ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহা অষ্টম অধ্যায়|৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|ভারত ও সমকালীন বহির্বিশ্ব

0

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহা অষ্টম অধ্যায়|৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|ভারত ও সমকালীন বহির্বিশ্ব

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় ৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্ত


প্রিয় বন্ধুরা 

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহা অষ্টম অধ্যায়|৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|ভারত ও সমকালীন বহির্বিশ্ব আজকে আলোচনা করব|তোমরা West Bengal Class 6 History পেয়ে যাবে|ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় ৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|West Bengal Class Six|Class 6 History Question and Answer| Class 6 History 8th chapter Suggestion WBBSE|Class 6 History 8th chapter Notes WBBSE|Class 6 History 5 marks Question and Answer|ইতহাস প্রশ্নোত্তর|ইতিহাস মক টেস্ট|itihas proshno o uttor| History Mock Test|


এছাড়াও তোমরা পাবে ষষ্ঠ শ্রেণী অষ্টম অধ্যায় ভারত ও সমকালীন বহির্বিশ্ব বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ, Very Short Question, Short Questions,  Descriptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিম -বঙ্গের VI History Examination এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস (অষ্টম অধ্যায় ভারত ও সমকালীন বহির্বিশ্ব) নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।



ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহা অষ্টম অধ্যায়|৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর|ভারত ও সমকালীন বহির্বিশ্ব 


১. মিশরকে ‘নীলনদের দান বলা হয় কেন?

উত্তর :- প্রাচীন মিশর সভ্যতা একটি নদীমাতৃক সভ্যতা। এই সভ্যতা প্রায় ৩০০০ বছর আগে নীলনদ উপত্যকায় গড়ে উঠেছিল।

 

(ক) কৃষির উন্নতি :- মিশরের মধ্যদিয়ে নীলনদ প্রবাহিত হয়েছে। এই নদী উপত্যকা বরাবর জমিগুলি পলিমাটি সমৃদ্ধ। তাই এখানকার জমি ছিল খুবই উর্বর। আবার সারাবছর নদীতে জল থাকায় এখানকার চাষিরা জমিতে জলসেচ করতে পারত। ফলে মিশর সভ্যতার চাষবাস ছিল খুবই উন্নত।

(খ) পশুপালন :- নীলনদের অববাহিকা ও মোহানা জুড়ে অনেক বদ্বীপ ছিল। এই অঞ্চলে ঘাসের অভাব ছিল । তাই এখানে মিশরবাসী অনায়াসে পশুপালন করতে পারত।

(গ) অন্যান্য দান :- মিশর দেশের মাঝখান দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ বরাবর নীলনদ প্রবাহিত হওয়ায় মিশরের সুদীর্ঘ এলাকা মরুভূমির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এজন্য ঐতিহাসিক হেরোডোটাস ‘মিশরকে নীলনদের দান বলে অভিহিত করেছিলেন।

 

২. লিপি এবং স্থাপত্যশিল্প কীভাবে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটিয়েছিল ?

উত্তর :- বিভিন্ন জাতি-উপজাতিগুলির মেলামেশার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। এই যোগাযোগের মাধ্যমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল লিপি ও স্থাপত্য।

 

(ক) লিপি:- বিভিন্ন জাতি একে অপরের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ফলে সংস্কৃতিতে বৈচিত্র্য ঘটে। পারসিক সাম্রাজ্যে অ্যারামীয় ভাষা ও লিপির ব্যবহার ছিল। সম্রাট অশোক ওই একই ভাষা ও লিপির ব্যবহার করতেন। খরোষ্ঠী লিপির উৎপত্তি অ্যারামীয় লিপি থেকেই হয়েছে বলে ঐতিহাসিকরা মনে করেন।

(খ) স্থাপত্য:- আলেকজান্ডারের আক্রমণের ফলে পারসিকরা ভারতীয় উপমহাদেশে চলে আসে। এই পারসিকদের কাছ থেকেই মৌর্যরা পাথরের উঁচু স্তম্ভ বানানোর কৌশল আয়ত্ত করেছিল। পারসিক শিল্পীদের হাতে সৃষ্টি হয় ইন্দো-পারসিক স্থাপত্যশিল্প।

 

৩. ভারতে হুন আক্রমণের পরিচয় দাও।

উত্তর:- ভারতে হুন আক্রমণের বিশদ বর্ণনা নিম্নে আলোচনা করা হল __

 

(ক) স্কন্দগুপ্তের সময়:- আনুমানিক ৪৫৮ খ্রিস্টাব্দে স্কন্দগুপ্তের রাজত্বকালে উত্তর-পশ্চিম দিকে হুনরা ভারত আক্রমণ করে। কিন্তু স্কন্দগুপ্তের তৎপরতায় হুনরা সফল হয়নি।

(খ) ভানুগুপ্তের সময়:- পরবর্তীকালে খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকের শেষ দিকে শ্বেত হুননেতা তোরমান গন্ধার, পাঞ্জাব ও গুপ্ত সাম্রাজ্যের অংশবিশেষ দখল করেন। রাজতরঙ্গিনী থেকে জানা যায় যে, তিনি সিন্ধুনদের পশ্চিম তীরে তাঁর রাজত্ব শুরু করেন। তাঁর রাজধানী ছিল শিয়ালকোট। সম্ভবত ৫১০ খ্রিস্টাব্দে গুপ্ত সম্রাট ভানুগুপ্ত হুন সম্রাট তোরমানকে পরাজিত করেন।

(গ) যশোধর্মনের সময়:- এর পরে তোরমানের পুত্র মিহিরকুল ৫১৫ খ্রিস্টাব্দে শিয়ালকোটের সিংহাসনে বসেন। তিনিও পিতার মত নিষ্ঠুর ছিলেন। মান্দাসের লিপি থেকে জানা যায় যে, মালবরাজ যশোধর্মন মিহিরকুলকে পরাজিত করেছিলেন। তবে ৫৩৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি গুপ্তরাজ বালাদিত্যের নিকট সম্পূর্ণ পরাজিত হন এবং কাশ্মীরে পলায়ন করেন।

 

৪. ভারতে হুন আক্রমণের ফল কী হয়েছিল ?

উত্তর :- ভারতে হুন আক্রমণের ফল ছিল সুদূরপ্রসারী, কারণ

 

(ক) গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন:- বারংবার হুন আক্রমণের ফলে গুপ্ত সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে গুপ্ত সাম্রাজ্যের দ্রুত পতন হয়।

(খ) সম্পদ ধ্বংস:- নিষ্ঠুর ও রক্তপিপাসু হুনদের আক্রমণে ভারতের বহু মন্দির, মঠ তথা স্থাপত্য- ভাস্কর্য ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

(গ) আলিক রাজ্যের উদ্ভব:- হুন আক্রমণের সূত্র ধরে ভারতের বিভিন্ন স্থানে কিছু আঞ্চলিক রাজ্যের উদ্ভব হয়।

(ঘ) মিশ্রজাতির উদ্ভব:- পরবর্তী সময়ে এই হুনরা ভারতীয় জনজীবনে মিশে যাওয়ার ফলে এক মিশ্রজাতির উদ্ভব হয়। যারা রাজপুত জাতি নামে খ্যাত।

(ঙ) রাজপুত শাখার উদ্ভব:- ফলস্বরূপ উত্তর ভারতের নানা স্থানে প্রতিহার, পারমার, চৌহান, গাহড়বাল, চান্দেল, শোলাঙ্কি প্রভৃতি রাজপুত শাখার উদ্ভব হয়।

 

৫. ভারতে পারসিক আক্রমণের ফলকী হয়েছিল ?

উত্তর :- খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকেই কাইরাস বা কুরুষের নেতৃত্বে ভারতে পারসিক আক্রমণের সূচনা হয়। তবে খরায়ুসই উত্তর-পশ্চিম ভারতে, প্রকৃত পারসিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন।

 

ভারতে পারসিক আক্রমণের ফল হয়েছিল সুদূরপ্রসারী, কারণ­­ __

 

(ক) বাণিজ্যিক সম্পর্ক:- এই আক্রমণের ফলে পশ্চিম এশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

(খ) ভাষার সমৃদ্ধি:- অনেক পারসিক শব্দ ভারতীয় ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে।

(গ) শিল্পকলার উন্নতি:- ভারতীয় স্থাপত্যকলায় পারসিক রীতি প্রবেশ করে এদেশের শিল্পকলাকে উন্নত করেছে।

(ঘ) সাম্রাজ্য গঠনের ধারণা:- ভারতীয় রাজারা তাদের কাছেই বড়ো সাম্রাজ্য গড়ে তোলার ধারণা লাভ করে।

 

৬. আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের ফল কী হয়েছিল ? 

অথবা, 

আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের ফলে ভারতে গ্রিক প্রভাব কী পড়েছিল ?

উত্তর :- খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে আলেকজান্ডার ভারত আক্রমণ করেন। যদিও তিনি ভারতের ভিতর প্রবেশ করেননি। তবুও উত্তর-পশ্চিম ভারতে গ্রিক আধিপত্য স্থাপিত হয়।

 

ভারতে এই আক্রমণের ফল ছিল সুদূরপ্রসারী __

 

(ক) গ্রিক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা:- উত্তর-পশ্চিম ভারতে গ্রিক সেনাপতি সেলুকাসের নেতৃত্বে গ্রিক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

(খ) পারসিক প্রভাব বিনষ্ট:- এর ফলে ভারতবর্ষে পারসিক প্রভাব বিনষ্ট হয়।

(গ) সাংস্কৃতিক যোগাযোগ:- ভারতে গ্রিক আধিপত্যের সূত্র ধরে পাশ্চাত্যের সঙ্গে ভারতের সাংস্কৃতিক যোগাযোগ গড়ে ওঠে।

(ঘ) গ্রিক ও পারসিক শিল্পের প্রভাব:- কুষাণ যুগে গড়ে ওঠা গন্ধার শিল্পে গ্রিক ও পারসিক শিল্পরীতির প্রভাব লক্ষ করা যায়।

 

৭. দূত বিনিময় করে কীভাবে প্রাচীন ভারতের সঙ্গে অন্যান্য দেশের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ?

উত্তর :- প্রাচীন ভারতের অনেক রাজা ও বিদেশের বিভিন্ন রাজা পারস্পরিক দূত বিনিময় করেন। ফলে উভয় দেশের সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান হয় এবং সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। যেমন __

 

(ক) গ্রিক শাসক :- গ্রিক শাসক সেলুকাস মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের রাজদরবারে মেগাস্থিনিসকে দূত হিসেবে প্রেরণ করেন।

(খ) মিশরের সম্রাট:- মিশরের সম্রাট টলেমি ডায়োনিসিয়াসকে মৌর্য দরবারে দূত হিসেবে পাঠান। অপরপক্ষে মৌর্য সম্রাটও মিশরের রাজদরবারে দূত পাঠিয়েছিলেন।

(গ) সিরিয়ার শাসক:- জানা যায় বিন্দুসার সিরিয়ার শাসক অ্যান্টিয়োকসের সঙ্গে এইভাবে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন।

(ঘ) অন্যান্য দেশ :- সম্রাট অশোক সিরিয়া, ম্যাসিডন ও সিংহলে দূত পাঠিয়েছিলেন।

(ঙ) চিনের সঙ্গে সম্পর্ক :- জানা যায় হর্ষবর্ধন চিনের সঙ্গে দূত বিনিময় করেছিলেন।

 

৮. মেগাস্থিনিস ও ফাহিয়েনের বিবরণ গুরুত্বপূর্ণ কেন ? 

অথবা, 

মেগাস্থিনিস ও ফাহিয়েনের বিবরণ থেকে কী জানা যায় ?

উত্তর :- গ্রিক দূত মেগাস্থিনিসের ইন্ডিকা গ্রন্থ এবং চিনা পর্যটক ফাহিয়েনের ফো-কুয়ো-কি গ্রন্থ থেকে মৌর্য যুগের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়।

 

মেগাস্থিনিস ও ফাহিয়েনের বিবরণের গুরুত্ব :-

ক) মেগাস্থিনিসের বিবরণ :- ইন্ডিকা থেকে জানা যায় (অ) মৌর্য সম্রাট ছিলেন শাসন ও বিচার বিভাগের প্রধান। 

(আ) মগধের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র। এটি ছিল একটি সমৃদ্ধশালী নগর। 

(ই) মৌর্য সেনাবাহিনী ৬টি ভাগে বিভক্ত ছিল। 

(ঈ) সে যুগে মানুষ সোনারুপোর অলংকার পরত। 

(উ) মানুষ সহজ সরল জীবনযাপন করত। সমাজে চুরি, ডাকাতি ছিল না, তবে সমাজে বর্ণ প্রথা ছিল। নারী স্বাধীনতা কম ছিল সমাজ ৭টি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল।

 

(খ) ফাহিয়েনের বিবরণ :- ফাহিয়েনের বিবরণ থেকে জানা যায় 

(অ) সে যুগে সমাজে জাতিভেদ প্রথা কঠোর ছিল। চণ্ডালরা ছিল সমাজে অস্পৃশ্য জাতি। 

(আ) সরকার অংশ খাজনা নিত। রাস্তাঘাটে চোরডাকাতের ভয় ছিল না। প্রজারা সুখে-শান্তিতে বাস করত। মৌর্য শাসনব্যবস্থা ছিল উদার ও নিরপেক্ষ। 

(ই) গুপ্তরাজা ধর্ম উদার ছিলেন। 

(ঈ) গুপ্তযুগের বাণিজ্য ছিল খুবই উন্নত। 

(উ) তিনি পাটলিপুত্রের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

 

৯. প্রাচীন ভারতের কোথায় এবং কখন গন্ধার শিল্পের উদ্ভব হয় ? এই শিল্পের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করে।

উত্তর :- খ্রিস্টপূর্ব ৫০ অব্দ থেকে ৫০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে জালালাবাদ, গন্ধার, বেগ্রাম, সোয়াট, তক্ষশীলা প্রভৃতি অঞ্চলে গন্ধার শিল্পের উদ্ভব হয়।

 

গন্ধার শিল্পের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি হল :-

(ক) বুদ্ধমূর্তি নির্মাণ :- এই শিল্পরীতিতে সাধারণত ভগবান বুদ্ধের মূর্তি ও অন্যান্য গ্রিক দেবদেবীর মূর্তি তৈরি করা হত।

(খ) গ্রিক, রোমান ও ভারতীয় ভাস্কর্য-এর সংমিশ্রণ :- এই শিল্প গড়ে উঠেছিল গ্রিক, রোমান ও ভারতীয় ভাস্কর্য শিল্পীরীতির সংমিশণে।

(গ) বিষয়বস্তু :- এই শিল্পের বিষয়বস্তু ছিল ভারতীয় বৌদ্ধধর্ম তথা বুদ্ধের মূর্তি।

(ঘ) মূর্তি নির্মাণে উপকরণ :- মূর্তি নির্মাণে গন্ধার শিল্পীরা চুন, বালি, প্লাস্টার অব প্যারিস, পোড়ামাটি ও কালো পাথর ব্যবহার করত।

(ঙ) মূর্তির প্রকৃতি :- মূর্তিগুলির অন্যতম মসৃণতা ও প্রাণবন্ততা।

 

১০. ভারতে ইন্দো-গ্রিক ও শক শাসনের পরিচয় দাও।

উত্তর :- সম্রাট অশোকের মৃত্যুর পর মৌর্য সাম্রাজ্যের দ্রুত পতন হয়। এই সুযোগে ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে ক্রমাগত বিদেশি জাতির অনুপ্রবেশ ঘটে। এই বিদেশি জাতিগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল ইন্দো-গ্রিক ও শকরা।

(ক) ইন্দো-গ্রিক শাসক:- আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২৫০-৫০ অব্দ পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে ব্যাকট্রীয় ও ইন্দো-গ্রিক শাসকগণ রাজত্ব করেন। গ্রিক শাসক ডিমিট্রিয়াস প্রথম দক্ষিণ আফগানিস্থান, পাঞ্জাব ও নিম্ন সিন্ধুদেশে ব্যাকট্রীয়-গ্রিক রাজত্বের সূচনা করেন। সম্ভবত ইন্দো-গ্রিক শাসক মিনান্দার ছিলেন তাঁর পরিবারভুক্ত। মিনান্দার রাজত্ব কাবুল ও পাঞ্জাব থেকে গুজরাটের কাথিয়াবাড় পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তাঁর রাজধানী ছিল শাকল (শিয়ালকোট)। মিলিন্দপঞ্চহো প্রণেতা নাগসেনের কাছে তিনি বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা নৈন।

(খ) শক শাসন :- যাযাবর শকগণ ব্যাকট্রিয়া দখল করে খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের মাঝামাঝি এবং পরে ভারতের অংশবিশেষে রাজত্ব শুরু করে। শক রাজারা ক্ষত্ৰপ ও মহাক্ষত্ৰপ নামে পরিচিত ছিলেন। এদের দুটি বংশ ছিল একটি হল তক্ষশীলা ও মথুরার ক্ষপ এবং অপর শাখাটি ছিল সৌরাষ্ট্রের পশ্চিমি ক্ষত্রপ। ভারতের প্রথম শক্তিশালী শক রাজা ছিলেন মোয়েস বা মোগ। তাঁর পরবর্তী শাসক ছিলেন আজেস। পশ্চিমি ক্ষত্রপদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন নহপান। উজ্জয়নীর ক্ষত্রপদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন রুদ্রদামন।



File Details

 

File Name/Book Name

 ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় ৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্ত

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

79 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File


Join Telegram... Members




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top