফলে এখানে ভারতীয় ভাষা, সাহিত্য, ধর্ম ও সংস্কৃতির ব্যাপক প্রসার ঘটে। সে-কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে বৃহত্তম ভারত বলা হয়।


8. সুবর্ণভূমি বলতে কী বোঝো? দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে কেন সুবর্ণভূমি বলা হত ?

উ:-সুবর্ণভূমি বলতে বোঝায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মালয়, কম্বোডিয়া, আন্নাম, সুমাত্রা, বালি,বোনিয়ো প্রভৃতি অলকে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি ছিল উর্বর ও খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ। এখানে ফসল ছিল উৎকৃষ্ট মানের। এখান থেকে ভারতবর্ষে বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রচুর ফসল রপ্তানি হত। তাই ভারতীয়দের চোখে এই দেশগুলিকে বলা হত সুবর্ণভূমি।

 


File Details

 

File Name/Book Name

সপ্তম শ্রেনী দ্বিতীয় অধ্যায় ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

105.9 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File


Join Telegram... Members

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top