ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শ্রমিকদের অংশগ্রহণ কেমন ছিল? ওয়ার্কার্স এন্ড প্রেজেন্ট পার্টির কার্যকলাপ কেমন ছিল?

0

ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শ্রমিকদের অংশগ্রহণ কেমন ছিল? ওয়ার্কার্স এন্ড প্রেজেন্ট পার্টির কার্যকলাপ কেমন ছিল?


ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শ্রমিকদের অংশগ্রহণ



প্রিয় বন্ধুরা 

আজকে আলোচনা করব ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শ্রমিকদের অংশগ্রহণ কেমন ছিল?|দশম শ্রেনী ইতিহাস| ষষ্ঠ অধ্যায়|বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন|4 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|varot charo andolone shromikder andolon kemon chilo?|তোমরা West Bengal Class 10 History পেয়ে যাবে|মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা|দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর| Class 10 History 6th chapter Suggestion WBBSE|ইতহাস প্রশ্নোত্তর|West Bengal Class Ten|Class X History Question and Answer |itihas proshno uttor|Class 10 History 6th chapter Notes WBBSE|

এছাড়াও তোমরা পাবে ওয়ার্কার্স এন্ড প্রেজেন্ট পার্টির কার্যকলাপ কেমন ছিল?|দশম শ্রেণী ষষ্ঠ অধ্যায় বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর| পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই 4 নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন 


ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শ্রমিকদের ভূমিকা

ভূমিকাঃ- ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ভারত ছাড়ো আন্দোলন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই আন্দোলনই ছিল ভারতের শেষ গণ আন্দোলন।এই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে শ্রমিকশ্রেণিও যুক্ত হয়।


শ্রমিক আন্দোলনঃ- জাতীয় নেতারা গ্রেফতার হলে (8 আগস্ট, 1942) কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা 12 দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন (9 আগস্ট, 1942)। এই কর্মসূচিতে শিল্প ধর্মঘট, রেলপথ ও টেলিযোগাযোগ বন্ধ করা, খাজনা বন্ধ ও সমান্তরাল সরকার প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়।


ভারতছাড়ো আন্দোলনের সময় বোম্বাইয়ে শ্রমিক আন্দোলন

বোম্বাইঃ- এখানে 9-14 আগস্ট গণবিক্ষোভ ঘটে। শিল্পাঞ্চল ও বন্দর এলাকায় ধর্মঘট হয়। সরকারি প্রশাসন লোপ পায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার পুলিশ ও সেনা তলব করে।

ভারতছাড়ো আন্দোলনের সময় গুজরাটে শ্রমিক আন্দোলন

গুজরাটঃ- মজদুর মহাজন সংঘের পরিচালনায় আহমেদাবাদ বস্ত্রশিল্পে 1,25,000 শ্রমিক ধর্মঘট করে। এখানকার শ্রমিকেরা আজাদ। সরকার নামে একটি সমান্তরাল প্রশাসন গড়ে তোলে।

ভারতছাড়ো আন্দোলনের সময়  বিহারে শ্রমিক আন্দোলন

বিহারঃ- টাটা লৌহ-ইস্পাত কারখানার (TISCO) শ্রমিকেরা 10 আগস্ট থেকে টানা 13 দিন ধর্মঘট করে। তারা দাবি জানায়, জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজে যোগ দেবে না। 12 আগস্ট ডালমিয়ানগরে শ্রমিক ধর্মঘট হয়।


ভারতছাড়ো আন্দোলনের সময় মহীশূরে শ্রমিক আন্দোলন

মহীশূরঃ- ব্যাঙ্গালোর শিল্পাঞ্চল ও বিভিন্ন খনি অঞলে শ্রমিক ধর্মঘট হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ গুলি চালায়।


অন্যান্য রাজ্যঃ- এগুলি ছাড়াও দিল্লি, লখনউ, কানপুর, নাগপুর, মাদ্রাজ, টেনালি, রামনাদ, কোয়েম্বাটোর ও কলকাতাতে শ্রমিক ধর্মঘট হয়। এভাবে শ্রমিকশ্রেণি জাতীয় আন্দোলনের অংশীদার হয়ে ওঠে।

 

ওয়ার্কার্স এন্ড প্রেজেন্ট পার্টির কার্যকলাপ



ওয়ার্কার্স এন্ড প্রেজেন্ট পার্টির কার্যকলাপ


ভূমকাঃ- কংগ্রেস দল শ্রমিক ও কৃষকদের সংঘবদ্ধ করে ব্রিটিশ-বি্রোধী আন্দোলনকে শক্তিশালী করার যে উদ্যোগ নেয় সেক্ষেত্রে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করে ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি।


ওয়ার্কার্স এন্ড প্রেজেন্ট পার্টির বাংলা শাখাঃ

পেজেন্টস পার্টির বাংলা শাখাঃ- কাজি নজরুল ইসলাম, হেমন্ত কুমার সরকার, কুতুবউদ্দিন আহমেদ, সামসুদ্দিন হ্রসেন প্রমুখের উদ্যোগে 1925 খ্রিস্টাব্দে বাংলায় কংগ্রেস দলের মধ্যে ‘লেবার স্বরাজ পার্টি অব দ্য ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস নামে একটি দল প্রতিষ্ঠিত হয়। 

1926 খ্রিস্টাব্দে এই দলের নাম হল ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি অব বেঙ্গল। পেজেন্টস পার্টির সর্বভারতীয় শাখা; বাংলার অনুকরণে বিভিন্ন প্রদেশে শীঘ্রই এই পার্টির শাখা গড়ে ওঠে। এই শাখাগুলি ঐক্যবদ্ধ হয়ে 1928 খ্রিস্টাব্দে অল ইন্ডিয়া ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়। দলের সাধারণ সম্পাদক হন আর এস নিম্বকার।

ওয়ার্কার্স এন্ড প্রেজেন্ট পার্টির উদ্দেশ্য 

উদ্দেশ্যঃ- ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্যগুলি ছিল—

a. শ্রমিকদের কাজের সময়সীমা কমানো

b. সর্বনিম্ন মজুরির হার নির্ধারণ

c. জমিদারি প্রথার উচ্ছেদ প্রভৃতি

ওয়ার্কার্স এন্ড প্রেজেন্ট পার্টির কার্যকলাপ 


কার্যকলাপঃ- এই দল শ্রমিকদের মধ্যে প্রচার করতে থাকে যে, শ্রমিকরা অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বাধীনতা না পেলে রাজনৈতিক দিক থেকে স্বাধীনতার কোনো মূল্যই থাকবে না। পেজেন্টস পার্টির নেতারা রাজনৈতিক আন্দোলন ও শ্রেণি সংগ্রাম সম্পর্কে শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে থাকেন। 

শ্রমজীবীরা বুঝতে পারে তারা আলাদা একটা সামাজিক শ্রেণি। তাদের মধ্যে এক ঐক্যভাব গড়ে ওঠে। শোষকশ্রেণিকে তারা চিনতে পারে। নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য তারা যৌথভাবে আলোচনা শুরু করে। শিল্পাঞ্চলে ক্রমশ তারা সংগঠিত হয়ে ওঠে।


ওয়ার্কার্স এন্ড প্রেজেন্ট পার্টির মুখপাত্র 

মুখপত্রঃ- বিভিন্ন প্রদেশে এই পার্টির মুখপত্র প্রকাশের মাধ্যমে শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক প্রচার চলতে থাকে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল লাঙল, গণবাণী, শ্রমিক, সোশ্যালিস্ট, কীর্তি, লেবার-কিষাণ-গেজেট প্রভৃতি।



ওয়ার্কার্স এন্ড প্রেজেন্ট পার্টির আন্দোলন

আন্দোলনঃ- এই দলের পরিচালনায় বোম্বাইয়ে রেল, ছাপাখানা, পৌরসভা, বন্দর প্রভৃতির শ্রমিকরা শক্তিশালী সরকার-বিরোধী আন্দোলন করে।


মিরাট ষড়যন্ত্র মামলাঃ

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলাঃ- এই দলের আন্দোলনে আতঙ্কিত হয়ে সরকার এই দলের বহু নেতাকে গ্রেফতার করে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় (1929 খ্রি.) অভিযুক্ত করলে তাদের আন্দোলনের গতি দুর্বল হয়ে যায়।


মূল্যায়নঃ- ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টির প্রতিষ্ঠা নিঃসন্দেহে ভারতের শ্রমজীবীদের মুক্তি আন্দোলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই সংগঠন গঠনমূলক ভূমিকা পালন করলেও এই সংগঠন ছিল শহরকেন্দ্রিক, তাই শহরের শিল্পশ্রমিকেরা এর আওতায় এসেছিল। গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে তারা নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তুলতে না পারায় কৃষকেরা সংগঠিত হতে পারেনি। কিন্তু এই সংগঠনের হাত ধরেই কমিউনিস্ট পার্টি তার সংগঠন বৃদ্ধি করতে সচেষ্ট হয়।



File Details

 

File Name/Book Name

ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শ্রমিকদের অংশগ্রহণ কেমন ছিল? ওয়ার্কার্স এন্ড প্রেজেন্ট পার্টির কার্যকলাপ কেমন ছিল?

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

175 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File



Join Telegram... Members




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top