কালা মানসুরের কবলে(এক ভয়ানক ভূতের কাহিনী) কলমে সোহেল আকতার

1

কালা মানসুরের কবলে(এক ভয়ানক ভূতের কাহিনী)

কাটাগড় নামক এক গ্রামে সিকান্দার নামে কাঠুরিয়া তার  স্ত্রী ফারিদা দুই ছেলে মেয়ে রিয়াজ আসলেহানকে নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করছিলেন।

পেশায় কাঠুরিয়া হলেও সংসারে অভাব বলে কিছুই ছিলনা

একটাই সমস্যা যা সারা গ্রামের……

একদিন সিকান্দার তার স্ত্রীকে সকাল সকাল খুব আফসোস করে বলতে লাগল

সিকান্দার : নাহ! দিন দিন গ্রামের জলের যে সংকট  তা বাড়তেই চলেছে

এই গ্রামে না আছে কোন নলকুপ না আছে কোন কুয়ো না আছে কোন পুকুর কিংবা আসে পাসে কোন নদী

আমাদের জল বলতে এখান থেকে সাড়ে তিন কিমি দুরে যে নদী প্রবাহিত হয়েছে সেই নদীর জল ছাড়া কিছুই নেই।

স্ত্রী: হ্যাগো ঠিকি বলেছো সেখান থেকেই এই কাটাগড় বাসিরা জল নিয়ে নিজেদের প্রয়োজন মেটাচ্ছে।

কাটগড়ের ছেলে মেয়ে সবাই  দলে দলে সেই নদী প্রতিদিন জল আনতে যায়

সিকান্দার: হ্যা ফারিদা তা সত্ত্বেও না না অঘটন ঘটে চলেছে গ্রামের মানুষের সাথে

স্ত্রী: হ্যা গো কাটাগড় থেকে নদী যেতে যে ঘন জঙ্গল  সেখানেই সব কান্ড ঘটছে নাকি

সেই ঘন জঙ্গলের রাস্তার পাশে নাকি একটি পুরোনো বাড়িও আছে

সিকান্দার: হ্যা সেই ঘন জঙ্গলের কথা বল না সে যে ভয়ানক জঙ্গল শুনেই যেন গা হাত পা কেমন কেপে ওঠে

স্ত্রী: আমাদের রিয়াজ আর আসলেহান বলছিল সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই নাকি সেখানে নানারকন হুঙ্কর শোনা যায়

সিকান্দার:- হ্যা রামিজদার কাছেই শুনলাম জল আনতে গিয়ে অনেক ছেলে মেয়েই নাকি আর বাড়ি ফিরছেনা ….এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে

আমাদের বাছাদের আর যেতে দেবনা ভাবছি

কিন্তু জল না নিলেও নয়

 


পরের দিন সকাল সকাল ব্রেক ফাস্টের পরে

সিকান্দার : শুনছো আমি কাঠ কাটতে বেরোলাম

স্ত্রী: ঠিক আছে সাবধানে যাও

 

তার পর বেলা যখন প্রহর প্রতিদিনের মতো আসলেহান তার ভাই রামিজকে নিয়ে পাড়ার অন্যান্য ছেলেমেয়েদের সাথে জল আনতে বেরিয়ে চলে যায় ……………..

সেদিন সকাল থেকেই দিনটা যেন মেঘ মেঘ ভাব

যেতে যেতে রামিজ আসলেহানকে বল্ল

রামিজ : দিদি কালকে নাকি রিঙ্কু আর সোনি জল আনতে গিয়ে বাড়ি ফেরেনি

আসলেহান : ভয় পেয়ে! এই সব কথা এখানে বলতে নেই তুই জল আনতে যাচ্ছিস চুপচাপ আমাদের সাথে চল।

ঠিক কিছু ক্ষনের মধ্যেই আকাশে বিদ্যুৎ চমকালো

ভয় সবার মধ্যেই রয়েছে

তাদের মধ্যে একটি ছেলে(ছোট) বলে উঠল 

ছোট বাচ্চা:-  দিদি আমার খুব ভয় করছে

দিদি:- হ্যা বাবু বুঝতে পারছি ……ভয় ভয় অবস্থায় তারা নদীর কাছে পোছালো

তার পর তারা সকলে জল ভরে বাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা দিল

আসতে আসতে বিকেল ৪টা পার হয়ে যায়

জঙ্গল দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় আসলেহান আর রিয়াজ বাকি সবার সবার থেকে আলাদা যায়।।

রীয়াজ: দিদি বাকিরা কোথায়

আসলেহান : মনে হয় ওরা এগিয়ে গেছে ভাই দ্রুত হাটতে থাক এই জঙ্গল মোটেও সুবিধার নয়

ঠিক সেই সময় তাদের মনে হল তাদের পিছনে কেও রয়েছে

তারা পিছনে না দেখে হাটতেই থাকল

হঠাত একটি গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ল তাদের সামনে

তার পর যা ঘটল সাদের সামলে কালা মানসুরের  ভুত এসে

কালামানসুর : আজকে  তোদের রক্ষে নেই তোরা মরবি

যেই আসতে আসতে কালামানসুর তাদের কাছে আসতে লাগল রিয়াজ আসলেহান বলে দুর থেকে তারা কার যেন  গলার শব্দ পেল (রিয়াজ আসলেহান বলে হাক দিচ্ছে)

রীয়াজ: বাবা ?

আসলেহান: এটাতো বাবার গলার শব্দ

দুর তাকাদেই দেখে তার বাবা সিকান্দার কুড়াল নিয়ে দ্রুত তাদের দিকে দৌড়ে আসছে সিকান্দার কাছে আসতেই এরা দুজন কালামনসুরের দিকে তাকাতেই তোরা বেচে গেলি…… বেচি গেলি তোরা বলে সে অদৃশ্য হয়ে গেল ………

সিকান্দার কাছে আসতেই দুজনকে জড়িয়ে ধরে রিয়াজ  ও আসলেহানকে তারপর

সিকান্দার: চল  বাপ আমার এই জঙ্গল থেকে চল

তার পর তারা বাড়ি চলে যায়

  তোমাদের part -2 চাইলে Comment Box-এ অবশ্যই জানাবে......

                                             ভালো থাকবে বন্ধুরা


 আরও পড়ুন..

  • বড়ো গাছের সেই ভূতঃ- Click Here

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
To Top