আর্যদের পরিচয় । The Aryans
ঋ-ধাতুর অর্থ গমন করা, ঋ-ধাতুর সঙ্গে ণৎ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে আর্য পদটি গঠিত হয়েছে।
■ আর্য সমস্যা: আর্য একটি ভাষা না জাতি- তা নিয়ে ইতিহাসে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তাকে 'আর্য' সমস্যা বলা হয়। "আর্য” শব্দটি-এর মূল অর্থ হল 'চাষ করা' (to cultivate)। ১৫০০ খ্রি. পূর্বাব্দের নিকটবর্তী সময়ে ইরান এবং পাঞ্জাব ও উত্তর ভারতে যে পরাক্রান্ত সুসংহত জনগোষ্ঠী নিজেদের আধিপত্য স্থাপন করেছিল তাদের বলা হয় আর্য। এশিয়া ও ইউরোপেই তাদের কার্যকলাপ সীমাবদ্ধ ছিল।
■ 'আর্য' শব্দটি প্রথম পাওয়া যায় ভারতের প্রাচীনতম গ্রন্থ ঋগ্বেদে ও ইরানের প্রাচীন আবেস্তা গ্রন্থে এবং প্রাচীন পারসিক গিরিলেখতে।
জাতিগত অর্থে
আর্য শব্দটি ব্যুৎপত্তিগত অর্থে সজ্জন, শ্রেষ্ঠ, গুণবান, পূজ্য, অভিজাত, মহান, মান্য, সম্ভ্রান্ত, সুসভ্য ইত্যাদিকে বোঝায়।
খাঁটি সংস্কৃত শব্দে আর্য কথার অর্থ 'সৎবংশজাত' বা 'অভিজাত মানুষ’
ঋগ্বেদের অভিধান রচয়িতা যাস্ক বলেছেন যে, আর্য শব্দের অর্থ হল আর্যের (প্রভু বা ঈশ্বর) পুত্র।
প্রাচীন পারসিকরাও 'আর্য' কথাটিকে জাতিবাচক অর্থে ব্যবহার করেছেন। পারসিক সম্রাট প্রথম দরায়ুস তাঁর একটি শিলালিপিতে নিজেকে 'আর্য বংশোদ্ভূত প্রধান আর্য' (৪৮৬ খ্রি. পূ.) বলে দাবি করেছেন।
আর্য শব্দটিকে জাতিবাচক অর্থে প্রয়োগ করে হিটলার ও তাঁর নাৎসিদল নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরেছেন।