আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব আলোচনা কর।
সরকারি কর্মচারীদের চিঠি |
আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সরকারি নথিপত্র।এই সরকারি নথিপত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সরকারি প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন পদাধিকারী যেমন পুলিশ গোয়েন্দা বা সরকারি আধিকারিকদের রিপোর্ট-প্রতিবেদন বিবরণ ও চিঠিপত্র ইত্যাদি।
সরকারি প্রতিবেদন : সরকারি আধিকারিকরা, গুরুত্বপূর্ণ কর্মচারী, পুলিশ বা গোয়েন্দা, প্রভৃতিরা বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবেদন পাঠাতো সরকারের কাছে। আন্দোলন বা গুপ্তবিপ্লবী কার্যকলাপ বা নিছকই দিনলিপি বা সব ধরনের প্রতিবেদনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষ কমিশনের প্রতিবেদন: সরকার বিশেষ বিশেষ সমস্যার জন্য কমিশন গঠন করে এবং সেই কমিশন সরকারকে রিপোর্ট জমা দিত। এই রিপোর্টে বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যায়। সাইমন কমিশন, হান্টার কমিশন প্রভৃতি প্রতিবেদন থেকে ঐতিহাসিক উপাদান সংগ্রহ করা যায় তাই এই প্রতিবেদনগুলি গুরুত্বপূর্ণ।
চিঠিপত্রের আদান-প্রদান : সরকারি ব্যবস্থায় চিঠিপত্র আদান-প্রদান করা একটি স্বাভাবিক ঘটনা। বিশেষ করে প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শাসনকর্তাদের চিঠিপত্রের ব্যাপক আদান-প্রদান ঘটত। এই চিঠিপত্রের মাধ্যমে তারা শাসনকার্য পরিচালনায় বিভিন্ন প্রস্তাবের যেমন আলোচনা করতেন, তেমনি কোন শাসনতান্ত্রিক সমস্যার সমাধানের জন্য চেষ্টা করতেন। যেমন 1905 খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গের প্রকৃত উদ্দেশ্য কি ছিল তা লর্ড কার্জনের চিঠি থেকে জানা যায়।
উপসংহারঃ সরকারি নথিপত্র থেকে ইতিহাস রচনা করতে গেলেও ও গবেষকদের সর্তকতা অবলম্বন করতে হয়।কারণ পুলিশ গোয়েন্দা ও সরকারি আধিকারিকদের রিপোর্ট অনেক ক্ষেত্রে ভুল ও বিকৃত থাকে।তবে এইসব তথ্যের কে অন্য তথ্যের সঙ্গে যাচাই করে ইতিহাস রচনা করলে প্রকৃত ইতিহাস রচনা করা সম্ভব।
****যদি আপনাদের পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সু্যোগ করেদিন।****ধন্যবাদ*****