প্রশ্নঃ- বাংলায় আধুনিক ছাপাখানা মুদ্রণ শিল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করো। অথবা বাংলায় ছাপাখানা বিস্তারের ইতিহাস আলোচনা কর।

4

বাংলায় আধুনিক ছাপাখানা মুদ্রণ শিল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করো।

অথবা 

বাংলায় ছাপাখানা বিস্তারের ইতিহাস আলোচনা কর।


বাংলায় ছাপাখানা বিস্তার


প্রিয় বন্ধুরা 

আজকে বাংলায় আধুনিক ছাপাখানা মুদ্রণ শিল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করো।|দশম শ্রেনী ইতিহাস পঞম অধ্যায়|বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ|4 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|8 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|তোমরা West Bengal Class 10 History পেয়ে যাবে|বাংলার ছাপাখানা|দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর|Class 10 History 1st chapter Suggestion WBBSE|মাধ্যমিক ইতহাস প্রশ্নোত্তর|West Bengal Class Ten|Class X History Question and Answer|itihas proshno uttor|Class 10 History 1st chapter Notes WBBSE|


এছাড়াও তোমরা পাবে দশম শ্রেণী পঞ্চম অধ্যায় বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই 4 নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন 


বাংলায় আধুনিক ছাপাখানা মুদ্রণ শিল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করো।
অথবা 
বাংলায় ছাপাখানা বিস্তারের ইতিহাস আলোচনা কর।

উঃ-

ভুমিকাঃ- উনিশ শতকের বাংলায় যে জাগরণ বা নবজাগরণ ঘটেছিল তার কেন্দ্র ছিল মুদ্রণ যন্ত্র বা ছাপাখানা। এই ছাপাখানায় ছিল সকল বিপ্লবের মূল সুর। এই ছাপাখানা থেকেই হাজার হাজার বই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ত আর এই ছাপা বই বাঙালির চিন্তা ও চেতনায় বিপ্লব সংঘটিত করত। যাইহোক জার্মানির জোহান্স গুটেনবার্গ 1454 খ্রিস্টাব্দে আধুনিক মুদ্রণ যন্ত্র তথা ছাপাখানা আবিষ্কার করলে এক শতাব্দীর মধ্যেই সমগ্র ইউরোপে মুদ্রণ শিল্পের অভাবনীয় প্রসার ঘটে। ভারতে 1556 খ্রিস্টাব্দে গোয়ায় পর্তুগীজদের হাত ধরে ছাপাখানার আবির্ভাব হয় এবং বাংলায় পৌছায় 1770 এর দশকে।


বাংলায় ছাপাখানার ইতিহাসঃ-    

গ্রাহাম শ নামক একজন ব্যক্তির বিবরণ থেকে জানা যায় যে 1770-1800 খ্রিস্টাব্দের  মধ্যে  কলকাতা এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে প্রায় 40টি ছাপাখানা ছিল। আর এই ছাপাখানা গুলির বেশিরভাগই ছিল সংবাদপত্র প্রকাশের সঙ্গে যুক্ত। গ্রাহামের বিবরণ থেকে এই সময় চারজন মুদ্রাকরের নাম পাওয়া যায়-


i)হিকিঃ- জেমস অগাস্টাস হিকি কলকাতায় প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন 1777 খ্রিস্টাব্দে। প্রথমে তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সামরিক বিল ও বাট্টার কাগজ ছাপাতেন। এরপর হিকি 1780 খ্রীষ্টাব্দে সর্বপ্রথম ‘বেঙ্গল গেজেট’ নামে একটি সংবাদপত্র এখান থেকেই প্রকাশ করেন।


ii) জাকারিয়ার প্রেস:- জন জাকারিয়া নামক এক খ্রিস্টান মিশনারী 1789 খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রেসে ধর্মগ্রন্থ, বর্ষপঞ্জি আদালতে ব্যবহৃত কাগজপত্র ইত্যাদি ছাপা হত।


iii)  বার্নাড মেসেনিকঃ- বার্নাড মেসেনিক একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। 1780 খ্রীষ্টাব্দে তিনি পিটার রিড নামে  আর এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কলকাতায় একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন আর এখান থেকেই ইংরেজি সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ইন্ডিয়া গেজেট’ প্রকাশিত হতো।


iv) চার্লস উইলকিন্স:-চার্লস উইলকিনস ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন কেরানি ছিলেন।1778 খ্রীষ্টাব্দে গভর্নর জেনারেল লর্ড হেস্টিংস এর নির্দেশে তিনি ‘হ্যালহেডের ব্যাকরন (A grammar of the Bengali language) ছাপানোর জন্য চুঁচুড়ায় একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন।পরে এই ছাপাখানাটি সরকার অধিগ্রহণ করেন।


v) শ্রীরামপুর মিশন প্রেস:- শ্রীরামপুর ত্রয়ী এর অন্যতম উইলিয়াম কেরি( উইলিয়াম কেরি,জোসুয়া মার্শম্যান ও উইলিয়াম ওয়ার্ড) একটি কাঠের ছাপাখানা  প্রতিষ্ঠা করেন 1800 খ্রিস্টাব্দে। এখান থেকে বহু বই, দিকদর্শন, সমাচার দর্পণ,  ও ফ্রেন্ড অফ ইন্ডিয়ার মতো অনেক সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়। একটা পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে, 1840 এর দশক  পর্যন্ত শুধুমাত্র কলকাতা শহরেই কমপক্ষে 50টি ছাপাখানা ছিল এবং পুরো শতক জুড়ে তার সংখ্যা দাঁড়ায় হাজারেরো বেশি।


উপসংহারঃ- পরিশেষে বলা যায় যে, এই ভাবেই ইউরোয়ীয়দের উদ্যোগে বাংলায় একাধিক ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্রমে ছাপাখানার শিল্পের শ্রীবৃদ্ধি ঘটতে থাকে। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য অনেক ছাপাখানা গড়ে ওঠে পরে এ শিল্পের বিকাশে বাঙালিরাও এগিয়ে আছে।

File Details

 

File Name/Book Name

বাংলায় আধুনিক ছাপাখানা মুদ্রণ শিল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করো।

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

70 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File


Join Telegram... Members




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

4 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
To Top