বৃষ্টির জল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা//Requirements for successful rainwater harvesting

0

 বৃষ্টির জল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা//Requirements for successful rainwater harvesting

 বৃষ্টির জল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা
একটি প্রাকৃতিক সম্পদ এবং এর সরবরাহ প্রকৃতির দানের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু প্রাকৃতিক জলের জোগান নির্দিষ্ট। বৃষ্টির জলকে সংরক্ষিত রেখে পরে কার্যকর ভাবে তাকে যখন পুনর্ব্যবহার করা হয়, সেই প্রক্রিয়াকে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ (Rainwater Harvesting) বলে।

যে সমস্ত কারণে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের প্রয়োজন, সেগুলি হলোঃ-

1. শুষ্ক ঋতুতে জলের যোগানঃ- আর্দ্র ঋতুর সময় বা বর্ষাকালে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করলে পরবর্তীকালে অর্থাৎ গ্রীষ্মকালীন বা শুষ্ক ঋতুতে জলের সমস্যা লাঘব হয়।

2. পরিবেশ সংরক্ষণ বাস্তুতন্ত্র রক্ষায়ঃ- পরিবেশ সংরক্ষণ বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় প্রকৃতির জলভান্ডার সমৃদ্ধ রাখা প্রয়োজন। শুধু প্রকল্প গ্রহণই নয়, জনসচেতনতা বৃদ্ধিরও প্রয়োজন রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখা যেতে পারে।

3. ভৌমজলস্তরের ভারসাম্য রক্ষাঃ- পৃথিবীর মোট ভূপৃষ্ঠীয় ক্ষেত্রফলের দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি জলভাগের অন্তর্গত। কিন্তু পৃথিবীর এই বিপুল জলরাশির ৯৭.% লবণাক্ত জল (Salt Water) এবং মাত্র .% সুপেয় জল বা মিষ্টি জল (Fresh Water) আবার এই .% সুপেয় জলের % মেরু উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহ রূপে জমাটবদ্ধ অবস্থায় সঞ্চিত রয়েছে এবং মাত্র .% আমরা ব্যবহার্য পরিমন্ডলে পেয়ে থাকি। সুতরাং একথা বলার অপেক্ষা রাখে না, ভৌমজল সঞ্চয় সংরক্ষণে এবং জলাভাব দূরীকরণে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ কতখানি প্রয়োজনীয়।

4.নিম্ন জলধারণ ক্ষমতাযুক্ত মৃত্তিকাঞ্চল শহরাঞ্চলে জলের যোগানঃ-

যেসব অঞ্চলে (বিশেষত শহরাঞ্চলে) মৃত্তিকায় জলধারন ক্ষমতা নেই বা খুবই কম, সেইসব অঞ্চলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মাধ্যমে ছাদে বৃষ্টির জল ধরে রেখে তা ভূপৃষ্ঠস্থ জলাধারে প্রেরণ করে ভৌমজলের সঞ্চয়বৃদ্ধি করা সম্ভব। শহরাঞ্চলে এভাবে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করলে রাস্তাঘাটে জল জমার সমস্যা লাঘব হবে এবং কিছুটা হলেও জলের সমস্যা দূর হবে।

5.গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় জলের সহজলভ্য যোগানঃ- সংরক্ষিত বৃষ্টির জল গৃহস্থালির প্রয়োজনে এবং এই সংরক্ষিত জলকে পরিশুদ্ধ করে জলকে পানীয়জল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

6.কৃষিকাজে প্রয়োজনীয় জলের সরবরাহঃ- বৃষ্টির জল সংরক্ষন করলে পরবর্তীকালে কৃষকদের কাছেই সংরক্ষিত জল থাকায় ভবিষ্যতে জলসেচ সহ নানাবিধ প্রয়োজনে কৃষক তা ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়াও বৃষ্টির জল সংরক্ষণের বেশ কিছু সুবিধা হলোঃ

(1) জল সরবরাহের খরচ হ্রাস।

(2) বন্যা প্রতিরোধে সাহায্য।

(3) মৃত্তিকার উপরিস্তরের ক্ষয় হ্রাস।

(4) শুষ্ক ঋতুতে বা অসময়ে জলের জোগান।

(5) উদ্ভিদ কৃষিকাজের উন্নতি।

(6) খরা দূরীকরণে সহায়তা



 

 

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top