ভারতীয় ইতিহাসের যুগ বিভাজন(প্রাচীন কাল:- প্রস্তর যুগ থেকে ১২০৬ পর্যন্ত)
ভারতের ইতিহাসকে তিনটি যুগে ভাগ করা যায়।
১) প্রাচীন ভারতের ইতিহাস। (প্রস্তর যুগ থেকে ১২০৬ সাল পর্যন্ত)
২) মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাস।( ১২০৬ থেকে ১৭৫৭ বা ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত )
৩) আধুনিক ভারতের ইতিহাস। (১৮৫৭ সাল থেকে ১৯৬৪ বা বর্তমান সময় পর্যন্ত )
প্রাচীন ভারতের ইতিহাসকে আবার তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়-
১) প্রাক-ঐতিহাসিক যুগ।( ২০ লক্ষ থেকে ৪০০০B.C)
২) প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ।(৪০০০ থেকে ১৫০০B.C )
৩) ঐতিহাসিক যুগ।( ১৫০০ থেকে ৬০০ মতান্তরে ৩২৬ B.C)
প্রাক্-ঐতিহাসিক যুগ
১) প্রাক্-ঐতিহাসিক যুগ : একসময় মানুষ ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস শুরু করেছিল। কিন্তু তখন তারা লিখতে জানত না। লিখিত কোন উপাদান থেকে তাদের ইতিহাস জানা যায় না। সেই সময়ের মানুষের ব্যবহার করা জিনিসপত্র থেকে তাদের ইতিহাস জানা যায়। সেই সময়কে প্রাক্-ঐতিহাসিক যুগ বলা হয়।
প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ
২) প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ : প্ৰাক-ঐতিহাসিক যুগের পর এক সময় মানুষ লিখতে শিখল। কিন্তু সেই সময়কার লেখা এখন কেউ পড়তে পারে না। এই সময়কে প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ বলা হয়। প্রায় ঐতিহাসিক যুগের সভ্যতা হল হরপ্পা সভ্যতা। এই সময় লিপি ছিল, কিন্তু তা পড়া যায়নি।
ঐতিহাসিক যুগ
৩) ঐতিহাসিক যুগ : যে সময়ের মানুষের ইতিহাস জানা যায় তাদের রচনা থেকে বা লেখা থেকে, সেই সময়কে ঐতিহাসিক যুগ বলা হয়।
সত্য দ্বাপর ত্রেতা কলি যুগের বিভাজন টা কোথা থেকে শুরু হলো?
উত্তরমুছুন