সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|প্রথম অধ্যায়|৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা
প্রিয় বন্ধুরা
আজকে আলোচনা করব সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|প্রথম অধ্যায় |৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা|তোমরা West Bengal Class 7 History পেয়ে যাবে|সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|Class 7 History 1st chapter Suggestion WBBSE|ইতহাস প্রশ্নোত্তর|West Bengal Class Seven|Class 7 History Question and Answer|itihas proshno uttor|Class 7 History 1st chapter Notes WBBSE|ইতিহাস মক টেস্ট|History Mock Test
এছাড়াও তোমরা পাবে সপ্তম শ্রেণী প্রথম অধ্যায় ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর| MCQ Very Short Question Short Questions Descriptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের VII History Examination এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই ৩ নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস (ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা) ৩ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।
সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|প্রথম অধ্যায়|৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা
1. প্রাচীন বাংলার পুণ্ড্রবর্ধন ও গৌড় বলতে কোন অঞ্চলকে বোঝানো হত
পুণ্ড্রবর্ধন:- গুপ্তযুগে পুণ্ড্রবর্ধন ছিল একটি ভুক্তি
বা গুপ্ত শাসনাধীন অঞল। এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিল বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের
দিনাজপুর, বগুড়া, রাজশাহি ও পাবনা জেলা। এক সময় শ্রীহট্টও-এর অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গৌড়:- পূর্বে প্রাচীন গৌড় বলতে একটি জনগোষ্ঠীকে বোঝায়। বরাহমিহিরের রচনা
থেকে জানা যায়, বীরভূম, মুরশিদাবাদ ও বর্ধমান জেলার পশ্চিম অংশকে গৌড় বলা হত, কিন্তু
গৌড় রাজ শশাঙ্কের সময় পুণ্ড্রবর্ধন থেকে ওড়িশার উপকূল পর্যন্ত অঞ্চলকে গৌড় বলা
হয়। আবার খ্রিস্টীয় অষ্টম-নবম শতকে গৌড় বলতে বোঝাত সমগ্র পাল সাম্রাজ্যকে।
2. ত্রিশক্তি সংগ্রাম বা ‘ত্রিমুখী সংগ্রাম কী ? এই সংগ্রামের ফল কী হয়েছিল
?
উ:-৬৪৭ খ্রিস্টাব্দে হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর পর উত্তর ভারতের রাজনৈতিক
প্রধানকেন্দ্র কনৌজের অধিকারকে কেন্দ্র করে প্রতিহার, পাল ও রাষ্ট্রকূট বংশের রাজাদের
মধ্যে ২০০ বছর ধরে যে-রাজনৈতিক লড়াই চলে তাকেই বলা হয় ‘ত্রিশক্তি সংগ্রাম।
i. কিন্তু সেই লড়াইয়ে কেউই তেমন সাফল্য পায়নি।
ii.অন্যদিকে হর্ষবর্ধনের পর ভারতের রাষ্ট্রীয় ক্যের ধরণা বিনষ্ট হয়।
iii. এই সুযোগে একদিকে যেমন
রাজপুতদের শক্তি বৃদ্ধি পায় তেমনি অন্যদিকে ভারতে তুর্কি আক্রমণের পথ প্রশস্ত হয়।
3. হিউয়েন সাঙের বিবরণীতে শশাঙ্ক সম্পর্কে কী অভিযোগ পাওয়া যায় ?
উ:-হিউয়েন সাঙ তাঁর বিবরণীতে শশাঙ্ককে বৌদ্ধবিদ্বেষী বলে অভিহিত করেছেন।
বিবরণীতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, শশাঙ্ক বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হত্যা করেছিলেন ও বৌদ্ধদের
পবিত্র ধর্মীয় স্মারক ধ্বংস করেছিলেন। তবে এর সত্যতা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে সন্দেহ
আছে। সবশেষে এ কথা বলা যায় তথ্য ছাড়া কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। সুতরাং, হিউয়েন
সাঙ-এর মত আজও বিতর্কিত।
4. পালরাজা দেবপালের রাজ্য বিস্তারনীতি সম্পর্কে কী জানো ?
উ:-পিতা ধর্মপালের মৃত্যুর পর দেবপাল ৮১০ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ
করেন। তিনিও পিতার মতো কনৌজকে কেন্দ্র করে ত্রিশক্তি সংগ্রামে অংশ নেন এবং উত্তর ভারতে
সাম্রাজ্যবিস্তার করতে উদ্যোগ নেন। দেবপালের রাজ্যবিস্তার
i. তিনি হুন, দ্রাবিড় ও গুর্জরদের (মিহিরভোজ) পরাজিত করেন।
ii. রাষ্ট্রকূটরাজ অমোঘবর্ষ তাঁর হাতে পরাজিত হন।
iii.অসম ও ওড়িশাতে দেবপালের বিজয়রথ পৌঁছেছিল
iv. সম্ভবত উত্তরে হিমালয়ের পাদদেশে হুনরাজ্য এবং দক্ষিণ কর্ণাটক ও
পাণ্ড্য রাজ্য পর্যন্ত তাঁর সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল।
v. ভারতের বাইরে বিশেষ করে
যবদ্বীপ, সুমাত্রা, জাভা প্রভৃতি স্থানে দেবপালের প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তারলাভ করে।
জাভা ও সুমাত্রায় তাঁর প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
vi. জানা যায় যে, শৈলেন্দ্র বংশীয় রাজা বলিপুত্রদেব দেবপালের অনুমতি
নিয়ে নালন্দায় একটি বৌদ্ধমঠ নির্মাণ করেন।
viii. আরও জানা যায় যে, তিনি
উত্তর ও দক্ষিণ বিহারে শাসন করতেন।
5. কেন, কাদের মধ্যে হোদাইবিয়ার সন্ধি হয় ?
উ:-ক্রমে কোরায়েশদের সঙ্গে হজরত মহম্মদের দূরত্ব বাড়তে থাকে। কোরায়েশরা হজরত ও তাঁর অনুগামীদের ওপর অত্যাচার শুরু করে। বাধ্য হয়ে হজরত মদিনা চলে যান। এই শত্রুতা বন্ধ করার জন্য দু-পক্ষের মধ্যে ১০ বছরের জন্য যে-অনাক্রমণ চুক্তি হয় তাকে বলে ‘হোদাইবিয়ার সন্ধি।
6. খোলাফায়ে রাশেদিন বা ধর্মপ্রাণ খলিফা কাদের বলা হয় ?
উ:-হজরত মহম্মদের মৃত্যুর পর ইসলাম জগতের নেতৃত্ব দেন তাঁর চার প্রধান
সঙ্গী। এদের খলিফা বলা হয়। এঁরা হলেন হজরত আবুবকর (৬৩২-৬৩৪ খ্রিস্টাব্দ), হজরত ওমর
(৬৩৪-৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ), হজরত ওসমান (৬৪৪-৬৫৬ খ্রিস্টাব্দ) এবং হজরত আলি (৬৫৬-৬৬১ খ্রিস্টাব্দ)।
ইসলামের ইতিহাসে এই চারসঙ্গী ‘খোলাফায়ে রাশেদিন’ বা
‘ধর্মপ্রাণ খলিফা' নামে পরিচিত।
7. মদিনা সনদ কী ?
অথবা,
মদিনা সনদের গুরুত্ব কী ছিল ?
উ:-হজরত মহম্মদ ও তাঁর অনুগামীরা মক্কা থেকে মদিনায় চলে আসার পর মুসলমান
ও ইহুদিরা যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে তার জন্য তিনি একটি সনদ দান করেছিলেন। এটি
মদিনা সনদ নামে পরিচিত। এই সনদের মাধ্যমে ইহুদি ও মুসলমানদের মধ্যে এক ঐক্য ও সম্প্রীতি
গড়ে উঠেছিল এবং ইসলাম ধর্মের প্রসারের পথ প্রশস্ত হয়েছিল।
8. ভারতে মুসলমান আক্রমণের কারণ কী ছিল ?
উ:- ৭১২ খ্রিস্টাব্দে ইরাকের শাসক আল হজ্জাজের কাছে সিংহলের রাজা কয়েকটি
জাহাজ উপহার হিসেবে পাঠিয়েছিলেন, সেগুলি সিধুর দেবল বন্দরের কাছে জলদস্যুরা লুঠ করলে
হজ্জাজ সিন্ধু প্রদেশের রাজা দাহিরের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। দাহির তাতে অসম্মতি
জানালে হজ্জাজ তাঁর সেনাপতি মহম্মদ-বিন-কাশেমকে সিন্ধু আক্রমণে পাঠান।
9. আরবদের সিন্ধু জয়ের দুটি ফলাফল উল্লেখ করো।
উ:- আরবদের সিধু জয়ের দুটি ফলাফল
i. আরবদের সিধুজয়ের পরবর্তীকালে
পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে বিদেশি আক্রমণের পথ তৈরি হয়েছিল।
ii. আরবীয়রা ভারতীয়দের কাছ থেকে নানা বিষয়ে জ্ঞানলাভ করেছিল, যা
আরবের সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করে।
10. সুলতান মাহমুদের ভারত আক্রমণের উদ্দেশ্য কী ছিল ?
উ:- সুলতান মাহমুদ ১০০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১০২৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে
প্রায় সতেরো বার উত্তর ভারত আক্রমণ করেন। এই আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল—
i. ভারতের মন্দিরগুলি থেকে
ধনসম্পদ লুণ্ঠন করে তাঁর রাজ্যে ব্যয় করা। যেসব খাতে ব্যয় করতেন তা হল যেমন রাজধানী
গজনি এবং অন্যান্য শহর সুন্দর করে সাজানো এবং নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করা ।
ii. ভারতে ইসলাম ধর্মের প্রসার
ঘটানো সুলতান মাহমুদের সঙ্গে ভারতে আসেন আরব পণ্ডিত আবু রিহান ওরফে আলবিরুনি
যিনি রচনা করেন কিতাব-উল-হিন্দ বা তহকক- ই-হিন্দ।
11. শশাঙ্কের রাজ্যবিস্তার নীতি সম্পর্কে কী জানো ?
অথবা,
তাঁকে কোন্ বাঙালি
শাসকদের মধ্যে প্রথম সার্বভৌম শাসক বলা হয় ?
উ:-শশাঙ্ক গুপ্তরাজ মহাসেন গুপ্তের একজন সামন্তরাজা ছিলেন। রোটাসগড়ে
প্রাপ্ত লিপি থেকে জানা যায় যে, সম্ভবত তিনি ৫৯০ খ্রিস্টাব্দে গৌড়ে একটি স্বাধীন
রাজ্যের সূচনা করেন।
i. সিংহাসনে বসেই প্রথমে তিনি গঞ্জাম, কঙ্গোদ, উৎকল, দণ্ডভুক্তি, বারাণসী
প্রভৃতি রাজ্য দখল করেন। ধুবীতা ফলকে কামরূপ রাজ ভাস্কর বর্মনের বিরুদ্ধে শশাঙ্কের
সাফল্য বর্ণিত হয়েছে। তিনি মগধ জয় করেন। পশ্চিম দিকে তাঁর সাম্রাজ্য বারাণসী পর্যন্ত
বিস্তৃত ছিল।
ii. তিনি যুদ্ধে থানেশ্বর রাজ রাজ্যবর্মনকে পরাজিত ও নিহত করেন। এরপর
হর্ষবর্ধন ভাই-এর হত্যার প্রতিশোধ নিতে শশাঙ্কের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করেন। তবে যুদ্ধের
ফলাফল সম্পর্কে ইতিহাস নীরব থকেছে।
এসব
কারণে ড. মজুমদার শশাঙ্ককে বাঙালি শাসকগণের মধ্যে প্রথম সার্বভৌম নরপতি বলে অভিহিত
করেছেন। তিনি আরও বলেছেন যে, শশাঙ্কের পূর্বে কোনো বাঙালি রাজা এরূপ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা
করতে সমর্থ হননি।
12. গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পরে উত্তর ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কীরূপ
হয় ?
উ:-গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর উত্তর ভারতে একাধিক রাজবংশের উদ্ভব হয়।
i. এগুলি ছিল কনৌজের মৌখরি বংশ, থানেশ্বরের পুষ্যভূতি বংশ, বলভির মৈত্রগণ,
গৌড়ের শশাঙ্ক এবং মালবের যশোধর্মন।
ii. ফলে ভারতেররাজনৈতিক ঐক্যের ধারণা দুর্বল হয়ে পড়ে।
iii. এই সময় ভারতের প্রধান রাজনৈতিক কেন্দ্র ছিল কনৌজ। কিন্তু হর্ষবর্ধনের পর কনৌজের অধিকারকে কেন্দ্র করে প্রতিহার, পাল এবং রাষ্ট্রকূটদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ। এই রাজনৈতিক সংঘর্ষ ইতিহাসে ‘ত্রি-মুখী দ্বন্দ্ব’ নামে খ্যাত।
13. ভারতে কীভাবে রাজপুতজাতির উদ্ভব হয় ?
অথবা,
রাজপুত কারা ?
উ:-হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর পর থেকে ভারতে মুসলমানদের আগমনের প্রাককালীন
সময়কে (৬৪৭-১১৯২ খ্রিস্টাব্দ) ধরা হয় রাজপুত যুগ। কিংবদন্তী অনুসারে জানা যায় যে,
রাজপুতরা ছিল চন্দ্র ও সূর্যবংশীয়। কবি চাঁদ বরদৈ বিরচিত পৃথ্বীরাজ রসসা গ্রন্থ অনুযায়ী,
বশিষ্ঠমুনিকৃত যজ্ঞ থেকে পারমার, শশালাঙ্কি, কলচুরি চৌহান প্রভৃতি রাজপুত বীর তথা রাজপুত
বংশের উৎপত্তি হয়েছে। আবার ঐতিহাসিক কর্নেল টড দেখিয়েছেন যে, প্রাচীনকালে ভারতে আগত
বিদেশি জাতি যেমন— শক, হুন, কুষাণ, গুর্জর প্রভৃতি এদেশে বসবাস করতে করতে ভারতীয়দের
সঙ্গে মিশে যায়। এর ফলে যে-মিশ্রজাতির উদ্ভব হয় তাদেরই বলা হয় রাজপুত। ঐতিহাসিক
ড. স্মিথ এদের মিশ্রজাতি বলে উল্লেখ করেছেন।
14. রাজা যশোবর্মনের কৃতিত্ব কী ছিল ? অথবা, তার সম্পর্কে কী জানো ?
উ:- প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে যশোধর্মনের (৫৩০৫৫০ খ্রিস্টাব্দ) স্বল্পকালীন
রাজত্বকাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল , তবে তিনি ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে আছেন দুর্ধর্ষ
হুননেতা মিহিরকুলকে পরাজিত করে। যশোধর্মন মধ্য ভারতের মালবে গুপ্তরাজাদের অধীনে সামন্ত
ছিলেন। গুপ্তরাজ বুধগুপ্তের মৃত্যুর পর গুপ্ত সাম্রাজ্যের বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে তিনি
শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। পরে তিনি স্বাধীন হয়েছিলেন। তাঁর রাজধানী ছিল মান্দাসোর। মান্দাসোর
লিপি থেকে জানা যায়, তিনি ‘সম্রাট’ উপাধি
ধারণ করেছিলেন। এই লিপি থেকে জানা যায় যে, পূর্বে ব্ৰত্মপুত্র উপত্যকা থেকে পশ্চিমে
আরব সাগর এবং উত্তরে হিমাথেকে দক্ষিণে মহেন্দ্রগিরি পর্যন্ত তাঁর রাজ্য বিস্তৃত ছিল।
তবে যশোধর্মনের রাজ্যসীমা নিয়ে অন্য কোনো স্বীকৃত তথ্য পাওয়া যায় না। অনেকেই তাঁকে
কিংবদন্তির বিক্রমাদিত্য বলে মনে করেন। ৫৫০ খ্রিস্টাব্দ তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মালব
রাজ্যের পতন হয় ।
15. সম্রাট হর্ষবর্ধনের রাজ্যবিস্তার নীতি সম্পর্কে কী জানো ?
উ:-সিংহাসনে আরোহণ করেই প্রথমে হর্ষবর্ধন ভ্রাতৃহন্তা গৌড়রাজ শশাঙ্ককে
সমুচিত শাস্তি দিতে কামরূপরাজ ভাস্করবর্মনকে সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধযাত্রা করেন। তবে শশাঙ্কের
বিরুদ্ধে তিনি কতটা সাফল্য পেয়েছিলেন তা সঠিক জানা যায় না। সম্রাট হর্ষবর্ধনের রাজ্যবিস্তার
নীতি
i. শশাঙ্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ: সিংহাসনে বসে প্রথমেই হর্ষবর্ধন গৌড়রাজ
শশাঙ্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করেন। তবে এই যুদ্ধের ফল জানা যায় না।
ii. মগধ, উত্তরবঙ্গা, কঙ্গোদ জয় এরপর তিনি মগধ,উত্তরবঙ্গ, কগোদ জয় করেন।
iii. বলভিরাজকে আক্রমণ: পশ্চিম ভারতে বলভিরাজ ধুবসেনকে পরাজিত করেন
এবং তাঁর কন্যাকে বিবাহ করেন।
iv. কাশ্মীর জয়: হর্ষচরিত
অনুযায়ী তিনি কাশ্মীর জয় করেছিলেন।
v. পুলকেশীর বিরুদ্ধে অভিযান: তিনি চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশীর বিরুদ্ধে
অস্ত্রধারণ করেন। কিন্তু এই যুদ্ধে তিনি পরাজিত হন। ফলে দক্ষিণে তাঁর রাজ্যসীমা গোদাবরী
নদী পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
রাজ্যবিস্তার শেষ করেন হর্ষবর্ধন ‘সকলোত্তরপথনাথ উপাধি গ্রহণ করে। জানা
যায় তিনি ‘পঞভারতের’ অধীশ্বর হয়েছিলেন। এই পভারত বলতে বোঝায় পাঞ্জাব উত্তরপ্রদেশ, বিহার,
বাংলা ও ওড়িশার কঙ্গোদ অঞ্চল।
File Details |
|
File Name/Book Name | সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর |
File Format | PDF |
File Language | Bengali |
File Size | 179.5 KB |
File Location | GOOGLE DRIVE |
Download Link |
ইতিহাসসের দ্বিতীয় পর্ব সপ্তম শ্রেণীর
উত্তরমুছুনইতিহাসসের তৃঊ পর্ব সপ্তম শ্রেণীর
উত্তরমুছুনইতিহাসসের তৃতীয় অধ্যয় সপ্তম শ্রেণীর
উত্তরমুছুন