সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|তৃতীয় অধ্যায়|৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| দিল্লি সুলতানি তুরকো আফগান শাসন
প্রিয় বন্ধুরা
সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|তৃতীয় অধ্যায়|৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| দিল্লি সুলতানি তুরকো আফগান শাসন আজকে আলোচনা করব |তোমরা West Bengal Class 7 History পেয়ে যাবে |সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|Class 7 History 3rd chapter Suggestion WBBSE|ইতহাস প্রশ্নোত্তর| West Bengal Class Seven|Class 7 History Question and Answer|itihas proshno uttor| Class 7 History 3rd chapter Notes WBBSE|ইতিহাস মক টেস্ট|History Mock Test
এছাড়াও তোমরা পাবে সপ্তম শ্রেণী তৃতীয় অধ্যায় দিল্লি সুলতানি তুরকো আফগান শাসন থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ Very Short Question Short Questions Descriptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের VII History Examination এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই ৩ নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস (দিল্লি সুলতানি তুরকো আফগান শাসন) ৩ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।
সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|তৃতীয় অধ্যায়|৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| দিল্লি সুলতানি তুরকো আফগান শাসন
1. মহম্মদ ঘুরির রাজ্যাংশ কাদের মধ্যে বণ্টিত
উ:- ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ ঘুরির মৃত্যু হলে তাঁর রাজ্য চার ভাগে ভাগ হয়। যথা
(ক) গজনির অধিকার পান তাজউদ্দিন ইয়ালদুজ।
(খ) মুলতান ও উছ-এর অধিকার পান নাসিরউদ্দিন কুবাচা।
(গ) দিল্লি ও লাহোরের অধিকার পান কুতুবউদ্দিন আইবক।
(ঘ) বাংলাদেশের
শাসনভার পান বখতিয়ার খলজি।
2. তুর্কো-আফগান যুগে কতগুলি রাজবংশ রাজত্ব করে ?
উ:- তুর্কো-আফগান যুগে মোট পাঁচটি রাজবংশ রাজত্ব করে। যথা—
i. দাস বংশ (১২০৬-১২৯০ খ্রিস্টাব্দ)
ii. খলজি বংশ (১২৯০-১৩২০ খ্রিস্টাব্দ)
iii. তুঘলক বংশ (১৩২০-১৪১২
খ্রিস্টাব্দ)
iv. সৈয়দ বংশ (১৪১৪-১৪৫১ খ্রিস্টাব্দ)
v. ললাদি বংশ (১৪৫১-১৫২৬ খ্রিস্টাব্দ)
3. দিল্লিতে কীভাবে সুলতানি শাসনের সূচনা হয় আলোচনা করো।
উ:- সুলতান মাহমুদের পর ভারতবর্ষ আক্রমণ করেন গজনির ঘুর বংশীয় শাসক
মহম্মদ ঘুরি। ১১৭৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি মূলতান জয় করেন। ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে তরাইনের দ্বিতীয়
যুদ্ধে আজমিরের রাজা তৃতীয় পৃথ্বীরাজ চৌহানকে পরাজিত করে দিল্লি ও আজমির জয় করেন।
এরপর তিনি ভারতে তুর্কি অঞ্চলের শাসনভার কুতুবউদ্দিন আইবক নামে এক দাসের হাতে ছেড়ে
দিয়ে স্বদেশ চলে যান। ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ ঘুরির মৃত্যু হলে, কুতুবউদ্দিন আইবক
দিল্পিকেন্দ্রিক স্বাধীন সুলতানি রাজত্বের সূচনা করেন। কুতুবউদ্দিন ছিলেন মহম্মদ ঘুরির
এক ‘আইক’ বা দাস। এজন্য তার প্রতিষ্ঠিত রাজত্ব বা বংশকে বলা হয় দাস বংশ।
4. ইলতুৎমিশ বিদ্রোহ দমন করে কীভাবে তার সাম্রাজ্য সুরক্ষিত করেন ?
উ:- সুলতানি সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইলতুৎমিশ। কুতুবউদ্দিন
আইবকের মৃত্যুর পর তিনি ১২১১ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির মসনদে বসেন। সিংহাসনে বসেই তিনি
শক্ত হাতে সাম্রাজ্যের বিদ্রোহ দমন করেন এবং সাম্রাজ্যকে একটি সুসংহত রূপ দেন।
& বিদ্রোহ দমন
(ক) ইলতুৎমিশ আরাম শাহকে হত্যা করেন এবং তাঁর মসনদের প্রতিদ্বন্দ্বী
তাজউদ্দিন ইলদুজকে পরাজিত করেন।
(খ) ১২ ২০ খ্রিস্টাব্দে মােঙ্গলবীর চেঙ্গিস খান খাওয়ারিজমের শাসনকর্তা
মাঙ্গবারণির পশ্চাদ্ধাবন করে পাঞ্জাবে উপস্থিত হন। তিনি মঙ্গবারণীকে দিল্লিতে আশ্রয়
দেননি, এর ফলে সুলতানি সাম্রাজ্য সম্ভাব্য মোঙ্গল আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পায়।
(গ) ১২২৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলার শাসনকর্তা গিয়াসউদ্দিন ইলতুৎমিশের অধীনতা
মেনে নেন।
(ঘ) ইতিমধ্যে মুলতানের শাসনকর্তা নাসিরউদ্দিন কুবাচা লাহোর অধিকার করলে
তিনি তাঁকে লাহোর থেকে বিতাড়িত করেন। ১২২৬-১২৩৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তিনি রণথম্ভোর,
গোয়ালিয়র, মালব প্রভৃতি জয় করেন।
5. ইকতা প্রথা সম্পর্কে যা জানো লেখো।
উ:- ভারতবর্ষে ইকতা প্রথার প্রবর্তক ছিলেন ইলতুৎমিশ শাসনব্যবস্থার সুবিধার জন্য তিনি তাঁর সাম্রাজ্যকে কতকগুলি সামরিক এলাকায় কাগ করেন এই প্রশাসনিক এলাকাকে বলা হত ‘ইকতা’! ইকতা কথাটির অর্থ হল জায়গির বা অতি গুমি। ইকতা প্রাপকদের বলা হত মুকতি। এরা ওয়ালি বা উলিয়ত নামেও পরিচিত ছিল।
মুকতি ছিল একদিকে রাজস্ব সংগ্রহকারী এবং অন্যদিকে সেনাপতি ও সৈন্যবাহিনীর বেতনদাতা। ইকতাদারদের দু ধরনের কাজ ছিল, যথা—সরকারের নির্দিষ্ট সৈনাবাহিনী ভরণপােষণ করা, ভূমিরাজস্ব সংগ্রহ করা এবং তা সরকারি কোশে জমা দেওয়া। এ অবনতি। আলাউদ্দিন খলজির সময় এই ব্যবস্থার কিছু রদবদল হয়। তিনি তাঁর সাম্রাজ্যের দূরবর্তী অলগুলিতে কেবলমাত্র ইকতাদার নিয়ােগ করেন। কিন্তু রাজধানীর কাছের জমিকে খালিসা' জমিতে পরিণত করেন। তিনি তাঁর সেনাপতিদের ইকতার বরাত দিতেন বেশি। সুলতানি আমলের শেষদিকে ইকতা ব্যবস্থার প্রচলন ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। পরে মােগল আমলে এই ইকতা প্রথার ওপর ভিত্তি করেই জায়গিরদারি ব্যবস্থা গড়ে ওঠে।
6. কুতুবউদ্দিন আইবকের বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় দাও।
উ:- কুতুবউদ্দিন আইবক ছিলেন মহম্মদ ঘুরির এক বিশ্বস্ত অনুচর। মহম্মদ
ঘুরি মারা যাওয়ার পর লাহাের ও দিল্লির অধিকার তাঁর হস্তগত হয়। তিনি প্রকৃত অর্থে
একজন সামরিক নেতা ছিলেন। তিনি তাঁর চারবছর শাসনকালে (১২০৬-১২১১ খ্রিস্টাব্দ) অসাধারণ
প্রতিভার পরিচয় রেখে যান।
i. কুতুবমিনার নির্মাণ : শিল্পস্থাপত্যের পৃষ্ঠপোষকরূপে সুফিসাধক কুতুবউদ্দিন
কাকির স্মৃতির উদ্দেশ্যে দিল্লিতে কুতুবমিনার-এর নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন।
ii. লাখবক্স উপাধি: উদার, মহৎ ও দানশীলরূপে লক্ষ টাকা দান করেছিলেন।
তাই জনসাধারণ তাঁকে লাখবক্স উপাধিতে ভূষিত করেছিল।
7. ইলতুৎমিশকে কেন দিল্লি সুলতানির প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়ে থাকে ?
উ:- ইলতুৎমিশ দিল্লি সুলতানির প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। কুতুবউদ্দিন
আইবক দিল্লি সুলতানির প্রতিষ্ঠা করলেও তাকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর স্থাপন করতে পারেননি।
তাঁর জামাতা ইলতুৎমিশ যখন সুলতান হলেন তখন
দিল্লিতে নানা ধরনের গোলযোগ দেখা দিয়েছিল। যেমন—
i.আমির-ওমরাহদের ষড়যন্ত্র:- উচ্চাকাঙ্ক্ষী নাসির -উদ্দিন কুবাচা, তাজউদ্দিন ইলদুজ প্রমুখ ক্ষমতা দখলের জন্য লালায়িত ছিলেন।
ii. রাজপুত রাজাদের ষড়যন্ত্র: ভারতের রাজপুত রাজারা দিল্লি ও লাহোর
দখলে বদ্ধপরিকর ছিলেন। চেঙ্গিজ খান
iii. চেঙ্গিজ খানের আক্রমণ: মোঙ্গল নেতা চেঙ্গিজ খান ভারত আক্রমণের
জন্য এগিয়ে আসেন।
iv.খলিফার অনুমোদন: ইলতুৎমিশ উপরোক্ত সমস্যা -গুলি সমাধান করে দিল্লি
সুলতানিতে নিজের অধিকার বজায় রাখতে পেরেছিলেন। এমনকি খলিফার কাছ থেকে অনুমোদনও লাভ
করেছিলেন। তাই তাঁকে দিল্লি সুলতানির প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়ে থাকে।
8. আলাউদ্দিন খলজির বাজারদর নিয়ন্ত্রণ নীতির উদ্দেশ্য কী ছিল ?
উ:- সুলতান আলাউদ্দিন খলজি সর্বপ্রথম ভারতে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা
চালু করেন।
উদ্দেশ্য: আলাউদ্দিনের বাজার দর নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য নিয়ে পণ্ডিতমহলে
বিতর্ক রয়েছে।
i.সৈন্যবাহিনীর ভরণপোষণ ও
নাগরিকদের স্বল্প -মূল্যে দ্রব্য সরবরাহ: অনেকের মতে, বিশাল সৈন্যবাহিনীর ভরণপোষণ ও দিল্লির
নাগরিকদের স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করার জন্য সুলতান এই নীতি গ্রহণ
করেন।
ii. জনকল্যাণের প্রেরণা : নাসিরউদ্দিন চিরাগের মতে, এর পিছনে ছিল সুলতানের
জনকল্যাণের প্রেরণা।
উপসংহার: তবে এপ্রসঙ্গে সমকালীন ঐতিহাসিক বারনির ধারণাই বহুল প্রচলিত।
সৈন্যবাহিনীর ভরপোষণের জন্য তিনি রাজধানীর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেঁধে দেন।
9. বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আলাউদ্দিন খলজি কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন
?
উ:- আলাউদ্দিন খলজি ছিলেন সুলতানি যুগের প্রথম সুলতান যিনি দ্রব্যমূল্য
নিয়ন্ত্রণ নীতি চালু করেন। এজন্য তিনি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
i. বাজার নির্মাণ: তিনি তিন
ধরনের বাজার নির্মাণ। করেন, যেমন-
ii. শস্য বাজার (মান্ডি),
iii. দাসঘোড়া ও পশুবাজার এবং
iv. পোশাক ও অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রীর বাজার (সেরা-ই আদল)।
v. কর্মচারী নিইয়োগ : বাজার দর নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তিনি শাহান-ই-মান্ডি ও দেওয়ান-ই-রিয়াসাৎ নামে দুই শ্রেণির কর্মচারী নিইয়োগ করেন। এরা দ্রব্যমূল্য এবং দ্রব্যের ওজন ও গুণাগুণ বিচার করতেন। ব্যবসায়ীগণ দুর্নীতির আশ্রয় নিলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা ছিল। ব্যবসায়ীগণ দিল্লির শস্যভাণ্ডারে খাদ্যশস্য সরবরাহ করতে দায়বদ্ধ থাকত। ব্যবসায়ীগণ শাহানায় তাদের নাম নথিভুক্ত করতে বাধ্য থাকত।
10.মহম্মদ-বিন-তুঘলকের শাসননীতির মূল কথা কী ছিল ?
অথবা,
তাঁর কৃতিত্ব আলোচনা
করো।
উত্তর ১৩২৫ খ্রিস্টাব্দে জুনা খা মহম্মদ-বিন-তুঘলক নাম নিয়ে দিল্লির
মসনদে বসেন। ইতিহাসে তিনি খামখেয়ালি বা পাগলা রাজা নামে খ্যাত ছিলেন। তাঁর শাসননীতি
সম্পর্কে জানতে গেলে ইবনবতুতার কিতাব-উর-রিহলা ও সমকালীন বিভিন্ন গ্রন্থের ওপর নির্ভর
করতে হয়।
i. উলেমা ও অভিজাতদের প্রভাব
থেকে রক্ষা উলে, ও অভিজাতদের প্রভাব থেকে তিনি সুলতানি শাসনকে রক্ষা করেছিলেন।
ii.ধর্মনিরপেক্ষ শাসনব্যবস্থা: ভারতবর্ষে একটি ধর্মনিরপেক্ষ শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলাই ছিল তাঁর লক্ষ। (গ) কৃষিকার্য:
চাষ-আবাদের প্রতি তাঁর সজাগ দৃষ্টি ছিল। এজন্য তিনি কৃষি ঋণ, কৃষির যন্ত্রপাতি, বীজ
ও জলসেচের ব্যবস্থা করেন।
iii. তামার মুদ্রা প্রচলন;
সাম্রাজ্যের অর্থনীতিকে চাও। করার জন্য তিনিই প্রথম এদেশে তামার মুদ্রা প্রচলন করেন।
কিন্তু তামার মুদ্রা যাতে জাল না-হয় তার ব্যবস্থা তিনি গ্রহণ করেননি।
iv. রাজধানী স্থানান্তরকরণ
: মেঙ্গাল আক্রমণের হাত থেকে রাজধানী দিল্লিকে রক্ষা করার জন্য এবং সুস্থ শাসনব্যবস্থা
গড়ে তোলার জন্য তিনি দেবগিরিতে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন।
v.অর্থনৈতিক সংস্কার: সাম্রাজ্যের
আয় বৃদ্ধি ও আয়ব্যয়ের হিসাব রক্ষার জন্য তিনি অর্থনৈতিক সংস্কার করেন।
11. মহম্মদ-বিন-তুঘলককে কী ‘পাগলা রাজা বলা যায় ?
উ:- মহম্মদ-বিন-তুঘলককে ঐতিহাসিকরা খামখেয়ালি ও পাগলারাজা বলে অভিহিত
করেছেন। তাঁর কাজকর্মকে তুঘলকি কাণ্ড বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ঐতিহাসিকদের মতে, মহম্মদ-বিন-তুঘলক
ছিলেন অস্থিরচিত্ত, ধৈর্যহীন ও রাগী মানুষ। তাঁর গৃহীত পরিকল্পনাগুলি সময়োযোগী ছিল
কিন্তু তা বাস্তবায়িত করার মানসিকতা সুলতানের না থাকার জন্য পরিকল্পনাগুলি ব্যর্থ
হয়। তাই মহম্মদ-বিনতুঘলককে পাগলা রাজা বলা হয়। পক্ষে মত । মহাদ-নিন- তুণী, ছিল মধ্যযুণে
এক বিস্ময়কর সুলতান। সাহিত্য শিল্প গণিত দশ সংস্কৃতি প্রভৃতি পেয়ে তিনি অসাধারণ ৮
তি ছিলো কোনো চারিত্রিক কবুত। তাঁকে “পর্শ করতে পারো ধর্মীয় দিক দিয়ে তিনি ছিলে উদার
মা, অধিকারী। তার পরিকল্পগুলি ৩|র দূরদশিত। বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়। প্রকৃতপক্ষে মহদণি,
তুঘলক ছিলেন পরস্পর বিরোধী গুণের সংমি|| গঠিত মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ সুলতান। তাই তাঁকে
কখনো ‘পাগলা রাজা’ বলে অভিহিত করা যায়।মহম্মদ-বিন-তুঘলক তামার প্রতীকী মুখ প্রচলন
i. উদ্দেশ্য: বিশাল সৈন্যবাহিনীর ভরণপোষণ কর। গিয়ে দেবগিরিতে রাজধানী
স্থানান্তরকরণ এবং দোয় অঞলে ঋণদান করার ফলে সুলতানি রাজকোশ ও দেউলিয়া হয়ে পড়েছিল।
সেজন্য মহম্মদ বিন-তুঘল মুদ্রার ঘাটতির জন্য চিন ও পারস্যের অনুকরণে প্রতী মুদ্রার
প্রচলন করেন। মহম্মদ-বিন-তুঘলকের প্রতীকী মূদ্র।
ii. ব্যর্থতা: কিন্তু এই মুদ্রা প্রবর্তন করতে গেলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রইয়োজন ছিল সুলতান করেননি। ফলে দেশে প্রতীকী মুদ্রা ব্যাপকভা জাল হতে শুরু করে। ব্যবসায়ীগণ এই জাল মুদ্রা নি অস্বীকার করে। ব্যাবসাবাণিজ্য প্রায় অচল হয়ে পে শেষে সুলতান বাধ্য হয়ে প্রতীকী মুদ্রার পরিব, পুনরায় সোনা-রুপোর মুদ্রা প্রবর্তন করেন। এইভা তিনি আর একবার অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে
মহম্মদ-বিন-তুঘলকের ভূমিরাজস্ব সংস্ক নীতি সম্পর্কে কী জানো ?
উত্তর মহম্মদ-বিন-তুঘলক সুলতানি রাজকোশ ভরে জন্য কয়েকটি ভূমিরাজস্ব
সংস্কার নীতি গ্রহণ করেছিলে কিন্তু নানা কারণে তা ব্যর্থ হয়। এগুলি হল— বৃদ্ধির
জন্য এবং আয়ব্যয়ের হিসাবরক্ষার জন্য তিনি অর্থনৈতিক সংস্কারের কাজে মন দেন। মহম্মদ
বিন তুঘলক দোয়াব অঞ্চলে ভূমি রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি করেন। বারনির মতে, এই বৃদ্ধির
হার ছিল ৫-১০ গুণ। আবার ফেরিস্তা দেখিয়েছেন ৩-৪ গুণ। ফলে কৃষকদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে
পড়ে। ইতিমধ্যে দোয়াব অঞলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে তিনি কৃষকদের কর মকুব করে দেন এবং
কৃষি ঋণ তকাভির ব্যবস্থা করেন।
iii. কৃষিবিভাগ: আবার পতিত জমি চাষযোগ্য জমিতে পরিণত করার জন্য তিনি
দিওয়ান-ই-কোহি নামক একটি পৃথক কৃষিবিভাগ স্থাপন করেন। দু-বছরে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা
এই খাতে ব্যয় করা হয়।
iv. কৃষি বিভাগের লক্ষ্য ব্যর্থ:
কিন্তু কর্মচারীদের দুর্নীতি, উপযুক্ত জমির অভাব এবং সুলতানের ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধানের
অভাবহেতু এই পরিকল্পনা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। মহম্মদ-বিন-তুঘলকের এই পরিকল্পনা গ্রহণের
পিছনে অনেকগুলি কারণ ছিল। যেমন—
v. বৈদেশিক আক্রমণ প্রতিরােধ: ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে বৈদেশিক
আক্রমণ, মোঙ্গল বিশেষত নেতা তামা সিরিনের আক্রমণের হাত থেকে দিল্লিকে রক্ষা করার জন্য
রাজধানী স্থানান্তরিত করেন।
vi.দেবগিরি মধ্যবর্তীস্থানে অবস্থিত: দেবগিরি সুলতা -নের বিশাল সাম্রাজ্যের
মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত হওয়ায়
vii দেবগিরি থেকে রাজ্য শাসন করা সুবিধাজনক ছিল। তাই সুলতান রাজধানী
দেবগিরিতে স্থানান্তর করেন।
viii. জলবায়ু: দেবগিরির স্বাস্থ্যকর জলবায়ু সুলতানকে আকৃষ্ট করেছিল।
File Details |
|
File Name/Book Name | সপ্তম শ্রেনী তৃতীয় অধ্যায় ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর |
File Format | PDF |
File Language | Bengali |
File Size | 138.6 KB |
File Location | GOOGLE DRIVE |
Download Link |