1857 সালের সালের বিদ্রোহকে কেন সামন্ত শ্রেণীর বিদ্রোহ বলা হয়? অথবা 1857 সালের সালের বিদ্রোহকে কেন সামন্ত শ্রেণীর বিদ্রোহ বলা যায়না ?

2

1857 সালের বিদ্রোহকে কেন সামন্ত শ্রেণীর বিদ্রোহ বলা হয়?

অথবা 

1857 সালের বিদ্রোহকে কেন সামন্ত শ্রেণীর বিদ্রোহ বলা যায়না ?


1857 সালের বিদ্রোহকে কেন সামন্ত শ্রেণীর বিদ্রোহ বলা হয়?



প্রিয় বন্ধুরা 

আজকে 1857 সালের সালের বিদ্রোহকে কেন সামন্ত শ্রেণীর বিদ্রোহ বলা হয়?| দশম শ্রেনী ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়|সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা|  4 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|8 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|তোমরা West Bengal Class 10 History পেয়ে যাবে|বাংলার ছাপাখানা|দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর|Class 10 History 4th chapter Suggestion WBBSE|মাধ্যমিক ইতহাস প্রশ্নোত্তর| West Bengal Class Ten|Class X History Question and Answer|itihas proshno uttor|Class 10 History 4th chapter Notes WBBSE|সামন্ত শ্রেণীর বিদ্রোহ


এছাড়াও তোমরা পাবে দশম শ্রেণী পঞ্চম অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই 4 নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন


1857 সালের সালের বিদ্রোহকে কেন সামন্ত শ্রেণীর বিদ্রোহ বলা হয়?

অথবা 

1857 সালের সালের বিদ্রোহকে কেন সামন্ত শ্রেণীর বিদ্রোহ বলা যায়না ?


সামন্ততান্ত্রিক প্রতিক্রিয়া: বিভিন্ন তথ্যসংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে কিছু ঐতিহাসিক বলেছেন, ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ঘটনা ছিল সামন্ততান্ত্রিক প্রতিক্রিয়া বা সনাতনপন্থীদের বিদ্রোহ। ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার, ড. সুরেন্দ্রনাথ সেন, রজনীপাম দত্ত প্রমুখ ঐতিহাসিকগণ এ বিষয়ে একমত। লর্ড ডালহৌসির স্বত্ববিলোপ নীতির ফলে ঝাসির রানি লক্ষ্মীবাঈ, পেশওয়ার দত্তকপুত্র নানাসাহেব তাঁদের রাজ্য হারান,সাতারা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয়, কুশাসনের অজুহাতে অযোধ্যা রাজ্য ইংরেজরা দখল করে। নতুন ভূমিব্যবস্থায় এখানকার তালুকদাররা জমি হারায়। ফলে রাজ্যহারা রাজা-রানি, জমি হারা কৃষক,জমিদার তালুকদাররা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং তারা ১৮৫৭-র মহাবিদ্রোহে অংশ নেয়।ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার-এর মতে, এই বিদ্রোহ ছিল ক্ষয়িষ্ণু অভিজাততন্ত্র ও মৃতপ্রায় সামন্তদের ‘মৃত্যুকালীন আর্তনাদ’।


অপরপক্ষে অধ্যাপক সুশোভন সরকার বলেন যে, নানাসাহেব, লক্ষ্মীবাঈ, হজরৎ মহল, কুনওয়ার সিং প্রমুখ। সামন্ত-জমিদার ও তালুকদারদের হাতে বিদ্রোহের নেতৃত্ব ছিল বলে এই বিদ্রোহকে কখনই সামন্ত বিদ্রোহ ও প্রতিক্রিয়াশীল আখ্যা দেওয়া যায় না। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতে সামন্ততান্ত্রিক চিন্তাধারা যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল এবং তারাই ছিলেন সমাজের ‘স্বাভাবিক নেতা। এই কারণে এই অভ্যুত্থানও সামন্ত-প্রভাবিত হওয়া স্বাভাবিক ছিল। তার মতে, অভ্যুত্থান জয়যুক্ত হলে তা রক্ষার জন্য সামন্ত-প্রভাব মুক্ত নতুন শক্তির, নতুন কৌশলের ও নতুন সংগঠনের আবির্ভাব ঘটত। তিনি বলেন যে, সামন্তব্যবস্থার স্তম্ভস্বরূপ রাজন্যবর্গের একজনও বিদ্রোহে যোগ দেননি এবং অযোধ্যার বাইরে জমিদারদের অধিকাংশই ছিলেন ইংরেজদের পক্ষে। বিদ্রোহে যোগদান করা দুরে থাক—প্রকৃত সামন্ত নেতৃবৃন্দ বিদ্রোহ বানচাল করতেই ব্যস্ত ছিলেন। সুতরাং এই বিদ্রোহকে কখনই সামন্ত বিদ্রোহ বলা যায় না।


উপসংহারঃ- যাইহোক ঐতিহাসিক পি. সি. যোশী নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে রুশ-সামন্ত, ইতালির ঐক্য আন্দোলনে মাৎসিনী, গ্যারিবল্ডি, ক্যাভুর ও ভিক্টর ইম্যানুয়েলের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন যে, বিভিন্ন দেশের ইতিহাসে সামন্তদের গৌরবজনক ভূমিকা থাকলেও ভারত ইতিহাসেও তাদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকাকে অস্বীকার করা যায় না। তার মতে, সামন্ত-নেতৃত্বে পরিচালিত হলেও ১৮৫৭-র বিদ্রোহ প্রকৃতপক্ষে জাতীয় সংগ্রাম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
To Top